ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সাত মাসেরও বেশি সময় পার হয়েছে। আর এই করুণ সময়ে সবদিক থেকেই প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে গাজা। শুধু তাই নয়, এই সময়ের মধ্যে শস্য ও খাদ্য উৎপাদনের পুরো সক্ষমতা হারিয়েছে ফিলিস্তিনের এই অবরুদ্ধ ভূখণ্ড। পাশাপাশি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়েছে উপত্যকার বিশুদ্ধ পানির জোগান। শুক্রবার (০৩ মে) ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলা এবং বুলডোজারের চাপায় ধূলিসাৎ হয়েছে গাজার অধিকাংশ কৃষিজমি এবং ফলের বাগান। তারপরও কিছু জমি হয়তো বেঁচে ছিল, কিন্তু বোমা হামলা থেকে বাঁচতে গাজাবাসী যখন দক্ষিণ দিকে ছুটেছে, তখন পেছনে ফেলে যাওয়া জমির ফসল এবং গবাদিপশু মারা পড়েছে পানির অভাব ও অনাহারে।
আশরাফ ওমর নামে উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ার এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, জানুয়ারির শেষের দিকে ইসরায়েলি সেনারা তার ফসলের জমি বুলডোজার দিয়ে পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে। একইসঙ্গে তার একটি গ্রিনহাউস এবং সৌরশক্তির প্রকল্প ছিল, সেগুলোও ভেঙে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনারা। সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে তারা একটি সামরিক বাফার জোন তৈরি করেছে।
তিনি জানান, পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এসব জমিতে তারা কমলা, লেবু, আলু, বেগুন, টমেটো এবং শসা চাষ করতেন। কিন্তু এখন সেসব শুধুই স্বপ্ন। আশরাফ ওমরের গল্প এখন গাজার প্রতিটি মানুষের।
গাজার কৃষি তথ্য, স্যাটেলাইট ইমেজ, উপত্যকার বিশেষজ্ঞ ও ফিলিস্তিনিদের সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ইতোমধ্যেই গাজার দুর্বল কৃষি ব্যবস্থা একেবারে পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
গাজার কৃষি খাত ধ্বংসের মাত্রা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, বেআইনিভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় নিজেদের সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে হামাস এবং অন্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। এসব ঠেকাতে আইডিএফ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেসব সামরিক প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে এবং তা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারেই করা হয়েছে।
যদিও যুদ্ধের আগেও গাজার বেশির ভাগ ফল ও সবজি আমদানিই করা হতো। কারণ ২০০৭ সালে হামাস ক্ষমতা দখলের পর গাজার ওপর শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল এবং মিশর। সে কারণে গাজার খাবার উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় দুই দশক ধরে সীমিত। এখনো একটি সীমান্ত ক্রসিং ছাড়া সব সীমান্তই নিয়ন্ত্রণ করে ইসরায়েল। এর ফলে সীমিত বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ছাড়া গাজায় প্রায় সব ধরনের আমদানি ও রপ্তানি সীমাবদ্ধ। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে গাজাবাসীর।
মন্তব্য করুন
ভারতে চলছে লোকসভার নির্বাচন।
গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচন চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে
দেশটির বৃদ্ধ নাগরিকরা বাড়ি থেকে ভোট দিচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে বাড়িতে বসে ভোট দিয়েছেন
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর
ভোট দেওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে ভোট দিয়ে নিজের হাতের আঙ্গুলের
কালি দেখাচ্ছেন তিনি। তবে ছবিটিতে মনমোহনকে দেখে শুরুতে চেনাই যাচ্ছিল না।
বৃদ্ধ বয়সের পুরো ছাপ পড়েছে
তার শরীরে। ৯২ বছর বয়সী মনমোহন বয়সের ভারে যেন নুয়ে পড়ছেন। তবে তা সত্ত্বেও নিজের ভোটাধিকারটি
প্রয়োগ করেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক
ব্যক্তি লিখেছেন, ৯২ বছর বয়সেও নিজের ভোট দিচ্ছেন মনমোহন। তাকে দেখে তরুণদের অনুপ্রাণিত
হওয়া উচিত।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে
দিল্লির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা বাড়ি থেকে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই
প্রক্রিয়ায় ভোট দিচ্ছেন বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা। এটি আগামী ২৪ মে পর্যন্ত
চলবে।
মন্তব্য করুন
কর্মীদের বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে বিশ্বের
সেরা বিমান কোম্পানি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সিএনএনের সংবাদে বলা হয়েছে, যে মানদণ্ড তারা
স্থাপন করেছে, তার উচ্চতা অনেক বেশি।
বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এক কর্মী। নাম প্রকাশ
না করার শর্তে ওই কর্মী সিএনএনকে এ তথ্য দিয়েছেন যে, ভালো মুনাফা করার কারণে সিঙ্গাপুর
এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। কারণ হিসেবে তিনি
বলেছেন, এ তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার নয়।
এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সঙ্গে সিএনএন যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে
তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
গত বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর
এয়ারলাইনস। সেখানে তারা বলেছে, সেই অর্থবছরে বিমান সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা
করেছে।
আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে, উত্তর এশিয়ার দেশগুলো,
যেমন চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে
দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও
বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস গত অর্থবছরের জন্য স্ক্রাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড
এয়ারলাইনস অ্যাওয়ার্ডস প্রণীত ক্রমতালিকায় বিশ্বের সেরা বিমান সংস্থার পুরস্কার পেয়েছে।
সংস্থাটির প্রণীত ক্রমতালিকায় গত ২৩ বছরের মধ্যে এ নিয়ে পঞ্চমবার তারা শীর্ষস্থান পেয়েছে।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোহ চুন ফং বলেছেন,
প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাঁদের এই শ্রম–ঘামের
কারণে মহামারির পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে।
তবে শুধু সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস নয়, আরও বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস কর্মীদের
উদার হস্তে বোনাস দিচ্ছে। জানা গেছে, দুবাইয়ের এমিরেটস এয়ারলাইনস তার কর্মীদের ২০ সপ্তাহের
বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দিচ্ছে। সিএনএন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য করতে
রাজি হয়নি।
আয় বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস অবশ্য বলেছে, আগামী অর্থবছরে ব্যবসার
জগতে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে। তারা বলেছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা,
সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মূল্যস্ফীতির চাপ ও সরবরাহব্যবস্থায় নানা ধরনের বাধা
বৈশ্বিক বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
মহামারির সময় মানুষের যাতায়াতে বিধিনিষেধের কারণে বিমান সংস্থাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছিল। সেই বাস্তবতা এখন আর নেই। বিধিনিষেধ প্রায় সবই উঠে গেছে। ফলে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোও বড় অঙ্কের মুনাফার মুখ দেখছে।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস সিএনএন সংবাদ
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের জাবালিয়া শরণার্থী
ক্যাম্পের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে নারী
ও শিশুও রয়েছেন। নিহতরা জাবালিয়ার আল-ফালুজা নামক একটি এলাকায় পানি আনতে গিয়েছিলেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী হামলার ব্যাপারে
বলেন, “আমরা ফালুজা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলাম, যেটিকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ভাবা হয়েছিল।
কিন্তু হঠাৎ করে ইসরায়েলিরা সেখানে গোলা ছুড়েছে। আমরা জানি না কোথায় যাব।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ হামলার
একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম
আলজাজিরা।
গত কয়েকদিন ধরে জাবালিয়ায় ব্যাপক
হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। স্থল হামলা ছাড়াও বিমান থেকে প্রতিনিয়ত সেখানে
বোমা ফেলছে তারা।
গাজার মধ্যে যেসব শরণার্থী শিবির রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো জাবালিয়া। যুদ্ধের আগে এখানে হাজার হাজার মানুষ থাকতেন। এখনো শরণার্থী শিবিরটিতে অসংখ্য মানুষ রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয়
ঘোর প্রদেশে হড়কা বান-ভূমিধসে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ওই প্রদেশের পুলিশ।
শনিবারের বিবৃতিতে ঘোর প্রাদেশিক
পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বাদ্রি বলেন, ‘শুক্রবারের হড়কা বান-ভূমিধসে প্রদেশে অন্তত
৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনও নিখোঁজ আছেন আরও অনেকে। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু
হয়েছে।’
বিবৃতিতে আবদুল রহমান বাদ্রি আরও জানান, শুক্রবারের হড়কা বানে প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং আরও কয়েক হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কয়েক হাজার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে, শত শত একর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়েছে, শতাধিক সেতু ও কালভার্ট ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার গাছ উপড়ে গেছে।
বানের পানি, বাড়িঘর-গাছ-পাথরের
ধ্বংসস্তূপ জমা হয়ে প্রদেশের অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করা
হয়েছে বিবৃতিতে।
মন্তব্য করুন
পড়ালেখা করে যে, গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে। কিন্তু এই গাড়ি-ঘোড়া কিনতেও তো টাকা দরকার। আর তাই পড়ালেখা করার পর সেই টাকা জোগাড়ের খোঁজেই নেমেছিলেন বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা এমআইটি থেকে পড়াশোনা শেষ করা দুই ভাই। পড়াশোনা লব্ধ নিজেদের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে মাত্র ১২ সেকেন্ডে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
এমনই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন হলেন ২৪ বছর বয়সী আন্তন পেরেইর-বুয়েনো এবং অন্যজন ২৮ বছর বয়সী জেমস পেরেইর-বুয়েনো। ক্রিপটো মুদ্রায় বড় ধরনের চুরির অভিযোগে ইতোমধ্যে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের চুরির এই ঘটনাটিকে একটি জলজ্যান্ত উপন্যাস হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কৌঁসুলিরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ওই ভাইদের বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ ক্রিপটো মুদ্রা চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩০০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
মন্তব্য করুন
পড়ালেখা করে যে, গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে। কিন্তু এই গাড়ি-ঘোড়া কিনতেও তো টাকা দরকার। আর তাই পড়ালেখা করার পর সেই টাকা জোগাড়ের খোঁজেই নেমেছিলেন বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা এমআইটি থেকে পড়াশোনা শেষ করা দুই ভাই। পড়াশোনা লব্ধ নিজেদের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে মাত্র ১২ সেকেন্ডে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।