প্রেস ইনসাইড

ট্রাব অ্যাওয়ার্ড ২০২১: আজীবন সম্মাননা পেলেন নঈম নিজাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail

টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) অ্যাওয়ার্ড ২০২১-এ সাংবাদিকতায় আজীবন সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে এই সম্মাননা প্রদান করে ট্রাব।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে নঈম নিজামের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া চ্যানেল আইয়ের পরিচালক মুকিত মজুমদার, নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদ (মরণোত্তর) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. হামিদা খানমকেও আজীবন সম্মাননা ​প্রদান করা হয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ যারা এই পুরস্কার পেয়েছেন তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অঙ্গনে সুপরিচিত ও যোগ্য। পুরস্কারপ্রাপ্ত সকলকে অভিনন্দন।

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন জনের সমালোচনার প্রসঙ্গ টেনে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যারা সমালোচনা করে তাদেরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ তাদের সমালোচনার মাধ্যমেই যে কোন কাজ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয়। সমালোচকদের উদ্দেশ্যে বলবো সঠিক ও গঠনমূলক সমালোচনাই করুন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, সংগীত, মঞ্চনাটকসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যমের গুণীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। মনোজ্ঞ এই আয়োজনে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীরা।



মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত পরিবর্তন নেই: সম্পাদক পরিষদ

প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এ কোনো গুণগত পরিবর্তন নেই বলে জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩) স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতি করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাতটি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি, বরং তা আগের মতোই রয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ও ২৮ ধারা দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে ধারা দুটি বাতিলের আহ্বান করা হয়েছিল। শাস্তি কমিয়ে এই দুটি বিধান রেখে দেওয়ায় এর অপপ্রয়োগ ও খেয়ালখুশিমতো ব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আইনটি কার্যকর হলে আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী বিনা পরোয়ানায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভারসহ সবকিছু জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে পুলিশ। এর মাধ্যমে পুলিশকে কার্যত এক ধরনের ‘বিচারিক ক্ষমতা’ দেওয়া হয়েছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।

আইনের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে। সাইবার-সংক্রান্ত মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের জেল ও কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সম্পাদক পরিষদ চায়, ডিজিটাল বা সাইবার মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের শাস্তি হোক। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশিরভাগ ধারা সন্নিবেশিত থাকায় এই আইন কার্যকর হলে পূর্বের ন্যায় তা আবারও সাংবাদিক নির্যাতন এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ার হিসেবে পরিণত হবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নিবর্তনমূলক আইন বলা ছাড়া নতুন কিছু হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।

সাইবার নিরাপত্তা আইন   সম্পাদক পরিষদ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

১৪ টিভি উপস্থাপককে কেন বয়কট করল ইন্ডিয়া জোট?

প্রকাশ: ১১:৫৯ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail ১৪ টিভি উপস্থাপককে কেন বয়কট করল ইন্ডিয়া জোট?

ভারতে ১৪ টিভি উপস্থাপককে বয়কট করল দেশটির বিরোধী দলগুলোর নতুন জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডিভালাপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালাইয়েন্স বা ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে ওই ১৪ টিভি উপস্থাপকের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

দেশটির বিরোধী দলগুলো বিশেষত কংগ্রেস বরাবরই অভিযোগ করে আসছে, গণমাধ্যমের একটি অংশ তাদের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো কর্মসূচিতেও মিডিয়া কাভারেজ নিয়ে এমন অভিযোগ ছিল কংগ্রেসের।

এ নিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা বলেছেন, অত্যন্ত বিষন্ন মন নিয়ে এটা করতে হচ্ছে। ইন্ডিয়া জোটের মিডিয়া কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছি। আমরা এসব উপস্থাপকদের বিরোধিতা করছি না। আমরা তাদের কাউকেই ঘৃণা করি না। কিন্তু আমরা আমাদের দেশকে বেশি ভালোবাসি। আমরা আমাদের ভারতকে ভালোবাসি।’

বুধবারই জোটের অন্যতম নেতা শারদ পাওয়ারের বাড়িতে ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে এ নিয়ে আলোচনা হয়। ইন্ডিয়া জোটের মিডিয়া কমিটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শরিক দলগুলো এই অ্যাংকরদের অনুষ্ঠানে তাদের কোনো প্রতিনিধি পাঠাবে না। কারণ তাদের দাবি- এসব টিভি অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। 

এক্স (টুইটার) প্লাটফর্মে পবন খেরা একটা অডিও ক্লিপ পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, অত্যন্ত বিষন্ন মন নিয়ে আমরা একটা তালিকা তৈরি করেছি। আমরা নিশ্চিত যে, পরিস্থিতি ঠিকঠাক হবে। আশা করছি আগামী দিনে পরিস্থিতি ভালো হবে। যখন নতুন প্রজন্ম প্রশ্ন করবেন তখন অ্যাংকররা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন। তখন তারা কী উত্তর দেবেন? 

তিনি আরও জানিয়েছেন, উপস্থাপকদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু প্রতিদিন সন্ধ্যায় খবরের নাম করে যেভাবে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে তা নিয়েই আমাদের আপত্তি। প্রতি সন্ধ্যা থেকে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে গত ৯ বছর ধরে এটা চলছে। সে কারণেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া জোট কয়েকজন উপস্থাপককে চিহ্নিত করেছে। সেই অনুষ্ঠানে আমাদের কোনো প্রতিনিধি যাবেন না। 

তিনি বলেন, ওই ১৪ টিভি উপস্থাপক আমাদের বক্তব্যকে বিকৃত করেন। ভুয়া খবর ছড়ান। আমরা এটা সহ্য করতে পারতাম। কিন্তু এতে দেশে সহিংসতার মোড় নিতে পারে। 

যাদের বয়কটের সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা হলেন- রিপাবলিক টিভির অর্ণব গোস্বামী, টাইমস নাও নবভারতের নাভিকা কুমার, সুশান্ত সিনহা, আজ তকের সুধীর চৌধুরী ও চিত্রা ত্রিপাঠি, নিউজ ১৮ নেটওয়ার্কের আমন চোপড়া, আমিশ দেবগান, আনন্দ নরসিং, ভারত ২৪ এর রুবিকা লিয়াকত, ইন্ডিয়া টুডের গৌরব সাওয়ান্ত ও শিব আরুর, ইন্ডিয়া টিভির প্রাচি পরাশর, ভারত এক্সপ্রেসের অদিতি ত্যাগী ও ডিডি নিউজের অশোক শ্রীবাস্তব। 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু


টিভি উপস্থাপক   বয়কট   ইন্ডিয়া জোট  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

ইরানে ২ নারী সাংবাদিকের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail ইরানে ২ নারী সাংবাদিকের কারাদণ্ড।

ইরানের দুই নারী সাংবাদিককে ষড়যন্ত্র এবং দ্বন্দ্বের অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলে তা কমিয়ে এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়া রোববার এ তথ্য জানায়। খবর আল অ্যারাবিয়া।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই নারী সাংবাদিক হলেন নেগিন বাঘেরি এবং এলনাজ মোহাম্মদী। 

তাদের আইনজীবী আমির রাইসিয়ান জানিয়েছেন— আদেশ অনুযায়ী তাদের মোট সাজার চল্লিশ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ এক মাসেরও কম সময় জেলে থাকতে হবে। 

আইনজীবী আরও জানান, তাদের সাজা পাঁচ বছরের জন্য স্থাগিত করা হয়েছে, এ সময়ে তারা তাদের পেশা সম্পর্কে নৈতিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন এবং দেশত্যাগ করতে পারবেন না। 

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে কিনা সে বিষয়ে রাইসিয়ান বিস্তারিত বলেননি এবং রিপোর্টে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণও দেওয়া হয়নি।

মোহাম্মদীর বোন এলাহেও সাংবাদিকতা করতেন। পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া মাহসা আমিনীকে নিয়ে প্রতিবেদনের কারণে তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। 

২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পোশাক বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর আমিনির মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় ইরানে।


ইরান   নারী   সাংবাদিক   কারাদণ্ড  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

প্রবেশ করা যাচ্ছে না বিডিনিউজে

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর থেকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় (সোয়া ৫টা) পর্যন্ত ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করা যায়নি। সাইটটি ব্রাউজ করতে গেলে সেখানে কোনো কনটেন্ট দেখা যাচ্ছে না, পুরোটা ফাঁকা দেখাচ্ছে। নিচে শুধু ‘প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক: তৌফিক ইমরোজ খালিদী’ লেখাটি আসে।

এ ব্যাপারে বিডিনিউজের একাধিক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা নিজেরাও দুপুরের পর থেকে সাইটে ঢুকতে পারছেন না। কি হয়েছে তাও তারা বুঝতে পারছেন না।

বিডিনিউজের এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে আমিও সাইটে প্রবেশ পারছি না। সাইবার অ্যাটাক কিনা আমরা এখনই তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে আমাদের টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে।’

এদিকে, দুপুরের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক সাংবাদিককে বিডিনিউজে প্রবেশ না পারার বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে। অনেকে সাইটটি দেখতে না পাওয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করেন। কোনো কোনো সাংবাদিক সাইবার আক্রমণের শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন।

বিডিনিউজ   সাইবার আক্রমণ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

আধুনিক সাংবাদিকতার বাতিঘর কাজী শাহেদ আহমেদ আর নেই

প্রকাশ: ১০:৫৩ পিএম, ২৮ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

জেমকন গ্রুপের চেয়ার‌ম্যান, নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের আধুনিক সাংবাদিকতার পথপ্রদর্শক দৈনিক আজকের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক কাজী শাহেদ আহমেদ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

সোমবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বিশিষ্ট এই ক্রীড়া সংগঠক।

তার বড় সন্তান কাজী নাবিল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তিন ছেলে,স্ত্রী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, আজ সন্ধ্যায় বাবাকে হারিয়েছি। সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন। এখনো জানাজার সময় ঠিক করা হয়নি।

বিগত কয়েক বছর ধরে কাজী শাহেদ নানা রোগে ভুগছিলেন। দেশে ও দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ পৃথিবী ত্যাগ করলেন এই কৃতি সংগঠক।

বাংলাদেশে প্রকাশিত খবরের কাগজে আজকে যে আধুনিকতার উপস্থিতি, তার শুরুই হয়েছিল কাজী শাহেদ আহমেদের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘আজকের কাগজ’ পত্রিকার হাত ধরে; যা তৎকালীন মুক্তমত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

কাজী শাহেদ আহমেদ ১৯৪০ সালের ৭ নভেম্বর যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর তিনি ১৪ বছর সেনাবাহিনীতে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাকালীন প্লাটুন কমান্ডারদের একজন তিনি।

১৯৭৯ সালে ‘জেমকন গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তার ব্যবসায়ী জীবন শুরু। তিনি ছিলেন ‘খবরের কাগজ’ ও ‘আজকের কাগজ’-এর প্রকাশক ও সম্পাদক। বাংলাদেশে প্রথম অর্গানিক চা বাগানের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। এছাড়াও তার রয়েছে অসামান্য কিছু অলাভজনক উদ্যোগ। এর মধ্যে আছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) ও কাজী শাহেদ ফাউন্ডেশন।

সাহিত্য পরিমণ্ডলেও কাজী শাহেদ আহমেদ সুপরিচিত। তার প্রথম গ্রন্থ ‘আমার লেখা’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। সে বছরই ‘ঘরে আগুন লেগেছে’ নামে তার দ্বিতীয় বই প্রকাশিত হয়। ২০১৩ সালে ৭৩ বছর বয়সে তিনি রচনা করেন তার প্রথম উপন্যাস ‘ভৈরব’। আত্মজীবনী ‘জীবনের শিলালিপি’ প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। একই বছর প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘পাশা’। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘দাঁতে কাটা পেনসিল’। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘অপেক্ষা’। ইতোমধ্যে ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে ‘ভৈরব’।

 



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন