নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০২১
বাংলাদেশে পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা চুল্লি উদ্বোধন হচ্ছে রোববার। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর বা কমিশনিং প্রক্রিয়ায় এই চুল্লী স্থাপন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরমাণু বিজ্ঞানীরা রিএ্যাক্টর প্রেসার ভেসেলকে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের `হার্ট বা হৃৎপিণ্ড` বলে থাকেন।
রূপপুরের এই পারমাণবিক চুল্লি নির্মিত হয়েছে রাশিয়ায়। ভিভিআর-১২০০ মডেলের এই রিয়্যাক্টরে পরমাণু জ্বালানি পুড়িয়ে মূল শক্তি উৎপাদন হবে এবং ১২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। রূপপুরের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে ধারণা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
পরমানু বিজ্ঞানী এবং আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শহীদ হোসেন বলেন, "এই রিয়্যাক্টর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে বলা যায় কমিশনিং প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।"
রূপপুর কেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে একক প্রকল্প হিসেবে এটি সবচেয়ে বড় কোনো অবকাঠামো প্রকল্প। মহামারির মধ্যেও এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৫ হাজার শ্রমিক দিনরাত সেখানে কাজ করছেন।
কী নিয়ে এতো ভীতি ও উদ্বেগ?
জলবায়ু পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে বর্তমানে বিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তির ওপরে যে জোর দেয়া হচ্ছে পারমাণবিক শক্তি তার অন্যতম একটি উৎস। তবে এইসব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লীর নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় কিছুটা উদ্বেগ থেকেই যায়।
কারণ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনার ব্যাপারে একটা ভীতি সবসময় কাজ করে অনেকের মধ্যেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ ভয়ের প্রবণতা আছে বিশ্বব্যাপী।
আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থার সাবেক একজন বিজ্ঞানী ড. শহীদ হোসেন বিবিসিকে বলেন, "ভয়টা কমেনি। ভয়টা অনেক সময় না জানার কারণেও হয়।"
"যারা এসব কেন্দ্রের কাছে থাকে, তাদের মধ্যে ভয় কম কিন্তু দূরে যারা থাকে - দেখা যায় তাদের ভয় বেশি। আর যেহেতু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়েক স্তরে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়, এ কারণেও অনেকে চিন্তা করেন নিরাপদ যদি হবে, তাহলে এত নিরাপত্তা বলয় কীসের জন্য।"
মি. হোসেন জানান, "এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অনেক মতবাদ আছে যেমন রিয়্যাক্টরকে কখনোই বিশ্বাস করা যাবে না। এসব কারণেও ভীতি কমেনি।"
নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
সবশেষ ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনাসহ বিশ্বে এ পর্যন্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তিনটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। পারমাণবিক কেন্দ্রে দুর্ঘটনায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়লে দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব থাকে বলেই বিশ্বব্যাপী পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে ভয় এবং আতঙ্ক।
তবে ফুকুশিমায় দুর্ঘটনার পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঝুকি কমাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। রাশিয়ার ভিভিআর ১২০০ মডেলের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা রোধে ৫টি স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা রয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোন ছাড় দিচ্ছে না বাংলাদেশ।
"প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট অবস্থান হলো অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে হলেও নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। যে কারণে নিরাপত্তাকেই আমার সবচেয়ে গুরত্ব দিয়েছি।"
মি. ওসমান বলেন, "আমরা এখানে কো-ক্যাচার নামে একটি বাড়তি জিনিস লাগিয়েছি যেটা ফুকুশিমার ঘটনার পর আবিস্কৃত হয়ে অলরেডি চালু হয়ে গেছে। নতুন যে প্ল্যান্ট হয়েছে দুটোতে এই ব্যবস্থা লাগানো হয়েছে আমাদেরটি তৃতীয়।"
কো-ক্যাচার ব্যবস্থা সম্পর্কে মি. ওসমান ব্যাখ্যা করে বলেন, "কো-ক্যাচার বসানো হয়েছে খোদা না চায় যদি ওরকম কোন ঘটনা ঘটেও তাহলে পুরো দূষিত জিনিসটা গলে নিচে পড়ে যাবে। "
"একটা কুয়ার মতো যেটার মধ্যে পড়ে ওটা সিল হয়ে যাবে। অর্থাৎ তেজস্ক্রিয়তা ছড়াবে না। এবং এটার স্লোগানই হলো মেইক মোর সেইফ, মোর সেইফ অ্যান্ড মোর সেইফ। এবং আমরাতো একেবারে লেটেস্টটাই নিচ্ছি।"
প্রতিটি পর্যায়ে দরকার তদারকি ও মান যাচাই - বিশেষজ্ঞ
বর্তমান প্রযুক্তির পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিজ্ঞানীদের অনেকেই আশ্বস্ত। তবে নির্মাণের প্রতিটি পর্যায়ে মান যাচাই এবং তদারকি প্রয়োজন রয়েছে।
ভিয়েনায় অবস্থানরত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. শহীদ হোসেন বলেন, "মেইন ইস্যুগুলো যেমন এই প্রেসার ভেসেল একটা মেইন ইস্যু, তারপরে পাম্প আছে অনেক, পাম্পের অনেক ভালভ আছে, সেসব জিনিসগুলো আমাদের দেখতে হবে তৈরির সময় ঠিকমতো তৈরি হচ্ছে কিনা। তাতে কোন ফল্ট আছে কিনা।"
"সেগুলোর জন্য আমাদের লোকতো এত পারদর্শী নয়, তাই আমাদের আবার সাহায্য নিতে হচ্ছে রাশিয়ার কাছ থেকেই। "
তবু যে চ্যালেঞ্জগুলো থেকেই যায়
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম এ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভবিষ্যতের কিছু চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বলেন, এগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
"পাওয়ার প্ল্যান্ট রেডি করে রাখলাম, কিন্তু গ্রিডের ফ্রিকোয়েন্সির হেভি ফ্লাকচুয়েশনের কারণে যদি আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র না চালাতে পারি, সেটাও চ্যালেঞ্জ হতে পারে।"
তিনি বলেন, "তাহলে গ্রিড সেভাবে নির্মিত হচ্ছে কি হচ্ছে না? অপারেটর তৈরি করা একটা চ্যালেঞ্জ, ফুয়েল হ্যান্ডলিং, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট একটা চ্যালেঞ্জ। এছাড়া ইমারজেন্সি রেসপন্স - এগুলোর জন্য রেগুলেটর বডিতে যারা আছেন, তাদেরকে আরো দক্ষ হতে হবে, অভীজ্ঞ হতে হবে।"
এদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে পরিবেশ বান্ধব হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বর্তমান বিশ্বে একদিকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরে আসার প্রবণতা যেমন আছে, আবার জলবায়ু পরিবর্তনের ঠেকাতে পরমাণুকে তেল কয়লার মতো ফসিল ফুয়েলের বিকল্প জ্বালানি হিসেবেও দেখছে অনেক দেশ।
রূপপুরের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরো একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশের। সূত্র: বিবিসি বাংলা
মন্তব্য করুন
দেশে টেক বেইজড ‘ন্যাশনাল হেলথকেয়ার ডাটাবেজ’ তৈরির বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আমেরিকান বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল কর্পোরেশন ও মেডট্রনিক পিএলসি এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওমর ইশরাকের নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধিদলের সাথে আইসিটি টাওয়ারের আইডিয়া ফ্লোরে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল বুধবার (২২ মার্চ) আমেরিকান বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল কর্পোরেশন ও মেডট্রনিক পিএলসি-এর সাথে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবাকে আধুনিকায়ন ও স্মার্ট করার লক্ষে আইসিটি বিভাগ, মেডট্রনিক ল্যাবস, ব্র্যাক ও আই-হেলথ সলিউশন লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে টেক বেইজড ‘ন্যাশনাল হেলথকেয়ার ডাটাবেজ’ তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। ডাটাবেজ হেলথ কেয়ার পাইলট প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে প্রাথমিক খসড়া তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এসময় আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, মেডট্রনিক ল্যাবস এর গ্লোবাল মার্কেট প্রেসিডেন্ট রুচিকা সিংহল, আই হেলথ সলিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুখ আলম, ব্র্যাক এর নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, আই-হেলথ সলিউশন এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আনিকা আহমেদ ও আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ন্যাশনাল হেলথকেয়ার ডাটাবেজ বৈঠক
মন্তব্য করুন
গ্রাহকের মোবাইল ব্যালেন্স বা ডিরেক্ট অপারেটর বিলিং (ডিওবি) ব্যবহার করে সরকারি সার্টিফিকেশন বা প্রত্যয়ন এবং মাইগভ সেবার অর্থ পরিশোধের সেবা চালু করেছে অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং রবি।
ডিওবি-ভিত্তিক পেমেন্ট পদ্ধতি সংযোজনের মাধ্যমে প্রত্যয়ন (https://prottoyon.gov.bd) এবং মাইগভ (https://www.mygov.bd) প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধিত নাগরিকরা সহজেই রবি মোবাইল ব্যালেন্স ব্যবহার করে ঘরে বসে তাদের সনদপত্র সেবার জন্য অর্থপ্রদান করতে পারবেন। পদ্ধতিটি খুবই সহজ হওয়ায় দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ঝামেলামুক্তভাবে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রত্যয়ন পোর্টাল ব্যবহার করে এর আগে বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের মেয়র বা কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যানের কাছে অনলাইনে এই সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতেন এবং অনেকক্ষেত্রেই তাদের কাছে ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি না থাকায় সরাসরি সরকারি অফিসে গিয়ে পেমেন্ট সম্পূর্ণ করতে হতো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, হেড অব ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জামী, ই-সার্ভিস টিম লিড মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ন্যাশনাল কনসালটেন্ট মোহাম্মদ মশিউর রহমান, রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার, শাহেদ আলম, ভাইস-প্রেসিডেন্ট পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি শরীফ শাহ জামাল রাজ এবং জেনারেল ম্যানেজার, ভ্যাস অ্যান্ড নিউ বিজনেস, শফিক শামসুর রাজ্জাক সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জনসাধারণকে সনদপত্র সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রত্যয়ন ওয়েব পোর্টাল চালু করেছে। সরকারি সেবা , সকল ওয়েবসাইট এবং সকল তথ্য এক ওয়েব পোর্টালে একীভূত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পোর্টালের অংশ হিসেবে এটি চালু করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বাস্তবায়নে এবং জনগণের হাতের মুঠোয় সরকারি-বেসরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত ‘এটুআই’নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রবি’র চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘আমরা এটুআই-এর সাথে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন নাগরিক সেবা, যেমন জাতীয়তা সনদ, জন্ম সনদ, বিবাহ সনদ ইত্যাদি প্রাপ্তির জন্য গ্রাহকের মোবাইল ব্যালান্স ব্যবহার করে অর্থ প্রদানের সেবা চালু করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আমি নিশ্চিত ভবিষ্যতে এই উদ্যোগে অন্যান্য সরকারি সেবা প্রাপ্তি এবং স্মার্ট গভর্নমেন্ট বাস্তবায়নে বিপ্লব আনবে।’
এই উদ্যোগের বিষয়ে এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব), আইসিটি বিভাগ, ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমাদের ইউনিফাইড মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম, একপে প্ল্যাটফর্মে সব ব্যাংক এবং এমএফএস সেবা প্রদানকারীকে সংযুক্ত করে ২৩টি ইউটিলিটিসহ নাগরিক সেবা প্রাপ্তিতে পেমেন্ট সুবিধা চালু করা হয়। এমএফএস এবং এজেন্টভিত্তিক পেমেন্ট সুবিধা থাকা সত্ত্বেও গত এক দশকে মোট জনসংখ্যার ১৮% ব্যাংকিং সেবার বাইরে অবস্থান করছে। পিটুজি পেমেন্টের প্রসার বৃদ্ধি করতে আমরা সরকারি ইকোসিস্টেমে মোবাইল অপারেটরদের সাথে ডিওবি চালু করছি। এর মাধ্যমে নাগরিকের সময়, খরচ এবং যাতায়াতের সময় কমিয়ে আনবে, যা স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ অর্জনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে নাগরিকদের সুবিধার জন্য আমরা এ ধরনের আরও নাগরিক পরিষেবা চালু করতে চাই।’
মোবাইল ব্যালেন্স সরকারি নাগরিক সনদ সেবা এটুআই রবি
মন্তব্য করুন
পূর্ব ঘোষণা অনুসারে গুগল তাদের এআই চ্যাটবট বার্ড পরীক্ষামূলকভাবে অবমুক্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে চ্যাটবটটি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকদের
জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে। যা চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী
হিসেবেই বাজারে আসছে।
ইতোমধ্যে এই দুই দেশের গ্রাহকদের বার্ড ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে গুগল।
বার্ড, চ্যাটজিপিটির বা সমমান কয়েকটি চ্যাটবট হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাপ যেটি মানুষের আদেশের ভিত্তিতে কবিতা, গল্প বা কম্পিউটার কোড লিখে দিতে পারে। টেক দুনিয়ায় আইফোনের পর সবচেয়ে বড় আলোড়ন তৈরি করেছে এই এআই চ্যাটবট।
মঙ্গলবার গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই বলেছেন, গুগলের প্রায় ৮০ হাজার কর্মী পরীক্ষা করার পর বার্ড বাজারে অবমুক্ত করা হয়েছে। তবে এটি আপাতত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। যা সারাবিশ্বের অবমুক্ত করার প্রথম ধাপ।
এক মেমোতে পিচাই আরও বলেন, মানুষ যখন বার্ড ব্যবহার করতে শুরু করবে, তখন এর সক্ষমতা দেখে রীতিমত চমকে যাবে।
পিচাই আরও বলেন, আমরা ব্যবহারকারীদের মতামত আশা করছি। সে অনুসারে প্রয়োজনে টেকনোলজি আরও উন্নতি করা হবে।
গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিসি সিয়াও এবং এলি কলিন্স বলেন, বার্ড নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে আমরা অনেক কিছু শিখছি। তবে সাধারণ মানুষের ফিডব্যাক নিয়ে প্রয়োজনে সেবার মান আরও উন্নত করা হবে।
এদিকে ওপেন এআইয়ের চ্যাটজিপিটি কয়েক মাস আগে বাজারে আসে। এসে পুরো বিশ্বে দ্রুতই জনপ্রিয়তা পায়। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি তাদের সর্বশেষ ভার্সন জিপিটি ৪ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করতে কোটি টাকার ‘এআই ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’ চালু করা হয়েছে।
রোববার (১৯ মার্চ) সেগুনবাগিচায় মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় দপ্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এর যৌথ আয়োজনে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, আইসিটি সচিব জনাব মো. সামসুল আরেফিন, মেট্রোনিকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিইও ওমর ইশরাক এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার। এছাড়াও মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে একটি ইনোভেশন কর্নার উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইনোভেশন ল্যাব এবং প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা নিউরাল নেটওয়ার্ক কেন্দ্রিক অগ্রযাত্রার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত নীতিকে কেন্দ্র করে একটি সমৃদ্ধ, জ্ঞানভিত্তিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ গড়ে তুলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যৎ নীতি নির্ধারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডাটাভিত্তিক বিশ্লেষণী ব্যবস্থা এবং ডাটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা বাড়বে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ডাটাভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে যে কোন সংকট যেমন কোভিড কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেনের মত সংঘাতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে সদ্য স্থাপিত নিউরাল নেটওয়ার্কটি প্রয়োজনীয় ধারণা দিতে সক্ষম হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারের বাস্তব সম্মত উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ এখন একটি ভাইব্রেন্ট ইকোনমি এবং অসীম সম্ভাবনার দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।’
এ সময় তিনি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গ্রহীত অর্থনৈতিক কূটনীতিভিত্তিক কার্যক্রমের কথা উল্লেখ বলেন, যে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য প্রবাসীদের নিকট আরও ভাল পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি স্মার্ট সিটিজেন তৈরিতে দেশীয় সম্পদ ব্যবহার এবং দক্ষতার সাথে সৃজনশীল সমাধান উদ্ভাবন এবং সাশ্রয়ীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে জনসেবা প্রদানের লক্ষ্যে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর জোর দেন। ইনোভেশন ল্যাব এবং এআই চ্যালেঞ্জ ফান্ড পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি সক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যত বিশ্বের প্রযুক্তি-সক্ষমতার সাথে সরাসরি সংযুক্ত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জনাব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ডাটাভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করতে পারলে ভবিষ্যতে কূটনৈতিক ডাটা বিশ্লেষণে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বিশ্বব্যাপী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন মিশনের সাথে যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা গেলে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে এবং জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা আরো সহজ হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এটুআই-এর মধ্যে এই যৌথ উদ্যোগের প্রশংসা করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি জনাব স্টেফান লিলার বলেন, ‘এই অংশীদারিত্ব একটি দুর্দান্ত উদাহরণ, আমরা কীভাবে উদ্ভাবনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমস্যা সমাধান করতে একসাথে কাজ করতে পারি।’
এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী বলেন, ‘এআই ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে উদ্ভাবনের সাথে থাকার সুযোগ পাবেন। যেখান থেকে অনেকগুলো উদ্ভাবনী আইডিয়া বেড়িয়ে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে, যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিশন নথির কার্যক্রম সহজ করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পাশাপাশি, শুধু একটা প্রজেক্ট প্রকিউমেন্ট এর উপর নির্ভর না করে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের বুটক্যাম্প, গ্রুমিং সেশন ও গবেষণার ফলে বেশকিছু গতিশীল ও ব্যবহারবান্ধব সমাধান তৈরি হবে এবং তা কর্তৃপক্ষের কাজ সহজ করতে অবদান রাখবে বলে আশা রাখি।’
উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দেশের মিশনের হাজার হাজার নথি থেকে ম্যানুয়ালি পড়া এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া একটি সময়সাপেক্ষ এবং দুঃসাধ্য কাজ। এই নথিগুলোর বিপুল পরিমাণ ডাটা থেকে দক্ষতার সাথে এবং সঠিকভাবে প্রাসঙ্গিক তথ্য বের করা একটি চ্যালেঞ্জ। এই ম্যানুয়াল পদ্ধতিটি ত্রুটি এবং অসঙ্গতি প্রবণ, যা তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা দিতে পারে এবং বিদেশী নীতির সিদ্ধান্তগুলো প্রভাবিত করতে পারে।
এ সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধানের খোঁজে ‘এআই ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবিত পদ্ধতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজড সমাধান তৈরি করে দেবে। নিউরাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে অসংগঠিত ডাটা থেকে সময়োপযোগী এবং সঠিক তথ্য প্রদান করে জ্ঞাত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সমর্থন করবে। বিভিন্ন মিশনের নথি থেকে মূল তথ্য বের করা এবং বিশ্লেষণ করার জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় সমাধান এনে দেবে, যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জ্ঞাত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে দক্ষতা, নির্ভুলতা এবং মাপযোগ্যতা উন্নত করতে পারবে।
এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: www.challenge.gov.bd. উদ্ভাবনী আইডিয়া জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামী ১৯ এপ্রিল ২০২৩।
অনুষ্ঠানে ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-এর প্রক্রিয়া সম্পর্কে উপস্থাপনা প্রদান করেন এটুআই ইনোভেশন ফান্ড এক্সপার্ট জনাব নাঈম আশরাফী এবং কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক (এএনএন) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য সুবিধাগুলোর উপর উপস্থাপনা প্রদান করেন এটুআই-এর একশপের টেকনোলোজি প্রধান জনাব সোহেল রানা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আইসিটি) ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের অন্যান্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিদেশস্থ ৮১টি বাংলাদেশ দূতাবাস অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
চালু এআই কোটি টাকা ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ
মন্তব্য করুন
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার ফলে বাংলাদেশ একটি ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য কাগজের মূদ্রাহীন সমাজ গড়ে তোলা। ডিজিটাইজেশনের ফলে ২০০৯ সালের পর থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং দেশের সাধারণ মানুষের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি সেবায় রূপান্তরিত হয়েছে।’
মন্ত্রী মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের ক্যাশ আউট এবং টাকা পাঠানোর খরচ যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে এনে গ্রাহক স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে ক্যাশলেস সোস্যাইটির অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিত ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
রোববার (১৯ মার্চ) মন্ত্রী ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটণকর্পোরেশন হলে ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে নারী গৃহকর্মীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং নারী নিয়োগদাতাদের ভূমিকা শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর নির্বাহী পরিচালক রোকসানা সুলতানা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্মসচিব নাহিদ সুলতানা মল্লিক, বেসরকারি সংস্থা নারী মৈত্রির কর্মকর্তা শাহীন আক্তার জলি বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী।
ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণের ফলে দেশে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইস হওয়ায় এমএফএস এর মাধ্যমে ক্যাশলেস সোস্যাইটির দিকে বাংলাদেশ দ্রুত ধাবিত হচ্ছে।’
ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষের কাছে ইন্টারনেটের চাহিদা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বেড়ে চলেছে উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, ‘১৯৯৭ সালে চারটি মোবাইল অপারেটরকে দেশে মোবাইল সেবা প্রদানের অনুমতি প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে মোবাইল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেটের চাহিদা ছিল মাত্রা সাড়ে সাত জিবিপিএস এবং ব্যবহারকারি ছিল মাত্র মাত্র ৮ লাখ। বর্তমানে ৪১০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ব্যবহারকারির সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। ২০৩০ সালে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইদথের চাহিদা ৩০ হাজার জিবিপিএস অতিক্রম করতে পারে। তিনি বলেন স্বল্প আয়ের মানুষের নিকট স্মার্টফোন সহজলভ্য করতে সহজ কিস্তিতে স্মার্টফোন সরবরাহ করার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন মানব সম্পদ গড়ে তোলা।’
মন্ত্রী নারী গৃহকর্মীদের মধ্যে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রচলন করায় বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবা সংক্রান্ত মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও তাদের সহযোগী ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সসহ অন্যান্য সংস্থার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি একটি ভাল উদ্যোগ। ডিজিটাল যন্ত্র দক্ষতার সাথে চালাতে পারলে তারা নিজেদেরকে উদ্যোক্তায় রূপান্তর করতে পারে।’
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের পথ প্রদর্শক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে সরকার কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশের মূল স্তম্ভ হচ্ছে স্মার্ট মানুষ।
শাহীন আনাম ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে নারী গৃহকর্মীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নিয়োগকর্তা ও গৃহকর্মীদের উৎসাহিত করতে গৃহীত কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন অপরিহার্য।
রোকসানা সুলতানা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, মোবাইল ফিনান্সয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে গৃহকর্মীদের বেতন পরিশোধ তাদের কাজের স্বীকৃতির পাশাপাশি তাদের অর্জিত আয় নিরাপদ করবে।
নাহিদ সুলতানা মল্লিক গৃহকর্মীদের ডিজিটাল ডিভাইস সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট মানুষ অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানে গৃহকর্মী এবং তাদের নিয়োগ প্রদানকারী গৃহকর্তৃাগণ তাদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
দেশে টেক বেইজড ‘ন্যাশনাল হেলথকেয়ার ডাটাবেজ’ তৈরির বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আমেরিকান বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল কর্পোরেশন ও মেডট্রনিক পিএলসি এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওমর ইশরাকের নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধিদলের সাথে আইসিটি টাওয়ারের আইডিয়া ফ্লোরে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিসি সিয়াও এবং এলি কলিন্স বলেন, বার্ড নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে আমরা অনেক কিছু শিখছি। তবে সাধারণ মানুষের ফিডব্যাক নিয়ে প্রয়োজনে সেবার মান আরও উন্নত করা হবে। এদিকে ওপেন এআইয়ের চ্যাটজিপিটি কয়েক মাস আগে বাজারে আসে। এসে পুরো বিশ্বে দ্রুতই জনপ্রিয়তা পায়। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি তাদের সর্বশেষ ভার্সন জিপিটি ৪ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার ফলে বাংলাদেশ একটি ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য কাগজের মূদ্রাহীন সমাজ গড়ে তোলা। ডিজিটাইজেশনের ফলে ২০০৯ সালের পর থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং দেশের সাধারণ মানুষের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি সেবায় রূপান্তরিত হয়েছে।’