মাইক্রোব্লগিং
সাইট টুইটারের প্রধান নির্বাহীর (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা
জ্যাক ডরসি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিনিয়োগকারী এবং মার্কিন আইনপ্রণেতা, বিশেষ করে রিপাবলিকানদের
তোপের মুখে পড়েন ডরসি। আর এই কারণে নিজ পদ থেকে সরে দাড়াতে পারেন তিনি।
গতকাল
সোমবার (২৯ নভেম্বর) ডরসির পদত্যাগের ঘোষণা আসে। তবে গত রোববার কোনো কিছুর উল্লেখ না
করেই ডরসি টুইটারে লেখেন, ‘আমি টুইটার ভালোবাসি।’
ডরসির
ঘোষণার আগেই মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানায়, তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। ওই খবরে
প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর খানিকটা বেড়েছিল।
ডরসির
স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পরাগ আগরওয়াল। তিনি এতদিন টুইটারের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা
(সিটিও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আগরওয়াল টুইটারে যোগ দেন ২০১১ সালে। ২০১৭ সালে তাঁকে
সিটিওর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অন্যাদের
সঙ্গে ২০০৬ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মটি গড়ে তোলেন এবং বিভিন্ন মেয়াদে
সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দুঃসময়ে টুইটারকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এর আগেও টুইটার-প্রধানের
পদ থেকে জ্যাক ডরসিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের
পর তাঁকে সিইওর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, তবে ২০১৫ সালে ফিরে আসেন তিনি। সেই থেকে
টুইটারের পাশাপাশি ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা স্কয়ারের সিইও হিসেবেও কাজ করছেন।
আর
সে কারণেই ডরসির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন টুইটারের কর্মী ও বিনিয়োগকারীরা। তাঁরা
মনে করেন টুইটারের চেয়ে স্কয়ার কিংবা অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রকল্পে বেশি সময় দেন ডরসি।
মনোযোগের এই ঘাটতির কারণেই টুইটারের শেয়ারদরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি কিংবা প্ল্যাটফর্মটিতে
উদ্ভাবনী সুবিধা যুক্ত হচ্ছে না বলে তাঁদের বিশ্বাস। বছর দেড়েক আগেও ডরসিকে টুইটার
থেকে সরানোর চেষ্টা করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
সিএনবিসির
খবরে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর টুইটারের সিইও হিসেবে ডরসির দায়িত্ব গ্রহণের
পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর বেড়েছে ৮৫ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৫ সালের ১৯
নভেম্বর স্কয়ারের আইপিওর পর থেকে এখন পর্যন্ত সেটির শেয়ারদর বেড়েছে ১ হাজার ৫৬৬ শতাংশ।
টুইটার
থেকে পদত্যাগের খবর জানিয়ে এক বিবৃতিতে ডরসি বলেন, ‘অবশেষে আমার চলে যাওয়ার সময় এল।’
সঙ্গে যোগ করেন, প্রতিষ্ঠানটির এখন এগিয়ে যাওয়ার সময়। পরাগ আগরওয়ালের নেতৃত্বে অগাধ
বিশ্বাস আছেন বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘আমি তাঁর দক্ষতা, হৃদয় এবং আত্মার জন্য গভীরভাবে
কৃতজ্ঞ। এবার তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার সময়।’
পদত্যাগের
ঘোষণা দিয়ে কর্মীদের কাছে পাঠানো ই-মেইলে ডরসি লেখেন, টুইটারকে তিনি প্রতিষ্ঠাতা-নেতৃত্বাধীন
প্রতিষ্ঠান করতে চান না যা সময়ের সঙ্গে অন্যতম দুর্বলতায় পরিণত হতে পারে।
টুইটারের পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন আসছে। বর্তমান চেয়ারম্যান প্যাট্রিক পিশেটের জায়গায় আসবেন সেলসফোর্সের প্রেসিডেন্ট ব্রেট টেইলর। প্যাট্রিক অবশ্য অডিট কমিটির প্রধান হিসেবে পর্ষদে থাকছেন। সদস্য হিসেবে ডরসিও থাকবেন, তবে ২০২২ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।