টেক ইনসাইড

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র: কতটা নিরাপদ হবে বাংলাদেশের প্রথম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

বাংলাদেশে পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা চুল্লি উদ্বোধন হচ্ছে রোববার। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর বা কমিশনিং প্রক্রিয়ায় এই চুল্লী স্থাপন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরমাণু বিজ্ঞানীরা রিএ্যাক্টর প্রেসার ভেসেলকে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের `হার্ট বা হৃৎপিণ্ড` বলে থাকেন।

রূপপুরের এই পারমাণবিক চুল্লি নির্মিত হয়েছে রাশিয়ায়। ভিভিআর-১২০০ মডেলের এই রিয়্যাক্টরে পরমাণু জ্বালানি পুড়িয়ে মূল শক্তি উৎপাদন হবে এবং ১২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। রূপপুরের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে ধারণা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

পরমানু বিজ্ঞানী এবং আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শহীদ হোসেন বলেন, "এই রিয়্যাক্টর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে বলা যায় কমিশনিং প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।"

রূপপুর কেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে একক প্রকল্প হিসেবে এটি সবচেয়ে বড় কোনো অবকাঠামো প্রকল্প। মহামারির মধ্যেও এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৫ হাজার শ্রমিক দিনরাত সেখানে কাজ করছেন।

কী নিয়ে এতো ভীতি ও উদ্বেগ?

জলবায়ু পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে বর্তমানে বিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তির ওপরে যে জোর দেয়া হচ্ছে পারমাণবিক শক্তি তার অন্যতম একটি উৎস। তবে এইসব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লীর নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় কিছুটা উদ্বেগ থেকেই যায়।

কারণ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনার ব্যাপারে একটা ভীতি সবসময় কাজ করে অনেকের মধ্যেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ ভয়ের প্রবণতা আছে বিশ্বব্যাপী।

আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থার সাবেক একজন বিজ্ঞানী ড. শহীদ হোসেন বিবিসিকে বলেন, "ভয়টা কমেনি। ভয়টা অনেক সময় না জানার কারণেও হয়।"

"যারা এসব কেন্দ্রের কাছে থাকে, তাদের মধ্যে ভয় কম কিন্তু দূরে যারা থাকে - দেখা যায় তাদের ভয় বেশি। আর যেহেতু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়েক স্তরে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়, এ কারণেও অনেকে চিন্তা করেন নিরাপদ যদি হবে, তাহলে এত নিরাপত্তা বলয় কীসের জন্য।"

মি. হোসেন জানান, "এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অনেক মতবাদ আছে যেমন রিয়্যাক্টরকে কখনোই বিশ্বাস করা যাবে না। এসব কারণেও ভীতি কমেনি।"

নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

সবশেষ ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনাসহ বিশ্বে এ পর্যন্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তিনটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। পারমাণবিক কেন্দ্রে দুর্ঘটনায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়লে দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব থাকে বলেই বিশ্বব্যাপী পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে ভয় এবং আতঙ্ক।

তবে ফুকুশিমায় দুর্ঘটনার পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঝুকি কমাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। রাশিয়ার ভিভিআর ১২০০ মডেলের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা রোধে ৫টি স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা রয়েছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোন ছাড় দিচ্ছে না বাংলাদেশ।

"প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট অবস্থান হলো অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে হলেও নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। যে কারণে নিরাপত্তাকেই আমার সবচেয়ে গুরত্ব দিয়েছি।"

মি. ওসমান বলেন, "আমরা এখানে কো-ক্যাচার নামে একটি বাড়তি জিনিস লাগিয়েছি যেটা ফুকুশিমার ঘটনার পর আবিস্কৃত হয়ে অলরেডি চালু হয়ে গেছে। নতুন যে প্ল্যান্ট হয়েছে দুটোতে এই ব্যবস্থা লাগানো হয়েছে আমাদেরটি তৃতীয়।"

কো-ক্যাচার ব্যবস্থা সম্পর্কে মি. ওসমান ব্যাখ্যা করে বলেন, "কো-ক্যাচার বসানো হয়েছে খোদা না চায় যদি ওরকম কোন ঘটনা ঘটেও তাহলে পুরো দূষিত জিনিসটা গলে নিচে পড়ে যাবে। "

"একটা কুয়ার মতো যেটার মধ্যে পড়ে ওটা সিল হয়ে যাবে। অর্থাৎ তেজস্ক্রিয়তা ছড়াবে না। এবং এটার স্লোগানই হলো মেইক মোর সেইফ, মোর সেইফ অ্যান্ড মোর সেইফ। এবং আমরাতো একেবারে লেটেস্টটাই নিচ্ছি।"

প্রতিটি পর্যায়ে দরকার তদারকি ও মান যাচাই - বিশেষজ্ঞ

বর্তমান প্রযুক্তির পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিজ্ঞানীদের অনেকেই আশ্বস্ত। তবে নির্মাণের প্রতিটি পর্যায়ে মান যাচাই এবং তদারকি প্রয়োজন রয়েছে।

ভিয়েনায় অবস্থানরত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. শহীদ হোসেন বলেন, "মেইন ইস্যুগুলো যেমন এই প্রেসার ভেসেল একটা মেইন ইস্যু, তারপরে পাম্প আছে অনেক, পাম্পের অনেক ভালভ আছে, সেসব জিনিসগুলো আমাদের দেখতে হবে তৈরির সময় ঠিকমতো তৈরি হচ্ছে কিনা। তাতে কোন ফল্ট আছে কিনা।"

"সেগুলোর জন্য আমাদের লোকতো এত পারদর্শী নয়, তাই আমাদের আবার সাহায্য নিতে হচ্ছে রাশিয়ার কাছ থেকেই। "

তবু যে চ্যালেঞ্জগুলো থেকেই যায়

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম এ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভবিষ্যতের কিছু চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বলেন, এগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা প্রয়োজন।

"পাওয়ার প্ল্যান্ট রেডি করে রাখলাম, কিন্তু গ্রিডের ফ্রিকোয়েন্সির হেভি ফ্লাকচুয়েশনের কারণে যদি আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র না চালাতে পারি, সেটাও চ্যালেঞ্জ হতে পারে।"

তিনি বলেন, "তাহলে গ্রিড সেভাবে নির্মিত হচ্ছে কি হচ্ছে না? অপারেটর তৈরি করা একটা চ্যালেঞ্জ, ফুয়েল হ্যান্ডলিং, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট একটা চ্যালেঞ্জ। এছাড়া ইমারজেন্সি রেসপন্স - এগুলোর জন্য রেগুলেটর বডিতে যারা আছেন, তাদেরকে আরো দক্ষ হতে হবে, অভীজ্ঞ হতে হবে।"

এদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে পরিবেশ বান্ধব হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বর্তমান বিশ্বে একদিকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরে আসার প্রবণতা যেমন আছে, আবার জলবায়ু পরিবর্তনের ঠেকাতে পরমাণুকে তেল কয়লার মতো ফসিল ফুয়েলের বিকল্প জ্বালানি হিসেবেও দেখছে অনেক দেশ।

রূপপুরের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরো একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশের। সূত্র: বিবিসি বাংলা



মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে

প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু হলেও তা ধীরগতির। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটক এখনো বন্ধ আছে। মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়েও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মোবাইলের ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালুর ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সঙ্গে বৈঠক করবেন। রোববার ও সোমবারের মধ্যে ফোর–জি চালুর চেষ্টা চলবে বলেও জানান তিনি।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘাতের মধ্যে ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালুর ঘোষণা দেয় সরকার। তবে এ সংযোগ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ইন্টারনেটও অনেক ধীরগতির।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, ইউটিউবসহ গুগলের সেবার ক্যাশ সার্ভারগুলো যেন আরও সক্রিয় করা হয়। পাশাপাশি ফেসবুক ও টিকটকের ক্যাশ সার্ভার যেন বন্ধ রাখা হয়।


মোবাইল   ইন্টারনেট   সিদ্ধান্ত  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

ইন্টারনেট শাটডাউনে আইসিটি, ই-কমার্স ও ওটিটি প্লাটফর্মে স্থবিরতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভ ও সংঘাতের এক পর্যায়ে সরকার পুরোপুরি ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়।

প্রথমে বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেটের গতি ধীর করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার পর থেকে সারা দেশে একেবারেই বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট।

এর ফলে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের যেসব ব্যবসা রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাদের কার্যক্রম। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত থেকে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা দেয়া হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আর্থিকভাবে আপাতত এ কয়েক দিনের ক্ষতির হিসাব করা গেলেও দীর্ঘস্থায়ী যে ক্ষতি হতে যাচ্ছে সেটির প্রভাব মারাত্মক। কারণ বিদেশি ক্লায়েন্টরা চুক্তি অনুযায়ী কাজ না পেলে অর্ডার বাতিল করে দেবে। একইসাথে নেতিবাচক রিভিউ দেবে যার কারণে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা ফ্রিল্যান্সারের পরবর্তীতে নতুন ক্লায়েন্টের কাজ পেতে অসুবিধা হবে।

১. আইসিটিতে ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকা: টানা পাঁচ দিন দেশজুড়ে ইন্টারনেট না থাকায় আইটি-আইসিটি খাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ক্ষতির ভয়াবহতা তুলে ধরে আইসিটি খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনটি বলছে, এতে চাকরি হারাতে পারে প্রায় ৩০ শতাংশ জনবল। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় সংগঠনটি। সময় বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন নেতারা এবং দেশের আইসিটি খাতের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

২. ই-কমার্সে ক্ষতি ৩০০ কোটি টাকা: অনলাইন ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ইকুরিয়ারের প্রধান নির্বাহী বিপ্লব ঘোষ রাহুল বুধবার বলেন, ‘আন্দোলনের এ কয়দিন আমাদের পরিসেবা বন্ধ ছিল। এখনো প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় ইন্টারনেট নেই। ডিপ্লোম্যাটিক জোনসহ বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেট আছে সেখানেও ইন্টারেনেটের গতি ধীর। আমার ধারণা, ই-কমার্সে গতি বা মোমেন্টাম আসতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন লাগবে।

এফ-কমার্স ডাউন, কেননা ফেসবুক তো পুরোপুরি নেই। ই-কমার্সের পাশাপাশি এফ-কমার্সেও স্থবিরতা আছে। বেশিরভাগ অর্ডার আসে ফেসবুক থেকে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। পেন্ডিং পার্সেলগুলো পাঠানো শুরু করেছি। ই-কমারর্সে প্রতিদিন ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। সে হিসাবে গত পাঁচদিনে আমাদের ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

৩. ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ক্ষতি  কয়েক কোটি টাকা: ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দেশের বিনোদনে নতুন সংযোজন। প্রতিনিয়ত এর প্রসার ঘটেছে। এতে নানা ধরনের কনটেন্ট উপভোগের সুযোগ পান দেশ-বিদেশের গ্রাহকেরা। ওটিটি পুরোপুরি নির্ভরশীল ইন্টারনেটের ওপর। দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে টানা পাঁচ দিন দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। এতে ক্ষতি হয় দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো। গত মঙ্গলবার রাতে স্বল্প পরিসরে ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও ওটিটি মাধ্যমগুলোর কার্যক্রম চালু সম্ভব হয়নি।

ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকি প্রতিষ্ঠার তিন বছর পেরিয়ে চারে পড়েছে। প্রতিবছর ১২টি করে ছবি মুক্তি দিয়েছে। এসেছে নতুন নতুন সিরিজও। প্রতিনিয়ত নতুন সাবস্ক্রাইবার তৈরি হয়েছে চরকির। ইন্টারনেট সেবা না থাকায় অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি সাবস্ক্রাইবার কমার আশঙ্কা করছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বললেন, ‘আমাদের ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। আমাদের প্রতিষ্ঠান চরকি প্রতি মাসে একটা বড় কনটেন্ট রিলিজ করে, হোক তা সিনেমা কিংবা সিরিজ। এই সময়ের মধ্যেও আমাদের একটা সিনেমা মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে তা পারিনি। সব মিলিয়ে আমাদের মনে হয়েছে, ৫ থেকে ৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে, যেটা পুষিয়ে আনা কষ্টসাধ্য। সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।’

বঙ্গ থেকে জানানো হয়েছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার সেবাও দিয়ে থাকে। ইউটিউব আর ফেসবুক মিলিয়ে দুই শতাধিক পেজ ও চ্যানেলকেও সেবা দিয়ে থাকে বঙ্গ। ইন্টারনেট বন্ধ মানে তাদের সব ধরনের সেবা বন্ধ আছে। পুরোদমে ইন্টারনেট চালু না হলে তাদের কার্যক্রমও পুরোদমে চালু সম্ভব না। বঙ্গের কনটেন্ট সম্পর্কে মানুষকে জানানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট চালু না থাকলে এসব চলবে না। ওটিটি এবং ইন্টারনেটভিত্তিক অন্যান্য সব সেবা কার্যক্রম থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন ৪০-৫০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানিয়েছে। 


ইন্টারনেট   শাটডাউন   আইসিটি   ই-কমার্স   ওটিটি  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই পাঠানো যাবে ফাইল

প্রকাশ: ১১:৩৭ এএম, ২৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

নতুন সব ফিচারের শীর্ষে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতি মাসেই নিয়ে আসে নতুন কিছু। এবারও নিয়ে এলো এক নতুন ফিচারের খবর! এবার ইন্টারনেট ছাড়াই ফাইল পাঠানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে!

ওয়েবেটাইনফোর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ফাইল শেয়ারের পদ্ধতি হবে আলাদা। অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ‘নিয়ারবাই শেয়ারিং’ অপশন থাকবে। আইফোন এয়ারড্রপের মতোই এর সাহায্যে বড় ফাইল শেয়ার করা যাবে ইন্টারনেট ছাড়াই।  

তবে আইওএস ইউজারদের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ আলাদা নিয়ম চালু করছে। এক্ষেত্রে কিউআর কোড স্ক্যান করে ফাইল শেয়ার করা যাবে। তবে দুই ধরণ নিয়েই এখনও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। 

হোয়াটসঅ্যাপ বলছে,  হাই কোয়ালিটি ফটো, ভিডিও বা ডকুমেন্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগের জন্য অনেক সময় সমস্যা তৈরি হয়। অনেক এলাকাতেই ইন্টারনেট সংযোগ খুব দুর্বল থাকে। সে ক্ষেত্রে এই ফিচার দারুণ উপকারি হবে।

এর আগে নিজ নিজ ভাষায় মেসেজ অনুবাদ করে দেওয়ার ফিচারের ঘোষণা দেয় হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচার কাজে লাগিয়ে যে কোন ভাষায় লেখা মেসেজকে নিজের পছন্দমতো ভাষায় পড়তে পারবেন ইউজাররা। অপশনটি অন করে দিলেই সব মেসেজই স্বয়ংক্রিয় ভাবে অনুবাদ করে দেবে এই ফিচার। 


হোয়াটসঅ্যাপ   ইন্টারনেট   ফাইল  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ফোর-জি সেবা বন্ধ

প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ১৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বুধবার (১৭ জুলাই) রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেটের ফোর-জি সেবা বন্ধ রয়েছে। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু আছে। মোবাইল ইন্টারনেটের টু-জি সেবা চালু আছে। সংশ্লিষ্ট অপারেটর সূত্রে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কথা জানা গেছে।

মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবহারকারীরা। প্রবেশ করা যাচ্ছে না ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে।

বিষয়ে জানতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

গতকাল বুধবার গ্রাহকেরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কমে গেছে। ফেসবুক মেসেঞ্জারেও প্রবেশ করতে পারছেন না অনেকে। কেউ আবার প্রবেশ করতে পারলেও ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা বা ছবি পোস্ট করতে পারছেন না। এমনকি অন্যদের পোস্টে ক্লিক করে বার্তা বা ছবি দেখতে পারছেন না তাঁরা। শুধু তা- নয়, ফেসবুকের হালনাগাদ পোস্ট খুঁজে পেতেও সমস্যা হচ্ছে অনেকের।


মোবাইল   ইন্টারনেট   ফোর   জি   সেবা   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

হৃদ্‌রোগ নির্ণয়ে ব্যবহার হচ্ছে অ্যাপলের স্মার্ট ওয়াচ

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ১৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমান সময়ে নানা প্রযুক্তির বদৌলতে মানুষ এখন সকল ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে। শিক্ষা, বিনোদন, সংস্কৃতি, আরামদায়ক জীবনের নানা খুঁটিনাটির সন্ধান থেকে শুরু করে এহেন বিষয় নেই যেখানে প্রযুক্তির ছোঁয়া নেই। সময় দেখার পাশাপাশি শখের বশে অনেকেই ‘অ্যাপল ওয়াচ’ স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার করেন। আর এবারে অ্যাপলের তৈরি এই স্মার্ট ঘড়ি সময় দেখার পাশাপাশি হৃদ্‌রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসাকাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এই ওয়াচ ব্যবহারকারীদের হৃৎস্পন্দনের তথ্যসহ স্বাস্থ্যের বিভিন্ন তথ্য জানাতে পারায় চিকিৎসকেরাও এখন দূরে বাস করছেন এমন রোগীদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য জানার ক্ষেত্রেও অ্যাপল ওয়াচকে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ওয়েস্টার্ন মেডিসিনের কার্ডিওলজিস্ট ও মেডিসিনের অধ্যাপক রড পাসম্যান জানিয়েছেন, অ্যাপল ওয়াচ স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি ব্যবহারকারীর হৃৎপিণ্ডের গতি পর্যবেক্ষণসহ অস্ত্রোপচারের পর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন তথ্যও জানতে সহায়তা করে। ফলে রোগীর দীর্ঘ মেয়াদের তথ্য জানার পাশাপাশি দূর থেকে হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। অনেকে অ্যাপল ওয়াচ শুধু রোগনির্ণয়ের জন্যই নয়, অস্বাভাবিক শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে জানতেও ব্যবহার করছেন।

এ প্রসঙ্গে চিকিৎসার মানদণ্ডে অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহারের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে রড পাসম্যান বলেন, ‘অ্যাপল ওয়াচের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যায় না। তবে পরীক্ষার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করার জন্য এটি সহায়ক যন্ত্র হতে পারে। আমরা যেকোনো চিকিৎসা শুরু করার আগে সব সময় মেডিকেল গ্রেড নিশ্চিতকরণের বিষয়টি জানতে চাই। অ্যাপল ওয়াচ অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন শনাক্তের জন্য একটি চমৎকার ও সঠিক যন্ত্র। অ্যাপল ওয়াচ রিয়েল-টাইম মনিটরিং ও ডেটা সংগ্রহকে সহজ করার পাশাপাশি রোগীর সচেতনতাও বাড়িয়ে থাকে।’

এর আগে গত বছর অ্যাপল প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপল ওয়াচ-৯ বাজারে আনে। হালনাগাদ সংস্করণের স্মার্ট ঘড়িটিতে ব্যবহারকারীদের শারীরিক তথ্য জানার জন্য বেশ কিছু সুবিধাও রয়েছে। ফলে ঘড়িটি ব্যবহারকারীদের হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ বা নিম্ন হৃৎস্পন্দন ও অনিয়মিতভাবে ছন্দপতন (অ্যারিথমিয়াস) হচ্ছে কিনা সেটি শনাক্তেও ভূমিকা রাখে। আর এসব তথ্য নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারেন ব্যবহারকারীরা। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য জানার পাশাপাশি সেগুলোর রেকর্ড সংগ্রহও করে রাখা সম্ভব এই ওয়াচের মাধ্যমে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে


অ্যাপল   ঘড়ি   স্মার্ট ওয়াচ   হৃদরোগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন