ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সেনা সমর্থন পেয়েও যে কারণে ইমরানের চেয়ে পিছিয়ে নওয়াজ

প্রকাশ: ০৯:৪৬ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নানান ঘটন-অঘটনের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর শুক্রবার রাতে লাহোরে দলের সদর দপ্তরের বারান্দায় এলেন নওয়াজ শরিফ। পাকিস্তানের তিনবারের এই প্রধানমন্ত্রী বারান্দায় পা ফেলার সঙ্গে সঙ্গে আতশবাজি ফোটানো শুরু হলো। তাকে স্বাগত জানাতে সেখানে সেদিন সমবেত হয়েছিলেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ।

নওয়াজ কথা শুরু করেন সাম্প্রতিক সময়ে জনসমাবেশে তার বক্তৃতার পরিচিত ধরনে। শুরুতেই পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সমর্থকদের উদ্দেশে দলটির সুপ্রিমো বলেন, ‘তোমরা কি আমাকে ভালোবাসো?’ তখন সমস্বরে জবাব এল, ‘আমরা আপনাকে ভালোবাসি।’

গত বৃহস্পতিবার জাতীয় নির্বাচন হয়েছে পাকিস্তানে। নওয়াজের প্রতি তার সমর্থকদের এমন অকুণ্ঠ সমর্থনের সঙ্গে ২৪ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তান যে একাত্ম বোধ করে, নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলেছে সামান্যই। ভোটারদের ভোট দেওয়ার ধরন নির্বাচনী বিশ্লেষকদেরও অবাক করেছে।

জাতীয় নির্বাচনের এক মাস আগেও বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই পিএমএল-এন ক্ষমতায় আসছে। এতে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পাবেন ৭৪ বছর বয়সী বর্ষীয়ান রাজনীতিক নওয়াজ। এর বড় কারণ, একসময় পাকিস্তানে ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর চক্ষুশূলে পরিণত হওয়া নওয়াজ এবারের নির্বাচনে ছিলেন জেনারেলদের ‘আশীর্বাদপুষ্ট’।

নওয়াজ ও তার দলও জয়ের ব্যাপারে এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিল যে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাতে আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা ‘বিজয় ভাষণ’ দিয়ে দেন তিনি। এরপর ভোটের ফল আসতে থাকলে ‘পাশার দান’ উল্টে যেতে থাকে।

নির্বাচনবিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাজিদ নিজামি বলছেন, ‘ভোটের ফলাফলে দলগুলোর অবস্থান স্পষ্ট হতে থাকলে তা পিএমএল-এনকে বিস্মিত ও হতভম্ব করে। পিএমএল-এন যে ফল প্রত্যাশা করেছিল, তা পায়নি।’

নওয়াজের পিএমএল-এনের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত প্রায় অর্ধেক আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। জাতীয় পরিষদে ৭৫ আসন পাওয়া পিএমএল-এন পিটিআইয়ের স্বতন্ত্রদের চেয়ে ২০ আসন পিছিয়ে আছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক কয়েক মাসে পিটিআইকে ব্যাপক রাজনৈতিক ও আইনি হেনস্তার মুখে পড়তে হয়। জ্যেষ্ঠ নেতারা গ্রেপ্তার হন। অনেকে দৃশ্যত দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এমনকি দলীয় প্রতীক ‘ক্রিকেট ব্যাট’ও ব্যবহার করতে পারেনি পিটিআই। প্রার্থীরা লড়েছেন স্বতন্ত্র হয়ে।

তবে পিটিআই একমাত্র দল নয়, যারা এমন দমন–পীড়নের মুখোমুখি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক সালমান গনি বলেন, এই দমন–পীড়নের পেছনে সামরিক বাহিনী ও পিএমএল-এন ছিল বলে মনে করেন সাধারণ পাকিস্তানিরা। এই দুই পক্ষই ইমরান খানের জনপ্রিয়তাকে খাটো করে দেখে ভুল করেছিল।

সালমান গনি বলেন, ‘যখন একজন ব্যক্তি নিপীড়িত হন, তখন তার জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। আমরা নওয়াজের ক্ষেত্রেও বিষয়টি দেখেছি। যখন কারও দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখন সে পাল্টা জবাব দিতে মরিয়া চেষ্টা চালায়। পিএমএল-এন তা বুঝতে পারেনি।’

এ বিষয়ে একমত রাজনৈতিক বিশ্লেষক বদর আলমও। তিনি বলেন, ‘এমনকি একবারের জন্যও পিটিআইয়ের ওপর সহিংসতা ও নিপীড়নের নিন্দা করেনি পিএমএল-এন। প্রকৃতপক্ষে পিটিআইকে সম্পূর্ণভাবে বশে আনার ভূমিকা নিয়েছিল তারা। এটি পিএমএল-এনকে নিপীড়কের কাতারে দাঁড় করিয়েছে। এতে তাদের প্রতি জনগণ ক্ষুব্ধ হয়েছিল।’


ইমরান খান   নওয়াজ শরীফ   নির্বাচন   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেন-হ্যারিসের যেসব অর্জন তুলে ধরলেন ট্রাম্প!

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।  যেখানে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়বেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  অন্যদিকে, জো বাইডেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন।  

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ব্যঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড পোষ্ট করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।  সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ট্রাম্পের ওই ফটোকার্ডে লেখা ছিল- বাইডেন হ্যারিসের যত অর্জন।  

এতে, তিনি পয়েন্ট আকারে যেসব বিষয় তুলে ধরেছেন তা হলো:

১. দেড় কোটি অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া

২. ইতিহাসের নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি 

৩. ৫০টি অঙ্গরাজ্যে গ্যাসের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি

৪. ভোক্তা ঋণের রেকর্ড 

৫. কারাগারে আটক বহু সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেয়া 

৬. ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ

৭. ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ

৮. বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার

৯. আকাশচুম্বী সহিংস অপরাধ

১০. গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জেলে পাঠানোর চেষ্টা 

১১. বাইডেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে চেপে যাওয়া 

১২. মার্কিন জ্বালানি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা 

১৩. K-12 শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় সর্বনিম্ন নম্বর প্রাপ্তি

১৪. বাইডেন-হ্যারিস ইতিহাসের সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট

এদিকে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে কথার লড়াইয়ে ব্যস্ত ট্রাম্প-হ্যারিস।  আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন দুই রাজনীতিক।  যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বুধবার এক নির্বাচনী সমাবেশে কমলা হ্যারিসকে পাগল বলে সম্বোধন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।


ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন   ভাইস প্রেসিডেন্ট   কমলা হ্যারিস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কমলা হ্যারিসকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন বারাক ওবামার

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে আনুুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন বারাক ওবামা। কমলা হ্যারিসকে তিনি সমর্থন করবেন কিনা তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলে নানা জল্পনা কল্পনা। শেষ পর্যন্ত কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়েছে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটালেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসি 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সাবেক ফাস্ট লেডি মিশেল ওবামা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবি রাখেন। তার সেই দক্ষতা রয়েছে।’

গত রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর ডেমোক্রেটিক পার্টির শতাধিক শক্তিশালী নেতা কমলা হ্যারিসের সঙ্গে কথা বলেন। 

বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এক বিবৃতিতে তার প্রশংসা করেন ওবামা। কিন্তু সেখানে তিনি কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের বিষয়ে কিছু বলেননি। 

এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে ডেমোক্রেটিক দলের অধিকাংশ নেতার সমর্থন পেয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে কমলাকে আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আগামী মাসে দলের সম্মেলন রয়েছে। এই সম্মেলনে কে প্রেসিডেন্ট পদে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাচ্ছে তা ঘোষণা করা হবে। 

শুক্রবারের ওই বিবৃতিতে ওবামা বলেন, কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের ক্ষেত্রে তারা অধিক উত্তেজিত নয়। তবে কমলার নির্বাচনে জয় লাভের জন্য তারা (বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা) সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। 


বারাক ওবামা   কমলা হ্যারিস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তাপপ্রবাহ মহামারির চেহারা নিতে চলেছে: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৫:১১ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

তাপপ্রবাহ এখন বন্যা অথবা ঝড়ের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। তাপমাত্রার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ কার্যত মহামারির চেহারা নিয়েছে। তার বক্তব্য, গত সোমবার ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম দিন। তার আগের দিনও ছিল ভয়াবহ গরম।

সোমবার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের প্রধান।

গুতেরেসের বক্তব্য, বন্যা কিংবা ঝড় দেখতে পাওয়া যায়। তাপপ্রবাহ দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এই তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বিপজ্জনক। মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে তাপপ্রবাহ। ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ এর মধ্যে প্রতি বছর শুধুমাত্র তাপপ্রবাহের জন্য মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৮৯ হাজার মানুষের। সেখানে প্রতি বছর সাইক্লোনের জন্য় মৃত্যু হয়েছে গড়ে ১৬ হাজার মানুষের।

গুতেরেস এদিন বলেছেন, এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ এড়িয়ে চলার জন্য সকলের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে নজর দেওয়া দরকার ছোটদের দিকে, বৃদ্ধদের দিকে এবং অসুস্থ মানুষদের দিকে।

এই তাপপ্রবাহের জন্য় খাদ্য-সুরক্ষা ব্য়বস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খরা হচ্ছে। খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা বার্তা যেন আরও ভালোভাবে যাতে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হলে কৃত্রিমভাবে ঠান্ডার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং সর্বোপরি, তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য় শহরের পরিকাঠামোগত বদল করতে হবে। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে হবে।

২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনশূন্য পরিবেশের কথা বলেছে জাতিসংঘ। গুতেরেস জানিয়েছেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়তো সম্ভব হবে।

পৃথিবীর ৫৭টি দেশে যদি তাপপ্রবাহের সতর্কতা ব্য়বস্থার উন্নতি ঘটানো যায়, তাহলে বছরে অন্তত ৯৮ হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব বলে এদিন জানিয়েছেন গুতেরেস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য নিয়েই এই হিসেবে পৌঁছানো গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


তাপপ্রবাহ   জাতিসংঘ   আন্তোনিও গুতেরেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জামায়াতে ইসলামি পাকিস্তান, জামিয়াত উলেমা ই ইসলাম-ফজলসহ (জেইউআই-এফ) বিভিন্ন ইসলামি দল এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভ ও আন্দোলন কর্মসূচির জেরে ফের অস্থিরতা শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানী ইসলামাবাদ এবং পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশজুড়ে বিদ্যুতের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে পাকিস্তানের সরকার। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কোরআন অবমাননার দায়ে বন্দি জনৈক পাকিস্তানি নাগরিক মোবারক সানি মামলার রায় পুনর্বিবেচনা করার হবে বলে ঘোষণা করেছেন।

এই দুই ইস্যুকে ঘিরে কয়েক দিন ধরে থেকেই বিক্ষোভ করছিল জামায়াতে ইসলামি, জেইউআইএফ এবং অন্যান্য ইসলামি দলগুলো। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই কর্মসূচি ঘোষণা করার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশ।

এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার।

এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বলা হয়েছে, ‘শুক্রবার থেকে রাজধানীতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ১৪৪ জারি করা হলো। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। জনসাধারণকে কোনো অবস্থাতেই ১৪৪ ধারা লঙ্ঘণ না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জননিরাপত্তার স্বার্থে পাঞ্জাব প্রদেশের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করা করা হয়েছে। জনগণকে সরকারের এই আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়- এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে প্রাদেশিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।”

এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি সংযোগ সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ, সেই সঙ্গে শহরজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল চলছে।

পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামি, জেইউআইএফ এবং পিটিআইয়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে এসব দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করতে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১শ’ ছাড়িয়ে গেছে।


বিক্ষোভ   পাকিস্তান   ইসলামাবাদ   পাঞ্জাব   ১৪৪ ধারাl জারি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধাপরাধী হিসেবে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা উচিত: হামাস

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।

এমনকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উঠেছে গণহত্যার অভিযোগও। এমন অবস্থায় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা উচিত বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

একইসঙ্গে নেতানিয়াহুকে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণের সুযোগ দেওয়ারও সমালোচনা করেছে গোষ্ঠীটি। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আমেরিকান কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার সুযোগের নিন্দা করে হামাস বৃহস্পতিবার বলেছে, তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।

মূলত নেতানিয়াহু গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে একটি বক্তৃতা দিয়েছেন। তার সেই ভাষণের সময় হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সিনেটের প্রায় অর্ধেক ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন এবং অপরাধের প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেছিলেন।

পরে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিশ্বের সামনে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার সুযোগ দেওয়ার পরিবর্তে এবং গাজায় গণহত্যা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ ঢেকে দেওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার পরিবর্তে নেতানিয়াহুকে একজন যুদ্ধাপরাধী হিসাবে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল এবং তাকে আইসিসি (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) এর কাছে হস্তান্তর করা উচিত ছিল।’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, ‘নেতানিয়াহুর বক্তৃতা তার সামরিক, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সংকটের গভীরতাই প্রতিফলিত করেছে।’

হামাস নেতানিয়াহুকে রাফাহ এবং নুসেইরাতের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ উপেক্ষা করার পাশাপাশি অনেক বন্দিকে মুক্ত করার মতো মিথ্যা বিজয়ের দাবি করার বিষয়েও অভিযুক্ত করেছে।

প্রসঙ্গত, নেতানিয়াহু গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সাথে দেখা করেন। এছাড়া ইসরায়েলে ফেরার আগে শুক্রবার ফ্লোরিডায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করার কথাও রয়েছে তার।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় চলমান আগ্রাসনে প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আরও ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই বর্বর আগ্রাসনে আহত হয়েছেন।


যুদ্ধাপরাধী   গ্রেপ্তার   হামাস   ইসরায়েল. প্রধানমন্ত্রী   বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন