এবার চ্যাটজিপিটি’র প্রতি সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করলেন প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
শুক্রবার (১১ফেব্রুয়ারি) জার্মান বাণিজ্যিক সংবাদপত্র ‘হ্যান্ডেলসব্ল্যাট’-এর কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘চ্যাটজিপিটি আমাদের বিশ্ব বদলে দেবে।’
বিল গেটস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেবল পড়তে ও লিখতে পারত, তবে লেখার বিষয়বস্তু বুঝতে পারত না। চ্যাটজিপিটি’র মতো নতুন প্রকল্পগুলো ইনভয়েস বা চিঠি লেখায় সহায়তা দিয়ে বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমকে আরও দক্ষ করে তুলবে। এটি আমাদের বিশ্বকে বদলে ফেলবে।’
২০২২ সালের নভেম্বরে সফটওয়্যার কোম্পানি ওপেনএআই’র মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে চ্যাটজিপিটি’র। এআইনির্ভর সফটওয়্যার তৈরির এই কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব রয়েছে মাইক্রোসফটের। উন্মোচনের কেবল দুই মাসের মধ্যেই আনুমানিক ১০ কোটি ব্যবহারকারী পেয়েছে এই চ্যাটবট। ফলে, এটি সর্বকালের সবচেয়ে দ্রুতগতির অ্যাপের খেতাব পেয়েছে।
বিভিন্ন কাভার লেটার লেখার সক্ষমতা, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের পরীক্ষায় পাশ করা, এমনকি কোডিংয়ের বেলাতেও চ্যাটবটটির বিস্তৃত ক্ষমতা ব্যবহারকারীদের মধ্যে কৌতূহল জাগিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মার্কিন বাণিজ্যিক সংবাদ সাইট ইনসাইডার। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন বাণিজ্য সাময়িকী ফোর্বসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গেটস বলেন, মানুষের জন্য পরিচালিত কিছু ‘চমকপ্রদ’ বিষয় রয়েছে চ্যাটজিপিটি’সহ বিভিন্ন এআই টুলের। এর উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, শিক্ষার্থীদের ‘গণিত শিক্ষক’ হিসেবে কাজ করা বা যারা ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন না, তাদেরকে ‘স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ’ প্রদানের মতো বিষয়গুলো।
তিনি বলেন, ‘এটি পিসি ও ইন্টারনেটের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ সালের সবচেয়ে টাটকা আলোচনার বিষয় হতে যাচ্ছে এটি।’
জানুয়ারিতে ওপেনএআই’র পেছনে কয়েকশ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এই অঙ্ক গিয়ে এক হাজার কোটি ডলারেও ঠেকতে পারে। এর আগে, ২০১৯ সালে এআই কোম্পানিটির পেছনে একশ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে মার্কিন এই টেক জায়ান্ট বিল গেটস।
অন্যদিকে ওপেনএআই’র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নতুন সংস্করণের বিং সার্চ ইঞ্জিন চালু করেছে মাইক্রোসফট। কোম্পানিটি বলছে, এটি চ্যাটজিপিটি’র চেয়েও ক্ষমতাধর। চ্যাটজিপিটি’র সাফল্য এই সপ্তাহেই গুগলের নিজস্ব এআই চ্যাটবট ‘বার্ড’ আনায় প্রভাব রেখেছে বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
চ্যাটজিপিটি বিশ্ব বদল বিল গেটস প্রযুক্তি
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।