নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ১৫ মার্চ, ২০১৯
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে যে নারকীয় তান্ডব এবং হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাতে পুরো বিশ্ব হতবাক! শুধু নিউজিল্যান্ড পুলিশ নয়, সারা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থা এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এই ঘটনার আদ্যোপান্ত খতিয়ে দেখছে এবং এর কারণ অনুসন্ধ্যানে চেষ্টা করছে। যদিও প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে এর কারণ হচ্ছে মুসলিম বিদ্বেষ। মুসলমানদের উপর বিদ্বেষের কারণেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অন্যান্য কার্যকারণ এবং সম্ভাবনাকেও নিউজিল্যান্ড পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না।
যে দুটি মসজিদে হামলা করা হয়েছিল, তার একটিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জুম্মার নামাজ আদায় করার কথা ছিল। দুদিন আগে থেকেই তারা যে এখানে জুম্মার নামায আদায় করবেন তা প্রচার করা হয়েছিল। ওইদিন সকালে টিম মিটিং এবং মাহামুদুল্লাহ রিয়াদের সংবাদ সম্মেলনের কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে যারা নামাজ পড়তে যাবেন তাদের মিনিট পাঁচ বিলম্ব হয়। এই সময়টা বিলম্ব না হলে এই ক্রিকেটাররা যে ঐ ঘটনার শিকার হতেন তা নি:সন্দেহে বলা যায়। তাই নিউজিল্যান্ড পুলিশ বাংলাদেশ দলকে টার্গেট করে হামলা হয়েছিল কিনা সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে এখন পর্যন্ত যে তথ্য প্রমান পাওয়া গেছে, তাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে টার্গেট করে এই ঘটনা ঘটানোর তেমন কোন যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের সেখানে যাওয়ার বিষয়টি ছিল নিশ্চিত এবং নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় এতগুলো মসজিদ থাকার পরও হঠাৎ করে এই দুটি মসজিদকে টার্গেট করে কেন হামলা হলো সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুটির মধ্যে কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে হামলার ঘটনার পরে যখন বাংলাদেশি খেলোয়াররা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে এসে তাদের টিম বসে অবস্থান নেন। তখন কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থাই তাদের ছিল না। নিউজিল্যান্ড পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে এটাও বলেছেন, ঘটানাস্থলে যদি বাংলাদেশের খেলেয়াররা আর পাঁচ থেকে সাত মিনিট আগে যেত তাহলে তারাই হয়তো হতো সবচেয়ে বড় ভিক্টিম। কাজেই এখানে সাদামাটাভাবে মুসলিম বিদ্বেষ বা মুসলমানদের উপর ক্ষোভ থেকে করা হয়েছে হয়েছে বলে সমীকরণ থাকলেও কয়েকটি প্রশ্ন এরিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। যেমন:
১.নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চেই কেন ঘটনা ঘটলো? নিউজিল্যান্ডের অন্য এলাকায় কেন এই ঘটনাটা ঘটলো না?
২. যে মসজিদে বাংলাদেশ টিমের যাওয়ার কথা ছিল, সেখানেই কেন আক্রমনটা করা হলো সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
৩. বাংলাদেশ টিমের কোন নিরাপত্তা ছিল না কেন? কারণ আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী যে দল সেখানে যাবে সেখানে খেলোয়ারদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি আইসিসির কোড অব কন্ট্রাক্টে উল্লেখ আছে।
৪. বাংলাদেশ ক্রিকট দল যে হোটেলে থাকে। সেই হোটেলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই কেন?
যদিও আপাতভাবে মনে করা হচ্ছে এই ঘটনাটি একটি বিচ্ছিন্ন উগ্রবাদী হামলা। কিন্তু এই ঘটনার পেছনে অন্যকোন উদ্দেশ্য আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এবং তারপরই এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উম্মোচিত হবে বলে নিউজিল্যান্ড পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দারা মনে করছেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আইপিএল কলকাতা নাইট রাইডার্স পাঞ্জাব
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।
দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।
নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’
স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’
গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।
আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
মন্তব্য করুন
এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।
এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’
জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।
চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।
বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।
তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’
নারী ক্রিকেট এশিয়া কাপ বাংলাদেশ আম্পায়ারিং সাথিরা জাকির জেসি
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।
বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।
সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।
সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'
জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।
তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি
মন্তব্য করুন
শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।
ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।
রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’
২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’
রিকি পন্টিং অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।