ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জার্মানির বিরুদ্ধে মামলার রায় ৩০ এপ্রিল

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল চলমান যুদ্ধে গণগত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইসরায়েলের এই অমানবিক কর্মকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ এনে জার্মানির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া।

আগামী ৩০ এপ্রিল সেই মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করেছে আইসিজে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিজে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে- ইসরায়েলকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে গণহত্যা ‘সহজতর’ করার দায়ে জার্মানিকে অভিযুক্ত করে ১ মার্চ নিকারাগুয়া যে মামলা করে তার রায় ৩০ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে।

বিবৃতি অনুসারে, দ্য হেগের পিস প্যালেসে ওই দিন স্থানীয় সময় বিকাল তিনটায় আদালতের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম মামলার রায় পাঠ করবেন।

নিকারাগুয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে ‘জার্মানিকে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার নির্দেশ এবং গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বিধিনিষেধের বিষয়ে’ জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা জারি করার অনুরোধ জানিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪,৩৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছে ৭৭,৩৬৮ ফিলিস্তিনি।


জার্মান   বিরুদ্ধে   মামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাওয়া ২১ ভাগই বাংলাদেশি

প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সবচেয়ে বেশি অভিবাসী হচ্ছে যেসব দেশের নাগরিকরা সেই বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ঝুঁকি নিয়ে যত মানুষ ইউরোপে ঢুকেছে, তার মধ্যে ২১ শতাংশ বাংলাদেশি। 

এই তথ্য জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘাতের কারণে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি সংখ্যায় অভিবাসী হয়েছেন। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ অভিবাসী হচ্ছেন কি না, সেটা বোঝার জন্য তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণার প্রয়োজন। 

বাংলাদেশ সফরে আসা আইওএমের এই শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপের সময় এসব কথা বলেন। তিনি এর আগে ওই হোটেলে 'আন্তর্জাতিক অভিবাসন প্রতিবেদন-২০২৪' প্রকাশ করেন।  

আইওএমের চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, গত বছর বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর প্রভাব ও সংঘাতের কারণে নতুন বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেশি হয়েছে। এটা চমকে দেওয়ার মতো। তিনি বলেন, লাখ লাখ মানুষ এখন জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাস করেন।

অ্যামি পোপের মতে, কোন কোন উপাদান মানুষকে অভিবাসনে বাধ্য করে, তার যথাযথ চিত্র নেই। তাই সঠিক চিত্র বোঝার জন্য সরকারগুলোকে বিনিয়োগ করতে হবে।

২১% বাংলাদেশি

বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপে অভিবাসন বাড়ছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, এসব অভিবাসীর অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করছেন। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ পাড়ির প্রবণতা ২০১৫ সাল থেকে বেড়েছে। ২০২৩ সালে ৫ হাজার অভিবাসী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৫২৪ জন মারা গেছেন ভূমধ্যসাগরে, যে রুট (পথ) দিয়ে সাধারণত বাংলাদেশের মানুষেরা ইতালিতে যান।

বাংলাদেশি কতজন মারা গেছেন জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশি মারা গেছেন ২৮৩ জন (ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে)।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ১৬ হাজার ২০০ নাগরিক এই পথ দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছেন উল্লেখ করে অ্যামি পোপ বলেন, এর মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক ৩ হাজার ৪২৫ জন। ২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর হয়ে অনিয়মিত অভিবাসনের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল বাংলাদেশের মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অপতথ্য অভিবাসনের ক্ষেত্রে কতটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, মানব পাচারকারীরা পরিশীলিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। কারণ, তারা সারা বিশ্বের পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখে। কাজেই অভিবাসী হতে আগ্রহী লোকজনের জন্য যে পর্যাপ্ত বৈধ পথ নেই, শুধু সেটিই নয়, অভিবাসনের বৈধ উপায় সম্পর্কে জানার বিষয়ে যথেষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করা হয় না। এমনকি বৈধ পথে অভিবাসনের জন্য তাদের কী ধরনের দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং এর উপায় কী সে সম্পর্কে তথ্য তাঁরা যথাযথভাবে জানতে পারেন না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমে মানব পাচারকারীদের প্রতিহত করতে হলে মানুষকে বৈধ অভিবাসনের পথ সম্পর্কে যথাযথভাবে জানাতে হবে বলে উল্লেখ করেন অ্যামি পোপ।


আইওএম   অ্যামি পোপ   ভূমধ্যসাগর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে ইসরায়েলে বোমার চালান স্থগিত করল আমেরিকা

প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোমার একটি বড় চালান ইসরায়েলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে দেশটির প্রশাসন। গত সপ্তাহেই বিষয়টি বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এর কারণ নিয়ে মুখ খুলছিলেন না।

এবার সিবিএস নিউজকে ইসরায়েলের বোমার চালান আটকে দেওয়ার কারণ জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির মিডিয়া অংশীদার সিবিএস নিউজ ওই কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেনি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এই প্রথম ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্রের চালানটি গত সপ্তাহে ইসরায়েলে পাঠানোর কথা থাকলেও সেটি আপাতত পাঠানো হচ্ছে না বলে ইসরায়েলকে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা। ওই চালানে কয়েক হাজার কেজি বোমা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাতে সিবিএস নিউজ জানায়, দক্ষিণ গাজার রাফায় স্থল অভিযান চালাতে ইসরায়েলকে নিষেধ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযানে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে মার্কিন প্রশাসন উদ্বিগ্ন ছিল। বিষয়টি ইসরায়েলকে জানানোর পরও তারা পাত্তা দেয়নি।

ইসরায়েল সব ধরনের অনুরোধ ও আহ্বান উপেক্ষা করে রাফায় বড় ধরনের হামলা চালাতে প্রস্তুতি নেয়। ইসরায়েলের অগ্রগতি নিশ্চিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র চালানটি স্থগিত করে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, রাফা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা ইসরায়েল পুরোপুরি পূরণ করেনি। ইসরায়েল রাফায় ওই বোমা ব্যবহারের করতে পারে বলে শঙ্কায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র।


ইসরায়েল   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ ইসরায়েলের

প্রকাশ: ০১:১৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় যুদ্ধবরিতির প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়েছে, এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করছে ইসরায়েল। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে পরিবর্তন এনে এরপর তা হামাসকে দিয়েছেন বলে দাবি ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের। 

ইসরায়েলের একাধিক কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে এসব কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় হামাসের পক্ষ থেকে হঠাৎ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হওয়ার ঘোষণায় 'বিস্মিত' হয়েছে ইসরায়েল। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেন, হামাসের ঘোষণা আসার আগে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। হামাস যে প্রস্তাবে রাজি হয়েছে তাতে কী কী বিষয় ছিল ইসরায়েল তাও দেখেনি। 

গত ৭ মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন অবস্থায় যুদ্ধবিরতিতে যেতে ইসরায়েলের ওপর ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলকে একচেটিয়া সমর্থনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রও এখন চাপের মুখে পড়েছে। 

ফিলিস্তিনিদের হত্যায় ইসরায়েলবিরোধী প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের দেড় শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালালেও বিক্ষোভ দমন করতে পারছে না বাইডেন প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা বেড়েছে।  

এই পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কিছু দিন ধরে যে আলোচনা চলছে, সম্প্রতি তা একটি নতুন গতি পায়। গত সপ্তাহের শেষ দিকে মিসরের রাজধানী কায়রোয় মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো হামাসকে যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব দেয়। এরপর সোমবার হামাস জানায়, তারা এই প্রস্তাবে রাজি আছে।

তবে হামাসের ঘোষণার পর ইসরায়েল জানায়, হামাস যে প্রস্তাবে রাজি হয়েছে তাতে তাদের শর্ত পূরণ হয়নি। এ কারণে তারা এ প্রস্তাবে রাজি নয়। একই সঙ্গে ইসরায়েল আরও জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজার রাফায় স্থল অভিযান পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে তারা। এরপর সোমবার রাত থেকেই রাফায় স্থল অভিযান শুরু করে।

হামাসকে যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব দিয়েছে মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবে রাজি হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, 'যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রস্তাবে রাজি হয়েছে হামাস। বল এখন দখলদার ইসরায়েলের হাতে। এখন তারাই সিদ্ধান্ত নেবে যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাবে তারা রাজি হবে নাকি বাধা দেবে।' 

ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাবে রাজি হওয়ার মাধ্যমে হামাস দেখাতে চাচ্ছে, 'যুদ্ধ বন্ধে তারা আগ্রহী, কিন্তু ইসরায়েলের সদিচ্ছা নেই; বরং তারা যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টায় বাধা দিচ্ছে।'

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান উইলিয়াম বার্নস। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরায়েলের একাধিক কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেন, তাদের কাছে এখন এটা স্পষ্ট যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে পরিবর্তন আনার বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন সিআইএ প্রধান ও ওয়াশিংটন। কিন্ত ইসরায়েলকে এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

ইসরায়েলের ওই কর্মকর্তারা বলছেন, সোমবার সকালে কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল। কিন্ত ইসরায়েলকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, হামাস যে প্রস্তাবে রাজি হয়েছে তাতে নতুন অনেক কিছু যুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, এটা একেবারেই নতুন কোনো প্রস্তাব।

ইসরায়েলের দুই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো ইসরায়েলকে নিয়ে 'খেলছে' এমন একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। এতে ইসরায়েলের মনে ক্ষোভ ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।  

ইসরায়েলের এক কর্মকর্তার বরাতে টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, মূলত একটি বিষয় নিয়ে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে একমত হতে পারছে না। হামাস চায় যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্য দিয়ে গাজায় চলমান এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে। কিন্ত ইসরায়েল যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে রাজি নয়। ইসরায়েল বলছে, হামাস গাজার শাসনক্ষমতায় যত দিন পর্যন্ত থাকবে, ততদিন গাজায় যুদ্ধ চলবে।  

ইসরায়েলের সন্দেহ, যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো হামাসকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তাদের রাজি হওয়ার মধ্য দিয়ে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে। হামাসের একজন শীর্ষ নেতা খলিল আল-হায়া সোমবার আল–জাজিরাকে বলেন, তারা যে প্রস্তাবে রাজি হয়েছে, তা রক্ষা করার দায়িত্ব (গ্যারান্টর) নিয়েছে মিসর। কায়রো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে।

ইসরায়েলের তোলা এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেন, 'মার্কিন কূটনীতিকেরা বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে এসেছেন।'

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের রাজি হওয়ার ঘোষণায় ইসরায়েলের বিস্মিত হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।

মার্কিন ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনা ছিল খুবই জটিল একটি প্রক্রিয়া। ওয়াশিংটনের চাওয়া ছিল, প্রাথমিকভাবে অন্তত ছয় মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। আর চুক্তি এমনভাবে করা হবে যাতে করে তার মেয়াদ আরও বাড়ানো যায়। এ কারণে তিন ধাপে যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি চলাকালে সব জিম্মি গাজা থেকে পরিবারের কাছে ফিরবেন।


যুদ্ধবিরতি   যুক্তরাষ্ট্র   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো আফ্রিকার দেশ বাহামাস

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশ বাহামাস। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কিছু রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

বুধবার (০৮ মে) কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বাহামাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, তারা 'এই বিষয়ে ক্যারিবিয়ান সম্প্রদায়ের ঐকমত্যে' যোগ দিয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহামা ১৯৭৩ সালে স্ব-নিয়ন্ত্রণের একটি আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন জাতি হয়ে ওঠে। তাই, বাহামা ফিলিস্তিনি জনগণের স্ব-নিয়ন্ত্রণের আইনি অধিকারকে সমর্থন করে। 


ফিলিস্তিন   আফ্রিকা   বাহামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলকে রাফায় হামলার সবুজ সংকেত দিলো আমেরিকা

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার সীমান্তবর্তী শহর রাফায় হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে সবুজ সংকেত দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন অনুমোদন পেয়েই ইসরায়েল রাফা সীমান্ত ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।

সোমবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করার পর ইসরায়েল ওই হামলা শুরু করে। 

ইসরায়েল বলছে, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তাদের মূল দাবিগুলো এতে মানা হয়নি। আর হামাস বলেছে, তারা অনেক ছাড় দিয়েছে। ইসরায়েল যদি হামলা অব্যাহত রাখে, তবে তারা যুদ্ধবিরতি আলোচনা থেকে সরে যাবে।

বাইডেন প্রশাসনের মুখপাত্ররা বলেছেন, ইসরায়েলের রাফা অভিযান বৈধ। তবে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, হামলার ব্যাপ্তি যদি বেড়ে যায় এবং তা যদি গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর কাজে বাধার সৃষ্টি করে, তবে এই মূল্যায়ন বদলে যাবে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, 'ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আমাদের যা বলেছেন তা হল- গত রাতের এই অভিযান ছিল সীমিত। এর লক্ষ্য ছিল হামাসের অস্ত্র চোরাচালান এবং তহবিল সংগ্রহের সক্ষমতা ধ্বংস করা।' 

পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, 'এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, এটি একটি সীমিত অভিযান। তবে এরপর কী হবে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।' 

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে আমরা বড় ধরনের সামরিক অভিযান দেখতে চাই না। এটিকে বড় সামরিক অভিযানের সূচনা বলা যেতে পারে।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের একটি কথা খুবই সত্য। তা হলো- হামাস এখনও রাফার গাজার দিকটির নিয়ন্ত্রণ করছে। এর মাধ্যমে হামাস রাজস্ব সংগ্রহ করছে। হামাস যাতে অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে, সেজন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। 


ইসরায়েল   রাফা   হামলা   সবুজ সংকেত   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন