ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে সার্কাসের দল থেকে হাতি পালালো

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সার্কাসের বিভিন্ন খেলায় পৃথিবীব্যাপী হাতির ব্যবহার বেশ প্রচলিত। হাতির সাহায্যে প্রায়ই এসব আসরে চিত্তবিনোদন এবং মজার বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করতে দেখা যায়। তবে সেই হাতিকে নিয়ন্ত্রণও করা হয় অভিনব কিছুই কৌশলে। কিন্তু সেই হাতি যদি বাধ্যগত তকমা ছেড়ে খেয়াল খুশিমতো বেড়িয়ে পড়ে তা বেশ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে এমনই এক ঘটনা।

যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা শহরে দেখা গিয়েছে রাস্তায় অবাধে বেড়িয়ে পড়েছে এক হাতি। এমনকি ব্যস্ত সড়ক বা হাইওয়ে এবং জনবহুল আবাসিক এলাকায় হাতিটিকে মুক্তভাবে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাতির সেই ভিডিও ইতোমধ্যে বেশ ভাইরাল।

জানা যায়, পালিয়ে যাওয়া ভায়োলা নামের হাতিটি জর্ডান ওয়ার্ল্ড সার্কাস নামে একটি ভ্রাম্যমান সার্কাসের দলের সদস্য। শো শুরুর আগে গোসল করানো হচ্ছিল প্রাণীটিকে। হঠাৎ করেই গাড়ির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ভায়োলা। পালিয়ে যায় বেড়া ভেঙে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে হাতিটির রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য। ব্যস্ত রাস্তায় হাতি চলে আসায় ব্যাহত হয় যান চলাচল। ঘাবড়েও যান অনেকে। কেউ কেউ আবার মজা পেয়ে মুঠোফোনে ধারণ করেন ভিডিও।

প্রসঙ্গত, কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য হাতিটিকে খুঁজে পায় সার্কাস দল। ফিরিয়ে নেয় তাদের তাবুতে। ওইদিনই দু’টি শো’তে অংশগ্রহন করে ভায়োলা। তবে তার মুক্ত হয়ে ঘোরাফেরা করার দৃশ্যটুকু নেটিজেনদের অবাক করেছে সেইসাথে আনন্দও দিয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র   সার্কাস   হাতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক পদক্ষেপ চায় জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৯:২৩ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল রাফাহ শহরে হামলার পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছে ইসরায়েল। এমনকি হামাসের সঙ্গে চুক্তি হোক বা না হোক, ইসরায়েল রাফাহতে হামলা চালাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

এমন অবস্থায় রাফাহতে হামলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একইসঙ্গে রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে দেওয়া কঠোর সতর্কবার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মঙ্গলবার আরও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এবং বাস্তুচ্যুতি রোধে পদক্ষেপ নিতে ‘ইসরায়েলের ওপর প্রভাব’ রয়েছে এমন দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গুতেরেস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘রাফাহতে সামরিক হামলা হলে তা পরিস্থিতি অসহনীয়ভাবে উত্তপ্ত করবে, আরও হাজার হাজার বেসামরিক লোক প্রাণ হারাবে এবং হাজার হাজার মানুষকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করবে।’

পরিস্থিতির গুরুত্বকে তুলে ধরে জাতিসংঘের প্রধান জোর দিয়ে বলেন, রাফাহতে সামরিক হামলা শুধুমাত্র ‘গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে’ তা নয়, বরং পুরো অঞ্চল জুড়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

জাতিসংঘের এই প্রধান গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি, সমস্ত বন্দিদের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তি এবং মানবিক সহায়তায় ব্যাপক বৃদ্ধির’ জন্য তিনি ধারাবাহিকভাবে আহ্বান জানালেও তা শোনা হয়নি।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘গাজার জনগণের স্বার্থে, ইসরায়েলি বন্দি এবং তাদের পরিবারের স্বার্থে এবং এই অঞ্চল ও বিস্তৃত বিশ্বের স্বার্থে আমি ইসরায়েলি সরকার এবং হামাস নেতৃত্বকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি।’

গুতেরেস গাজা থেকে পাওয়া উদ্বেগজনক নানা প্রতিবেদন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মূলত ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক অভিযানের পর গাজায় গণকবর আবিষ্কার হয়েছে এবং ভূখণ্ডটির হাসপাতালগুলোকে এখন কবরস্থানের সাথে তুলনা করা হচ্ছে।

গুতেরেস বলেছেন, ‘আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্স এবং নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সসহ গাজার বেশ কয়েকটি স্থানে গণকবর আবিষ্কৃত হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
গণকবরের বিষয়ে স্বাধীন ও আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে গুতেরেস বলেন, ‘ফরেনসিক দক্ষতাসহ স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের এই গণকবরগুলোর স্থানগুলোতে অবিলম্বে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া অপরিহার্য, যাতে সুনির্দিষ্ট কারণ উদঘাটন করা যায় যে ঠিক কোন অবস্থায় শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাদের কবর দেওয়া হয়েছে।’

তিনি উল্লেখ করেছেন, শিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা উত্তর গাজায় ক্ষুধা ও রোগের কারণে মারা যাচ্ছে এবং সবাইকে ‘সম্পূর্ণ প্রতিরোধযোগ্য, মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ এড়াতে সম্ভাব্য সবকিছু করতে’ হবে।

ভয়ঙ্কর ট্র্যাজেডি প্রতিরোধে সব ধরনের চাপ প্রয়োগের গুরুত্ব উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, গাজায় সাহায্যের সবচেয়ে বড় বাধা মানবিক কর্মীদের নিরাপত্তার অভাব। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তার কনভয়, সুযোগ-সুবিধা, কর্মী এবং সুবিধাভোগীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।

গুতেরেস আকাশপথে এবং সমুদ্রপথের মাধ্যমে সাহায্য দেওয়ার বিষয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এই পদ্ধতিগুলো স্থলপথের মাধ্যমে সহায়তা বিতরণের বিকল্প হতে পারে না। তিনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ, দ্রুত এবং নিরবচ্ছিন্ন সাহায্য বিতরণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর বিষয়ে গুতেরেস উল্লেখ করেছেন, এই সংস্থাটি গাজা, পূর্ব জেরুজালেম, জর্ডান, সিরিয়া এবং লেবাননসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে লাখ লাখ মানুষকে সহায়তা করার জন্য ‘অপরিবর্তনীয় এবং অপরিহার্য কাজ’ করছে।


রাফাহ   ইসরায়েল   হামলা   বিরুদ্ধে   বৈশ্বিক   পদক্ষেপ   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনিদের ধাওয়ায় দৌড়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনিদের ধাওয়ায় দৌড়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলিভার ওকজা। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিও। পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়ে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হন জার্মান রাষ্ট্রদূত।

ভিডিওতে দেখা গেছে, স্যুট-কোট পরিহিত এক ব্যক্তি জনরোষ থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালাচ্ছেন। তিনি আর কেউ নন, ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলিভার ওকজা।

মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। এ সময় জনরোষে পড়েন তিনি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জার্মান রাষ্ট্রদূত প্রাণভয়ে দৌড়াচ্ছেন। এ সময় তার পেছনে বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ যুবক ছুটে আসছে।

জনরোষ থেকে বাঁচতে দৌড়ে নিজের গাড়িতে আশ্রয় নেন জার্মান দূত। গাড়িতে ওঠার পর তার গাড়িকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। ওই সময় ‘গুলির শব্দও’ শোনা যায়।

এদিকে এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট লিখেছেন ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলিভার ওকজা। তিনি লিখেছেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও সংলাপের জায়গা সব সময় থাকে। তবে বিরজেতের জাতীয় জাদুঘরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনপ্রধানদের বৈঠকটি প্রতিবাদকারীদের জন্য বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আমরা দুঃখিত।
তবুও, আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলক কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী। ওইদিন থেকেই গোষ্ঠীটিকে নির্মূলের নামে গাজায় গণহত্যা শুরু করে তেল আবিব।

৭ অক্টোবরের ওই হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করতে ও ইসরায়েলিদের প্রতি সংহতি জানাতে সরাসরি দেশটিতে ছুটে যান জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা গণহত্যার যে অভিযোগ এনেছে, সেটির বিরুদ্ধেও লড়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। ফলে, দেশটির ওপর তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ থেকে রাষ্ট্রদূতকে ধাওয়া দিল ফিলিস্তিনি তরুণরা।

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধসে পড়েছে শত শত ভবন। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে প্রায় ১০ হাজার মরদেহ পচে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।


ফিলিস্তিন   জার্মান   রাষ্ট্রদূত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে মধ্যরাতে উত্তাল জর্ডান

প্রকাশ: ০৯:০৪ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে আবারও বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে আম্মানে এ বিক্ষোভ হয়।

ফিলিস্তিনি মিডিয়ার বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা জানায়, গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধে মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠে আম্মান। বিক্ষোভকারীরা তেলআবিবের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানায়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা গাজা উপত্যকার নিপীড়িত জনগণের পক্ষে। ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে তারা নিন্দা জানান। ইসরায়েলকে এখনই থামাতে হবে। এ বর্বরতা চলতে থাকায় তারা মানসিক যন্ত্রণায় ঘরে শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না। বিবেকের তাড়নায় মধ্যরাতে রাস্তায় নেমে এসেছেন।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আম্মান সফর করছেন। তিনি জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের এক ঘণ্টা পর এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

গত বছর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে জর্ডানে ইহুদিবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারী কিছু দিন পর পরই ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। এতে বিভিন্ন সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জর্ডানিদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে হবে এবং অভিযানের নামে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ওঠা মানবাধিকার লঙ্ঘনের আন্তর্জাতিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া বাদশাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করার অভিযোগ তুলছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা শরণার্থী ফিলিস্তিনিদের গণহারে জর্ডানে আশ্রয় দেওয়ার দাবিও জানিয়ে আসছেন।

এ ছাড়া ইসরায়েলে হামলা করতে ইরানের ছোড়া ড্রোন ভূপাতিত করে মুসলমান বিশ্বে সমালোচিত হয় জর্ডান। জর্ডানিরা বলেন, ইসরায়েলকে সহায়তা করে জর্ডান সরকার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যা লজ্জার।


ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ   মধ্যরাত   জর্ডান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চুক্তি হলেও রাফায় ঢুকে হামাসকে নির্মূল করতে চায় ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৮:২০ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিম্মি চুক্তি হোক বা না হোক, সম্পূর্ণ বিজয় অর্জনের জন্য আমরা রাফায় ঢুকব এবং হামাসকে নির্মূল করব বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) গাজায় নিহত সেনাদের পরিবার এবং জিম্মিদের স্বজনদের তিনি এ কথা বলেন। নেতানিয়াহু আরও বলেন, লক্ষ্য অর্জনের আগেই আমরা যুদ্ধ বন্ধ করে দেব, এমন ধারণা কোনো বিকল্প নয়। খবর আল জাজিরার।

এদিকে বেশ কিছু জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। কায়রোয় সর্বশেষ আলোচনা শেষে কাতারে ফিরে হামাস জানিয়েছে- প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের মতামত জানাব।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, গোষ্ঠীগুলো নেতানিয়াহু এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এটি শেষ করতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েলের দুইটি লক্ষ্য হলো হামাসের সামরিক ও শাসন ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং সব জিম্মিকে ফিরিয়ে নেয়া।


হামাস   নির্মূল   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় কেএফসির শতাধিক আউটলেট বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:১৩ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত কয়েকমাস ধরে দেশটিতে চলমান ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যুতে শুরু হওয়া ইসরাইল পণ্য বয়কটকারীদের অভিযোগ, প্রথম থেকে অন্যায্যভাবে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন করে আসছে কেএফসি। ইসরাইলকে সমর্থন ও ক্ষোভের মুখে মালয়েশিয়ার অন্যতম ফাস্টফুড চেইন রেস্টুরেন্ট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কেএফসি। তারই জের ধরে, কিউএসআর ব্র্যান্ডস মালয়েশিয়া হোল্ডিংস বারহাদ, টানা কয়েক মাস খুলে রাখার চেষ্টার পর দেশব্যাপী ১০০ টিরও বেশি কেএফসি’র আউটলেট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।

দেশটির গণমাধ্যমের বরাতে এমন খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় সাময়িকভাবে ১০০টির বেশি আউটলেট বন্ধ করেছে কেএফসি। এসব আউললেটের বেশিরভাগ উত্তর-পূর্ব কেলান্টান রাজ্যে অবস্থিত। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে একতরফা সমর্থন তার প্রতিবাদে দেশটিতে কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি ও মার্কিন পণ্য বয়কটের আন্দোলন চলছে। জনগণের এই বয়কট আন্দোলনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কেএফসি।

মালয়েশিয়ায় কেএফসি মালিক ও পরিচালক প্রতিষ্ঠান হলো কিউএসআর ব্র্যান্ডস। এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সারা দেশে তারা ১০৮টি কেএফসি আউটলেটের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করছেন। মালয়েশিয়াজুড়ে কেএফসির ছয় শতাধিক আউটলেট রয়েছে। তবে সম্প্রতি এসব আউটলেটে মানুষের পদচারণা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কাস্টমার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের ব্যবসা গুটিয়ে আনার পথে হাঁটতে হলো। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থনের প্রতিবাদে আলজেরিয়ায় প্রথম শাখা খোলার মাত্র দুদিনের মাথায় আউটলেট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কেএফসি।

উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর ইসরাইল, ফিলিস্তিনের উপর আক্রমণ চালাতে শুরু করে। তখন থেকেই তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার অভিযোগ ওঠে কেএফসির বিরুদ্ধে। চলমান এই যুদ্ধে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক অফিস এবং এনবিসির তথ্য অনুসারে, গত ২৪শে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ৩৫,০০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪,২৬২ জন ফিলিস্তিনি এবং ১৪১০ জন ইসরায়েলি ছাড়াও ৯৭ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৯২ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক, ২ জন ইসরায়েলি সাংবাদিক এবং ৩ জন লেবানিজ সাংবাদিক রয়েছেন। এছাড়া জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার ২২৪ জন কর্মীসহ ১৭৯ জনেরও বেশি কর্মচারী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।


ইসরাইলি   পণ্য   বয়কট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন