ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোহলিদের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন নিজ দেশের সাংবাদিকরাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:১১ পিএম, ০৪ জুন, ২০১৯


Thumbnail

দ্বাদশ বিশ্বকাপ শুরুর ৬ দিন পর প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে ভারত। আগামীকাল বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে কোহলিরা। এর আগে কোহলিদের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন নিজ দেশের সাংবাদিকরাই। 

স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের আশা থাকে দলের অধিনায়ক, কোচ অথবা সিনিয়র কোনো ক্রিকেটারকে। এক্ষেত্রে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের উল্টো কান্ড।

টিম ম্যানেজম্যান্ট সংবাদ সম্মেলনে পাঠায় দলের কনিষ্ঠ খেলোয়াড় দীপক চাহর, আভেশ খান এবং খলিল আহমেদকে। এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান ভারতের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা। যার পরিপেক্ষিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনই বয়কট করেছেন ভারতীয় সাংবাদিকরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য মতে জানা যায়, সংবাদ সম্মেলন কক্ষে অপেক্ষা করছিলেন সাংবাদিকরা। সংবাদ সম্মেলন করার জন্য পাঠানো হয় দীপক চাহর, আভেশ খান ও খলিল আহমেদকে।

এর কারণ হিসেবে ভারত দলের মিডিয়া ম্যানেজার জানান, খলিল দলের সঙ্গে লন্ডন থেকে গেলেও চাহার এবং আভেশ দেশে ফিরে যাবে। তাই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাদের কথা বলার প্রয়োজন আছে। তাই তাদেরকে পাঠানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে!

এমন পরিস্থিতিতে ক্ষেপে যান ভারতীয় সাংবাদিকরা। ভারতীয় সাংবাদিকদের একাংশের দাবি, ভারতীয় দল চাইলেই প্রেস কনফারেন্স বাতিল করতে পারে। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দীপক চাহার আর আভেশ খানের মতো জুনিয়রদের পাঠিয়ে কী প্রমাণ করতে চাইছে ভারতীয় দল?

সাধারণত ম্যাচের আগে দল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো পরিপূর্ণ জ্ঞান এই খেলোয়াড়দের আছে কি না- তাও জানতে চেয়েছেন ভারতীয় সাংবাদিকরা। তারা জানান, একদিন পরই ম্যাচ, ম্যাচের বিষয়ে কোচ, অধিনায়ক কিংবা কোনো জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়ের আলোচনা করা প্রয়োজন রয়েছেন। তা না করে ম্যানেজমেন্ট পাঠিয়েছেন কিছু কনিষ্ঠ খেলোয়াড়দের।  

এমন অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সংবাদ সম্মেলনই বয়কট করলেন নিজ দেশের সাংবাদিকরা।

বাংলা ইনসাইডার/ এসআরএস

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত টিম টাইগার্স?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে অন্যরকম আবহ। চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে খেলা। বাকি নেই এক মাসও। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।

আসন্ন এই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতিস্বরূপ একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডসহ বিভিন্ন অংশগ্রহণকারী দলগুলো। তবে এদিক থেকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটটা একটু ভিন্ন। কারণ বাংলাদেশ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ তো খেলছে ঠিকই, তবে যাদের সাথে খেলছে তারা এবার বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪টি ম্যাচ ইতোমধ্যেই মাঠে গড়িয়েছে। আর সবগুলোতেই জিতেছে বাংলাদেশ। তবে তারপরেও যেন স্বস্তি নেই টাইগার শিবিরে।

কারণ এই সিরিজের ম্যাচগুলোতে টাইগার ব্যাটারদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছে এটি বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নয়, বরং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতাটাই মূল লক্ষ্য। ফলে যে দলটা উগান্ডার কাছে  হেরে এসেছে সেই জিম্বাবুয়েও যেন শান্ত-লিটন-হৃদয়দের কাছে শক্তিশালী মাইটি অস্ট্রেলিয়া।

চলতি বছরে লংকানদের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। যেখানে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ঘরের মাঠে সিরিজ খুইয়েছিল তারা। তাই বিশ্বকাপের আগে দলের মূল ব্যাটারদের ফর্মে ফেরানো জরুরী মনে করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজে সে কথা ভুলে গেছেন কোচ এবং অধিনায়ক।

সাধারণত দেশের মধ্যে খেলা হলে চট্টগ্রামের উইকেটে রানখরা থাকে না। যার ফলে চার-ছক্কার বিশ্বকাপের জন্য ব্যাটিং প্রস্তুতিটা সেখানে ভালোভাবেই সেরে নিতো পারতো টাইগাররা। কিন্তু সেখানে টানা দুই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট কারার সুযোগ পেয়েও ফিল্ডিং নিয়েছিলেন শান্ত।

আগে ব্যাট করে যেখানে বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তোলার অভ্যাস গড়ে নিতেই পারতো বাংলাদেশ। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। প্রথম ম্যাচে ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়া প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৫ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ম্যাচে শুধু তাওহীদ হৃদয় (১৪৮.০০) এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১৬২.৫০) টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করেছেন। অন্যদিকে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করলেও ৯২ স্ট্রাইক রেটে ২৫ বলে ২৩ রান করে আউট হন লিটন। ৯৪ দশমিক ৭৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে ১৯ বলে ১৮ রান করেন তামিম। ১৫ বলে ১৬ করেন শান্ত।

তবে চতুর্থ ম্যাচে তামিমের ব্যাট হেসেছে ভালোই। এদিন অফফর্মের কারণে লিটনকে ড্রপ করে সৌম্যকে নেওয়া হয়েছিল। আর সৌম্য সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছেন ভালোই। এদিন দ্রুতই শতকের ঘরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। তবে শতকের পরই যেন আবারও সেই উইকেটের মিছিল। একের পর এক আসা যাওয়া। ৪২ রানের মধ্যে ১০টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত লিটন-শান্ত-তামিমরা? এমন প্রশ্নই এখন ঘুরছে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের মনে।

চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটে আগে ব্যাট করলে চাপ মুক্তভাবে ব্যাট করে রানে ফেরার সুযোগ ছিল লিটনের সামনেও। সুযোগ ছিল মূল ম্যাচে নিজেদের পাওয়ার হিটিংয়ের দক্ষতা পরখ করে দেখে নেওয়ার। বিশ্বকাপের আগে কয়েকটা ম্যাচে ২০০ প্লাস স্কোর গড়তে পারলে ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়তো।

কিন্তু সবকিছুর বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বোলিংয়ে তাসকিন-শরিফুলরা সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং প্রমাণ করে টাইগারদের ব্যাটিং দুর্বলতা অনেক গভীরে।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়

প্রকাশ: ০৯:৪৫ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাট হাতে শুভসূচনার পর অল্পেই গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ বল হাতেও করেছিল দুর্দান্ত শুরু। তবে হাল না ছাড়া জিম্বাবুয়ে লড়েছে শেষ পর্যন্ত। যদিও টাইগারদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি তারা। আর তাই টানা চার জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের জয় ৫ রানে।

রান তাড়া করতে নেমে খাতা খোলার আগেই তাসকিনের বলে আউট হন বেনেট। তিনে নামা সিকান্দার রাজাকেও বোল্ড করেন এ পেসার। রাজা করেন ১৭ রান। আরেক ওপেনার তাদিওয়ানশে মারুমানিকে আউট করেন সাকিব। তিনি করেন ১৪ রান।

রিশাদের বলে মাদান্দে ১২ রানে আউট হলেও হাল ছাড়েনি জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন জনাথন ক্যাম্পবেল ও রায়ান বার্ল। দুজনের ৩৫ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে তারা। তবে বার্ল ১৯ রানে আউট হলে আবার ধাক্কা খায় সফরকারীরা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করে সাকিবের বলে আউট হন ক্যাম্পবেল। শেষ ওভারে জম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। সাকিবের করা ওভারের তৃতীয় বলে ছয় হাঁকান মুজারাবানি। 

তিন বলে ৭ প্রয়োজন, এমন পরিস্থিতিতে পরপর দুই বলে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতান সাকিব। তিনি চারটি, মুস্তাফিজুর তিনটি, তাসকিন দুটি এবং রিশাদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ এ ম্যাচে ৩ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে। দলকে ব্যাট হাতে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার।

শুরু থেকে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন সৌম্য। তবে অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন তামিম। দুজনের জুটিতে ১১তম ওভারে দলীয় শতক পূরণ করে বাংলাদেশ। তবে এরপরই ছন্দপতন।

লুক জঙ্গের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ৫২ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম। এরপরের গল্পটা জিম্বাবুয়ের বোলারদের। যেখানে আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন টাইগার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন সৌম্য।

তিনে নামা হৃদয় ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন। দলের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার জঙ্গে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া বেনেট এবং গারাভা দুটি ও রাজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

জিম্বাবুয়ে   শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

উড়ন্ত শুরুর পর দুরন্ত পতন বাংলাদেশের, অবশেষে সংগ্রহ ১৪৩

প্রকাশ: ০৭:৫০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্যের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় বিনা উইকেটে শতকের ঘরেও পৌঁছেছিল টাইগাররা। আর তাই ভক্ত-সমর্থকরা ভেবেছিল বড় স্কোর করতে যাচ্ছে টিম টাইগার্স। কিন্তু  অতি শীঘ্রই সেই ভাবনা ধুলোই মিশিয়ে দিয়েছে তারা। ৪২ রানের মধ্যে ১০ উইকেট খুঁইয়ে অবশেষে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে নাজমুল শান্তর দল।

শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই-বাংলায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। যেখানে অফফর্মে থাকা লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে ফেরা সৌম্যের সাথে ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ভালো শুরু করেন তানজিদ তামিম। সাত চার এবং ১ ছক্কার সহায়তায় ৩৪ বলেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি ‍তুলে নেন এই তরুণ ওপেনার। অন্যদিকে একটা লম্বা সময় পর দলে ফিরে ভালো করেন সৌম্যও। তাদের জুটিতে দলীয় শতকে পৌঁছায় টাইগাররা।

তবে শতকের ঘরে পৌঁছানোর পরই শুরু হয় পতন। একের পর এক উকেট যেন নিজ হাতে বিলিয়ে দিয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। আর এতে করে ১৪৩ রানের স্বল্প পুঁজিতে অল আউট হয় বাংলাদেশ।

এদিন বিপর্যয়ের শুরুটা হয় তানজিদ তামিমকে দিয়েই। ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর তিনি লুক জঙওয়ের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। যদিও নিজের কাজটা ঠিকই করে গিয়েছিলেন তিনি। ৫২ রানে ফেরেন এই ওপেনার। একই বোলারকে উইকেট দিয়েছেন সৌম্যও কিছুটা ধীরগতির ইনিংসে ৩৪ বলে ৪১ করে হয়েছেন এলবিডব্লু।

চলতি সিরিজে দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয়ও এদিন ব্যর্থ। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে বেনেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিডল অর্ডারের এই ভরসা। ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে ব্যর্থ সাকিবও। ব্যাটে-প্যাডে বিশাল গ্যাপ দিয়ে বল ঢুকতে সমস্যাই হয়নি। বেনেটের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ১ রান করেই।

একই ওভারের শেষ বলে ফিরেছেন অধিনায়ক শান্ত। দম ফেলার আগেই ফিরেছেন সাকিব আল হাসান (১), অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (২) ও জাকের আলি (৬)। আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে মিরপুরের গ্যালারিতে তখন ভুয়া ভুয়া স্লোগান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তামিম-সৌম্যের ব্যাটে বাংলাদেশের উড়ন্ত শুরু

প্রকাশ: ০৬:৫৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। এদিন অফফর্মে থাকা লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। আর সৌম্যের সাথে এদিন ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ভালো শুরু করেন তানজিদ তামিম।

শুক্রবার (১০ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তানজিদ তামিম শুরু থেকেই আছেন উড়ন্ত ছন্দে। সাত চার এবং ১ ছক্কার সহায়তায় ৩৪ বলেই তুলেন নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি।

এদিন দ্বিতীয় ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানির ওভার দিয়ে শুরু। সেই ওভারে পেয়েছেন একটি চারের দেখা। পরের দুই ওভারে ছিল আরও দুইটি করে চারের দেখা। মুজারাবানির পরের ওভারেও জুনিয়র তামিম দেখালেন নিজের ব্যাটিং কারিশমা। জোড়া চার ছিল সেই ওভারেও। এমনকি পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারেও ছিল দুই চার। যদিও সেবার একটা চার আছে লেগবাই থেকে।

পাওয়ারপ্লেতে তামিমের এমন তাণ্ডব দেখেই কিনা ঝড় শুরু করেছেন সৌম্য সরকারও। সপ্তম আর অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম দুই ছক্কাও এসেছে সৌম্যর ব্যাট থেকে। আর ইনিংসের নবম ওভারে এসে ফিফটির দেখা পান তানজিদ তামিম।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভারে বিনা উইকেটে ১০০ রান।


তানজিদ তামিম   সৌম্য সরকার   বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৫:৪৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই তিন ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে এবং সবকটিতেই জিতে দুই ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। যার জন্য বাকি দুই ম্যাচ অনেকটাই নিয়ম রক্ষার।

তবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে টাইগার স্কোয়াডে, তাই একেবারে গুরুত্বহীনও নয় এই ম্যাচগুলো। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার (১০ মে) চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মিরপুর শের-ই-বাংলায় রোডেশিয়ানদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। যেখানে টস হেরে আগে ব্যাটিং করবে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল।

এই ম্যাচের একাদশে টাইগাররা তিনটি পরিবর্তন এনেছে। স্কোয়াডে নতুন করে যুক্ত হওয়া সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার এই ম্যাচের একাদশে ফিরেছেন।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্লাইভ মাদান্দে, রায়ান বার্ল, ‍লুক জঙ্গুই, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ফারাজ আকরাম, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাবা।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন