ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া (ইএসসি) নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্রীর (ভেলেডিক্টোরিয়ান) সমাবর্তন বক্তৃতা বাতিল করেছে। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্টের কার্যালয় থেকে ই–মেইলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শিক্ষাজীবনে ভালো ফল ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়তার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একজনকে ভেলেডিক্টোরিয়ান স্বীকৃতি দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তিনিই বক্তৃতা দেন।
এ বছর আসনা তাবাসসুম ইউএসসির ভেলেডিক্টোরিয়ান নির্বাচিত হয়েছিলেন। বায়োমেডিক্যাল প্রকৌশল বিভাগের এই শিক্ষার্থীর সিজিপিএ ৪.০–এর মধ্যে ৩.৯৮।
আসনা তাবাসসুমের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের ‘বায়ো’তে ফিলিস্তিনপন্থী একটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেওয়া। মূলত এ ‘অভিযোগেই’ ইসরায়েলপন্থি শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের একাংশ তাকে ভেলেডিক্টোরিয়ান নির্বাচিত করার পর থেকেই বিরোধিতা করে আসছিল। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাবাসসুম বক্তৃতা দিলে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন কারণ দেখিয়ে তার অংশটি বাতিল করেছে ।
বিশ্ববিদ্যালয় বিবৃতি প্রকাশের পর আসনা তাবাসসুমও নিজের মতামত জানিয়েছেন। কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস-লস অ্যাঞ্জেলেসের (সিএআইআর-এলএ) মাধ্যমে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে তাবাসসুম বলেন, ‘ইউএসসির ২০২৪ সালের ভেলেডিক্টোরিয়ান নির্বাচিত হয়ে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। এটা আমার পরিবার, বন্ধু, শিক্ষক ও সহপাঠীদের জন্য উদযাপনের সময় হওয়ার কথা ছিল। অথচ মানবাধিকারের প্রশ্নে আমার আপসহীন অবস্থানের কারণে মুসলিমবিরোধী, ফিলিস্তিনবিরোধীরা আমার বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত তাকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে জানিয়ে তাবাসসুম বলেছেন, যারা আমার বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়েছে, তারা আমাকে অবাক করেনি। কিন্তু বিস্মিত হয়েছি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার চার বছরের ঘর কীভাবে আমাকে অস্বীকার করল?
আসনা তাবাসসুম বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা তার ওপর কোনো হুমকির প্রমাণ কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি। বরং ঘৃণা ছড়ানোকে সমর্থন দিয়েই তারা ক্যাম্পাসে ভয়ের উদ্রেক করেছে।
ভারতীয়-মার্কিন এই তরুণ বায়োমেডিক্যাল প্রকৌশলে পড়লেও মাইনর করেছেন ‘গণহত্যা প্রতিরোধ’ বিষয়ে। ফিলিস্তিনিসহ পৃথিবীর সব মানুষের ন্যায়বিচারের পক্ষে নিজের সুস্পষ্ট অবস্থানের কথা জানিয়ে তাবাসসুমের বক্তব্য, ভেলেডিক্টোরিয়ান হিসেবে সহপাঠীদের অনুরোধ করব, প্রচলিত ধারণার বাইরে বের হও। এমন একটা পৃথিবীর জন্য কাজ করো, যেখানে মানুষের সমতা আর মর্যাদা রক্ষার চেয়ে ঘৃণা ছড়ানোটা বড় হয়ে উঠবে না। আদর্শগত বিভেদ থাকলেও আমি সেটা আলোচনা ও (পরস্পরকে) জানার মাধ্যমেই সমাধান করতে চাই, গোঁড়ামি ও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নয়।
এদিকে এনবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বস্থানীয় একটি মুসলিম সংগঠন।
উল্লেখ্য, তাবাসসুমের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে একটি স্লাইডশোর লিঙ্ক শেয়ার করা আছে যাতে- ‘ফিলিস্তিনে কী ঘটছে এবং কীভাবে ফিলিস্তিনের নিপীড়িতদের সাহায্য করা যায় সে সম্পর্কে জানতে’ জনগণকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
ফিলিস্তিন ছাত্রী বক্তৃতা বাতিল যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন
লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে গেলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। খবর এএফপি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরুর উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ি রাস্তা থেকে একটি বাস খাদে পড়ে যাওয়ার পর কমপক্ষে ২৫ জন মারা গেছেন এবং আরও এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তা ওলগা বোবাডিলা আরপিপি রেডিওকে বলেছেন, গত রোববার গভীর রাতে কাজামার্কার আন্দিয়ান অঞ্চলে গর্তযুক্ত ময়লা রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে এবং বাসটি প্রায় ২০০ মিটার (প্রায় ৬৫০ ফুট) গভীরে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ২৩ জনের নিহত হওয়ার কথা জানানো হলেও পরে এই তথ্য হালনাগাদ করে ২৫ জন বলে জানানো হয়।
পৌরসভার কর্মকর্তা জেইম হেরেরা বলেন, ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে বাসটি একটি নদীর ধারে পড়ে যায় এবং আরোহীদের কয়েকজন পানিতে ভেসে গেছে।
উদ্ধারকর্মীরা এবং দমকলকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির পর সেলেনডিন পৌরসভা ৪৮ ঘণ্টার শোক ঘোষণা করেছে। বাসটি রাস্তায় চলাচলের উপযোগী ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
এএফপি বলছে, পেরুতে বাস দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাতে এবং পাহাড়ের হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া দ্রুত গতি, রাস্তার খারাপ অবস্থা, রোড সাইনের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে পেরুর রাস্তায় প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
মন্তব্য করুন
ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত প্রকাশ করেছে। আগামী মে মাসের শেষ দিকে জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
সৌদি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক আরবি সংবাদ টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলন চলছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। বিশেষ এই সম্মেলনে ইইউ’র প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন বরেল।
সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বরেল বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ইইউর সদস্য স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্রোভেনিয়া সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
এর আগে গত মার্চে দেশ তিনটি জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য যৌথভাবে কাজ করবে তারা।
এদিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল ইইউর চারটি দেশকে বলে, তাদের এই উদ্যোগ 'সন্ত্রাসবাদের জন্য পুরস্কার' হিসেবে গণ্য হবে এবং যা প্রজন্মের পুরনো দ্বন্দ্বের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাবনা ক্রমশ হ্রাস করবে।
এর আগে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানিয়েছিলেন, জুলাইয়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের স্বীকৃতি বাড়ানোর প্রত্যাশা করেন তিনি এবং বিশ্বাস করেন, ইইউ’র মধ্যে শিগগিরই সমালোচনা হবে, যা একই অবস্থানে পৌঁছাতে কয়েকটি সদস্যকে সহায়তা করবে।
মন্তব্য করুন
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টির ট্রুডোর উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে ‘খালিস্তানপন্থী’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর সোমবার ( ২৯ এপ্রিল ) কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব করেছে ভারত। খালিস্তান আন্দোলন নিয়ে সম্প্রতি ভারত-কানাডার কূটনীতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এর মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা যুক্ত হলো।
এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এ ঘটনায় ভারত সরকার গভীর উদ্বেগ এবং দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়েছে। কানাডা এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে যা উদ্বেগের। আবারও প্রমাণ হলো, কানাডায় বিচ্ছিন্নতাবাদ, চরমপন্থা ও সহিংসতাকে রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’
আরও বলা হয়েছে, ‘তাদের অভিব্যক্তি শুধু ভারত-কানাডা সম্পর্ককে প্রভাবিত করে না বরং কানাডায় সহিংসতা ও অপরাধের পরিবেশকে তার নিজের নাগরিকদের ক্ষতির জন্য উৎসাহিত করে।’
কানাডাভিত্তিক সিপিএসি টিভিতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রুডো খালসা দিবস উপলক্ষে ভাষণের মঞ্চে উঠার পর ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান আরও জোরে দেওয়া হতে থাকে। হাজার হাজার মানুষ রবিবার শহরের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সমাবেশের উদ্দেশে টরন্টোর কেন্দ্রস্থলে উপস্থিত হয়।
ট্রুডো তার ভাষণে গত বছর শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে। এছাড়াও কানাডায় শিখদের অধিকার ও স্বাধীনতা সর্বদা রক্ষা করার এবং সম্প্রদায়কে ঘৃণা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রুডো।
ভারত কানাডা সরকারের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। বরং অটোয়া শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে দিল্লি।
কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টির ট্রুডোর তলব ভারত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'
সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভিয়েনার হফবার্গ প্রাসাদে 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।
মানুষের ওপর অস্ত্রবল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যদি রাষ্ট্রবহির্ভূত এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পায় তবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার কী হবে।
স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রাণহানির ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উভয়ের বিষয়েই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আইন বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় গাজার অনিশ্চিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং সংঘাত ও উত্তেজনার নতুন ফ্রন্ট খোলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।
অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো, নরওয়েজিয়ান স্টেট সেক্রেটারি ইভিন্ড ভাদ পিটারসন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক এগার সহ-প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।
অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা, অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আট শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অস্ত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মন্তব্য করুন
ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত প্রকাশ করেছে। আগামী মে মাসের শেষ দিকে জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে দেশের তাপমাত্রা এতটাই বাড়ছে যে অনেকে এটি সহ্য করতে পারছেন না। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আছে মিয়ানমার, ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। সব দেশেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবে তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, যা নীরব ঘাতকে পরিণত হচ্ছে।
মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'