কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের এক প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে আমাদের তরুণ-তরুণী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে রোবটিকস ক্লাব তৈরি করার লক্ষ্যে আমরা ৩০০টি সংসদীয় আসনভিত্তিক ৩০০টি স্কুলে রোবোটিকস ফেব্রিকেশন ল্যাব ও ক্লাব গঠন করছি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব আছে সেখানেও আমরা রোবোটিকস ক্লাব তৈরি করব।
তিনি বলেন, আমাদের মাঠ প্রশাসন সরকারের কার্যক্রম বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে, তার জন্য আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি এবং জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকেও আমরা কিছু প্রশ্ন পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের ভিশনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে ৪টি স্তম্ভ আছে সেই লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকদের কাজ করায় উৎসাহিত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলার জন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের কিছু মৌলিক নির্দেশনা দিয়েছি। পেপারলেস অফিস ওয়ার্ককে উৎসাহিত করা। ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরি করার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তাদের একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছর আইসিটি ডিভিশন থেকে আমরা স্মার্ট জেলা ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেছি; যাতে একটি জেলার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকার একটি পুরস্কার ঘোষণা করেছি। যাতে একটি প্রতিযোগিতা বিরাজ করে। কিভাবে তারা উদ্ভাবনী স্মার্ট জেলা, পেপারলেস অফিস ওয়ার্ক ও ক্যাশলেস জেলা তারা তৈরি করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী দুইটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারী প্রায় ৫ থেকে ৬ কোটি এবং ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সাইবার জগৎটাকে নিরাপদ রাখার জন্য ডিজিটাল লিটারেসির গুরুত্ব অনেক। এজন্য ছাত্র, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ সবাইকে নিয়ে প্রতি মাসে আইসিটির যে কমিটি আছে তাদের নিয়ে জেলা ও উপজেলায় বৈঠক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল লিটারেসি, সাইবার সিকিউরিটি ও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তারা যেন যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করে সেদিকেও নজর দিতে হবে।
ডিসি সম্মেলন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রোবোটিকস ক্লাব
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।