নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০২১
আওয়ামী লীগ টানা ১২ বছরের বেশি ক্ষমতায় রয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। সংসদে যে প্রধান বিরোধী দল রয়েছে জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টির মাঠ পর্যায়ে অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। বিশেষ করে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টি এখন এক রকম অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। তাছাড়া বিদিশা ইস্যুতে এখন জাতীয় পার্টিতে তোলপাড় চলছে। জাতীয় পার্টি নিজেদেরকে নিয়ে এমন ব্যস্ত যে সরকারের বিরোধিতা করার মত শক্তি, সামর্থ্য কোনটাই তার নেই। কাগজে-কলমে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলো বিএনপি। কিন্তু বিএনপি এখন আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো অবস্থায় নেই। বহুদিন ধরেই বিএনপি`র অবস্থান ক্ষয়িষ্ণু এবং ধুঁকতে থাকা একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতা বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে রাজনীতি থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। তারেক জিয়া লন্ডনে পলাতক জীবনযাপন করছেন। আর দলের মধ্যে কোন চেইন অব কমান্ড নেই। এক ধরনের হতাশা দলকে পেয়ে বসেছে।
রাজনৈতিক আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করবে বিএনপি, এমনটি বিএনপির কোনা আশাবাদী নেতাও ভাবেন না। সরকারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধিতা করছে বাম রাজনৈতিক দলগুলো। এই প্রথমবার রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে না থেকে একটি পৃথক অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু বাম রাজনৈতিক দলগুলো সাংগঠনিক অবস্থা এতই দুর্বল যে তাদের বক্তব্য তারা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারছে না। ফলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলন করে তারা আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করবে এমন পরিস্থিতি একেবারেই নেই। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গনে সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিবাদ এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের উত্থান ঘটছে এবং মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে উগ্র মৌলবাদী এবং জঙ্গিবাদ। এরকম ধারণার প্রধান কারণ মনে করা হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে তালেবানদের উত্থান এবং এই অঞ্চলের রাজনীতিতে চীনের আধিপত্য। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে তালেবান এবং উগ্র মৌলবাদী সংগঠন গুলোর যোগাযোগ। আগামী দিনে তাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রধান প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে যে উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তি সেটি বলাই বাহুল্য।
অবশ্য ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ প্রথম এটি অনুভব করতে পেরেছিল যে সাম্প্রদায়িক শক্তি আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচির পেছনে যারাই থাকুক না কেন এই কর্মসূচি গত ১২ বছরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে এসেছিল। যদিও আওয়ামী লীগ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ঐ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছিল। এরপর আওয়ামী লীগ হেফাজতের সঙ্গে একটা সুসম্পর্কের কৌশল গ্রহণ করে এবং সমঝোতা করে। কিন্তু আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজত আবার উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীর কাছে চলে যায় এবং জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে হেফাজতের যে নতুন কমিটি গঠিত হয়েছিল সেটি সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। যদিও মার্চের পর আওয়ামী লীগ কৌশলে হেফাজতকে কোণঠাসা করেছে, হেফাজতের ওই কমিটি বাতিল হয়েছে, নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমনকি হেফাজতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা সুনির্দিষ্ট অপরাধে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। কিন্তু তারপরও মনে করা হচ্ছে যে, এখনো হেফাজত এবং মৌলবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় এবং তারাই আসলে এখন বিএনপি, জাতীয় পার্টি বা বাম দলগুলোর চেয়ে অনেক শক্তিশালী। বিশেষ করে গত কয়েকটি ভোটের পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে ইসলাম পছন দলগুলো ভালো ভোট পেয়েছে এবং এদের নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে জামাত। সামনের দিনগুলোতে উগ্রবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর যদি ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আন্তর্জাতিক সহানুভূতি যা আগে তারা পেত না তা পায় তাহলে তারা সরকারের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। সামনের দিনগুলোতে অনেকেই ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি, জাতীয় পার্টি নয় হবে কোন উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী বা তাদের সম্মিলিত শক্তি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।