ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর বানাচ্ছে দুবাই

প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর বানাচ্ছে দুবাই। যার নামকরণ করা হয়েছে আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । ধারণা করা হচ্ছে, এ বিমানবন্দরের ধারণক্ষমতা হবে ২৬ কোটি। নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি হবে বিশ্বের বড় এবং বেশি মানুষ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বিমানবন্দর টার্মিনাল।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম রোববার জানিয়েছেন, নতুন টার্মিনালটি বর্তমান দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আকারের পাঁচগুণ হবে এবং বছরে ২৬ কোটি যাত্রী পরিচালনা করবে। আগামী বছরগুলোতে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব কার্যকলাপ নতুন আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হবে বলেও জানান তিনি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় শেখ মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ দুবাইয়ের এই বিমানবন্দরের চারপাশে একটি সম্পূর্ণ শহর তৈরি করেছি, যা ১০ লাখ মানুষের আবাসন চাহিদা পূরণ করবে। এটি লজিস্টিক এবং এয়ার ট্রান্সপোর্ট সেক্টরে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলোকে হোস্ট করবে।’

দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নতুন প্রকল্প তৈরি করছি। আমাদের সন্তানদের এবং তাদের সন্তানদের জন্য ক্রমাগত এবং স্থিতিশীল বিকাশ নিশ্চিত করছি। দুবাই হবে বিশ্বের বিমানবন্দর, বন্দর, শহুরে হাব এবং এগুলোর নতুন বৈশ্বিক কেন্দ্র।’

আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি সম্পন্ন হলে এটি হবে ফ্ল্যাগশিপ ক্যারিয়ার এমিরেটসের নতুন ঠিকানা এবং এতে থাকবে ৫টি সমান্তরাল রানওয়ে এবং ৪০০টি বিমানের গেট। এটি একটি নেতৃস্থানীয় বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসেবে দুবাইয়ের অবস্থানকে মজবুত করবে বলেই জানিয়েছেন দুবাই এয়ারপোর্টের সিইও পল গ্রিফিথস।

এক বিবৃতিতে গ্রিফিথস বলেন, ‘দুবাইয়ের সমৃদ্ধি সবসময়ই এর বিমান পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে জুড়ে রয়েছে এবং আজ আমরা সেই যাত্রায় আরেকটি সাহসী পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি।’

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট টানা ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরে পরিণত হয়েছে, যা এখন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ ধারণক্ষমতাকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। 

জানা যায়, গত বছর প্রায় ৮৭ মিলিয়ন যাত্রী এই ট্রানজিট হাব ব্যবহার করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশ ২০২৩ সালে রেকর্ড ১৭ দশমিক ১৫ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক যাত্রীর ট্রানজিট ঘোষণা করে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।


বিমানবন্দর   দুবাই  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাল্টে যাচ্ছে ভারতে তিস্তা নদীর গতিপথ

প্রকাশ: ১০:১৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে উৎপত্তি হওয়া তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কম রাজনীতি করেনি ভারত। তিস্তায় ভারতের বাঁধের খেসারত দিচ্ছে উত্তরের জনপদের মানুষ। শুধু তাই নয় এই নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যেই রয়েছে বিরোধ। এছাড়া হড়পা বানে গত বছরের অক্টোবরে তিস্তার ভয়াবহ রূপ দেখেছিল সিকিম।

জানা গেছে, সম্প্রতি রিভার রিসার্চ ইন্সটিটিউট নদীপথ নিয়ে সমীক্ষা করেছে। আপাতত সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে সেচ দপ্তর। কোথায় নদী কতটা সরে গেছে, কতটা কোথায় চওড়া হয়েছে, কোথায় কতটা সরু হয়েছে তা সেই রিপোর্টে থাকবে। সেই অনুসারেই ব্যবস্থা নেবে সেচ দপ্তর। কারণ সেই অনুসারেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

প্রাথমিকভাবে সেচ দপ্তর ২৮ কোটি টাকার কাজ শুরু করেছে। একাধিক জায়গায় বন্যা রোধে স্পার তৈরি করতে হবে। পুরনো গতিপথ বদলে ফেলার জেরে নতুন নতুন জায়গায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সেবক থেকেই সমতলের উপর দিয়ে বইছে তিস্তা। আর সেই পাথুরে জমির পর থেকেই তিস্তাও তার গতিপথ বদলে ফেলেছে।

এর আগেও উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে তিস্তার বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। উপগ্রহের মাধ্যমে সেই ছবি ধরা পড়েছে। আর সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল একাধিক জায়গায় তিস্তার গতিপথ বদলে গেছে।

গত অক্টোবর তিস্তা নদীতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ভেঙে যায় বাঁধ। লোনাক হ্রদ ঝাঁপিয়ে পড়ে তিস্তার উপর। তারপরেই তিস্তার ভয়াবহ হড়পা বানে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয় এবং ৭৭ জন নিখোঁজ হন। এছাড়া প্রায় ৮৮,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সিকিমে।


ভারত   তিস্তা   নদী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দুবাইয়ে গোপন সম্পদের পাহাড়, ১০ ধনকুবের তথ্য ফাঁস

প্রকাশ: ১০:০২ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের এক অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে এ তথ্য ফাঁস হয়েছে। এতে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নাম। নিউজের জেরে তোলপাড় চলছে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ‘দুবাই আনলকড’ নামের এ নথিটি প্রকাশ করা হয়। এতে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দুবাইয়ের ভূমি দফতরসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। অনুসন্ধানের বিশেষ করে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল নাগাদ দুবাইয়ে এসব ব্যক্তির মালিকানায় থাকা ও ব্যবহার করা সম্পদের বিস্তারিত চিত্র উঠে আসে। এতে ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীদের নামও উঠে এসেছে। অনুসন্ধানী এই সাংবাদিকতা প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর।

ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ (সিফোরএডিএস)। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সংঘাত নিয়ে গবেষণা করে থাকে। পরে এসব তথ্য-উপাত্ত ই-টোয়েন্টিফোর এবং ওসিসিআরপির সঙ্গে ভাগাভাগি করে প্রতিষ্ঠানটি।

এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসও। ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন তারা। ফোর্বসের প্রতিবেদনে ১০ ধনকুবেরের নাম, তাদের নিট সম্পদ ও দুবাইয়ে থাকা সম্পদের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতীয় নাগরিক মুকেশ আম্বানি। যার নিট সম্পদ ১১ হাজার ২০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস হিসেবে ‘বিভিন্ন খাত’ উল্লেখ করা হয়েছে। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ কৃত্রিম দ্বীপে তার আনুমানিক ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।

ভারতীয় নাগরিক এম এ ইউসুফ আলী তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। পাম জুমেইরাহ, দুবাই মেরিনা ও ইন্টারন্যাশনাল সিটিতে তাদের ৭ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে।

আরেক ভারতীয় শামশীর ভায়ালিল তার সম্পদ ৩৫০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘স্বাস্থ্যসেবা’ খাত। দুবাই হিলস ও দুবাই প্রোডাকশন সিটিতে তিনি ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।

সুহাইল বাহওয়ান নামে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের নাগরিকের নাম এসেছে। ১৯০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক সুহাইল বাহওয়ান। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। জুমেইরাহ বে আইল্যান্ড, মেদান ও ডাউনটাউন দুবাইয়ে তার সাড়ে ৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।

রাশিয়ার নাগরিক আন্দ্রেই মোলচানভ ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘নির্মাণসামগ্রী’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাঁদের ২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।

বিনোদ আদানি সাইপ্রাসের নাগরিক। ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক এই বিনোদ আদানি। তার সম্পদের উৎস দেখানো হয়েছে ‘অবকাঠামো ও পণ্যদ্রব্য’। এমিরেটস হিল, জুমেইরাহ লেক টাওয়ারস, জুমেইরাহ পার্ক, ডাউনটাউন দুবাই, দুবাই মেরিনা, ইন্টারন্যাশনাল সিটি ও দুবাই সিলিকন ওয়েসিসে তার ২ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। অবশ্য ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে বিনোদ আদানিকে ভারতীয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

কানাডার নাগরিক চ্যাংপেং ঝাও ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময়’। ডাউনটাউন দুবাইয়ে তাঁর ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের নাগরিক সকেট বর্মণ। তার সম্পদের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘ভোগ্যপণ্য’। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ দ্বীপে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে সকেট বর্মণের।

সাইপ্রাসের নাগরিক ইগর মাকারভ। তিনি ২১০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘বিনিয়োগ’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তিনি ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক। নগিব সাবিরিস নামে মিসরের নাগরিকের নাম এসেছে। নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৩৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘টেলিকম’ খাত। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাঁদের ১ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।

আফগান নাগরিকদের নামও আছে তালিকায়। দারিদ্র্যপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অন্তত সাত নাগরিকের নামও রয়েছে দুবাইয়ে গোপনে সম্পদ গড়া ব্যক্তিদের তালিকায়। তাদের মধ্যে ছয়জনকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও একজনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পরিবারের সদস্যরাও। পাকিস্তানের পত্রিকা ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের মালিক

তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। ওই তালিকায় নাম রয়েছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, বাখতাওয়ার ভুট্টো জারদারি ও আসিফা ভুট্টো জারদারি; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভির স্ত্রী মিসেস আশরাফ; সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসাইন নওয়াজ এবং আলোচিত সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলে সাদ সিদ্দিক বাজওয়ারের।

তালিকায় আরও রয়েছেন চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকদের পাশাপাশি ইয়েমেন, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশের নাগরিকদের নামও রয়েছে। রয়েছে নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা মিয়ানমারের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর নামও।


দুবাই   গোপন সম্পদ   ধনকুব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন পুতিন

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে)  চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি।

পঞ্চম দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই পুতিনের প্রথম বিদেশ সফর।

সফরকালে পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন করবেন তাঁরা।

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে চীন। পরিস্থিতিতে চীন-রাশিয়ার দুই নেতার বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব।

আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি।

বেইজিং সফরের প্রাক্কালে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পুতিন। এতে তিনি বলেন, ইউক্রেনসংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে চীনের পরিকল্পনায় তাঁর সমর্থন রয়েছে। কেননা ইউক্রেনসংকটের পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে বেইজিংয়ের পূর্ণ ধারণা আছে।


চীন   পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোট সরকার গড়লে সমর্থন দেবে মমতার তৃণমূল

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলের জোটইন্ডিয়া দিল্লিতে ক্ষমতায় আসবে। এমন দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। আর সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে সেই সরকারকে সমর্থন জোগাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার (১৫ মে) হুগলির চুঁচুড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর সমর্থনে এক নির্বাচনী প্রচারণা সভায় এই ঘোষণা দেন মমতা। 

দিল্লিতেইন্ডিয়াজোট সরকার গঠন করলে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে সে বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্ডিয়া জোটকে নেতৃত্ব দিয়ে, বাইরে থেকে সব ধরনের সাহায্য করে আমরা সরকার গঠন করে দেবো, যাতে আমার মা-বোনদের কোনো অসুবিধা না হয়। ১০০ দিনের কাজে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।

তবে পশ্চিমবঙ্গে কোন ধরনের ইন্ডিয়া জোট নেই সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমকে ধরবেন না। কারণ ওরা আমাদের সঙ্গে জোটে নেই। ওরা বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। ওরা বিজেপিকে সাহায্য করে।

এদিনের নির্বাচনী সভায় মমতারজোটের বাইরে থেকে সমর্থননিয়েই রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অতীতে সিপিআইএমসহ বাম দলগুলোকে এধরনের ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল।

১৯৮৮ সালে কেন্দ্রে যখন অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার গঠন করে, তখন বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েছিলেন মমতা। যদিও এরপরে বিভিন্ন সময় কখনো বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায়, আবার কখনো মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মোট সাত দফায় দেশটির ৫৪৩টি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। প্রথম চার দফার ভোটে এরই মধ্যে ৩৭৯ আসনের ভোট সম্পন্ন হয়েছে। পঞ্চম দফায় ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম শেষ দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী জুন। ভোটগণনা আগামী জুন।


দিল্লি   ইন্ডিয়া জোট   সরকার   মমতা   তৃণমূল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার একটি সরকারি বৈঠক শেষে ফেরার পথে তিনি তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। স্লোভাক গণমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স ও বিবিসি।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গুলি লাগার পর ফিকো মাটিতে পড়ে যান এবং তাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ আপডেটে বিবিসি জানিয়েছে, ফিকোর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই এবং তার গায়ে লাগা গুলির জখম বেশ গুরুতর।

হামলার পরপরই একজনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

গত সেপ্টেম্বরে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ফিকো। ওই সময় ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান তিনি।

ফিকোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। এই মুহূর্তে তাকে হেলিকপ্টারে করে বাঙ্কসা বায়াসত্রিকাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ ব্রাতিসলাভাতে পৌঁছাতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ”

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হ্যান্ডলোভার হাউজ অব কালচারের বাইরে ফিকোর পেটে চারটি গুলি করা হয়। পুলিশ ওই স্থানটি ঘিরে ফেলেছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্লোভাকিয়া   প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন