ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আল জাজিরা বন্ধ করতে ইসরায়েল কেন মরিয়া!

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় নির্বিচার হত্যাযজ্ঞসহ মানবতাবিরোধী অপকর্ম লুকাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না নেতানিয়াহু প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে সেখানকার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। ইতিমধ্যে তা বন্ধে অভিযানও হয়েছে।

কিন্তু এই একটি সংবাদমাধ্যমকে কেন এত ভয় পায় ইহুদিবাদী দেশটি, যেখানে গোটা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো রয়েছে তার পকেটে?

চলমান যুদ্ধে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম ধ্বংসযজ্ঞের অনেক খবরই চেপে গেছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। এর বিপরীতে ইসরাইলী বাহিনীর প্রতিটি অপকর্ম আর ফিলিস্তিনীদের দুর্দশার কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

এ কারণেই আন্তর্জাতিক এ সংবাদমাধ্যমের ওপর বেশ চটে আছে তেলআবিব। এরই প্রতিক্রিয়ায় রোববার মন্ত্রীসভায় আল জাজিরা বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়, যা সর্বসম্মতক্রমে পাস হয়। এর আগে জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি, এমন বিদেশি গণমাধ্যমের সম্প্রচার বন্ধে আইন পাস করে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের সদস্যরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ হিব্রু ভাষায় দেয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু জানান, তার নেতৃত্বে ইসরায়েল সরকার সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে- উস্কানিদাতা চ্যানেল আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হবে।

আরেক পোস্টে ইসরায়েলী যোগাযোগমন্ত্রী শালোম কারহি জানান, তিনি আলজাজিরার বিরুদ্ধে একটি নির্দেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হবে। পাশাপাশি আলজাজিরার সম্প্রচার সামগ্রী জব্দেরও নির্দেশ দেয়া হয়।

পরে তিনি আরো একটি পোস্টে আল জাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান এবং সম্প্রচার সামগ্রী জব্দের খবর দেন।

এবারই প্রথম নয় বরং এর আগেও যতবার ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত হয়েছিল, তত বারই আলজাজিরার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তেলআবিব প্রশাসন।

ইসরায়েলি প্রশাসন মনে করে, আলজাজিরার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে তেলআবিবের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। একই সঙ্গে তারা চ্যানেলটিকে হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সহযোগী হিসেবে দেখে থাকে।

এ ছাড়া গাজা, জেরুজালেম বা পশ্চিম তীর, যেখানেই ইসরায়েলি বাহিনী সামান্যতম আচড় দিক না কেন, তা ফলাও করে প্রকাশ করে থাকে সংবাদমাধ্যমটি।

বর্তমানে গাজায় যে অল্প কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কাজ করছে, তার মধ্যে আল জাজিরা অন্যতম। সম্প্রচারমাধ্যমটি গাজায় প্রতিটি বিমান হামলা, স্থল অভিযান ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হাসপাতালের খবর নিয়মিত সরবরাহ করছে।

একই সঙ্গে গণহত্যার জন্য নেতানিয়াহু প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে যাচ্ছে।

আল জাজিরার রামাল্লাভিত্তিক সংবাদদাতা জেইন বাসরাভি জানান, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের খবরই আল জাজিরাকে টিকিয়ে রেখেছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েল তার কূটনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিশ্বজুড়ে কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমকে পঙ্গু করে দিতে পারে বলে আশ্ঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।


আল জাজিরা   বন্ধ   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত

প্রকাশ: ১২:৫৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী শিশুও রয়েছেন এবং তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

ব্রেক ফেল করে গাড়ি খাদে পড়ে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। রোববার (১৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের নওশেরায় শনিবার ব্রেক ফেল করে একটি মিনি-ট্রাক গভীর খাদে পড়ে গেলে পুরুষ, নারী শিশুসহ একই পরিবারের ১৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও আটজন আহত হয়েছেন।


পাকিস্তান   সড়ক   দুর্ঘটনা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোট করার চেষ্টা করছেন মোদি: কেজরিওয়াল

প্রকাশ: ১২:২৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচন চলছে। সাত দফার নির্বাচনের মধ্যে ইতোমধ্যেই চার দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে টানা তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেমেছেন নরেন্দ্র মোদি।

নির্বাচনের মধ্যেই মোদির ব্যাপক সমালোচনা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, মোদি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতের ভোটেও একই কাজ করার চেষ্টা করছেন। 

এমনকি রাশিয়ার সঙ্গেও ভারতের তুলনা করেছেন কেজরিওয়াল। শনিবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত শুক্রবার ভারতের পরিস্থিতিকে রাশিয়ার সাথে তুলনা করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পরোক্ষভাবে উপহাস করেছেন। একইসঙ্গে ভারত 'খুব বিপজ্জনক' পর্যায়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। 

মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে (বিকেসি) বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকের এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে কেজরিওয়াল বলেন, 'বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট... পুতিন হয় তার সব প্রতিদ্বন্দ্বী নেতাদের জেলে পাঠিয়েছেন, আর না হয় তাদের হত্যা করেছেন। তারপর (পুতিন) নির্বাচন পরিচালনা করেন এবং ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন'।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল আরও বলেন, 'বাংলাদেশে, সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে। (নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে) সব বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়ী হয়েছেন। পাকিস্তানের নির্বাচনে দেশটির প্রবীণ নেতা ইমরান খানকে জেলে পাঠানো হয়েছিল, তার দলকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, তার দলীয় প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এরপরই নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে...,'।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মোদিজি, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে শেখার পরে এখানে, ভারতে একই জিনিস প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'তারা আমাকে জেলে রেখেছিল, (দিল্লির সাবেক ডেপুটি সিএম) মণীশ সিসোদিয়াকে জেলে রাখা হয়েছিল... কংগ্রেস পার্টির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আটকে দেওয়া হয়েছিল... এভাবেই আপনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং জিতবেন। এটি কাপুরুষতার চিহ্ন।'


দিল্লি   অরবিন্দ কেজরিওয়াল   বাংলাদেশ   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভিসা ছাড়াই রাশিয়ায় যেতে পারবে ভারতীয়রা

প্রকাশ: ১২:২৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারত রাশিয়ার মধ্যে ভিসামুক্ত ভ্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে পর্যটনের প্রসার ঘটাতে চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে চলতি বছরই। আর সেটি হলে ভিসা ছাড়াই রাশিয়ায় যেতে পারবেন ভারতীয়রা। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত রাশিয়ার মধ্যে পর্যটন বাড়ানোর লক্ষ্যে ভিসামুক্ত ভ্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে চলতি বছরই। বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে জুন মাসে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন রাশিয়ার একজন মন্ত্রী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারত রাশিয়ার বন্ধুত্ব সারা বিশ্বে খ্যাত। যখনই কোনও সংকট এসেছে, দুই দেশ একযোগে কাজ করেছে। এবার এই বন্ধুত্বে যোগ হতে চলেছে এক নতুন অধ্যায়। উভয় দেশ একে অপরের নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত এন্ট্রি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে, ভিসা ছাড়াই রাশিয়ায় যেতে পারবেন ভারতীয়রা। রাশিয়ানরাও ভিসা ছাড়াই ভারতে আসতে পারবেন। চলতি বছরেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।


ভিসা   রাশিয়া   ভারতীয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফিৎসোর অবস্থা এখনো গুরুতর

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

এখনো গুরুতর শারীরিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী বরার্ট ফিৎসোর। তার এখনো বড় জটিলতায় পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে তার শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা স্থিতিশীল। শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গত বুধবার স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে রবার্ট ফিৎসোকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাকে খুব কাছ থেকে পাঁচটি গুলি করা হয়। এ ঘটনায় পুরো ইউরোপ স্তম্ভিত। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার এই ঘটনাকে দেশটিতে রাজনৈতিক বিভক্তি বাড়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রবার্ট ফিৎসো বানস্কা বিসত্রিচা শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফিৎসোর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে শনিবার সেই হাসপাতালের সামনে স্লোভাকিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী রবার্ট কালিনাক বলেন, 'এটা বলা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা এখনো জয়ী হইনি।' 

শুক্রবার দুই ঘণ্টার একটি অস্ত্রোপচারের পর রবার্ট ফিৎসোর শারীরিক অবস্থার উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয়। রবার্ট কালিনাক বলেন, আমরা ধীরে ধীরে একটা ইতিবাচক অবস্থার দিকে যাচ্ছি। তবে প্রথমদিকে তাঁর অবস্থা ছিল খু্বই খারাপ। পেটে গুলে লাগলে তা প্রাণঘাতী। চিকিৎসকেরা সেই আশঙ্কা কাটিয়ে ওঠা ও শারীরিক অবস্থা আরও স্থিতিশীল করে তুলতে পেরেছেন। তবে ফিৎসো এখনো বড় ধরনের জটিলতায় পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। গুলি লাগার ক্ষত সবসময় গুরুতর। এতে অনেক ঝুঁকি তৈরি হয় যা ৪ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য ফিৎসোকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিস্লাভায় নেওয়ার দরকার নেই বলেও জানান কালিনাক। উপপ্রধানমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিছুটা যোগাযোগ করা যাচ্ছে। আপাতত তার দায়িত্ব হস্তান্তর করার প্রয়োজন নেই।


স্লোভাকিয়া   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কিরগিজস্তানে নিরাপত্তাহীনতায় ৮০০ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তানে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের জেরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শুরু হয়েছে। এতে দেশটির রাজধানী বিশকেকে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও হামলার শিকার হচ্ছেন। যার ফলে সেখানে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে বাংলাদেশের অন্তত ৮০০ মেডিকেল শিক্ষার্থীর।

কিরগিজস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। তবে প্রতিবেশী দেশ উজবেকিস্তানে থাকা দূতাবাস কিরগিজস্তানের দায়িত্ব পালন করে থাকে। ঘটনার পর দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিদের সঙ্গে দূতাবাসটি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে তাদের।

এমন পরিস্থিতিতে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব কিরগিজস্তানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তানভীর মেহরাব বাংলাদেশি এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এখানকার বর্তমান পরিস্থিতি ভালো না। আমরা এখানে নিরাপদে নেই।

তিনি বলেন, গতকাল হোস্টেলে স্থানীয়রা আক্রমণ করেছিল। আজকে আক্রমণ করা হচ্ছে আমরা যারা হোস্টেলের বাইরে বিভিন্ন বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি তাদের ওপর। বাসায় এসে দরজাতে নক করা হচ্ছে। আমরা খাবার কিনতে নিচে যেতে পারছি না।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে স্থানীয়দের সঙ্গে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মিসরীয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। তবে ঠিক কী কারণে সংঘর্ষের সূত্রপাত, তা এখনো জানা যায়নি। এর পরই দেশটিতে থাকা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান মিসরের শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাসগুলোতে হামলা চালাচ্ছে স্থানীয়রা। শহরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদেশিদের মারধর ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকি মেডিকেল কলেজগুলোর হোস্টেলে তারা ঢুকে পড়ছে। ছাত্রীদের হেনস্তা নির্যাতন করা হচ্ছে। শহরজুড়ে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, হামলায় তিন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সংঘর্ষের পর বাংলাদেশ, ভারত পাকিস্তান সে দেশে তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে।

গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃবিতে জানায়, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যেকোনো পরিস্থিতিতে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য জরুরি নম্বর (+৯৯৮৯৩০০০৯৭৮০) চালু করা হয়েছে।

দূতবাস জানিয়েছে, দেশটিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে দূতাবাস। সরকারি তথ্যমতে, সেখানকার পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে।


কিরগিজস্তান   বাংলাদেশী   শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন