ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী কে এই রন ডিস্যান্টিস?

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ২৬ মে, ২০২৩


Thumbnail

অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন চাইবেন বলে ঘোষণা করেছেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস। তিনিই এখন রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। খবর বিবিসি।

ডিস্যান্টিস নিজেকে একজন ট্রাম্প-ঘরানার রক্ষণশীল রাজনীতিক হিসেবেই তুলে ধরেন, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যেসব বদনাম, সেগুলো থেকে নিজেকে আলাদা করে দেখান।

ডিস্যান্টিসকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বলে ভাবা হয়। রিপাবলিকান পার্টি থেকে এ পর্যন্ত যারা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ে নামার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ট্রাম্পই এখনো পর্যন্ত জনমত জরিপে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে সামনের বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রিপাবলিকান পার্টি তাদের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে।

রন ডিস্যান্টিস নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে নামবেন কিনা, তা নিয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল।

রন ডিস্যান্টিস কে?

রন ডিস্যান্টিস হচ্ছেন ফ্লোরিডার গভর্নর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন সাংস্কৃতিক রক্ষণশীলতার প্রশ্নে বেশ আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান পার্টির কট্টর রক্ষণশীলদের মধ্যে তিনি বেশ জনপ্রিয়, অনেকে তাকে রীতিমত রক-তারকার মতো ভক্তি করেন। তবে বামপন্থীরা তাকে একজন দক্ষিণ-পন্থী চরমপন্থী হিসেবে বর্ণনা করে।

একসময় তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার রাজনৈতিক গুরু মানতেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের বেশ অবনতি ঘটে। এখন রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য এই সাবেক গুরু-শিষ্যের মধ্যে জোর লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রন ডিস্যান্টিস তার প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় একেবারেই তরুণ, বয়স মাত্র ৪৪। তিনি রাজনীতিতেও বলতে গেলে নবাগত। তিনি হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০১২ সালে। মাত্র ছয় বছর পর ২০১৮ সালে তিনি ফ্লোরিডার গভর্নর নির্বাচিত হন।

ডিস্যান্টিসের জন্ম ১৯৭৮ সালে ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলে। তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বাস্কেটবল টিমের অধিনায়ক ছিলেন। পরে তিনি হার্ভার্ড ল স্কুলেও পড়েছেন। সেখানে দ্বিতীয় বর্ষে থাকার সময় তিনি মার্কিন নৌবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি নৌবাহিনীর আইন শাখা জাজ এডভোকেট জেনারেল (জ্যাগ) বিভাগে কাজ করেন। এই বিভাগে থাকার সময় তাকে গুয়ানতানামো বন্দী শিবিরের বন্দীদের নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। এছাড়া ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের যে নেভি সীলস টিম মোতায়েন করা হয়েছিল, তাদেরও আইন উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।

ডিস্যান্টিসকে ২০১০ সালে মার্কিন নৌবাহিনী থেকে সসম্মানে বিদায় দেওয়া হয়। তবে এরপরও তিনি নৌবাহিনীর একজন রিজার্ভ সেনা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরকম একটা সময়েই স্ত্রী কেসির সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। কেসি তখন স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের রিপোর্টার।

নৌবাহিনী থেকে অবসরে যাবার পর ডিস্যান্টিস একজন ফেডারেল কৌসুলি হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালে তিনি ফ্লোরিডার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। এটিকে ফ্লোরিডার সবচেয়ে বেশি রক্ষণশীল প্রভাবিত আসন বলে বিবেচনা করা হয়।

প্রথম যখন তিনি ফ্লোরিডার রাজনীতিতে নামেন, তখন তিনি ‘ছোট আকারের সরকার’ এবং কর কমানোর কথা বলে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন ওবামা প্রশাসনের এক কঠোর সমালোচক।

সরকার যে তার ভাষায় ‘শিশুদের শারীরিক স্থূলতা থেকে শুরু করে বিশ্বের তাপমাত্রা- সমস্ত বিষয়ে নাক গলাতে চায়’, সেটার কড়া সমালোচক ছিলেন  ডিস্যান্টিস।

কংগ্রেসে পাঁচ বছর কাজ করার পর ২০১৮ সালে তিনি কট্টর রক্ষণশীল কংগ্রেস সদস্যদের নিয়ে ‘ফ্রিডম ককাস’ নামে একটি গ্রুপ গঠন করেন। এসময় তিনি ফ্লোরিডার গভর্নর পদে দাঁড়ানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেন।

নির্বাচনে রন ডিস্যান্টিসের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব ছিল খুবই স্পষ্ট।

একটি নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে ডিস্যান্টিসকে তার নিজের সন্তানের সঙ্গে বিল্ডিং ব্লক নিয়ে খেলার সময় বলতে দেখা যায়, ‘বিল্ড দ্য ওয়াল’, অর্থাৎ দেয়াল তৈরি করো। এটি ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় এক বড় শ্লোগান। নিজের আরেক ছেলের সঙ্গে বই পড়ার রন ডিস্যান্টিসকে দেখা যায় ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ সাইনের সঙ্গে। এটিও ছিল ট্রাম্পের নির্বাচনী শ্লোগান। ছেলেকে বই পড়িয়ে শোনার একটা পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘তারপর ট্রাম্প বললেন, ইউ আর ফায়ারড- ঐ অংশটা আমার খুব মজা লেগেছে।’

ডিস্যান্টিস ফ্লোরিডার গভর্নর হিসেবে শপথ নেন ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে।

যেভাবে তিনি ফ্লোরিডায় কোভিড মহামারির মোকাবেলা করেন, সেজন্যে শুরুতেই তিনি জাতীয়ভাবে সবার নজর কাড়েন। মহামারির শুরুতেই তিনি পুরো রাজ্য জুড়ে লকডাউন জারি করেছিলেন, তবে শীঘ্রই আবার তিনি বিধি-নিষেধ তুলে নিতে থাকেন। ২০২০ সালের জুলাই মাসে যখন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, তখন তিনি ফ্লোরিডায় স্কুল খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন।

ফ্লোরিডায় তার পর থেকে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অধিকার, মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রশ্ন আরও কঠোর দক্ষিণপন্থী অবস্থান নেন, এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালান। তিনি ছয় সপ্তাহের বেশি গর্ভাবস্থায় গর্ভপাত নিষিদ্ধ করেন।

রন ডিস্যান্টিস ডিজনি কোম্পানির সঙ্গেও দীর্ঘ আইনি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এসবের ফলে তিনি সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বেশ আলোচিত হতে থাকেন।

তবে তার রাজনৈতিক পরিচিত এবং খ্যাতি যখন বাড়তে শুরু করে, তখন আবার সাবেক রাজনৈতিক গুরু ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। মি. ট্রাম্প বলতে শুরু করেন, ২০১৮ সালে রন ডিস্যান্টিস যে গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন, সেটা তার সমর্থনের কারণেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প রন ডিস্যান্টিসকে নিয়ে নানা অপমানসূচক মন্তব্যও করেন। তার বিভিন্ন নীতির কড়া সমালোচনা করেন।

সাম্প্রতিক কিছু জরিপে দেখা যায়, মি. ডিস্যান্টিস এখনো রিপাবলিকানদের মধ্যে জনপ্রিয়তার পাল্লায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় পিছিয়ে আছেন। মি. ডিস্যান্টিস অবশ্য বলার চেষ্টা করছেন যে, রিপাবলিকানদের হোয়াইট হাউজে ফিরিয়ে নিতে তিনিই হচ্ছেন সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী।

ডোনাল্ড ট্রাম্প   রন ডিস্যান্টিস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তাইওয়ানে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক চুক্তি সই পরিকল্পনা, চীনের হুঁশিয়ারি

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন সরকার একটি বাণিজ্যিক চুক্তি সই করার যে পরিকল্পনা করেছে তার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে চীন।

তাইপের (তাইওয়ান) সঙ্গে যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক লেনদেনের ব্যাপারে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়েছে বেইজিং।

বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং  বলেন, “চীনের সঙ্গে যেসব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে তাইওয়ানের সঙ্গে সেসব দেশের যে-কোনো ধরনের লেনদেনের বিরোধী বেইজিং।”

ওয়াশিংটন ও তাইপে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য করার লক্ষ্যে গতমাসে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। এক বছরেরও কম সময় ধরে আলোচনা শেষে তারা ওই সমঝোতায় পৌঁছে। ২০২১ সালে জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই প্রথম দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি সই করার ব্যাপারে সমঝোতা হলো।  

‘এক চীন’ নীতির অধীনে তাইওয়ানের ওপর সার্বভৌম ক্ষমতা রয়েছে চীনের। আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ‘এক চীন’ নীতি মেনে চলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু চীনকে দুর্বল করে ফেলার লক্ষ্যে ওই নীতি লঙ্ঘন করে সরাসরি তাইওয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে ওয়াশিংটন।

তাইওয়ান   যুক্তরাষ্ট্র   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজকীয় আয়োজনে বিয়ে করলেন জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail রাজকীয় আয়োজনে বিয়ে করলেন জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স।

রাজকীয় আয়োজন ও ধুমধাম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিয়ে করেছেন জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স হোসেন বিন আব্দুল্লাহ। সৌদি আরবের স্থপতি রাজওয়া আল সেইফকে নিজের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন যুবরাজ হোসেন বিন আব্দুল্লাহ। 

তাদের বিয়েতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশ্বের অন্যান্য দেশের রাজপরিবারের সদস্যরা। রাজকীয় এ বিয়েটি হয় রাজধানী আম্মানের মধ্য শতকের জাহরান প্রাসাদে। ঐতিহ্যগতভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ এ প্রাসাদেই বিয়ে হয়েছিল জর্ডানের বর্তমান রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ এবং রানি রানিয়ার। এছাড়া রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর বাবা সাবেক রাজা হোসেন বিন তালালের বিয়েও এই একই প্রাসাদে হয়েছিল।


নব দম্পতি হোসেন বিন আব্দুল্লাহ এবং রাজওয়া আল সেইফ দু’জনের বয়সই বর্তমানে ২৮ বছর। তাদের এ বিয়েতে মোট ১৪০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে রয়েছেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এবং ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন।

এছাড়া নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম-আলেক্সান্ডার রানি ম্যাক্সিমা, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং ক্রাউন প্রিন্সেস এলিজাবেথ, ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডরিক এবং ক্রাউন প্রিন্সেস ম্যারি এতে যোগ দিয়েছিলেন।


যুবরাজের বিয়ে নিয়ে জর্ডানের সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। নতুন দম্পতিকে কাছ থেকে এক নজর দেখতে অনেক মানুষ প্রাসাদের বাইরে ভীড় করেন।


মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদের দায়িত্বে রয়েছে রাজপরিবার। বর্তমান রাজা আব্দুল্লাহ দুইয়ের শাসন অবসান হলে আল-আকসার দায়িত্ব পাবেন ক্রাউন প্রিন্স হোসেন বিন আব্দুল্লাহ।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের তুলনায় জর্ডানের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে কিছুট অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা গেছে।

সূত্র: দ্য নিউ আরব, দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা


রাজকীয়   আয়োজন   বিয়ে   জর্ডান   ক্রাউন প্রিন্স  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিয়ের মঞ্চে বরের ফোনে এলো কিছু ছবি-ভিডিও, ওঠে গেলেন বর, তারপর....

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail বিয়ের মঞ্চে বরের ফোনে এলো কিছু ছবি-ভিডিও, ওঠে গেলেন বর, তারপর....

বিয়ের আসর। বসে আছেন বর ও কনে, শুরু হয়েছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও। হঠাৎই বেজে উঠল বরের মোবাইল ফোন। সেই ফোন পেয়েই বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে উঠে গেলেন বর। তার অভিযোগ, ফোনটি করেছেন কনের প্রাক্তন প্রেমিক। তাকে বিয়ে না করার জন্য হুমকি দিয়েছেন। এরপর কনের পরিবারের অনুরোধেও কাজ হয়নি। বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে বেরিয়ে যান তরুণ। ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরের।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, কনের বাড়ি সিদ্ধার্থনগরে। সম্প্রতি ওই তরুণের সঙ্গে তার বিয়ে স্থির হয়। নির্ধারিত দিনে বিয়ে করতে আসেন বর। বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়। মালাবদল হয়। এরপরই বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে বেরিয়ে যান বর। তিনি অভিযোগ করেন, তার মোবাইলে অপরিচিত নম্বর থেকে একটি কল আসে। ফোনে তাকে বলা হয়, ‘আপনি যাকে বিয়ে করছেন, সে আমার। বিশ্বাস করতে না চাইলে কিছু ছবি এবং ভিডিও, পাঠালাম, দেখুন।’ 

এরপরই তরুণের মোবাইলে কিছু ছবি এবং ভিডিও পাঠানো হয়।

তারপর বিয়ের বাকি অনুষ্ঠান শেষ না করে বেরিয়ে যান বর। বিয়ের আসর থেকে কেউ একজন থানায় ফোন করেন। ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। কনের পরিবার, গ্রামের প্রধানের সঙ্গে মিলে পুলিশ বরকে বোঝানোর চেষ্টা করে, বারবার অনুরোধ করে, যাতে বিয়েটা তিনি না ভাঙেন। যদিও লাভ হয়নি। বিয়ের আসর থেকে বরযাত্রীদের নিয়ে বেরিয়ে যান ওই তরুণ। যিনি বিয়ে ভাঙিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন কনের বাবা। ইতোমধ্যে সেই ‘প্রেমিক’ যিনি বরের মোবাইলে ছবি এবং ভিডিও পাঠিয়েছিলেন, তাকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্তের পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

সূত্র: ওড়িশা টিভি 


বিয়ের মঞ্চ   বর   ফোন   ছবি   ভিডিও  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘মা’য়ের ভুলে গরমে প্রাণ গেলো শিশুর!

প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail ‘মা’য়ের ভুলে গরমে প্রাণ গেলো শিশুর!

একজন নারী তার এক বছরের শিশুকে ভুল করে গাড়ির ভিতরে ফেলে রেখে অফিসে চলে গিয়েছিলেন। সেটি ছিল সকাল আটটার ঘটনা। বিকেল পাঁচটায় অফিস শেষ হয় তার। দীর্ঘ এই ৯ ঘণ্টা তার মনেই পড়েনি সন্তানের কথা। কাজ শেষে গাড়ির দরজা খুলতেই ধাক্কা খান ওই নারী। কারণ, এই সময়ে ওই শিশুটি তখনও ওই গাড়ির পিছনের সিটেই শুয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে তার দেহ নিথর হয়ে গেছে। এ ঘটনায় শিশুটির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।  ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ওই দেশের ওয়াশিংটনের পুয়ালাপে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।  

পুলিশ জানিয়েছে, অসহ্য গরমে বদ্ধ গাড়ির ভিতরের তাপমাত্রা প্রায় ১১০ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছুঁয়ে ফেলেছিল। ৯ ঘণ্টা ধরে ওই বদ্ধ গাড়ির গরমে থেকেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।

পুলিশ আরও জানায় জানায়, শিশুটিকে ভুলে গাড়িতে রেখেই কর্মক্ষেত্রে চলে যান ওই নারী। তবে তিনি তার জন্মদাত্রী মা নন। শিশুটির পালক-মা তিনি। পুয়ালাপের গুড সামারিটান হাসপাতালে ওই নারী একজন অস্থায়ী কর্মী। শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালেই কাজ করতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ভুলে সন্তানকে গাড়িতে ফেলে রেখেই কাজে চলে যান।

ফিরে এসে শিশুটিকে ওই অবস্থায় দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যান ওই নারী। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। 

সূত্র: সিএনএন


মা   ভুল   গরম   প্রাণ   শিশু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মঞ্চে হঠাৎ পড়ে গেলেন বাইডেন

প্রকাশ: ১০:৪৯ এএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

মঞ্চে হঠাৎ পড়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে ইউএস এয়ার ফোর্স একাডেমির স্নাতক অনুষ্ঠানে ডিপ্লোমা (ডিগ্রি) হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মঞ্চে হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে যান বাইডেন। এরপর নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে দু’হাত ধরে টেনে তোলেন।

তবে এ ঘটনায় তিনি কোনও আঘাত পাননি বা তার কোনও ক্ষতি হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

জো বাইডেনের বর্তমান বয়স ৮০ বছর। তিনিই আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক প্রেসিডেন্ট।

জানা গেছে, বাইডেন ওই অনুষ্ঠানে ৯২১ জন গ্রাজুয়েট ক্যাডেটের প্রত্যেকের সাথে করমর্দন করেছেন। এজন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তাকে পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল।

বাইডেন বর্তমানে ভাল আছেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক বেন লাবোল্ট ।

বৃহস্পতিবার বাইডেনের ‘হোঁচট ও পড়ে যাওয়ার’ বিষয়ে বেন লাবোল্ট টুইটারে লিখেছেন, “যখন প্রেসিডেন্ট করমর্দন করছিলেন, সেখানে মঞ্চে একটি বালির ব্যাগ ছিল।”

ওই অনুষ্ঠান শেষে হোয়াইট হাউসে ফেরার সময় হাস্যরত বাইডেন সাংবাদিকদের কাছে মজা করে বলেন, “আমি বালির বস্তায় আটকে গিয়েছিলাম।”

হোয়াইট হাউসের একটি প্রেস পুল রিপোর্টে বলা হয়, বাইডেন মঞ্চে চলাচলের সময় একটি কালো বালির ব্যাগে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন