প্রেস ইনসাইড

মাহফুজ আনাম আপনি অসত্য বলেছেন

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৩


Thumbnail

মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বুধবার (৩মে) এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। আলোচনা সভায় উত্তেজিত হয়ে অনেক কথা বলেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘এমন কোন পত্রিকা আছে দেখান যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে লিখেছে। একটা সংবাদপত্র দেখান যারা কি না সামরিক শাসনের পক্ষে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা সবসময় সরকারের সাহায্য করতে দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার তুলে ধরি।’ তিনি দাবি করেন এই সরকারের আমলে গত ১৪ বছরে এমন একটি পত্রিকাও নেই যাদের উদ্দেশ্য ছিলো সরকার বিরোধী কিংবা অসত্য সংবাদ প্রকাশ করে সরকারকে বিব্রত করা।’ বরং তার মতে সকল গণমাধ্যম দেশের স্বার্থে গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করছে।

আপনার এই দাবি যে অসত্য এবং ভুল এই প্রসঙ্গে বেশী দূর যাওয়া লাগবে না, প্রমাণ আপনি নিজেই। ১/১১ এর কথা আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি। সে সময় ১/১১ সরকার ছিলো সেনা সমর্থিত একটি অগণতান্ত্রিক সরকার। সংবিধানের যে ম্যান্ডেট ছিলো যে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিনের হবে সেই ম্যান্ডেট লঙ্ঘন করে ২ বছরেরও বেশী সময় ধরে সেই সরকার জগদ্দল পাথরের মত চেপে ছিলো। এই সময়ে ডেইলি স্টারে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিলো। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো শেখ হাসিনা দূর্নীতিবাজ এবং তিনি চাঁদাবাজি করেছেন। পরবর্তিতে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৎকালীন অনির্বাচিত সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করেছিলো। শেখ হাসিনাকে কারাভোগ করতে হয়েছিলো প্রায় এক বছর। মুখ থুবরে পড়েছিলো বাংলাদেশের গণতন্ত্র।

সেই রিপোর্ট সম্পর্কে পরবর্তিতে সাংবাদিক মুন্নী সাহার ‘নিউজ আওয়ার এক্সট্রা’ অনুষ্ঠানে আপনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে সেই রিপোর্টটি ভুল ছিলো। সেই সাক্ষাৎকারে আপনি বলেছিলেন, ‘ডিজিএফআই পরিবেশিত তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই প্রকাশ করেছি।’ শেখ সেলিমের বরাত দিয়ে সেইখানে বলা হয়েছিলো শেখ হাসিনা চাঁদাবাজি করেছেন। এর জবাবে আপনি নিজেই বলেছিলেন যে, ডিজিএফআই এর দেয়া নিউজ লিখলেও আপনি সেটা স্বতন্ত্রভাবে প্রমাণ করতে পারেন নি। এবং আপনি স্বীকার করেছিলেন আপনার সাংবাদিকতা জীবনে এইটা ছিলো একটা বিরাট ভুল। অথচ গতকাল মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আপনি নিজেই দাবি তুললেন আপনি কখনো ভুল সংবাদ প্রকাশ করেন নি।

এই একটি প্রমাণেই কি আপনার ঔদ্ধত্য এবং আপনার বক্তব্য যে অসত্য তা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয়? মাহফুজ আনাম আপনারা অতীত ভুলে যান। এই দেশের মানুষও ‘গোল্ডফিশ মেমোরি’। কিন্তু যারা নিরপেক্ষ ও নির্মোহ গবেষক তাঁরা আপনাদের অতীতের কদর্য মুখ ঠিকই মন রেখেছে।



মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

প্রাণহানি ও ধ্বংসাত্মক কাণ্ডে দায়ীদের শাস্তির দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের

প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশের চলমান সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে হতাহতের ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ ও নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশন নোয়াব শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে। একই সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণহানি ও ধ্বংসাত্মক যেসব ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে এই দুই সংগঠনের যৌথ বিবৃতিতে। 

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের যৌথ সভা শেষে বিবৃতি প্রচার করা হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, সাংর্ঘষিক পরিস্থিতির এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিক। এখনও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 

এতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে।

একই সঙ্গে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য রাষ্ট্রসহ সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা রয়েছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।  
  
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে যৌথসভায় নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ এমপি, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এজ প্রকাশক শহীদুল্লাহ খান, বনিক বার্তা সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, আজকের পত্রিকা সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সমকাল সম্পাদক আলমগীর হোসেন, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সংবাদের প্রকাশক আলতামাস কবির, ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ,  ইনকিলাব সম্পাদক এ এমএম বাহাউদ্দিন, ঢাকা ট্রিব্রিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, দেশ রূপান্তর সম্পাদক মোস্তফা মামুন এবং সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম।

সম্পাদক পরিষদ   নোয়াব   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

কোটা সংস্কার আন্দোলন: রাজধানীতে আহত ২৫ সাংবাদিক

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের খবর সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক মেহেদি হাসান (২৮) মারা গেছেন। এছাড়া দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন সাংবাদিক।

পুলিশ ছাড়াও কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় একজন পরিদর্শকসহ ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিসুর রহমান, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ মিরাজ উদ্দিন, রূপনগর থানার এসআই আল মামুন ও সাইফুল ইসলাম, পিওএম সাউথ ডিভিশনের কনস্টেবল তানভীর, মাহমুদুল ইসলাম, মাহিন ইসলাম নাসিম, পিওএম নর্থ ডিভিশনের কনস্টেবল মুক্তার ও মুরাদ, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল হাসান আলী ও রাশেদ এবং গুলশান ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল আবদুল লতিফ।


কোটা আন্দোলন   সাংবাদিক  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন


Thumbnail

গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ, সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক শিবলী নোমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকি বন্ধ, দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার আপত্তিকর বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

সোমবার (২৪ জুন) সকাল ১০টায় নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সিনিয়র সাংবাদিক আনিসুজ্জামানের  সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার ডলার, শেখ রহমতুল্লাহ, শামীউল আলীম।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী শাহেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম তোতা ও সাধারণ সম্পাদক সামাদ খান, বিএফইউজের সাবেক সদস্য জাবীদ অপু, আরটিজেএ কোষাধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান রুবেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সোহান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টুকু, কোষাধ্যক্ষ সরকার দুলাল মাহবুব, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রভাবশালীদের লুটপাটের চিত্র উন্মোচনে গণমাধ্যমের গুটি কয়েককর্মী কাজ করছেন। তাদের সেই কণ্ঠ রোধ করতে প্রভাবশালীরা নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। সাংবাদিকদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। আবার দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা বিবৃতি দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে। সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে সাধারণ মানুষের অধিকার, দুর্নীতি, অনিয়মের চিত্র তুলে ধরতে কাজ করেন। সেই লেখনি কোনো অপশক্তি বন্ধ করতে পারবে না।


সাংবাদিক   অপপ্রচার   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি ব্যক্তিগত দুর্নীতি উৎসাহিত করবে: ডিআরইউ

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ২৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সাংবাদিকদের নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএসএ) বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। 
রোববার (২৩ জুন) ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ হয়েছে বলে আমরা মনে করি না।

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, যাদের নামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাদের কাজ হচ্ছে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক কিনা তা প্রমাণ করা। কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, এ নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ মাধ্যমকে দোষারোপ করা শোভনীয় নয়। বরং এর মধ্যে দিয়ে ব্যক্তিগত দুর্নীতি উৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা যৌক্তিক নয়। দেশের স্বার্থে সাংবাদিক-পুলিশ দীর্ঘ দিন ধরে দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করে আসছে। আগামী দিনেও একইসঙ্গে কাজ করবে সাংবাদিক ও পুলিশ।

তারা আরও বলেন, সাংবাদিকরা সবসময় দায়িত্বশীল এবং তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ করে থাকেন। সম্প্রতি পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে এ সকল সংবাদ তারই ধারাবাহিকতা। সংবাদ প্রকাশের পর কোনো কোনো মহল এবং সংগঠন যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি। আমরা বলতে চাই, সব তথ্যই গণমাধ্যমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধানী সংবাদ পরিবেশন করা। সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে তথ্য উপাত্ত বের করে থাকেন এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেন। ইতোমধ্যে এ ধরনের কিছু তথ্যভিত্তিক খবর বিভিন্ন পত্রিকা এবং টেলিভিশনে প্রকাশিত হয়েছে।

ডিআরইউ নেতারা বলেন, বাধা বিপত্তির মুখেও সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাবেন। স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন বক্তব্য প্রদান থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় ডিআরইউ। কারণ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার বাংলাদেশের সংবিধানেই স্বীকৃত।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন   বিবৃতি   দুর্নীতি   ডিআরইউ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ২২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

শনিবার (২২ জুন) বিএফইউজে’র থেকে দেয়া বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ ও ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু ক্ষমতাধর বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের বিপুল ও অস্বাভাবিক সম্পদের বিবরণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকরা প্রাপ্ত তথ্য, দলিল যাচাই বাছাই করে, প্রমাণযোগ্য বিষয়গুলোই প্রকাশ করছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু এ সকল সংবাদ প্রকাশের পর কোন কোন নেতা এবং কোন কোন সংগঠন যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি বলে আমরা মনে করি।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকারি বিবৃতি, ভাষ্য, ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তথ্য বা সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়া সব তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য থেকেই সাংবাদিকরা সংবাদ তৈরি করেন। কিন্তু সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে, প্রভাবশালীরা যে তথ্য গোপন রাখতে চান তা অনুসন্ধান করে বের করা এবং পেশাদারিত্বের সাথে জনগণকে বিস্তারিত জানানো। আশার কথা, ইতোমধ্যে প্রভাবশালী মহল সম্পর্কে কিছু তথ্যভিত্তিক খবর প্রকাশিত হয়েছে।

যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা এতে কারো উত্তেজিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। এ ক্ষেত্রে যারা এসব খবর প্রকাশ করেছেন তাদের দায়িত্ব এ সকল বিষয় প্রমাণ করা এবং যাঁদের নামে প্রকাশিত হয়েছে তাদের কাজ হচ্ছে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক নয় তা প্রমাণ করা। এ ক্ষেত্রে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের দায়িত্ব প্রকাশিত তথ্য নিয়ে তদন্ত করা এবং দোষীদের শান্তি নিশ্চিত করা। এসকল বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা কোন শোভন কাজ নয়। তারপরও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারেন। কোন কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, কোনো বাহিনীর বিষয় নয়।

বিবৃতিতে নেতারা উল্লেখ করেন, বিএফইউজে ও ডিইউজে স্পষ্টভাবে জানাতে চায়, শত হুমকি ও ধমকের মুখেও প্রামাণিক তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন। সংশিষ্ট সব মহল স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকবেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার সংবিধানেই স্বীকৃত।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন   বিবৃতি   বিএফইউজ   ডিইউজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন