নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ১৬ জুন, ২০২১
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে সরিয়ে নিতে সরকার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হয়েছে।
আজ বুধবার (১৬ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন খুব লাফালাফি হচ্ছে। পরীমনি কে? আমরা কি বুঝি না? আবার সেই ডাইভারশন । আবার সেই অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া। যখন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য, মুক্তি, দেশের গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, করোনা যখন বাড়ছে, তখন আবার এ ধরনের একটা নিয়ে হাজির করা হচ্ছে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই ঘটনা কতটুকু সত্য বা মিথ্যা জানি না। এটা দেখে মনে হয়েছে সবকিছুই এ দেশে সম্ভব। মামলা করল একটা, কিন্তু আরেক অপরাধের দায় দিয়ে গ্রেপ্তার করে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হলো। এটা আমি বুঝতে পারিনি। মামলা করল ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টা কিন্তু রিমান্ডে নেওয়া হলো মাদকের জন্য। যেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে সেই বাড়িটাও তার না। এগুলো বোধগম্য না। তাহলে কি ক্ষমতাসীনরা যা চাইবে তা-ই হবে? প্রশাসন কি এভাবে তুলে নিয়ে সম্মান, পরিবারের কাছে সম্মান সবকিছু ধূলিসাৎ করে দেবে?’
গতকাল তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গাছের ফাঁক থেকে গুলি হওয়ার আশঙ্কায় গাছ কেটেছিলেন জিয়া।’ তাঁর এ বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের যে তথ্যমন্ত্রী আছেন তার কাজ হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য সৃষ্টি করা। আজ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো কথা শুনিনি।’ তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সিঙ্গাপুর, সৌদিতে গাছ লাগিয়েছেন। দেশে সবুজায়ন ও খাল খনন কর্মসূচি করেছিলেন।
‘বিএনপির সঙ্গে একসঙ্গে বাস করা যায় না’, ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের আসল চরিত্র বেরিয়ে গেল। তারা কোনো বিরোধী দল চায় না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি কারও দয়ার দল না। কারও দয়ায় বিএনপি টেকে না। বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে টিকে আছে। বর্তমানে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, তার জন্য আওয়ামাী লীগের একদিন বিচার হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো জাতি নিজে না জেগে উঠলে তার মুক্তি অর্জন করতে পারে না। এ জায়গায় বড় করে ভাবতে হবে। তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। গণতন্ত্র মুক্ত না হলে কারও নিরাপত্তা নেই। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ এবং সুচিকিৎসা পাচ্ছে না। তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা দাবি করেন।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।