নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৪ পিএম, ০৫ অক্টোবর, ২০২১
বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার বা ক্লিনফিড বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ পদক্ষেপের জন্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানিয়েছে দেশের সম্প্রচার সাংবাদিকদের বৃহত্তম সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে মতবিনিময়কালে বিজেসি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন। বিজেসি ট্রাষ্ট্রি বোর্ড চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক ও সদস্যদের মধ্যে সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, রাশেদ আহমেদ, দীপ আজাদ, মানস ঘোষ, হারুন অর রশীদ, সাইফ ইসলাম দিলাল, ফাহিম আহমেদ, নূর সাফা জুলহাস, রাহুল রাহা, মামুনুর রহমান খান প্রমুখ বৈঠকে যোগ দেন।
তথ্যমন্ত্রী এসময় বিজেসিকে তাদের অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, `আমরা দেশের স্বার্থে আইন কার্যকর করেছি, গণমাধ্যমের স্বার্থে, গণমাধ্যমের সাথে যুক্ত সাংবাদিক, শিল্পী-কলাকুশলী সবার স্বার্থে, এবং এ আইন সমগ্র পৃথিবীতে আছে। প্রতিবেশী সকল দেশে এই আইন অনেক আগেই কার্যকর হয়েছে। আমাদের দেশে একটি মহল নানা অজুহাতে এ আইন কার্যকর করতে দেয়নি। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই এবং আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশির ভাগ মন্তব্যই এই সিদ্ধান্তের পক্ষে দেখি।`
ড. হাছান বলেন, `সকল সাংবাদিক এই সিদ্ধান্তের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, যারা টেলিভিশনের মালিক তারা দাঁড়িয়েছেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট এর পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। সুতরাং কেউ এটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। শুধুমাত্র একটি পক্ষই বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে তা নয়, সেটিকে পুঁজি করে আরো কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করেছিল। সেগুলো হালে পানি পায়নি।`
ক্লিনফিড নিয়ে অন্যান্য দেশগুলো কত যত্নবান সেই উদাহরণ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, `ভারত সরকারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ টেলিভিশন ভারতে এবং দূরদর্শন এদেশে সম্প্রচার হয়। ভুলক্রমে একবার বিটিভি`র ইত্যাদি অনুষ্ঠানের ফিডে একটি বিজ্ঞাপন ছিল, সাথে সাথে তারা সম্প্রচার থামিয়ে আমাদেরকে নোটিশ করেছিল। নেপালে এ আইন কার্যকর করার সময় নানা পক্ষ বিরোধিতা করেছিল, এখন নেপালের মতো দেশেও সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলো ক্লিনফিড পাঠায় আর আমাদের এখানে পাঠাতো না।আমাদের এখানে তাদের পক্ষে ওকালতি করার একটা পক্ষ ছিল। কিন্তু এখন সেটি করতে হবেই।`
আইন কার্যকর করতে সরকার বদ্ধপরিকর এবং এনিয়ে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালে সেটির বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, দেশে অনেক চ্যানেলে ক্লিনফিড আসে, সেগুলো প্রথমে কেউ চালায়নি, এখন অনেকেই চালানো শুরু করেছেন। আমরা আজকেও সময় দিচ্ছি সেগুলো চালানোর জন্য। আগামীকাল থেকে ক্লিনফিড আসা সত্ত্বেও চালানো না হলে, সেটার জন্য মোবাইল কোর্ট চলবে। অন্যান্য ক্যাবল অপারেটিংয়ের শর্তও যদি কেউ না মানে, মোবাইল কোর্টের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।`
ক্যাবল অপারেটিং লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক হয় এমন কিছু চালানো যায় না স্মরণ করিয়ে ড. হাছান বলেন, কেউ ক্লিনফিড পাঠালেও এমন কিছু যা সমাজ ও পরিবারে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে বা ছেলেমেয়েদের বিপথে ঠেলে দিতে পারে এই ধরণের কনটেন্ট যাতে না যায় সেবিষয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করি।
মন্ত্রী এসময় গণমাধ্যমকর্মী আইন দ্রুত পাশ করা এবং ওটিটি প্লাটফর্ম নীতিমালা ও আইপিটিভি নির্দেশিকা দ্রুত প্রণয়নে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ক্লিনফিডের উদ্যোগকে যুগান্তকারী উদ্যোগ বলে বর্ণনা করেন।
বিজেসি সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা বলেন, গত ১৫ বছর ধরে যে আইন কার্যকর করা যায়নি তা এখন করার মতো দৃঢ় ভূমিকার জন্য আমরা তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অকুন্ঠ অভিনন্দন জানাই। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে আমরা আছি। আমরা সংবাদ, টক শো, ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে আমরা এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনের জন্য। সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা একটা রাউন্ড টেবিলও করছি।
বিজেসি ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য নূর সাফা জুলহাস বলেন, `আমরা দেখেছি বছরে ক্যাবল অপারেটর, ডিস্ট্রিবিউশন, বিজ্ঞাপন মিলে ৭ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। গত ১৫ বছরে যদি অংকটা করি আমরা ৩ লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে, পুরো সম্প্রচার অর্থনীতি নিয়ে যদি আমরা বলি। দেশের সম্প্রচার অর্থনীতি স্বার্থ রক্ষায় তথ্যমন্ত্রী খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।`
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ, সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক শিবলী নোমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকি বন্ধ, দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার আপত্তিকর বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
সোমবার (২৪ জুন) সকাল ১০টায় নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সিনিয়র সাংবাদিক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার ডলার, শেখ রহমতুল্লাহ, শামীউল আলীম।
রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী শাহেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম তোতা ও সাধারণ সম্পাদক সামাদ খান, বিএফইউজের সাবেক সদস্য জাবীদ অপু, আরটিজেএ কোষাধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান রুবেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সোহান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টুকু, কোষাধ্যক্ষ সরকার দুলাল মাহবুব, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রভাবশালীদের লুটপাটের চিত্র উন্মোচনে গণমাধ্যমের গুটি কয়েককর্মী কাজ করছেন। তাদের সেই কণ্ঠ রোধ করতে প্রভাবশালীরা নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। সাংবাদিকদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। আবার দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা বিবৃতি দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে। সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে সাধারণ মানুষের অধিকার, দুর্নীতি, অনিয়মের চিত্র তুলে ধরতে কাজ করেন। সেই লেখনি কোনো অপশক্তি বন্ধ করতে পারবে না।
মন্তব্য করুন
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতি দুর্নীতি ডিআরইউ
মন্তব্য করুন
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতি বিএফইউজ ডিইউজ
মন্তব্য করুন
গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ, সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক শিবলী নোমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকি বন্ধ, দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার আপত্তিকর বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।