ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে সাত দফার লোকসভা নির্বাচন শুরু

প্রকাশ: ০৮:৫৫ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে ১৮তম লোকসভার নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। 

৫৪৩টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে সাত দফায়। প্রথম দফার ভোটে তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্র। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দুটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পন্ডিচেরি। 

এ নির্বাচনে প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার ভোট দেবেন, যা ইউরোপের সব দেশ মিলে যে জনসংখ্যা, তার চেয়েও বেশি।

নির্বাচনে মূল লড়াই হচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইনডিয়া’ জোটের মধ্যে।

ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের মূল দল ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে এবার ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। আর জোটগতভাবে তাদের লক্ষ্য ৪০০ আসন।

গত ১৬ মার্চ ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে লোকসভা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন।

তপশিল অনুযায়ী, মোট সাত দফায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফার ভোটের দিন ১৯ এপ্রিল, এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন সবশেষ দফার ভোট হবে।

৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে। লোকসভা আসন কম এমন কয়েকটি রাজ্যে মাত্র এক দিনেই ভোট হবে। কিন্তু যেসব রাজ্যে আসন বেশি সেখানে কয়েক দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশ ভারতে ২ হাজার ৬০০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর রয়েছে নিজস্ব প্রতীক—যেমন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রতীক পদ্ম, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের হাত আর অন্যান্য দলের হাতি থেকে শুরু করে বাইসাইকেল, চিরুনি বা তীর নানাবিধ প্রতীক রয়েছে।

ভারতীয় উপমহাদেশে নির্বাচনী প্রতীক ভোটের মাঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ভারতের বেলায় সত্য। দেশটির এক-তৃতীয়াংশ ভোটারই নিরক্ষর, তাই প্রতীক দেখেই তারা কে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তা বুঝতে পারেন।

এবার ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। যা ইউরোপের সব দেশ মিলে যে জনসংখ্যা, তার চেয়েও বেশি। তারা সাড়ে ১০ লাখ ভোটকেন্দ্রে ৫৫ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেবেন।


ভারত   সাত দফা   লোকসভা নির্বাচন   গণতান্ত্রিক দেশ   নির্বাচন   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হায়! মার্কিন মানবাধিকার

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা।   আর এই বিক্ষোভকারী যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ। এমনকি এই নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাও। 

প্রতি বছর প্রায় সব দেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে। বিশ্বের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। তাহলে, এত এত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন কিভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর! এ কেমন মার্কিন মানবাধিকার! 

প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো।

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, এমোরি ইউনিভার্সিটি, জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ও  হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় আরো আরো অন্তত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া কিছু হাইস্কুলেও বিক্ষোভ হয়েছে।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন কিছু মার্কিন গণমাধ্যম বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো নির্যাতন এর ভিডিও তুলে ধরেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৯০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অথচ বিষয়টি নিয়ে এখনও নির্বিকার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

শুধু এখানেই শেষ নয় যুক্তরাষ্ট্রে হরহামেশাই চলছে বর্ণবিদ্বেষ। যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় বর্ণবাদী হত্যা-নির্যাতন-বৈষম্য-অবিচার অতি সাধারণ নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের নির্যাতনে এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের অনাকাঙিক্ষত মৃত্যু হয়েছে। ওহাইও রাজ্যের ক্যান্টর শহরে গ্রেফতারের সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা ফ্র্যাঙ্ক টাইসন নামের ২০ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে।

ওহাইও রাজ্যের পুলিশ ঘটনাটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, একটি বারের মেঝেয় ফেলে ফ্রাঙ্ক টাইসনের ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে হাতকড়া পরাচ্ছে কয়েকজন পুলিশ সদস্য। আর তিনি বারবার বলছেন, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। রয়টার্সের এর প্রতিবেদন

মর্মান্তিক এই চিত্রটি আবারও মনে করিয়ে দিলো ২০২০ সালের জর্জ ফ্লয়েড হত্যার কথা। পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড নামক এক যুবকের। ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মার্কিন পুলিশ। মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে গ্রেফতারের সময় ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরেছিল পুলিশ। সে সময় ফ্লয়েডও বলেছিলেন, 'আই কান্ট ব্রেথ (আমি শ্বাস নিতে পারছি না)।’ কিন্তু এরপরও তার ঘাড়ের ওপর থেকে পা সরায়নি পুলিশ। এতে তার মৃত্যু হয়।

মার্কিন পত্রিকা গুলোতে অপেরেশন গেট্টো স্টর্ম শিরোনামে এক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতি ২৮ ঘণ্টায় একজন কৃষ্ণাঙ্গ নর, নারী বা শিশু বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার শিকার হচ্ছে। 

মার্কিনদের এ কেমন সাদা-কালো বিদ্বেষী মানবাধিকার! যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মানুষগুলো কি কোনদিন সত্যিকারের মানবাধিকার দেখা পাবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে ভারীবৃষ্টি ও বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির থেকে বন্যার সৃষ্ট হয়েছে। এই বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়েছে, প্রায় ২৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।  

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যে বন্যার কারণে শতাধিক পৌরসভার প্রায় ৩ হাজার ৩০০ জন বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে অনেককেই আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত স্থান পরিদর্শন করবেন তিনি। রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট জানিয়েছেন, ওই রাজ্যে ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ বিপর্যয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

আগামী কয়েকদিনে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টির মধ্যেও নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

ভারী বৃষ্টিতে বেশ কিছু ব্রিজ ভেঙে পড়েছে এবং রাস্তা-ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।


ব্রাজিল   ভারীবৃষ্টি   বন্যা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে চীনে মহাসড়ক ধস, নিহত ২৪

প্রকাশ: ০৯:৪৫ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail চীনে বৃষ্টিপাতে মহাসড়কে ধস

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধসে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩০ জন।

কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের পর গুয়াংডংয়ের মেইঝো শহর এবং ডাবু কাউন্টির মধ্যকার ওই মহাসড়কের ১৭ দশমিক ৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) অংশ ধসে পড়ে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরে জানায় ২৪ জন নিহত হয়েছে।

বিবিসি জানায়, মহাসড়কের ধসে পড়া অংশে ২০টি গাড়ি আটকে পড়ে। পরে উদ্ধারকারীরা গাড়িতে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা গুরতর নয় বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের খবরে।

সংবাদমাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত যানবাহনগুলো একটি গভীর গর্তে পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা সেখানে পড়ে থাকা গাড়িগুলোকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন মহাসড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে। গত মাসেও গুয়াংডং প্রদেশে প্রবল বর্ষণের কারণে বন্যা হয়েছিল। সে সময় লক্ষাধিক মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।


চীন   মহাসড়ক   ধস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের

প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। বুধবার এ ঘোষণা দেন তিনি।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে জড়ো হওয়া মানুষের সামনে পেত্রো বলেন, তাঁর দেশ বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে।

গাজায় হামলার শুরু থেকেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করে আসছেন পেত্রো। তিনি অন্যান্য দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আসছেন।

লোকভর্তি জনসমাগমস্থলে পেত্রো তাঁর ঘোষণায় বলেন, ‘আপনাদের সামনে প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিচ্ছেন যে, আগামীকাল আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কগুলো ছিন্ন করব...’। পেত্রো তাঁর বক্তব্যে ইসরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধানকে গণহত্যাকারী বলে আখ্যা দেন।

পেত্রো আরও বলেন, গাজার এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।

গত বছরের অক্টোবরে গাজায় হামলার পরপরই ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ বলিভিয়া। সেসময় কলম্বিয়া, চিলি ও হন্ডুরাসসহ দক্ষিণ আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশ ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।

এদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ অভিযোগ করে বলেছেন, পেত্রোর এই ঘোষণা ‘ইহুদিবিদ্বেষী ও ঘৃণায় পরিপূর্ণ’। তাঁর এই পদক্ষেপ হামাসের জন্য পুরস্কার।


ইসরায়েল   কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোপ যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণকারী ৮ মরদেহ দুপুরের পৌঁছবে বাংলাদেশে

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণকারী আট বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরের মধ্যে দেশে পৌঁছানোর কথা।

লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের দেওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়েছে, লাশবাহী কফিনগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইটযোগে ২ মে দুপুর সোয়া বারোটায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষরাতের দিকে এ দুর্ঘটনার পরপরই ত্রিপোলিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে মরদেহের সুরতহাল, শনাক্তকরণ, দেশি সংস্থার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা, মৃত্যু এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু সম্পন্ন করেন।

পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা উইং মরদেহ ফিরিয়ে আনতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় করে। স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার মেটানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় আট বাংলাদেশির কফিন বন্দি মরদেহ। ছবি : সংগৃহীত

৮ নিহতের মধ্যে সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা মাদারীপুর জেলার এবং রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন গোপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী ছিলেন।

জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপ যাত্রাপথে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালকসহ নৌকাটি তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে গেলে জীবিত উদ্ধার ৪৪ জনের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি ও পাকিস্তানের ৮, সিরিয়ার ৫, মিসরের ৪ জন। নিহত ৯ জনের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি ও অপরজন পাকিস্তানের নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছেন


ইউরোপ   লিবিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন