ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইতিহাসে প্রথমবার সর্বনিম্ন আসনে লড়াই করছে কংগ্রেস

প্রকাশ: ১১:৩৯ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপি দাবি করছেন , ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৪০০ আসনে জিতে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি। এর মধ্যে ৩৭০ আসন বিজেপি পাবে বলে দাবি করেছেন অমিত শাহ।

সেখানে দেশটির শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পেরেছে মাত্র ৩০৩ আসনে, যা কংগ্রেসের ইতিহাসে সবচেয়ে কম। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গত লোকসভায় (২০১৯) বিজেপি ৩০৩ আসনে জয় পেয়ে দ্বিতীয়বার মোদি সরকার গঠন করেছে।

এ নিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, এটা কংগ্রেসের দুর্বলতা নয়। বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এটা শতাব্দী প্রাচীন দলটির কৌশল ও দায়িত্বশীলতা। আমরা বিজেপিকে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের সঙ্গে যথাসম্ভব বোঝাপড়া করে লড়াই করছি।

যদিও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দলবদল করে কংগ্রেস নেতাদের আম আদমি পার্টি, তৃণমূলের মতো আঞ্চলিক দল ও বিজেপিতে যোগদান। যার জেরে দুর্বল সংগঠনের কারণে দেশের সবচেয়ে পুরোনো দলটির এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

জয়রাম বলেন, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যে কংগ্রেস শরিকদের বেশিরভাগ আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে বহু মাস আগেই পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন তারা কারও সঙ্গে আসন সমঝোতা করবে না। যে কারণে পশ্চিমবঙ্গেও কংগ্রেস রাজ্যের ৪২ আসনে তৃণমূলের বিরোধিতা করে প্রার্থী দিয়েছে।

বাংলায় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট না হলেও জয়রামের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিবিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটে আছে বলে দাবি করেছেন।


কংগ্রেস   বিজেপি   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা কঠিন হয়ে গেছে : যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৩৯ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় প্রায় সাত মাস ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আলোচনা সামনে এনেছে নতুন করে। মূলত দ্বি-রাষ্ট্র তথা দুটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকেই শান্তির উপায় হিসেবে দেখছেন অনেকে।

এমন অবস্থায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ‘কঠিন হয়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মঙ্গলবার ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কার্যকারিতার ওপর ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের প্রভাবের বিষয়েও জোর দিয়েছেন তিনি।

হাউস অব লর্ডসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও প্রতিরক্ষা কমিটির এক অধিবেশনে ক্যামেরন বলেন, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের নির্মিত অবৈধ বসতি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।

হাউস অব লর্ডসের এই কমিটির সাত বছরের পুরোনো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ‘অসম্ভব’ হয়ে উঠতে পারে এবং ‘কোনও পক্ষের কাছেই আর এটি কার্যকর হবে না’। এই রিপোর্টের বিষয়ে মন্তব্য করতে বলা হলে মঙ্গলবার ক্যামেরন বলেন, ‘পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের কারণে এটি (ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা) কঠিন হয়ে উঠছে, তাই প্রযুক্তিগতভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং আমাদের এটি সম্পর্কে ভাবতে হবে।’

ব্রিটিশ এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা কঠিন হয়ে গেছে, কিন্তু এটা অসম্ভব নয়... ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রত্বে সাহায্য করার জন্য স্বীকৃতি দেওয়াটা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কিন্তু শুধুমাত্র সবাই স্বীকৃতি দিয়ে একটি রাষ্ট্র তৈরি করতে পারে না। এমন জিনিসগুলো নির্ধারণ করতে হবে যা আসলে একটি রাষ্ট্র তৈরি করে: একটি সরকার, তাদের শাসন করার ক্ষমতা’।

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি আসবে না।’

ক্যামেরন বলেন, ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা নেই। সুতরাং আপনি যদি দেখেন, উদাহরণস্বরূপ, সৌদিরা ইসরায়েলের সাথে এই স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির করার চেষ্টা করেছে, এটি স্পষ্টতই সৌদি আরবের জন্য একটি বিশাল পদক্ষেপ, ইসরায়েলের জন্যও বড় পদক্ষেপ, তবে এই পদক্ষেপের একটি অংশ হবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র তৈরি করা।’

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

গাজায় চলমান পরিস্থিতি ও প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ক্যামেরন। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই গাজার পুরো পরিস্থিতি গভীরভাবে উদ্বেগজনক এবং প্রাণহানির ঘটনা গভীরভাবে দুঃখজনক।’

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থাকে অর্থায়ন পুনরায় শুরু করার বিষয়ে ক্যামেরন বলেন, যুক্তরাজ্য কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চলমান তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে।


ফিলিস্তিন   রাষ্ট্র   প্রতিষ্ঠা   কঠিন   যুক্তরাজ্য   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশের চাওয়া কী জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান পাঁচ ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতার পাশাপাশি এর বাইরে কোনো বিষয়ে আগ্রহী কিনা—মতামত জানতে চেয়েছে ওয়াশিংটন। বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহ দেখিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকায় অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব (দ্বিপাক্ষিক-পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণে দুই দেশের চলমান অংশীদারিত্বের আরও ব্যাপ্ত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি ক্ষেত্র এবং এর বাইরে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে মতামত জানতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অনুরোধ করেছে।

ঢাকার এক দায়িত্বশীল কূটনীতিক বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে বলা আছে, দেশটির কোন কোন খাতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতাম, সেগুলোর ব্যাপ্তি আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা আলোচনা হয়েছে। এটা আসলে নতুন কিছু না। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব এনগেজমেন্ট আছে সেগুলো কোন পর্যায়ে রয়েছে বা নতুন করে কোনো বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা—সেগুলো আমরা আলোচনা করি বা কোনো কনসার্ন থাকলে সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো।

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি খাত সম্পর্কে এ কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে, তার মধ্যে একটি অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানো, পরিবেশগত সুরক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন; এক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর বা বিনিয়োগের বিষয় রয়েছে। তৃতীয়ত, নিরাপত্তা সহযোগিতা—এটার মধ্যে এন্টি টেরোরিজম অ্যাসিসটেন্ট রয়েছে; পুলিশ-র্যাবের তহবিল রয়েছে, সমুদ্র নিরাপত্তার সংক্রান্ত অংশীদারত্ব ইস্যু রয়েছে। তারপর মানবিক সহায়তা বিষয় রয়েছে, যা মধ্যে রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয় যুক্ত। এছাড়া রাইটস ইস্যুস আছে; এর মধ্যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র বা লেবার রাইটস ইস্যু আছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব অবস্থানে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভোট শেষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ওয়াশিংটন জানায়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। পরবর্তী সময়ে ভোট নিয়ে নিজেদের অনঢ় অবস্থানের জানান দিলেও বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশের কথা জানান খোদ ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ‘আলোচিত’ রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রও বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলনে একই বার্তা দেন।

তবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিতে। চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তার সরকার।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে বাইডেনের চিঠির পর ওই মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করেন তার (মার্কিন প্রেসিডেন্টের) বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। ওই প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ছিলেন। আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল।

ওই সফরে এইলিন লাউবাখেরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠক শেষে ড. হাছান জানিয়েছিলেন, তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় এবং আমরাও চাই একটি নতুন সম্পর্ক। যেহেতু দুদেশেরই সদিচ্ছা আছে, সুতরাং এই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, গভীরতর ও উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের উভয় দেশ উপকৃত হবে।

অন্যদিকে, বাইডেনের বিশেষ সহকারী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করছেন।

বাইডেনের সেই চিঠির প্রতিউত্তরের একটি কপি এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এছাড়া ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান হোয়াইট হাউজে ওই চিঠির মূল কপি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্ব এবং দুই দেশের নাগরিকদের সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা করে।

সবশেষ, চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ঢাকা সফর করে গেছেন।

মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মো শহীদুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবাস্তয়নে যে সব রাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন সেসব রাষ্ট্রসমূহের সমর্থন আদায়ে কাজ করছে তারা। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই সিরিয়াস বিষয়। এই কৌশলে এবং একইসঙ্গে চীনকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের (২০২৩) মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে দেশটির অব্যাহত নজরদারির কথা বলা হয়। পরবর্তী সময়ে অব্যাহতভাবে দেশটি নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।

৭ জানুয়ারির ভোটে ২২৩টি আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।

গত ১৭ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে আগামী মাসগুলোতে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি।


বাংলাদেশে   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাতির ৩ হাজার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রাজ্জ্বল রেভান্না দক্ষিণ ভারতের একজন তরুণ রাজনীতিবিদ এবং দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে তিনি বিভিন্ন নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের প্রায় হাজার তিনেক ভিডিও তৈরি করেছেন – এমন একটি অভিযোগকে ঘিরে এখন কর্নাটকসহ গোটা দেশের রাজনীতিতে হইচই পড়ে গেছে!

৩৩ বছর বয়সী এই নেতা কর্নাটকের হাসান আসন থেকে জিতে ২০১৯ সালে প্রথমবার এমপি হয়েছিলেন, এবারেও তিনি সেই একই আসন থেকে লড়ছেন – তার দল জনতা দল (সেকুলার)-কে এবার সমর্থন করেছে বিজেপিও।
ভারতে লোকসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় গত ২৬ এপ্রিল এই হাসান আসনে ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তারপর দিন থেকেই হাসানসহ গোটা রাজ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যা জাতীয় রাজনীতিতেও তুমুল আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।

সেগুলোতে এমন একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে, যাকে অবিকল প্রাজ্জ্বল রেভান্নার মতো দেখতে লাগছিল। ওই দিনই একজন নারী কর্নাটকের একটি পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করে বলেন, ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এমপি প্রাজ্জল রেভান্নার হাতে তিনি অসংখ্যবার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

রেভান্না তার মেয়েকেও ‘ভিডিও কল’ করে ‘অত্যন্ত অশ্লীল কথাবার্তা’ বলেছেন এবং তার কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় চরম দুর্ব্যবহার করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এরই মধ্যে কর্নাটক মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন নাগালক্ষ্মী চৌধুরী জানান, তাদের হাতে এমন একটি ‘পেন ড্রাইভ’ এসেছে যাতে বেশ কয়েকশো ‘এক্সপ্লিসিট’ বা খুল্লমখুল্লা যৌন ভিডিও আছে – এবং আপাতদৃষ্টিতে তার অনেকগুলোতেই প্রাজ্জ্বল রেভান্নাকে দেখা যাচ্ছে।

এই সব বক্তব্যের ভিত্তিতে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার প্রাজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করতে একটি ‘স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম’ বা ‘সিট’-ও গঠন করেছে।

প্রাজ্জ্বল রেভান্নার দল জনতা দল (সেকুলার) প্রথমে যাবতীয় অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও এই বিতর্ক শুরু হওয়ার তিন দিনের মাথায় মঙ্গলবার তারা রেভান্নাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে।

অন্যদিকে ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, প্রাজ্জ্বল রেভান্নার এই সব ভিডিওর কথা বেশ কয়েক মাস আগে জানা থাকা সত্ত্বেও তারা কর্নাটকে জনতা দল (সেকুলার)-এর সঙ্গে জোট করার ও হাসান কেন্দ্রে রেভান্নাকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শীর্ষ বিজেপি নেতা অমিত শাহ অবশ্য এদিন পাল্টা দাবি করেছেন, ‘ভিডিওগুলোর কথা আগে জানা থাকলে কর্নাটকের শাসক দল কংগ্রেসেরই অনেক আগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।’

প্রাজ্জ্বল রাভান্না নিজে অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন এবং ভিডিওগুলোকে ‘জাল’ বলে দাবি করে তার আইনজীবীর পক্ষ থেকে পুলিশে একটি পাল্টা অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।

কিন্তু তিনি নিজে এই মুহূর্তে দেশে নেই – ২৬ এপ্রিল তার কেন্দ্রে ভোট সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরদিন (২৭ এপ্রিল) সকালেই প্রাজ্জ্বল রেভান্না জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের পথে রওনা হয়ে যান। ঠিক ওই দিনই আবার সেই ভিডিওগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।

তার আগে থেকেই জার্মানি যাওয়ার কথা ছিল, না কি এই ভিডিওগুলো ফাঁস হওয়ার সঙ্গে প্রাজ্জ্বল রেভান্নার দেশ ছাড়ার কোনও সম্পর্ক আছে তা অবশ্য স্পষ্ট নয়!

কী আছে ভিডিওগুলোতে?

এই ভিডিওগুলোর ব্যাপারে যিনি প্রথম মুখ খোলেন, তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি আবার হাসান জেলারই প্রভাবশালী বিজেপি নেতা জি দেবারাজে গৌড়া। গত বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি হোলেনারাসিপুরা আসন থেকে প্রাজ্জ্বল রেভান্নার বাবা এইচ ডি রেভান্নার বিরুদ্ধে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন, কিন্তু জিততে পারেননি।

সেই দেবারাজে গৌড়া জানিয়েছেন, মাসকয়েক আগে প্রাজ্জ্বল রেভান্নার সাবেক ড্রাইভার কার্তিক গৌড়া তার কাছে একটি পেন ড্রাইভ নিয়ে আসেন – যাতে এই ধরনের মোট ২৯৭৬টি ভিডিও ছিল!

বরখাস্ত হওয়া ড্রাইভার কার্তিক গৌড়া সে সময় দেবেগৌড়া পরিবারের বিরুদ্ধে একটি মামলা লড়ছিলেন, সেই সুবাদেই তিনি স্থানীয় বিজেপি নেতার সাহায্য পেতে তার হাতে ওই পেন ড্রাইভটি তুলে দেন।

যারা এগুলো পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছেন তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন এই ভিডিওগুলোর প্রায় সবই অত্যন্ত ‘বিকৃত যৌনতার’ বা ‘যৌন নির্যাতনে’র এবং দিনের পর দিন ধরে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে তোলা বলে ধারণা করা যায়।
ভিডিওর মূল চরিত্রটি যদি প্রাজ্জ্বল রেভান্না হন, তাহলে তিনি নিজেই সেগুলোর রেকর্ডিং করেছেন – দেখে সেরকমটাই মনে হয়েছে। রেকর্ডেড ভিডিও দেখিয়ে ওই নারীদের ব্ল্যাকমেইল করে লাগাতার যৌন শোষণ করা যাবে, সম্ভবত এটাই ছিল উদ্দেশ্য।

কয়েকটি ভিডিওতে ওই ব্যক্তির সঙ্গীসাথীদেরও দেখা গেছে। নির্যাতিতা নারীদের মধ্যে এমন অনেকে ছিলেন, যাদের গৃহ পরিচারিকা, রাঁধুনি বা বাড়ির কর্মী হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। এই ভিডিওগুলো যে ‘ডক্টরড’ বা জাল – প্রাজ্জ্বল রেভান্নার বাবা ও কর্নাটকের প্রবীণ রাজনীতিবিদ এইচডি রেভান্নাও কিন্তু সেরকম দাবি করেননি।

বরং ভিডিওগুলো যে সত্যিকারের, প্রকারান্তরে তা মেনে নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘এগুলো মোটেও নতুন কিছু নয়, সব চার-পাঁচ বছরের পুরনো!’

কর্নাটকে ভোটের সময় জনতা দল (সেকুলার)-কে অপদস্থ করার চেষ্টায় ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে’র অংশ হিসেবেই এগুলো এখন ফাঁস করা হয়েছে বলে এইচডি রেভান্না দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, কর্নাটক পুলিশের কাছে যে নারী প্রাজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি কিন্তু এফআইআরে ৬৬ বছর বয়সী এইচডি রেভান্নার নামও উল্লেখ করেছেন।

ওই নারীর অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, এইচডি রেভান্নার স্ত্রী একদিন যখন বাড়িতে ছিলেন না, তখন রেভান্নার হাতেও তিনি যৌন লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলেন। বিবিসি বাংলা


ভারত   সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া   নাতি   আপত্তিকর   ভিডিও  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিসাইল, হাজারো গ্রেনেডসহ কলম্বিয়ায় লাখ লাখ বুলেট চুরি

প্রকাশ: ১১:২৬ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো দুটি ঘাঁটিতে অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতির জন্য সামরিক দুর্নীতিকে দায়ী করেছেন

বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি হাজার হাজার গ্রেনেড এবং লাখ লাখ বুলেট হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনী। দেশটির সামরিক ঘাঁটিগুলোতে পরিদর্শনের পর এই তথ্য সামনে এসেছে।

অভিযোগ উঠেছে, দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যরা চুরি করে এসব অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করে দিয়েছে। বুধবার (১ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী লাখ লাখ বুলেট, হাজার হাজার গ্রেনেড এবং বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র হারিয়ে ফেলেছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে সামরিক ঘাঁটিগুলোতে পরিদর্শনের সময় এসব অস্ত্রশস্ত্র নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

এসব জিনিস নিখোঁজের জন্য অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিকে দায়ী করে তিনি বলেছেন, সামরিক বাহিনীর কর্মীরা অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে এসব অস্ত্র বিক্রি করেছে। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, অস্ত্রশস্ত্র নিখোঁজের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই ধরনের ঘাটতি ব্যাখ্যা করার একমাত্র উপায় হলো- সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরের বিভিন্ন লোক এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের নেটওয়ার্ক দীর্ঘকাল ধরে কলম্বিয়ান রাষ্ট্রের বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অস্ত্রের ব্যাপক বাণিজ্যিকীকরণের জন্য নিবেদিত রয়েছে।’

তিনি বলেন, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি এবং ১ এপ্রিল যথাক্রমে টোলেমাইদা এবং লা গুয়াজিরা নামের দুটি সামরিক ঘাঁটিতে আকস্মিক পরিদর্শনের সময় এসব অস্ত্র নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

এর মধ্যে টোলেমাইদা সামরিক ঘাঁটিতে অফিশিয়াল রেকর্ডের তুলনায় ৮ লাখ ৮ হাজারেরও বেশি বুলেট এবং প্রায় ১০ হাজার গ্রেনেডের ঘাটতি পাওয়া গেছে। অন্যদিকে লা গুয়াজিরা ঘাঁটিতে প্রায় ৪২ লাখ বুলেট এবং ৯ হাজার ৩০০টিরও বেশি গ্রেনেডের বিষয়ে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

প্রেসিডেন্ট পেট্রো আরও বলেছেন, এই সামরিক ঘাঁটি থেকে দুটি স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র, ৩৭টি নিমরোড ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫৫০টি রকেট চালিত গ্রেনেডও হারিয়ে গেছে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সামরিক এসব অস্ত্রশস্ত্র কলম্বিয়ার মধ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দেওয়া হতে পারে, আবার এটি হাইতি বা আন্তর্জাতিক কালো বাজারে পাচার করাও হয়ে থাকতে পারে।

কলম্বিয়ার এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো- এই একই অস্ত্রগুলো সামরিক বাহিনীর একই সদস্যদের আহত ও হত্যা করছে।’

উল্লেখ্য, কলম্বিয়ায় সরকারি বাহিনী, বামপন্থি গেরিলা গোষ্ঠী এবং ডানপন্থি আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছে। দীর্ঘ এই সংঘাতে ৪ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

একই সময়ে কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বেশ কয়েকটি দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইভান ভেলাসকুয়েজ একই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নিখোঁজ অস্ত্রের আইটেমগুলোর বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং কিছু কর্মকর্তাকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশে সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আরও পরিদর্শনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীকে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা সজ্জিত বাহিনী বলে মনে করা হয়। ড্রাগ কার্টেল মোকাবিলা করার জন্য দেশটির সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিলিয়ন ডলার সহায়তা পেয়েছে।


কলম্বিয়া   বুলেট   চুরিমিসাইল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থীদের দখলে নেওয়া ভবনে ঢুকেছে পুলিশ

প্রকাশ: ১০:৩৩ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করেছে পুলিশ। ফলে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে পুলিশের বিশাল বহর ভবনটিতে প্রবেশ করে। এতে সেখানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দাঙ্গার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে পুলিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছায়। তারা উত্তেজিত জনতার ভিড় ছত্রভঙ্গ করার আধুনিক অস্ত্র, লাঠি, বিশেষ গাড়ি, এপিসি, যন্ত্রচালিত মই নিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। হেলমেট পড়া সব সদস্যই ছিলেন মারমুখী।

ক্যাম্পাসে বিপুল পুলিশ পৌঁছানোর পর রাতে ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দখলে নেওয়া একাডেমিক ভবন হ্যামিল্টন হলে ক্রেনের মতো গাড়ি থেকে মই লাগিয়ে জানালা দিয়ে একে একে তারা প্রবেশ করে।
পুলিশ জানায়, ভবনটি নিরাপদ করা, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে সেখান থেকে বের করা এবং গ্রেপ্তারের উদ্দেশে একটি অভিযান হতে যাচ্ছে।

এর প্রায় ২৪ ঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ভবনটিতে প্রবেশ করেন। এরপর তারা ভবনের প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে ভেতরে অবস্থান নেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যামিল্টন হলে অভিযান শুরু হয়ে গেছে। তবে সেখানে ঠিক কী হচ্ছে বা কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিতর্ক চলছিল। তখন থেকে দুটি পক্ষ সক্রিয় হয়ে উঠে।

একটি পক্ষ গাজা যুদ্ধকে অনৈতিক দাবি করে গণহত্যা বন্ধে কর্মসূচি পালন শুরু করে। তারা ইহুদিবিরোধী প্রচার অব্যাহত রাখে।

অপরদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যান্য যে কোনো সময়ের চেয়ে ইসলামভীতি বাড়তে থাকে।

এরই মধ্যে গত সপ্তাহে কলাম্বিয়া ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে উঠে। সেখানে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। এতে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সে সঙ্গে পুলিশের গণগ্রেপ্তার অব্যাহত থাকে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়।

এদিকে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেয় কলাম্বিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা অমান্য করে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়েই অবস্থান করেন।
একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষের আলটিমেটামের সময়সীমা পার হয়ে গেলেও বিক্ষোভ থেকে শিক্ষার্থীরা সরে না আসায় তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম সংগঠন কলাম্বিয়া স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইন (এসজেপি) সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের তাঁবুতে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

সংগঠনটি এরপর হ্যামিল্টন হল দখলের কথা ঘোষণা দেয়। তারা জোর দিয়ে বলে, একাডেমিক ভবনটি ১৯৬৮ সালে ছাত্র বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।

বিক্ষোভকারী আরেক সংগঠন কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি অ্যাপার্থেইড ডাইভেস্ট (সিইউএডি) বলেছে, এ বছরের শুরুতে গাজায় মৃত অবস্থায় পাওয়া ছয় বছর বয়সী মেয়ে হিন্দ রাজাবের সম্মানে ভবনটি দখল করেছে তারা।


কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   ফিলিস্তিনপন্থী   দখল   পুলিশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন