নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫০ পিএম, ১৪ মার্চ, ২০১৮
বিশ্বকাপের অফিসিয়াল মাসকট থাকে, থাকে অফিসিয়াল থিম সং’ও। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন বিশ্বকাপের অফিসিয়াল জ্যোতিষির কথা! না শুনে থাকলে এবার ঠিকই শুনবেন। সেন্ট পিটার্সবার্গে শীত প্রাসাদের হেরমিতেজ জাদুঘরের বিড়াল ‘একিলিস’ এর কাঁধে এবার রাশিয়া বিশ্বকাপের অফিসিয়াল জ্যোতিষীর ভার। যদিও একিলিস জন্মগতভাবেই বধির। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে আগেই ম্যাচের সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করে সাড়া ফেলেছিল অক্টোপাস ‘পল’।
Эрмитажный кот-оракул Ахилл предскажет результаты матчей ЧМ-2018
— Санкт-Петербург.ру (@spbnews_ru) ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
Его карьера пошла вверх после Кубка конфедераций-2017. Букмекеры в панике! https://t.co/KZMOfdixwS pic.twitter.com/LhdUVadkEt
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ জাদুঘরের বেজমেন্টে বংশপরম্পরাতেই বিড়ালদের বসবাস। শীত প্রাসাদে ইঁদুরের উৎপাত বন্ধে তাদের শরণাপন্ন হয়েছিলেন রাশিয়ার জার শাসকেরা। ‘একিলিস’-এর জন্ম শীত প্রাসাদেরই হেরমিতেজ জাদুঘরে। তবে একিলিকসকে দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে কারণও আছে। গত বছর রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফিফা কোনফেডারেশনস কাপে একিলিসের পারফরম্যান্স ছিল অবিশ্বাস্য। চার ম্যাচের তিনটিতেই আগেভাগে ঠিক ঠিক ফল বলে দিয়েছিল এই বিড়াল। আর এ কারণেই আয়োজকরা একিলিকসের ওপরই আস্থা রাখছেন।
হেরমিতেজ জাদুঘরের প্রেস সচিব মারিয়া হালতুনেন জানিয়েছেন, ‘পছন্দ এবং বিশ্লেষণের ক্ষমতার কারণেই একিলিসকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে এবং কাগজপত্রও সই করা শেষ।’
বিশ্বকাপের অফিশিয়াল জ্যোতিষী হিসেবে পরিচয় করাতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেন আয়োজকেরা। সেই অনুষ্ঠানে একিলিসের গলায় পরিয়ে দেওয়া হবে ফ্যান আইডি। এই পরিচয়পত্র নিয়ে সে আর দশজনের মতোই স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবে।
কিভাবে গননা করবে একিলিকস?
এদিকে আয়োজকেরা জানিয়েছেন, একিলিস বধির হওয়ায় একদিক থেকে সুবিধাই হবে। মাঠের বাদ্যি-বাজনায় তার মনঃসংযোগে কোনো অসুবিধা হবে না। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী করার পদ্ধতি কিন্তু বেশ সাদামাটা। যে দুই দলের ম্যাচ, তাদের জাতীয় পতাকাসংবলিত দুটি পাত্রে খাবার দেওয়া হবে। এর মধ্যে একিলিস যে পাত্রটি বেছে নেবে, সেই দলই ম্যাচে জয়ী।
তথ্যসূত্র: স্পুটিনিকনিউজ.কম
বাংলা ইনসাইডার/ডিআর
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।
বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।
সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।
সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'
জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।
তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি
মন্তব্য করুন
শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।
ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।
রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’
২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’
রিকি পন্টিং অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। যেখানে প্রতিনিয়ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে প্রতিনিয়ত। তবে এবার ডিপিএলে সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক বিতর্ক। আর সেটি হচ্ছে মুশফিকুর রহিমের আউট নিয়ে।
গতকাল হাইভোল্টেজ ম্যাচে মোহামেডানের মুখোমুখি হয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। ম্যাচটিতে ছক্কা মেরেও বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন মুশফিকুর রহিম। এ নিয়ে ম্যাচটি বেশকিছু সময় বন্ধ ছিল। এমনকি ম্যাচ শেষেও হাত মেলাননি দুদলের খেলোয়াড়। এবার সেই বিতর্কে ঘি ঢাললেন মুশফিক নিজেই।
শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট করেছেন মুশফিক। বাউন্ডারি লাইনে আবু হায়দার রনির সেই ক্যাচের একটি ছবি পোস্ট করে মুশি লিখেছেন, ‘মাশাল্লাহ’। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তিনটি ইমোজি। মুশফিক আজ পোস্ট করার পর দ্রুতই তা অনেকের নজরে এসেছে। পোস্টের প্রথম ৩৭ মিনিটেই মন্তব্য ৩ হাজারের বেশি। প্রতিক্রিয়া এসেছে ৩৬ হাজার। শেয়ার হয়েছে ৫৭২ বার।
মুশফিকের সতীর্থ রুবেল হোসেন মন্তব্য করেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক ভাই’। রুবেল এরপর দুঃখের ইমোজি দিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৩১৮ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান। লক্ষ্য তাড়ায় খেলতে নামা আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় মুশফিককে।
প্রাইম ব্যাংক ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ১০ রানে নাঈম হাসানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন প্রাইম ব্যাংকের মুশফিক। তবে ব্যাটে-বলে সংযোগ ঠিক মতো হয়নি।
এ সময় বাউন্ডারি লাইনে থাকা ফিল্ডার আবু হায়দার রনি দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল তালুবন্দি করেন। কিন্তু ডাইভ দিয়ে উঠতে গিয়ে রনির পা স্পর্শ করে বাউন্ডারি রশিতে। তবুও মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার!
মুশফিকের ক্যাচ নিয়েই ভোঁ দৌড় দেন রনি। উল্লাসে মেতে ওঠেন সতীর্থদের সঙ্গে। ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা ধরেন মুশফিক। যেতে গিয়েও গেলেন না মুশি। প্রাইম ব্যাংক এটি ছয়ের আবেদন জানায়। প্রায় মিনিট পনেরোর মতো সময় বন্ধ থাকে খেলা।
রিপ্লে’তে দেখা যায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নেয়ার পর রনি ভারসাম্য হারিয়ে মাঠে গড়ান দেন। বল হাত থেকে না ফসকালেও ওঠার সময় বাঁধে বিপত্তি। পা লেগে যায় বাউন্ডারি লাইনে। আম্পায়াররা শেষ পর্যন্ত এটিকে আউট ঘোষণা করেন।
অবশ্য একটা পর্যায়ে আম্পায়ার সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেন মোহামেডানের উপর। তারা যদি নট আউট মেনে নেয় তাহলে মুশফিক মাঠে থাকতে পারবেন। তবে মোহামেডানের অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের নারাজিতে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে।
মুশফিকুর রহিম ডিপিএল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
মন্তব্য করুন
লা লিগা থেকে শুরু করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের গোলবার সামলানোর দায়িত্বে একবারও দেখা যায়নি থিবো কোর্তোয়াকে। কারণ মৌসুম শুরুর পূর্বেই চোটে পড়েছিলেন তিনি। তবে লম্বা সময় পর আবারও মাঠে ফিরবেন বেলজিয়ান এই তারকা, এমনটাই জানিয়েছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
গত বছরের আগস্টে অনুশীলনের সময় ইনজুরিতে পড়েন কোর্তোয়া। পরবর্তীতে টেস্ট করানোর পর জানা যায় বাঁ হাঁটুর এন্টিরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্টে (এসিএল) চিড় ধরা পড়ে। দীর্ঘ পুনর্বাসনের পর ওই চোট কাটিয়ে গত মাসে অনুশীলনে ফিরেছিলেন তিনি। তবে মাঠে ফেরার আগেই অনুশীলনে আবারও চোট পান। এমআরআই স্ক্যানে তার হাঁটুর মেনিসকাসে চিড় ধরা পড়লে আবারও ছিটকে যান।
ফের চোট কাটিয়ে এবার মাঠে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে কোর্তোয়ার। এই ব্যাপারে রিয়াল কোচ আনচেলত্তি বলেন, ‘সামনে আমাকে দল সাজানো নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হবে। দলে অনেক চোট সমস্যা আঘাত হেনেছে। কোর্তোয়া ভালো আছে। আগামী সপ্তাহে সে প্রস্তুত হয়ে উঠবে এবং কাদিসের (আগামী ৪ মে) বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারে। ’
বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের পাশাপাশি কোর্তোয়ার চোটে বড় ধাক্কা খায় রিয়াল। তবে আন্দ্রে লুনিন তার অনুপুস্থিতি একদমই বুঝতে দেননি। তার নৈপুণ্যে লিগের শীর্ষস্থানের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
বেলজিয়াম কোর্তোয়া রিয়াল মাদ্রিদ কার্লো আনচেলত্তি
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুলাইয়ে মাঠে গড়াবে এবারের কোপা আমেরিকার আসর। বাকি নেই দুই মাসও। তবে এমন সময়ে বড় ধরনের ধাক্কা খেলো গতবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতার আগে ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হয়েছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজকে। তবে এখন প্রশ্ন তিনি কোপার আগেই সেরে উঠতে পারবেন কি না! আর তাতেই কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আলবিসেলেস্তেদের।
অনেকদিন ধরেই এনজো কুঁচকির নিচের অংশে ব্যথা অনুভব করছিলেন, যাকে স্পোর্টস হার্নিয়া বলে। কোপা আমেরিকার আগে সেই সমস্যা সারিয়ে তুলতে ইংলিশ ক্লাব চেলসি এবং আর্জেন্টিনা টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে সার্জারি করতে পাঠায়। যাতে করে কোপা আমেরিকার আগে পূর্ণ ফিটনেসে ফিরতে তিনি পর্যাপ্ত সময় পান। অবশেষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) তার হার্নিয়া সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে।
যদিও চেলসির চাওয়া ছিল চলতি মৌসুম শেষেই এনজো ফার্নান্দেজ যেন চিকিৎসকের ছুরির নিচে যান। কিন্তু ঐ সময় সার্জারি করালে বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডারকে ছাড়াই কোপা আমেরিকায় খেলতে হতো আলবিসেলেস্তেদের। যে কারণে চেলসির ম্যাচ উপেক্ষা করেই সার্জারি করাতে চান এনজো। শেষ পর্যন্ত তিনি সফলও হয়েছেন।
এদিকে এনজোর সফল সার্জারি শেষে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি দিয়েছেন জীবনসঙ্গীনি ভ্যালেন্টিনা কার্ভান্তেস। যার ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সুস্থ হয়ে ওঠো, ভালোবাসা।’
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস বলছে, হার্নিয়ার সমস্যা কাটিয়ে উঠে বিশ্বজয়ী এই আর্জেন্টাইনের শারিরীক ফিটনেস ঠিক হতে মাসখানেক সময় লাগবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকার আসর শুরু হবে। যেখানে আলবিসেলেস্তেরা উদ্বোধনী ম্যাচেই খেলবে কানাডার বিপক্ষে।
এঞ্জো ফার্নান্দেজ আর্জেন্টিনা খেলাধুলা ফুটবল
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।
চলতি বছরের জুলাইয়ে মাঠে গড়াবে এবারের কোপা আমেরিকার আসর। বাকি নেই দুই মাসও। তবে এমন সময়ে বড় ধরনের ধাক্কা খেলো গতবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতার আগে ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হয়েছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজকে। তবে এখন প্রশ্ন তিনি কোপার আগেই সেরে উঠতে পারবেন কি না! আর তাতেই কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আলবিসেলেস্তেদের।