নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৬ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২১
ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার দেশে বন্ধ রাখার সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)।
শনিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অ্যাটকোর এক ভার্চুয়াল কনফারেন্সে সরকারের এই নির্দেশনার প্রতি সমর্থনের কথা জানান একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল বাবু।
মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘ক্যাবল টিভি নীতিমালা ও বিধি অনুসারে বিদেশি চ্যানেলগুলোর দেশে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে ক্লিন ফিড সম্প্রচার বা বিজ্ঞাপন শূন্য সম্প্রচারে যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে সেটা বলবৎ করার জন্য সরকার ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে ক্লিন ফিড সম্প্রচার করতে অপারগ হলে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা আগেই দিয়েছিল। ১ অক্টোবর থেকে যেসব চ্যানেল ক্লিন ফিড সম্প্রচারে ব্যর্থ হয়েছে ক্যাবল অপারেটরদের সেসব চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে বলেই আমরা জেনেছি।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে এ আইন বলবৎ আছে। আমাদের দেশের কোনো চ্যানেলও যদি বিদেশে সম্প্রচার করতে চায় তাহলে এই আইন মেনে চলতে হয়। দেশে ২০০৬ সাল থেকে এই আইন বলবৎ আছে। ২০১০ সালের বিধিমালায় এটা আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। স্যাটেলাইট চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটরদেরও ডাউনলিংকের অনুমতির ক্ষেত্রেও এই বাধ্যবাধকতা মেনে চলার শর্ত আরোপ করার কথা রয়েছে। এরপরও যেহেতু কাজ হচ্ছিল না সরকার কঠোর পদক্ষেপ ও আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। অ্যাটকোর পক্ষ থেকে সরকারের এ পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই। তবে ক্যাবল অপারেটরদের পক্ষ থেকে সময় চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে সেটা সরকার বিবেচনা করবে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই ‘
মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘দেশীয় বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলে পাচার ও বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে অ্যাড ওভারফ্লোর অ্যাডভান্টেজের মাধ্যমে আমাদের প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দেশের চ্যানেল, পত্রিকা ও পোর্টালগুলো খোয়াচ্ছে। এর ফলে সরকার অন্তত ৩০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এটা অনন্ত কাল চলতে পারে না। সরকার যে অবস্থান জানিয়েছে তা আমরা সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, ‘এটা কিছুতেই যাতে ব্ল্যাকআউটের পর্যায়ে না যায় এবং ক্রমান্বয়ে চ্যানেলগুলো যাতে আইন মেনে সম্প্রচারে আসে। গ্লোবাল ভিলেজে কোনো চ্যানেল নিষিদ্ধ হোক বা কোনো দেশে বাধাপ্রাপ্ত হোক সেটা আমরা চাই না। আমাদের চ্যানেলেও বাইরে প্রচারে বাধাগ্রস্ত হোক আমরা যেমন চাই না তেমনি বিদেশি চ্যানেলও দেশে সম্প্রচার করার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হোক সেটা আমরা চাই না। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞাও নেই। তবে কেউ কেউ এর অপব্যাখ্যা করছে। বিজ্ঞাপনশূন্য সম্প্রচার করলে যেকোনো চ্যানেল সম্প্রচারে সরকারের আজ থেকেই বাধা থাকার কোনো কারণ নেই।’
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন প্রচার করে এমন বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশের কেবল অপারেটররা। সরকারি নির্দেশনায় ১ অক্টোবর এসব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস সম্পাদক পরিষদ
মন্তব্য করুন
সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পাদক পরিষদ
মন্তব্য করুন
ভারতে ১৪ টিভি উপস্থাপককে বয়কট করল দেশটির বিরোধী দলগুলোর নতুন জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডিভালাপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালাইয়েন্স বা ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে ওই ১৪ টিভি উপস্থাপকের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশটির বিরোধী দলগুলো বিশেষত কংগ্রেস বরাবরই অভিযোগ করে আসছে, গণমাধ্যমের একটি অংশ তাদের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো কর্মসূচিতেও মিডিয়া কাভারেজ নিয়ে এমন অভিযোগ ছিল কংগ্রেসের।
এ নিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা বলেছেন, অত্যন্ত বিষন্ন মন নিয়ে এটা করতে হচ্ছে। ইন্ডিয়া জোটের মিডিয়া কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছি। আমরা এসব উপস্থাপকদের বিরোধিতা করছি না। আমরা তাদের কাউকেই ঘৃণা করি না। কিন্তু আমরা আমাদের দেশকে বেশি ভালোবাসি। আমরা আমাদের ভারতকে ভালোবাসি।’
বুধবারই জোটের অন্যতম নেতা শারদ পাওয়ারের বাড়িতে ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে এ নিয়ে আলোচনা হয়। ইন্ডিয়া জোটের মিডিয়া কমিটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শরিক দলগুলো এই অ্যাংকরদের অনুষ্ঠানে তাদের কোনো প্রতিনিধি পাঠাবে না। কারণ তাদের দাবি- এসব টিভি অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে।
এক্স (টুইটার) প্লাটফর্মে পবন খেরা একটা অডিও ক্লিপ পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, অত্যন্ত বিষন্ন মন নিয়ে আমরা একটা তালিকা তৈরি করেছি। আমরা নিশ্চিত যে, পরিস্থিতি ঠিকঠাক হবে। আশা করছি আগামী দিনে পরিস্থিতি ভালো হবে। যখন নতুন প্রজন্ম প্রশ্ন করবেন তখন অ্যাংকররা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন। তখন তারা কী উত্তর দেবেন?
তিনি আরও জানিয়েছেন, উপস্থাপকদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু প্রতিদিন সন্ধ্যায় খবরের নাম করে যেভাবে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে তা নিয়েই আমাদের আপত্তি। প্রতি সন্ধ্যা থেকে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে গত ৯ বছর ধরে এটা চলছে। সে কারণেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া জোট কয়েকজন উপস্থাপককে চিহ্নিত করেছে। সেই অনুষ্ঠানে আমাদের কোনো প্রতিনিধি যাবেন না।
তিনি বলেন, ওই ১৪ টিভি উপস্থাপক আমাদের বক্তব্যকে বিকৃত করেন। ভুয়া খবর ছড়ান। আমরা এটা সহ্য করতে পারতাম। কিন্তু এতে দেশে সহিংসতার মোড় নিতে পারে।
যাদের বয়কটের সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা হলেন- রিপাবলিক টিভির অর্ণব গোস্বামী, টাইমস নাও নবভারতের নাভিকা কুমার, সুশান্ত সিনহা, আজ তকের সুধীর চৌধুরী ও চিত্রা ত্রিপাঠি, নিউজ ১৮ নেটওয়ার্কের আমন চোপড়া, আমিশ দেবগান, আনন্দ নরসিং, ভারত ২৪ এর রুবিকা লিয়াকত, ইন্ডিয়া টুডের গৌরব সাওয়ান্ত ও শিব আরুর, ইন্ডিয়া টিভির প্রাচি পরাশর, ভারত এক্সপ্রেসের অদিতি ত্যাগী ও ডিডি নিউজের অশোক শ্রীবাস্তব।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু
টিভি উপস্থাপক বয়কট ইন্ডিয়া জোট
মন্তব্য করুন
ইরানের দুই নারী সাংবাদিককে ষড়যন্ত্র এবং দ্বন্দ্বের অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলে তা কমিয়ে এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়া রোববার এ তথ্য জানায়। খবর আল অ্যারাবিয়া।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই নারী সাংবাদিক হলেন নেগিন বাঘেরি এবং এলনাজ মোহাম্মদী।
তাদের আইনজীবী আমির রাইসিয়ান জানিয়েছেন— আদেশ অনুযায়ী তাদের মোট সাজার চল্লিশ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ এক মাসেরও কম সময় জেলে থাকতে হবে।
আইনজীবী আরও জানান, তাদের সাজা পাঁচ বছরের জন্য স্থাগিত করা হয়েছে, এ সময়ে তারা তাদের পেশা সম্পর্কে নৈতিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন এবং দেশত্যাগ করতে পারবেন না।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে কিনা সে বিষয়ে রাইসিয়ান বিস্তারিত বলেননি এবং রিপোর্টে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণও দেওয়া হয়নি।
মোহাম্মদীর বোন এলাহেও সাংবাদিকতা করতেন। পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া মাহসা আমিনীকে নিয়ে প্রতিবেদনের কারণে তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।
২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পোশাক বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর আমিনির মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় ইরানে।
মন্তব্য করুন