টেক ইনসাইড

বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা?

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা?

গতকাল বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে পালিত হয়েছে ‘ডাটা প্রাইভেসি ডে’ বা ‘আন্তর্জাতিক তথ্য সুরক্ষা দিবস’। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংগঠন ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাডের তথ্যমতে, বিশ্বের ১৯৪টি দেশের মধ্যে ১২৮টিতে তথ্য সুরক্ষা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার আইন রয়েছে। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের সংবিধানের ৪৩ (খ) নম্বর অনুচ্ছেদেও প্রাইভেসি রাইটস বা ব্যক্তির তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তা মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃত। তবে সংবিধানে তথ্য সুরক্ষা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার রক্ষার কথা বলা থাকলেও প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে ব্যক্তির গোপনীয়তা। ব্যক্তিগত রেষারেষিতে ফোনালাপ ফাঁস থেকে শুরু করে অডিও-ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং মুহূর্তেই তা পৌঁছে যাচ্ছে কোটি মানুষের হাতের নাগালে। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক, কারও ব্যক্তিগত গোপনীয়তাই আর নিরাপদ থাকছে না। বিশেষ করে দুনিয়া ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করার পর ব্যক্তিগত সব তথ্য চলে যাচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর কাছে। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি খাতেও নানাভাবে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ব্যক্তি কোন তথ্যটি দেবেন, বা ব্যক্তির কাছে কতটা তথ্য চাওয়া যায়, সেই বোধ তৈরি না হওয়ার কারণে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা অনেকটাই হুমকির মুখে রয়েছে বলে মনে করেন সামাজিক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

কিছুদিন আগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের একটি টেলিফোন আলাপ ফাঁস নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল । সেই ফোনালাপ ফাঁসের জেরে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিত্বও খোয়াতে হয় তাকে। এর আগেও একাধিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের টেলিফোন আলাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটে। শুধু ফোনালাপ নয়, টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনেকের একান্ত ব্যক্তিগত অডিও-ভিডিওসহ নানা তথ্য প্রকাশের ঘটনাও জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের দু’বছর আগের ফোনালাপ কে বা কারা ফাঁস করলো, এ নিয়ে এখনও তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাম্প্রতিক সময়ে ফোনালাপ ফাঁসের এই প্রবণতা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ পর্যায়ের অনেকেই জরুরি বা ব্যক্তিগত নানা আলাপের ক্ষেত্রে ফোনে কথা না বলে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি এর সুরক্ষায় এবং নিরাপত্তার বিষয়ে আইন কি বলে, সে নিয়েও আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বাড়তে থাকা এ প্রবণতা সংবিধানে একজন নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করার নিশ্চয়তার লঙ্ঘন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যেভাবে লঙ্ঘিত হয় ব্যক্তিগত গোপনীয়তা

ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে নানাভাবে লঙ্ঘিত হয় ব্যক্তিগত গোপনীয়তা। প্রথমত, বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা বা তার সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে সাধারণ নাগরিকের ধারণার ঘাটতি রয়েছে। আমরা আপন ভেবে অনেককেই অনেক কিছু বলি, সরল বিশ্বাসে অনেক কিছু করি। গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘিত হয় কাছের মানুষ দ্বারা। কোনো কিছুতে বনিবনা না হলেই দেখা যায় গোপন বিষয়গুলো বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় অথবা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে বিচ্ছেদ হলে একে অপরকে হেয় করার জন্য নিজেদের ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও অহরহ ঘটে থাকে। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত বিষয়গুলোকে জিম্মি করে মানসিকভাবে নির্যাতনও করার উদাহরণও শত শত। কিছু ক্ষেত্রে নিজের অজান্তে হ্যাকারদের মাধ্যমেও গোপনীয় যেকোনো কিছুই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফেসবুকে এবং অন্যান্য যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের অনেক ব্যক্তিগত তথ্য আমরা প্রকাশ করে থাকি। এ থেকেও লঙ্ঘিত হতে পারে নিজেদের গোপনীয়তা। আবার নিজেদের ফোন নম্বর, ই-মেইল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এসবও নানাভাবে বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে চলে যায় ব্যক্তিগত তথ্য। আমাদের আত্মরতি আর লোভকে পুঁজি করে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তির তথ্যকে বাণিজ্যিক বা ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে। আমরা নিজেরাই স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রায় সব তথ্য দিয়ে থাকি। সেগুলোর বিশ্লেষণে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমাদের মনস্তত্ত্ব নিজেদের থেকেও ভালো জানে।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে বাংলাদেশের আইন কি বলছে?

কোনো ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ফোনালাপের রেকর্ড করা ও তা ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের ‘চিঠিপত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার’ রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৭১ ধারায় টেলিফোনে আড়িপাতাকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ৭১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি অপর দুই জন ব্যক্তির টেলিফোন আলাপে ইচ্ছাকৃতভাবে আড়ি পাতেন, তা হলে প্রথমোক্ত ব্যক্তির, এই কাজ হবে একটি অপরাধ এবং তার জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। 

তবে এসব আইন অবশ্য শর্ত প্রযোজ্য। ধারা ৯৭-ক এর অধীন সরকার হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা বা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থার কোন কর্মকর্তার ক্ষেত্রে এই ধারার বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ আইনের ৯৭-ক ধারায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার জন্য এ কাজের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। তবে আইন অনুসারে এসব কাজের জন্য সংস্থাগুলো কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে। যদিও এ আইনে কাদের ফোনে আড়ি পাতা যাবে, কত দিন পর্যন্ত তা করা যাবে, এসবের কোনো উল্লেখ নেই। 

সামাজিক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাষ্ট্র নিরাপত্তার জন্য চাইলে আড়ি পাততে পারে। পৃথিবীর সব দেশেই এ সংক্রান্ত আইন আছে। বিশেষ করে নাইন-ইলেভেনের পর পৃথিবীর সব রাষ্ট্রই সনাতনী ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যক্তি পর্যায়ে আড়ি পাতার বিধিবিধান করেছে। কিন্তু এগুলো প্রচার করার অধিকার কারোর-ই নেই। কিন্তু দেশে হরহামেশাই ব্যক্তিগত ফোনালাপের রেকর্ড ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। প্রভাবশালী রাজনীতিক, বিশিষ্ট ব্যক্তি, সরকারি আমলা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত বা গোপনীয় ফোনালাপও রেকর্ড এবং ফাঁস হচ্ছে। বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের একাধিক ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। সবশেষ তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দুই বছর আগের ব্যাক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস হয়ে গেল। এর আগে রাজনীতিবিদ মেয়র জাহাঙ্গীরের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছিল। এর আগে নিক্সন চৌধুরীর ফোনালাপ ফাঁস হয়েছিল। তারও আগে মামুনুল হক। সমাজেও এর চাহিদা আছে। বিশেষ করে বেআইনী, অশালীন, অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো মানুষের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি করে। মানুষকে সুড়সুড়ি দেয়। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বেআইনী বিষয়গুলো থেকে আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ বিনোদন পায়। এগুলো কোনোভাবেই উৎসাহ দেওয়া উচিত নয় এবং এগুলো বন্ধ করা উচিত বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা   আন্তর্জাতিক তথ্য সুরক্ষা দিবস   মানবাধিকার  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

ভারতে পরিষেবা বন্ধের দাবি হোয়াটসঅ্যাপের, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৭:০৯ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
 
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
 
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
 
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
 
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
 
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।


হোয়াটসঅ্যাপ   ভারত   মেটা  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

আজ দিবাগত রাতে এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবা

প্রকাশ: ০৮:৪৬ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্‌লের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।

গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্‌ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্‌লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্‌লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।


ইন্টারনেট   বিএসসিপিএলসি  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

১ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট

প্রকাশ: ০৭:১৪ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৫)। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা ক্যাবলটির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ফলে ইন্টারনেট ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়বেন গ্রাহকরা। 

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মির্জা কামাল আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মির্জা কামাল আহম্মদ বলেন, সাবমেরিন ক্যাবলের (সি-মি-উই-৫) রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা ক্যাবলটির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। 

তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে (সি-মি-উই-৪) সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে বলে জানিয়েছে বিএসসিপিএলসি।

ইন্টারনেট সেবা   সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

আবারও হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রামে বিভ্রাট

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।

তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।

এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল। সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার কথা।


হোয়াটসঅ্যাপ   ইনস্টাগ্রাম   মেটা  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

সরকারি-বেসরকারি অনেক ওয়েবসাইট ডাউন

প্রকাশ: ০৩:৪৪ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইট কাজ করছে না। এ কারণে সেবা গ্রহণে ভোগান্তিতে পড়ছে গ্রাহকরা। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

জানা গেছে, যেসব ওয়েবসাইটের শেষে ডট গভ, ডট বিডি, ডট বাংলা বা ডট কম ডট বিডি রয়েছে সেগুলো বিটিসিএলের সার্ভার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এসব সাইট খোলা যাচ্ছে না। দেশের সবকটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এসব ডোমেইন দিয়ে বানানো। ফলে সেগুলোতে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা।

এ ছাড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ, ইভ্যালি ও সংবাদ সংস্থা ইউএনবিসহ বহু বেসরকারি ওয়েবসাইট এসব ডোমেইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করায় সেগুলোতেও প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার রাত থেকেই এসব ডোমেইন সার্ভার নিয়ন্ত্রিত কোনো সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের ডিজিএম (ডোমেইন) আনোয়ার পারভেজ বলেন, হঠাৎ করেই পরিষেবায় বিভ্রাট দেখা দিয়েছে আমরা জলদি বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করছি। প্রস্তুত হলেই পুনরায় সচল হবে সব ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইট ডাউন   বিটিসিএল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন