টেক ইনসাইড

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র: কতটা নিরাপদ হবে বাংলাদেশের প্রথম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

বাংলাদেশে পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা চুল্লি উদ্বোধন হচ্ছে রোববার। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর বা কমিশনিং প্রক্রিয়ায় এই চুল্লী স্থাপন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরমাণু বিজ্ঞানীরা রিএ্যাক্টর প্রেসার ভেসেলকে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের `হার্ট বা হৃৎপিণ্ড` বলে থাকেন।

রূপপুরের এই পারমাণবিক চুল্লি নির্মিত হয়েছে রাশিয়ায়। ভিভিআর-১২০০ মডেলের এই রিয়্যাক্টরে পরমাণু জ্বালানি পুড়িয়ে মূল শক্তি উৎপাদন হবে এবং ১২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। রূপপুরের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে ধারণা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

পরমানু বিজ্ঞানী এবং আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শহীদ হোসেন বলেন, "এই রিয়্যাক্টর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে বলা যায় কমিশনিং প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।"

রূপপুর কেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে একক প্রকল্প হিসেবে এটি সবচেয়ে বড় কোনো অবকাঠামো প্রকল্প। মহামারির মধ্যেও এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৫ হাজার শ্রমিক দিনরাত সেখানে কাজ করছেন।

কী নিয়ে এতো ভীতি ও উদ্বেগ?

জলবায়ু পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে বর্তমানে বিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তির ওপরে যে জোর দেয়া হচ্ছে পারমাণবিক শক্তি তার অন্যতম একটি উৎস। তবে এইসব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লীর নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় কিছুটা উদ্বেগ থেকেই যায়।

কারণ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনার ব্যাপারে একটা ভীতি সবসময় কাজ করে অনেকের মধ্যেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ ভয়ের প্রবণতা আছে বিশ্বব্যাপী।

আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থার সাবেক একজন বিজ্ঞানী ড. শহীদ হোসেন বিবিসিকে বলেন, "ভয়টা কমেনি। ভয়টা অনেক সময় না জানার কারণেও হয়।"

"যারা এসব কেন্দ্রের কাছে থাকে, তাদের মধ্যে ভয় কম কিন্তু দূরে যারা থাকে - দেখা যায় তাদের ভয় বেশি। আর যেহেতু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়েক স্তরে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়, এ কারণেও অনেকে চিন্তা করেন নিরাপদ যদি হবে, তাহলে এত নিরাপত্তা বলয় কীসের জন্য।"

মি. হোসেন জানান, "এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অনেক মতবাদ আছে যেমন রিয়্যাক্টরকে কখনোই বিশ্বাস করা যাবে না। এসব কারণেও ভীতি কমেনি।"

নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

সবশেষ ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনাসহ বিশ্বে এ পর্যন্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তিনটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। পারমাণবিক কেন্দ্রে দুর্ঘটনায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়লে দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব থাকে বলেই বিশ্বব্যাপী পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে ভয় এবং আতঙ্ক।

তবে ফুকুশিমায় দুর্ঘটনার পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঝুকি কমাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। রাশিয়ার ভিভিআর ১২০০ মডেলের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা রোধে ৫টি স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা রয়েছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোন ছাড় দিচ্ছে না বাংলাদেশ।

"প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট অবস্থান হলো অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে হলেও নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। যে কারণে নিরাপত্তাকেই আমার সবচেয়ে গুরত্ব দিয়েছি।"

মি. ওসমান বলেন, "আমরা এখানে কো-ক্যাচার নামে একটি বাড়তি জিনিস লাগিয়েছি যেটা ফুকুশিমার ঘটনার পর আবিস্কৃত হয়ে অলরেডি চালু হয়ে গেছে। নতুন যে প্ল্যান্ট হয়েছে দুটোতে এই ব্যবস্থা লাগানো হয়েছে আমাদেরটি তৃতীয়।"

কো-ক্যাচার ব্যবস্থা সম্পর্কে মি. ওসমান ব্যাখ্যা করে বলেন, "কো-ক্যাচার বসানো হয়েছে খোদা না চায় যদি ওরকম কোন ঘটনা ঘটেও তাহলে পুরো দূষিত জিনিসটা গলে নিচে পড়ে যাবে। "

"একটা কুয়ার মতো যেটার মধ্যে পড়ে ওটা সিল হয়ে যাবে। অর্থাৎ তেজস্ক্রিয়তা ছড়াবে না। এবং এটার স্লোগানই হলো মেইক মোর সেইফ, মোর সেইফ অ্যান্ড মোর সেইফ। এবং আমরাতো একেবারে লেটেস্টটাই নিচ্ছি।"

প্রতিটি পর্যায়ে দরকার তদারকি ও মান যাচাই - বিশেষজ্ঞ

বর্তমান প্রযুক্তির পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিজ্ঞানীদের অনেকেই আশ্বস্ত। তবে নির্মাণের প্রতিটি পর্যায়ে মান যাচাই এবং তদারকি প্রয়োজন রয়েছে।

ভিয়েনায় অবস্থানরত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. শহীদ হোসেন বলেন, "মেইন ইস্যুগুলো যেমন এই প্রেসার ভেসেল একটা মেইন ইস্যু, তারপরে পাম্প আছে অনেক, পাম্পের অনেক ভালভ আছে, সেসব জিনিসগুলো আমাদের দেখতে হবে তৈরির সময় ঠিকমতো তৈরি হচ্ছে কিনা। তাতে কোন ফল্ট আছে কিনা।"

"সেগুলোর জন্য আমাদের লোকতো এত পারদর্শী নয়, তাই আমাদের আবার সাহায্য নিতে হচ্ছে রাশিয়ার কাছ থেকেই। "

তবু যে চ্যালেঞ্জগুলো থেকেই যায়

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম এ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভবিষ্যতের কিছু চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বলেন, এগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা প্রয়োজন।

"পাওয়ার প্ল্যান্ট রেডি করে রাখলাম, কিন্তু গ্রিডের ফ্রিকোয়েন্সির হেভি ফ্লাকচুয়েশনের কারণে যদি আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র না চালাতে পারি, সেটাও চ্যালেঞ্জ হতে পারে।"

তিনি বলেন, "তাহলে গ্রিড সেভাবে নির্মিত হচ্ছে কি হচ্ছে না? অপারেটর তৈরি করা একটা চ্যালেঞ্জ, ফুয়েল হ্যান্ডলিং, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট একটা চ্যালেঞ্জ। এছাড়া ইমারজেন্সি রেসপন্স - এগুলোর জন্য রেগুলেটর বডিতে যারা আছেন, তাদেরকে আরো দক্ষ হতে হবে, অভীজ্ঞ হতে হবে।"

এদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে পরিবেশ বান্ধব হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বর্তমান বিশ্বে একদিকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরে আসার প্রবণতা যেমন আছে, আবার জলবায়ু পরিবর্তনের ঠেকাতে পরমাণুকে তেল কয়লার মতো ফসিল ফুয়েলের বিকল্প জ্বালানি হিসেবেও দেখছে অনেক দেশ।

রূপপুরের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরো একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশের। সূত্র: বিবিসি বাংলা



মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

প্রতিনিয়ত সক্রিয় ব্যবহারকারী হারাচ্ছে এক্স

প্রকাশ: ০৯:১০ পিএম, ০১ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্ম এক্স দিন দিন সক্রিয় ব্যবহারকারী হারাচ্ছে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য জানিয়েছে এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো। 

গত বছরের শেষ দিকে চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটারের মালিকানা কিনে নেন ইলন মাস্ক। পরে এটির নাম পরিবর্তন করে রাখেন এক্স। এরপর থেকেই ক্রমে ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমছে এ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির।

বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে এক্সের সক্রিয় ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ২২ কোটি ৫০ লাখ যা মাস্কের মালিকানা গ্রহণের পর কমেছে প্রায় ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। 

অনলাইন সংবাদমাধ্যম ম্যাশাবেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাস্কের মালিকানায় আসার পর দৈনিক প্রায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ সক্রিয় ব্যবহারকারী হারাচ্ছে এক্স।

ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমার পাশাপাশি এক্স এর লভ্যংশেও এর প্রভাব দেখা গেছে। সাইটটিতে আগের তুলনায় কমছে বিজ্ঞাপনের সংখ্যা। তবে আগামী বছরে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো।

এক্স  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

আজ গুগলের ২৫তম জন্মদিন

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেখতে দেখতে ২৫ বছর হয়ে গেলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের। আজ, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গুগলের ২৫তম জন্মদিন। এ উপলক্ষ্যে গুগল বিশেষ ডুডল তৈরি করেছে। এই ডুডলে গুগলের শুরুটা হয়েছিল কীভাবে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ই-কমার্স, ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে এখন ১ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি গুগল।

১৯৯৮ সালে ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিনের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের। বিশ্বে বিভিন্ন ডেটা সেন্টারে এক মিলিয়ন সার্ভার চালায় গুগল। দিনে পাঁচশো কোটির বেশি অনুসন্ধানের জবাব দেয় এই গুগল।

মজার ব্যাপার হলো, গুগল সার্চ ইঞ্জিনের শুরুতে নাম রাখা হয়েছিল গুগোল (googol)। কিন্তু কোম্পানি নিবন্ধনের সময় বানান ভুল হওয়ার কারণে এর নাম গুগল (Google) হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে গুগল এক লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। সেই বিনিয়োগ করেছিলেন সান মাইক্রোসিস্টেমের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি বেসটোলসহাইম।

সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে আরও নতুন নতুন ফিচার নিয়ে গ্রাহকের কাছে হাজির হয়েছে গুগল। গুগলের পণ্য ও সবার মধ্যে রয়েছে ই-মেইল সেবা জিমেইল, মানচিত্র ওয়েজ ও ম্যাপস, ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা ক্লাউড, ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার ক্রোম, ভিডিও দেখার ওয়েবসাইট ইউটিউব, ওয়ার্কস্পেস, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, ক্লাউডে তথ্য সংরক্ষণের ড্রাইভ, অনুবাদের জন্য ট্রান্সলেট, ছবি রাখার জন্য ফটোজ, ভিডিও কল করার মিট, স্মার্ট বাড়ির জন্য নেস্ট, পিক্সেল স্মার্টফোন, পরিধেয় প্রযুক্তি পিক্সেল ওয়াচ ও ফিটবিট, গান শোনার ওয়েবসাইট ইউটিউব মিউজিক, ভিডিওর জন্য ইউটিউব টিভি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, মেশিন লার্নিং এপিআই টেনসরফ্লো, এআই চিপস টিপিইউ।

প্রায়ই নিত্যনতুন ফিচার নিয়ে আসছে এই প্রযুক্তি গুগল। অচিরেই হয়তো আবারও নতুন কিছু নিয়ে হাজির হয়ে যাবে।


ইন্টারনেট   তথ্য প্রযুক্তি   প্রযুক্তি   গুগল   জন্মদিন  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

এখন থেকে কথা বলা যাবে চ্যাটজিপিটি-এর সাথে

প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

এখন থেকে চ্যাটজিপিটি -এর সাথে কথাও বলা যাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত এ চ্যাটবট সব কথাবার্তা শুনতে পারবে। জনপ্রিয় চ্যাটবট-এর পিছনের স্টার্টআপ ‘ওপেনএআই’, গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণায় বলা হয়েছে যে এতে নতুন বৈশিষ্ট্যগুলি সংযুক্ত করা হয়েছে যাতে ব্যবহারকারীরা চ্যাটজিপিটি-এর সাথে কথা বলতে পারে।

সোমবার একটি কোম্পানির ব্লগ পোস্টে, ওপেনএআই জানায় যে কীভাবে এই নতুন বৈশিষ্ট্যটি "পরিবারের জন্য একটি শয়নকালীন গল্পের অনুরোধ করতে বা ডিনার টেবিলের বিতর্ক নিষ্পত্তি করতে" ব্যবহার করা যেতে পারে।

এদিকে ওপেনএআই -এর নতুন ভয়েস বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে বর্তমানে অ্যামাজনের এর অ্যালেক্সা বা অ্যাপেলের ছিরি ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টদের গুলির সাথে মিল রয়েছে৷

ওপেনএআই দ্বারা শেয়ার করা নতুন আপডেটের একটি ডেমোতে দেখা যায়, একজন ব্যবহারকারী চ্যাটজিপিটি--কে "ল্যারি নামের সুপার-ডুপার সূর্যমূখী তেল" সম্পর্কে একটি গল্প নিয়ে কথা বলতে বলেন। দেখা যায় যে, চ্যাটবট উচ্চস্বরে মানব শব্দযুক্ত কণ্ঠস্বরে একটি গল্প বর্ণনা করতে সক্ষম যা এইসব প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারে। যেমন, "তার বাড়িটি কেমন ছিল?" এবং "তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু কে?"

ওপেনএআই ব্লগপোস্টে বলেছে, চ্যাটজিপিটি -এর ভয়েস ক্ষমতা একটি নতুন টেক্সট-টু-স্পিচ মডেল দ্বারা চালিত, যা কোনো লেখা থেকে মানুষের মতো অডিও তৈরি করতে পারবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। সংস্থাটি যোগ করেছে যে এটি পেশাদার ভয়েস অভিনেতাদের সাথে পাঁচটি ভিন্ন ভয়েস তৈরি করতে সহযোগিতা করেছে, যা চ্যাটবটকে অ্যানিমেট করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

জানা গেছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অ্যাপটিতে নতুন বৈশিষ্ট্যগুলি যুক্ত করা হবে চ্যাটজিপিটি প্লাস এবং এন্টারপ্রাইজ পরিষেবার অর্থপ্রদানকারী সাবস্ক্রাইবারদের জন্য (প্লাস পরিষেবার সদস্যরা প্রতি মাসে ২০ ডলার এবং এর এন্টারপ্রাইজ পরিষেবা বর্তমানে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক ক্লায়েন্টদের জন্য দেওয়া হচ্ছে)।


চ্যাটজিপিটি   ওপেনএআই  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

সামনে এল এআই প্রযুক্তির আরও ভয়ংকর রূপ, ছড়িয়ে পড়ছে ডিপফেক!

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই প্রযুক্তি নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। বেশ কয়েক বছর ধরেই বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এই এআই প্রযুক্তি। তবে যেকোনো সময়ই এটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে- এমন শঙ্কা আগে থেকেই করে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। অতীতে বিভিন্ন ঘটনায় এর প্রমাণও হয়েছে। এবার প্রকাশ্যে এলো আরো ভয়ঙ্কর তথ্য। এআই প্রযুক্তি দিয়ে মানুষের হাইপার-রিয়ালিস্টিক প্রতিরূপ তৈরির প্রযুক্তি ডিপফেক ক্রমশ বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

স্পেনের বাদাহো প্রদেশে এআই দিয়ে তৈরি অপ্রাপ্তবয়স্কদের নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর ডিপফেকের ভয়াবহ প্রভাব আবারও সামনে এসেছে। ইউরোপিয়ান টেলিকমিউনিকেশনস স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট (ইটিএসআই) ভুয়া কনটেন্ট তৈরিতে এআই ব্যবহারের ক্রমশ সহজলভ্যতার বিষয়ে সতর্ক করেছে।

এক প্রতিবেদনে এটি জানিয়েছে, এআই ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তির সম্মানহানি থেকে শুরু করে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা বা জনমত পরিবর্তনে প্রচারণা চালানো সবই করা সম্ভব।

২০১৯ সালে ডিপট্রেস নামক একটি প্রতিষ্ঠান ডিপফেক নিয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারা ইন্টারনেটে প্রায় পাঁচ লাখ ভুয়া ফাইল খুঁজে পায়। কোম্পানিটির আগের প্রতিবেদনের তুলনায় ওই বছরের প্রতিবেদনে অনলাইনে ডিপফেক ছড়িয়ে পড়ার হার প্রায় শতগুণ বৃদ্ধি বলে উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু এটি কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের তথ্য। ডিপফেক কনটেন্টের প্রকৃত পরিমাণ নিয়ে কারো ধারণা নেই। তবে জানা গেছে, ডিপফেক ভিডিওর ৯৬ শতাংশ পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত। আর বর্তমানে ছবি, কণ্ঠস্বর, লেখা, নথিপত্র, ফেসিয়াল রেকগনিশন এবং এসবের সমন্বয় এআই দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে।

বর্তমানে পর্নোগ্রাফি, জনমত বদলাতে ভুল তথ্য ছড়ানো, প্রকৃত কোনোকিছুকে ভুল প্রমাণ, ইন্টারনেট নিরাপত্তা আঘাত, নকল লেখক-অভিনেতা দিয়ে সিনেমা তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ডিপফেকের বেশি ব্যবহার হচ্ছে।

সূত্র: এল পাইস


ইন্টারনেট   ডিপফেক   এআই প্রযুক্তি  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা রোধে হটলাইন নম্বর চালু

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কয়েক ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় জমে থাকা পানিতে বৈদ্যুতিক লাইন ছিঁড়ে থাকলে অথবা যে কোনো দুর্ঘটনা রোধে হটলাইন নম্বর চালু করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বলা হয়েছে, রাস্তায় জমে থাকা পানিতে বৈদ্যুতিক লাইন ছিঁড়ে থাকলে বা কোনো দুর্ঘটনার আশংকা থাকলে হটলাইন ১৬৯৯৯ নম্বরে কল করে জানান।

এর আগে, মিরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের তিন জনসহ মোট চার জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুর মডেল থানার সিরাজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা হাজী রোড ঝিলপাড় বস্তির বিপরীত পাশে রাস্তার ওপর এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, প্রবল বৃষ্টিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তখন বজ্রপাত হলে পানিতে পরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পাঁচ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠালে চার জন মারা যান।

নিহতরা হলেন- মো. মিজান (৩০), তার স্ত্রী  মুক্তা বেগম (২৫), মেয়ে লিমা (০৭) এবং তাদের উদ্ধার করতে যাওয়া মোহাম্মদ অনিক (২০)। মিজানের আরেক ছেলে হোসাইন (০৭ মাস) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ এলাকার রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ বলেন, আজ রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে খবর আসে ঢাকা কমার্স কলেজ এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চার জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   দুর্ঘটনা   হটলাইন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন