ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিন ও অন্য রুশ নেতাদের বিচার কি সম্ভব?

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ভ্লাদিমির পুতিনের নামে শুক্রবার (১৭ মার্চ ) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এরপর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট কি সত্যিই গ্রেফতার হবেন? তাকে কি আদৌ গ্রেফতার বা বিচারের সম্মুখীন করতে পারবে আইসিসি।

মুল প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ অবশ্য বলে দিয়েছেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। তারা এই প্রশ্নটিকে আপত্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন।

পুতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী?

রোম সংবিধির দুটি অনুচ্ছেদের অধীনে ইউক্রেনীয় শিশুদের সঙ্গে রাশিয়ার আচরণের জন্য পুতিনকে অভিযুক্ত করেছে আইসিসি। অভিযোগে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের বেআইনিভাবে নির্বাসন এবং রাশিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

একই অভিযোগে রাশিয়ার শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেকসেয়েভনা লভোভা-বেলোভার নামেও।

অভিযোগ রয়েছে, রুশ কর্তৃপক্ষ স্থানান্তরিত শিশুদের পালক পরিবারের সঙ্গে রেখেছে এবং তাদের রাশিয়ার নাগরিকত্ব দিয়েছে। এদের মধ্যে এমন শিশুও রয়েছে যারা বাবা-মায়ের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে বা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বা তাদের বাবা-মাকে আটক করার সময় আলাদা করা হয়েছে।

পুতিন কি গ্রেফতার হবেন?

যুদ্ধের যেসব সৈন্য অপরাধ করেন তাদের চিহ্নিত করা যত সহজ ততটাই কঠিন যেসব নেতাদের নির্দেশে তারা এটা করেন তাদের অভিযুক্ত করা।

কিন্তু আইসিসি যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার বিষয়টিকে অপরাধ হিসেবে আমলে নিতে পারে। এটা নুরেমবার্গ থেকেই এসেছে। যেখানে মস্কো মনোনীত বিচারক মনে করেছিলেন যে নাৎসি নেতাদের বিচার হওয়া উচিত শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে।

তবে আন্তর্জাতিক আইনের বিশ্লেষক প্রফেসর ফিলিপ স্যান্ডস বলেছেন, ১৯৯৮ সালে যে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী দেশ নয় রাশিয়া। fole আদালতের সিগনেটরি না হওয়ায় আইসিসি রাশিয়ার নেতাদের বিচার করতে পারবে না।

তাত্ত্বিকভাবে, নিরাপত্তা পরিষদ আইসিসিকে তদন্তের জন্য বলতে পারে। কিন্তু স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়া তাতে ভেটোও দিতে পারে।

তাছাড়া ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পুতিন গ্রেফতার হবেন, এমন সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ আইসিসির নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই। তাই এটি গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে চুক্তিবদ্ধ দেশগুলোর ওপর নির্ভর করে।

টাইমের প্রতিবেদন অনুসারে, নিকট ভবিষ্যতে আইসিসির চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী কোনো দেশে পুতিন যাওয়ার সম্ভাবনা কম। আর গেলেও তিনি যে গ্রেফতার হবেন, তেমন কোনো আশঙ্কা নেই বললেই চলে। কারণ, এর জন্য ওই দেশটিকে অবশ্যই পুতিনকে গ্রেফতারে আগ্রহী হতে হবে।

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কবেক কলেজের অধ্যাপক বিল বোরিং মনে করেন, পুতিন রাশিয়া ছেড়ে বেরোবেন না। আর বিশ্বে এমন কোনো সরকার নেই, যা তাকে রাশিয়া ছেড়ে বেরোতে বাধ্য করতে পারে।

ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিনিধিত্বকারী এ বিশেষজ্ঞ বলেন, আমি মনে করি না, তার (পুতিনের) ব্যক্তিগত পরিণতি ভোগ করার কোনো উপায় রয়েছে।

পরমাণু অস্ত্রের বিশাল মজুতসহ রাশিয়া এখনো বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ। তাদের শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা যেকোনো দেশের জন্য কঠিন পরিণতি ডেকে আনতে পারে, এটি সবাই খুব ভালো করেই জানে।

তাছাড়া আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের বহু নজির রয়েছে বিশ্বজুড়ে। দারফুর গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আইসিসি। কিন্তু এটি তার বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করতে পারেনি।

এমনকি, পুতিন ও তার মিত্ররা রাশিয়ায় ক্ষমতা হারানোর পরেও তাকে যে প্রত্যর্পণ করা হবে, সেই সম্ভাবনাও কম। এটি করতে গেলে বড় বাধার সম্মুখীন হবে নতুন সরকার। কারণ রাশিয়ার আইনে রুশ নাগরিকদের অন্য রাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও পুতিনকে গ্রেফতার না করে তার বিচার করবে না। কারণ অভিযুক্ত উপস্থিত না থাকলে তার অনুপস্থিতিতে বিচার পরিচালনা করে না আইসিসি।

তাহলে বিচারের অন্য কোন পথ আছে?

আইসিসির কার্যকারিতা বা আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ শুধু চুক্তির ওপর নির্ভর করে না। বরং এখানে রাজনীতি ও কূটনীতির ব্যাপার আছে। সে কারণেই অনেকে মনে করেন নুরেমবার্গের মতো এখানে সমাধান নিহিত কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক চুক্তির মধ্যে।

তারা ইউক্রেনে আগ্রাসনের অপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবানও জানিয়েছেন।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী

প্রকাশ: ১১:৪১ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী দিমিত্রি বুলগাকভকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) তাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। 

দিমিত্রি বুলকাভ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রসদ বিভাগের প্রধান ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পদচ্যুত করা হয় তাকে। তারপর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বস্তুত, দিমিত্রি বুলগাকভের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারিগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল রুশ প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী তিমুর ইভানভের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে পদচ্যুত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিমুর ইভানভ সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

তারপর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঁচজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সর্বশেষ গ্রেপ্তার হলেন বুলগাকভ। তার গ্রেপ্তারের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও সামরিক খাতকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।

৬৯ বছর বয়সী বুলগাকভ রুশ সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের একজন ছিলেন। সেনাবাহিনীতে তার বেশ প্রভাব ছিল। সামরিক খাতে অবদানের জন্য বেশ কিছু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘হিরো অব রাশিয়া’-ও পেয়েছেন তিনি। 


দুর্নীতি   গ্রেপ্তার   রাশিয়া   প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আপত্তি তুলে নিল যুক্তরাজ্য

প্রকাশ: ১১:৩১ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় বাধা দেবে না যুক্তরাজ্য। যদিও এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো যুক্তরাজ্যও আইসিসির এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছিল। তবে সদ্য বিদায়ী কনজারভেটিভ সরকারের এই অবস্থান থেকে সরে এসে এই আপত্তি প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সরকার। খবর আলজাজিরার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, আইসিসির আবেদন জমা দেয়ার বিষয়ে...আমি নিশ্চিত করতে পারি যে সরকার আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের সঙ্গে মিল রেখে কোনো ব্যবস্থা নেবে না। এই বিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনের বরাতে এই বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে আলজাজিরা। ব্রিটিশ সরকারের ইসরায়েল নীতির বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন দুটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানায় নিউইয়র্ক টাইমস।

গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে এরই মধ্যে ৩৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এরপরও ইসরায়েলকে অন্ধের মতো সহায়তা দিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত মে মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। এই দুজন ছাড়াও ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার সময় কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের তিন নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন তিনি।


ইসরায়েল   বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু   যুক্তরাজ্য   আইসিসি   কিয়ার স্টারমার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দুর্নীতির অভিযোগে রাশিয়ার সাবেক উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:১৯ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী দিমিত্রি বুলগাকভকে গ্রেপ্তার করেছে। রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

দিমিত্রি বুলগাকভ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রসদ বিভাগের প্রধান ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগের পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে পদচ্যুত করা হয় এবং পরবর্তীতে তদন্ত শুরু হয়। এফএসবির এক কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইন্টারফ্যাক্সকে জানান।

দিমিত্রি বুলগাকভের দুর্নীতির ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বড় ধরনের কেলেঙ্কারিগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুর্নীতির অভিযোগে রুশ প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী তিমুর ইভানভকে পদচ্যুত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিমুর ইভানভ সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরও পাঁচজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুলগাকভ তাদের মধ্যে সর্বশেষ।

বুলগাকভের গ্রেপ্তারের পর ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও সামরিক খাতকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ৬৯ বছর বয়সী বুলগাকভ রুশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের একজন ছিলেন এবং সেনাবাহিনীতে তার যথেষ্ট প্রভাব ছিল। সামরিক খাতে অবদানের জন্য তিনি বহু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন, যার মধ্যে রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা 'হিরো অব রাশিয়া'ও রয়েছে।


রাশিয়া   দুর্নীতি   উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীন-রাশিয়ার যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া আমেরিকা-কানাডার

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চীন ও রাশিয়ার চারটি যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া দিয়েছে আমেরিকা ও কানাডার যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নর্থ আমেরিকান অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড (এনওআরএডি) এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার ধাওয়া দিয়ে চীন ও রাশিয়ার সামরিক বিমানগুলোকে আলস্কার আকাশসীমার পাশ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এনওআরএডি বলছে, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান দুটি টিইউ-৯৫ মডেলের ছিল। চীনা যুদ্ধবিমান দুটি ছিল পিআরসি এইচ-৬ মডেলের। শনাক্ত করার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার যুদ্ধবিমান গিয়ে সেগুলোকে ধাওয়া দেয়।

তবে চীন ও রাশিয়া যুদ্ধবিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি এবং সেগুলোকে হুমকি হিসেবেও বিবেচনা করা হয়নি বলে জানিয়েছে এনওআরএডি।

এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রাশিয়া ও চীনের এসব যুদ্ধবিমান ওই এলাকায় যৌথ টহল দিতে গিয়েছিল। আলাস্কা সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টহল দিয়েছে যুদ্ধবিমানগুলো।

অন্যদিকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, আলাস্কার উপকূল সংলগ্ন বেরিং সাগরে রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত যৌথ টহলে যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছিল। সামরিক সম্পৃক্ততার বার্ষিক পরিকল্পনা মেনে টহল দেওয়া হয়েছে।


চীন   রাশিয়া   যুদ্ধবিমান   আমেরিকা   কানাডা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেন-হ্যারিসের যেসব অর্জন তুলে ধরলেন ট্রাম্প!

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।  যেখানে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়বেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  অন্যদিকে, জো বাইডেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন।  

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ব্যঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড পোষ্ট করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।  সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ট্রাম্পের ওই ফটোকার্ডে লেখা ছিল- বাইডেন হ্যারিসের যত অর্জন।  

এতে, তিনি পয়েন্ট আকারে যেসব বিষয় তুলে ধরেছেন তা হলো:

১. দেড় কোটি অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া

২. ইতিহাসের নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি 

৩. ৫০টি অঙ্গরাজ্যে গ্যাসের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি

৪. ভোক্তা ঋণের রেকর্ড 

৫. কারাগারে আটক বহু সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেয়া 

৬. ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ

৭. ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ

৮. বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার

৯. আকাশচুম্বী সহিংস অপরাধ

১০. গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জেলে পাঠানোর চেষ্টা 

১১. বাইডেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে চেপে যাওয়া 

১২. মার্কিন জ্বালানি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা 

১৩. K-12 শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় সর্বনিম্ন নম্বর প্রাপ্তি

১৪. বাইডেন-হ্যারিস ইতিহাসের সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট

এদিকে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে কথার লড়াইয়ে ব্যস্ত ট্রাম্প-হ্যারিস।  আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন দুই রাজনীতিক।  যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বুধবার এক নির্বাচনী সমাবেশে কমলা হ্যারিসকে পাগল বলে সম্বোধন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।


ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন   ভাইস প্রেসিডেন্ট   কমলা হ্যারিস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন