প্রেস ইনসাইড

ক্লিনফিড বাস্তবায়নে তথ্যমন্ত্রীকে সম্প্রচার সাংবাদিকদের অভিনন্দন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:২৪ পিএম, ০৫ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার বা ক্লিনফিড বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ পদক্ষেপের জন্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানিয়েছে দেশের সম্প্রচার সাংবাদিকদের বৃহত্তম সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি। 

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে মতবিনিময়কালে বিজেসি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন। বিজেসি ট্রাষ্ট্রি বোর্ড চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক ও সদস্যদের মধ্যে সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, রাশেদ আহমেদ, দীপ আজাদ, মানস ঘোষ, হারুন অর রশীদ, সাইফ ইসলাম দিলাল, ফাহিম আহমেদ, নূর সাফা জুলহাস, রাহুল রাহা, মামুনুর রহমান খান প্রমুখ বৈঠকে যোগ দেন। 

তথ্যমন্ত্রী এসময় বিজেসিকে তাদের অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, `আমরা দেশের স্বার্থে আইন কার্যকর করেছি, গণমাধ্যমের স্বার্থে, গণমাধ্যমের সাথে যুক্ত সাংবাদিক, শিল্পী-কলাকুশলী সবার স্বার্থে, এবং এ আইন সমগ্র পৃথিবীতে আছে। প্রতিবেশী সকল দেশে এই আইন অনেক আগেই কার্যকর হয়েছে। আমাদের দেশে একটি মহল নানা অজুহাতে এ আইন কার্যকর করতে দেয়নি। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই এবং আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশির ভাগ মন্তব্যই এই সিদ্ধান্তের পক্ষে দেখি।` 

ড. হাছান বলেন, `সকল সাংবাদিক এই সিদ্ধান্তের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, যারা টেলিভিশনের মালিক তারা দাঁড়িয়েছেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট এর পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। সুতরাং কেউ এটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। শুধুমাত্র একটি পক্ষই বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে তা নয়, সেটিকে পুঁজি করে আরো কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করেছিল। সেগুলো হালে পানি পায়নি।` 

ক্লিনফিড নিয়ে অন্যান্য দেশগুলো কত যত্নবান সেই উদাহরণ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, `ভারত সরকারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী  বাংলাদেশ টেলিভিশন ভারতে এবং দূরদর্শন এদেশে সম্প্রচার হয়। ভুলক্রমে একবার বিটিভি`র ইত্যাদি অনুষ্ঠানের ফিডে একটি বিজ্ঞাপন ছিল, সাথে সাথে তারা সম্প্রচার থামিয়ে আমাদেরকে নোটিশ করেছিল। নেপালে এ আইন কার্যকর করার সময় নানা পক্ষ বিরোধিতা করেছিল, এখন নেপালের মতো দেশেও সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলো ক্লিনফিড পাঠায় আর আমাদের এখানে পাঠাতো না।আমাদের এখানে তাদের পক্ষে ওকালতি করার একটা পক্ষ ছিল। কিন্তু এখন সেটি করতে হবেই।`

আইন কার্যকর করতে সরকার বদ্ধপরিকর এবং এনিয়ে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালে সেটির বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, দেশে অনেক চ্যানেলে ক্লিনফিড আসে, সেগুলো প্রথমে কেউ চালায়নি, এখন অনেকেই চালানো শুরু করেছেন। আমরা আজকেও সময় দিচ্ছি সেগুলো চালানোর জন্য। আগামীকাল থেকে ক্লিনফিড আসা সত্ত্বেও চালানো না হলে, সেটার জন্য মোবাইল কোর্ট চলবে। অন্যান্য ক্যাবল অপারেটিংয়ের শর্তও যদি কেউ না মানে, মোবাইল কোর্টের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।` 

ক্যাবল অপারেটিং লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক হয় এমন কিছু চালানো  যায় না স্মরণ করিয়ে ড. হাছান বলেন, কেউ ক্লিনফিড পাঠালেও এমন কিছু যা সমাজ ও পরিবারে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে বা ছেলেমেয়েদের বিপথে ঠেলে দিতে পারে এই ধরণের কনটেন্ট যাতে না যায় সেবিষয়ে  আলোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করি। 

মন্ত্রী এসময় গণমাধ্যমকর্মী আইন দ্রুত পাশ করা এবং ওটিটি প্লাটফর্ম নীতিমালা ও আইপিটিভি নির্দেশিকা দ্রুত প্রণয়নে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান। 

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ক্লিনফিডের উদ্যোগকে যুগান্তকারী উদ্যোগ বলে বর্ণনা করেন। 

বিজেসি সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা বলেন, গত ১৫ বছর ধরে যে আইন কার্যকর করা যায়নি তা এখন করার মতো দৃঢ় ভূমিকার জন্য আমরা তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অকুন্ঠ অভিনন্দন জানাই।  সরকারের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে আমরা আছি। আমরা সংবাদ, টক শো, ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে আমরা এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনের জন্য। সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা একটা রাউন্ড টেবিলও করছি। 

বিজেসি ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য নূর সাফা জুলহাস বলেন, `আমরা দেখেছি বছরে ক্যাবল অপারেটর, ডিস্ট্রিবিউশন, বিজ্ঞাপন মিলে ৭ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। গত ১৫ বছরে যদি অংকটা করি আমরা ৩ লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে, পুরো সম্প্রচার অর্থনীতি নিয়ে যদি আমরা বলি। দেশের সম্প্রচার অর্থনীতি স্বার্থ রক্ষায় তথ্যমন্ত্রী খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।` 



মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

প্রাণহানি ও ধ্বংসাত্মক কাণ্ডে দায়ীদের শাস্তির দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের

প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশের চলমান সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে হতাহতের ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ ও নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশন নোয়াব শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে। একই সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণহানি ও ধ্বংসাত্মক যেসব ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে এই দুই সংগঠনের যৌথ বিবৃতিতে। 

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের যৌথ সভা শেষে বিবৃতি প্রচার করা হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, সাংর্ঘষিক পরিস্থিতির এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিক। এখনও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 

এতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে।

একই সঙ্গে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য রাষ্ট্রসহ সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা রয়েছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।  
  
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে যৌথসভায় নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ এমপি, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এজ প্রকাশক শহীদুল্লাহ খান, বনিক বার্তা সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, আজকের পত্রিকা সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সমকাল সম্পাদক আলমগীর হোসেন, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সংবাদের প্রকাশক আলতামাস কবির, ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ,  ইনকিলাব সম্পাদক এ এমএম বাহাউদ্দিন, ঢাকা ট্রিব্রিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, দেশ রূপান্তর সম্পাদক মোস্তফা মামুন এবং সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম।

সম্পাদক পরিষদ   নোয়াব   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

কোটা সংস্কার আন্দোলন: রাজধানীতে আহত ২৫ সাংবাদিক

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের খবর সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক মেহেদি হাসান (২৮) মারা গেছেন। এছাড়া দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন সাংবাদিক।

পুলিশ ছাড়াও কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় একজন পরিদর্শকসহ ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিসুর রহমান, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ মিরাজ উদ্দিন, রূপনগর থানার এসআই আল মামুন ও সাইফুল ইসলাম, পিওএম সাউথ ডিভিশনের কনস্টেবল তানভীর, মাহমুদুল ইসলাম, মাহিন ইসলাম নাসিম, পিওএম নর্থ ডিভিশনের কনস্টেবল মুক্তার ও মুরাদ, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল হাসান আলী ও রাশেদ এবং গুলশান ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল আবদুল লতিফ।


কোটা আন্দোলন   সাংবাদিক  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন


Thumbnail

গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ, সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক শিবলী নোমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকি বন্ধ, দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার আপত্তিকর বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

সোমবার (২৪ জুন) সকাল ১০টায় নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সিনিয়র সাংবাদিক আনিসুজ্জামানের  সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার ডলার, শেখ রহমতুল্লাহ, শামীউল আলীম।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী শাহেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম তোতা ও সাধারণ সম্পাদক সামাদ খান, বিএফইউজের সাবেক সদস্য জাবীদ অপু, আরটিজেএ কোষাধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান রুবেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সোহান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টুকু, কোষাধ্যক্ষ সরকার দুলাল মাহবুব, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রভাবশালীদের লুটপাটের চিত্র উন্মোচনে গণমাধ্যমের গুটি কয়েককর্মী কাজ করছেন। তাদের সেই কণ্ঠ রোধ করতে প্রভাবশালীরা নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। সাংবাদিকদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। আবার দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা বিবৃতি দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে। সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে সাধারণ মানুষের অধিকার, দুর্নীতি, অনিয়মের চিত্র তুলে ধরতে কাজ করেন। সেই লেখনি কোনো অপশক্তি বন্ধ করতে পারবে না।


সাংবাদিক   অপপ্রচার   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি ব্যক্তিগত দুর্নীতি উৎসাহিত করবে: ডিআরইউ

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ২৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সাংবাদিকদের নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএসএ) বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। 
রোববার (২৩ জুন) ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ হয়েছে বলে আমরা মনে করি না।

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, যাদের নামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাদের কাজ হচ্ছে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক কিনা তা প্রমাণ করা। কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, এ নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ মাধ্যমকে দোষারোপ করা শোভনীয় নয়। বরং এর মধ্যে দিয়ে ব্যক্তিগত দুর্নীতি উৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা যৌক্তিক নয়। দেশের স্বার্থে সাংবাদিক-পুলিশ দীর্ঘ দিন ধরে দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করে আসছে। আগামী দিনেও একইসঙ্গে কাজ করবে সাংবাদিক ও পুলিশ।

তারা আরও বলেন, সাংবাদিকরা সবসময় দায়িত্বশীল এবং তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ করে থাকেন। সম্প্রতি পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে এ সকল সংবাদ তারই ধারাবাহিকতা। সংবাদ প্রকাশের পর কোনো কোনো মহল এবং সংগঠন যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি। আমরা বলতে চাই, সব তথ্যই গণমাধ্যমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধানী সংবাদ পরিবেশন করা। সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে তথ্য উপাত্ত বের করে থাকেন এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেন। ইতোমধ্যে এ ধরনের কিছু তথ্যভিত্তিক খবর বিভিন্ন পত্রিকা এবং টেলিভিশনে প্রকাশিত হয়েছে।

ডিআরইউ নেতারা বলেন, বাধা বিপত্তির মুখেও সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাবেন। স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন বক্তব্য প্রদান থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় ডিআরইউ। কারণ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার বাংলাদেশের সংবিধানেই স্বীকৃত।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন   বিবৃতি   দুর্নীতি   ডিআরইউ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ২২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

শনিবার (২২ জুন) বিএফইউজে’র থেকে দেয়া বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ ও ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু ক্ষমতাধর বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের বিপুল ও অস্বাভাবিক সম্পদের বিবরণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকরা প্রাপ্ত তথ্য, দলিল যাচাই বাছাই করে, প্রমাণযোগ্য বিষয়গুলোই প্রকাশ করছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু এ সকল সংবাদ প্রকাশের পর কোন কোন নেতা এবং কোন কোন সংগঠন যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি বলে আমরা মনে করি।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকারি বিবৃতি, ভাষ্য, ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তথ্য বা সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়া সব তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য থেকেই সাংবাদিকরা সংবাদ তৈরি করেন। কিন্তু সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে, প্রভাবশালীরা যে তথ্য গোপন রাখতে চান তা অনুসন্ধান করে বের করা এবং পেশাদারিত্বের সাথে জনগণকে বিস্তারিত জানানো। আশার কথা, ইতোমধ্যে প্রভাবশালী মহল সম্পর্কে কিছু তথ্যভিত্তিক খবর প্রকাশিত হয়েছে।

যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা এতে কারো উত্তেজিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। এ ক্ষেত্রে যারা এসব খবর প্রকাশ করেছেন তাদের দায়িত্ব এ সকল বিষয় প্রমাণ করা এবং যাঁদের নামে প্রকাশিত হয়েছে তাদের কাজ হচ্ছে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক নয় তা প্রমাণ করা। এ ক্ষেত্রে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের দায়িত্ব প্রকাশিত তথ্য নিয়ে তদন্ত করা এবং দোষীদের শান্তি নিশ্চিত করা। এসকল বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা কোন শোভন কাজ নয়। তারপরও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারেন। কোন কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, কোনো বাহিনীর বিষয় নয়।

বিবৃতিতে নেতারা উল্লেখ করেন, বিএফইউজে ও ডিইউজে স্পষ্টভাবে জানাতে চায়, শত হুমকি ও ধমকের মুখেও প্রামাণিক তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন। সংশিষ্ট সব মহল স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকবেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার সংবিধানেই স্বীকৃত।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন   বিবৃতি   বিএফইউজ   ডিইউজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন