নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ০৯ নভেম্বর, ২০২১
বেসরকারি টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হলে বর্তমানের চেয়ে শতকরা ৩০ ভাগ দর বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-অ্যাটকো। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের এ সংগঠনটি বলেছে, বহুজাতিক কোম্পানিসহ অন্য বিজ্ঞাপনদাতারা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের দর কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেক চ্যানেলকে বিজ্ঞাপনদাতারা জানিয়ে দিয়েছেন, ২০ থেকে ৩০ ভাগ বিজ্ঞাপন দর কমিয়ে দেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে এসএফবিএল টাওয়ারে নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন অ্যাটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী।
এ সময় বক্তব্য দেন সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. রুবানা হক। উপস্থিত ছিলেন অ্যাটকো নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মাহফুজুর রহমান, টিপু আলম, আহমেদ জুবায়ের প্রমুখ।
অ্যাটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বিজ্ঞাপনের দর নিয়ে মালিকদের আশঙ্কার কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা শুনেছি বিজ্ঞাপনদাতারা ২০-৩০ ভাগ দর কমাবেন। এ ধরনের আঘাত এলে চ্যানেল টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এটা হবে আমাদের জন্য একটি খারাপ সংবাদ। করোনার কারণে গত দেড় বছর দুরবস্থার মধ্যে কাটিয়েছে টেলিভিশন শিল্প। এ সংকট এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি আমরা। এরপর যখন সংবাদ আসে বিজ্ঞাপনের দর কমিয়ে দেওয়া হবে, সেটা এ শিল্পের জন্য অশনিসংকেত। এটা কোনোভাবেই আমরা মেনে নেব না। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আজকের সভা থেকে বিদ্যমান বিজ্ঞাপন দর থেকে ৩০ ভাগ বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন। আমরা আশা করছি বিজ্ঞাপনদাতারা ৩০ ভাগ দর বৃদ্ধির বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনায় নেবেন।
অ্যাটকো সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, দেশের অর্থনীতি যখন সচল হচ্ছে, তখন বিজ্ঞাপনের হার কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত টেলিভিশন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা তাদের কাছে অনুরোধ করব অন্তত ৩০ শতাংশ বিজ্ঞাপনের দর বাড়াবেন বিজ্ঞাপনদাতারা। করোনাকালে আমরা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তা যেন কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারি। সংকট সৃষ্টি না করে নতুন করে একে-অন্যের সহযোগী হিসেবে অবদান রাখতে পারি।
অ্যাটকো নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. রুবানা হক বলেন, করোনাকালের বিগত দুই বছর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। এখন সবার বাঁচা-মরার প্রশ্ন। আমাদের বিপদে ফেলে কারও লাভ হবে না। সবাইকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ৩০ ভাগ হারে দর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ, সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক শিবলী নোমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকি বন্ধ, দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার আপত্তিকর বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
সোমবার (২৪ জুন) সকাল ১০টায় নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সিনিয়র সাংবাদিক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার ডলার, শেখ রহমতুল্লাহ, শামীউল আলীম।
রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী শাহেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম তোতা ও সাধারণ সম্পাদক সামাদ খান, বিএফইউজের সাবেক সদস্য জাবীদ অপু, আরটিজেএ কোষাধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান রুবেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সোহান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টুকু, কোষাধ্যক্ষ সরকার দুলাল মাহবুব, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রভাবশালীদের লুটপাটের চিত্র উন্মোচনে গণমাধ্যমের গুটি কয়েককর্মী কাজ করছেন। তাদের সেই কণ্ঠ রোধ করতে প্রভাবশালীরা নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। সাংবাদিকদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। আবার দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা বিবৃতি দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে। সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে সাধারণ মানুষের অধিকার, দুর্নীতি, অনিয়মের চিত্র তুলে ধরতে কাজ করেন। সেই লেখনি কোনো অপশক্তি বন্ধ করতে পারবে না।
মন্তব্য করুন
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতি দুর্নীতি ডিআরইউ
মন্তব্য করুন
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতি বিএফইউজ ডিইউজ
মন্তব্য করুন
গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ, সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক শিবলী নোমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকি বন্ধ, দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার আপত্তিকর বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।