ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মেক্সিকোকে ব্যবহার করে আমেরিকায় পণ্য পাঠাচ্ছে চীন

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিলাসবহুল ও আরামদায়ক সব চামড়ার সোফা, যেগুলো মন্টেরের ম্যান ওয়াহ ফার্নিচার ফ্যাক্টরি থেকে তৈরি হয় সেগুলো শতভাগই ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এখান থেকে তাদের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট ও কস্টকোর মত বড় বড় সব বিপণি।

 কিন্তু এই কোম্পানিটি চীনের মালিকানাধীন এবং মেক্সিকোতে উৎপাদন কারখানাও তৈরি হয়েছে চীনা অর্থে।

যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যকার এই ত্রিমাত্রিক সম্পর্ক একটা নতুন শব্দে পরিচিত হয়ে উঠেছে মেক্সিকোতে; আর সেটা হল ‘নিয়ারশোরিং’ - অফশোরিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে এমন নাম।

 ম্যান ওয়াহ কয়েক ডজন চীনা কোম্পানির একটা, যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে এসে অবস্থান নিয়েছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের কাছাকাছি এসে পণ্য উৎপাদন করা যায়।

এতে পরিবহন খরচ কমে যাওয়া ছাড়াও, চূড়ান্ত যে পণ্য প্রস্তুত হল বিক্রির জন্য সেটা পুরোপুরি মেক্সিকান, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধে ওয়াশিংটন চীনা কোম্পানিগুলোর উপর যে নিষেধাজ্ঞা ও কর আরোপ করেছে সেটা এড়ানোও সম্ভব হয়।

বিশাল এই কারখানা ঘুরে দেখানোর সময় ম্যান ওয়াহর জেনারেল ম্যানেজার, ইয়ু কেন ওয়েই বলছিলেন, অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক্যাল দিক চিন্তা করেই তারা মেক্সিকোতে তাদের কোম্পানি সরিয়ে এনেছেন।

“আমরা এখানে আরও তিনগুণ, এমনকি চারগুণ উৎপাদনের আশা করছি,” পরিষ্কার স্প্যানিশ উচ্চারণে কথা বলেন তিনি।

“মেক্সিকোতে আমাদের আসার উদ্দেশ্য হল ভিয়েতনামে আমরা যে পরিমাণ উৎপাদন করি, সেই পরিমাণ পণ্য এখানে উৎপন্ন করা”, বলেন তিনি।

এই ফার্ম মাত্র ২০২২ সালে মন্টেরে আসে এবং এরই মধ্যে মেক্সিকোতে ৪৫০জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে তারা।

জেনারেল ম্যানেজার আরও বলেন. তাদের লক্ষ্য ১২০০-র উপর কর্মীকে কাজে লাগানো, যাতে আসছে বছরগুলোতে কয়েক ধাপের অপারেশন এখানে চালু করা যায়।

“মেক্সিকোর মানুষ খুবই পরিশ্রমী এবং দ্রুত শিখতে পারে”, বলেন তিনি।

“আমাদের খুবই ভালো সব অপারেটর আছে এবং তাদের উৎপাদন ক্ষমতাও অনেক বেশি। তাই শ্রমিকের দিক থেকে আমি মনে করি মেক্সিকো কৌশলগতভাবেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ”, জানান তিনি।

নিয়ারশোরিং মেক্সিকান অর্থনীতিতে দারুণ ভূমিকা রাখছে। গত বছরের জুন পর্যন্ত মেক্সিকোর মোট রফতানি আগের বছরের থেকে ৫.৮% বেড়ে যায়, যেটার অর্থমূল্য প্রায় ৫৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার।

আর এই ধারা কমার কোনও লক্ষণ নেই। এ বছরের প্রথম দুই মাসেই মেক্সিকোতে যে পরিমাণ পুঁজি বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে তা ২০২০ সালের মোট বিনিয়োগের প্রায় অর্ধেকের সমান।

ম্যান ওয়াহ ফ্যাক্টরির অবস্থান মন্টেরের বাইরে চাইনিজ-মেক্সিকান ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হফুসানে। এখানে প্লটের চাহিদা আকাশ ছুঁয়েছে: অবিক্রীত আর কোনও জায়গা নেই এখানে।

শুধু তাই নয়, মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক অ্যাসোসিয়েশন (এএমপিআইপি) জানাচ্ছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেক্সিকোর সমস্ত সাইট এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

অনেক মেক্সিকান অর্থনীতিবিদ যে ঘোষণা দিয়েছেন, মেক্সিকোতে চীনের এই আগ্রহ সাময়িক কোন বিষয় নয়, সেটাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

“যেসব কাঠামোগত কারণে মেক্সিকোতে বিনিয়োগ আসছে সেটা পরিবর্তন হবে না”, বলেন মেক্সিকোর সাবেক ফরেন ট্রেড ভাইস মিনিস্টার হুয়ান কার্লোস বাকের পিনেদা।

“আমি তো এরকম কোনও লক্ষণ দেখি না যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সংঘাত খুব সহসা মিটে যাবে”, আরও জানান তিনি।

বাকের পিনেদা সেই মেক্সিকান গ্রুপে ছিলেন যারা নিউ নর্থ আমেরিকান ফ্রি টেড এগ্রিমেন্ট বা টি-মেক নিয়ে কাজ করেছিলেন।

“যদিও চীনা এসব বিনিয়োগ মেক্সিকোতে ঢোকা হয়তো কিছু দেশের পলিসির জন্য অস্বস্তিকর”, বলে পিনেদা যোগ করেন, “কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি অনুযায়ী এ সমস্ত পণ্য সব দিক দিয়েই পুরোপুরি মেক্সিকান।”

বস্তুত এই পরিস্থিতি মেক্সিকোকে দুই সুপারপাওয়ারের মধ্যে কৌশলগত ভূমিকা রাখার একটা সুযোগ করে দিয়েছে।

মেক্সিকো খুব সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জায়গায় চীনকে তাদের প্রধান বাণিজ্যিক পার্টনার বানিয়েছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও একটা প্রতীকী বদল বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে মেক্সিকোর কিছু অংশে আবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পেছনে দ্বিতীয় আরেকটা নিয়ারশোরিং আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর কারণ যুক্তরাষ্ট্রও মেক্সিকোতে কারখানা স্থাপন করছে, যার মধ্যে কিছু কিছু এশিয়া থেকে সরিয়ে আনছে তারা।

তবে সম্ভবত গত বছর সবচেয়ে বড় ঘোষণাটা ছিল মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের, যখন তিনি বলেন- মন্টেরের বাইরে টেসলার একটা বিশাল ফ্যাক্টরি স্থাপন করবেন।

যদিও এখনও পর্যন্ত এই ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ শুরু করেনি বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা।

আর টেসলা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বললেও, পরিবর্তিত বৈশ্বিক অর্থনীতি ও কোম্পানির সাম্প্রতিক ছাটাঁইয়ের কারণে তাদের পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত অনেক ধীরে এগুচ্ছে।

পরিণতি নিয়ে সংশয়

যেভাবে চীনা বিনিয়োগ আসছে তাতে অনেকেই মেক্সিকোকে সতর্ক হওয়ার কথা বলছেন, কারণ ভূরাজনৈতিকভাবে এতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে যেতে পারে দেশটি।

“শহরের পুরনো ধনী যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা দেখা যাচ্ছে, শহরের নতুন ধনী চীনের সাথে,” উদাহরণ দিয়ে বলছিলেন ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর সেন্টার ফর চায়না-মেক্সিকো স্টাডিজের অধ্যাপক এনরিক দুসেল।

“কিন্তু মেক্সিকোর আগের সরকার বা বর্তমান সরকারেরও কোনও কৌশল দেখা যাচ্ছে না এই নতুন ত্রিমাত্রিক সম্পর্কের ব্যাপারে।”

আর যেহেতু এখন সীমান্তের দুই পাড়েই, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে সামনে নতুন রাজনৈতিক ইস্যুও আসতে পারে।

এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে যেই আসুন যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্পর্কে খুব একটা উন্নতি হবে বলে কেউ মনে করছেন না।

দুসেলের বিশ্বাস নিয়ারশোরিংকে বরং ‘নিরাপত্তা অফশোরিং’ বলা যায়, কারণ ওয়াশিংটন চীনের সাথে সম্পর্কে অন্য সব কিছুর উপরে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। তার যুক্তি মেক্সিকো এর মধ্যে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে।

দুসেল যোগ করেন, “এই উত্তেজনার মাঝে মেক্সিকো যেন চীনের জন্য একটা বিজ্ঞাপন দিচ্ছে যে- ‘ওয়েলকাম টু মেক্সিকো!’ এখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর পরিণতিটা যে ভালো হবে না, তা বুঝতে আপনার ডক্টরেট করার দরকার নেই।”

অনেকে আশাও দেখছেন

“আমার মতে, প্রশ্ন এটা নয় যে কতদিন এই ধারা অব্যাহত থাকবে, বরং প্রশ্নটা এটা হওয়া উচিত যে এই ট্রেন্ড থেকে কতটা সুবিধা আমরা নিতে পারি”, মন্তব্য করেন মেক্সিকোর সাবেক ফরেন ট্রেড ভাইস মিনিস্টার হুয়ান কার্লোস বাকের পিনেদা।

 “আমি নিশ্চিত যে কলম্বিয়া, ভিয়েতনাম, কোস্টারিকাতেও একই ধরনের আলোচনা চলছে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে মেক্সিকোতে এখন যে পরিস্থিতি সেটা টেঁকসই করতে সরকারি ও করপোরেট সিদ্ধান্তগুলো এক সাথে, একইভাবে নিতে হবে যাতে দীর্ঘমেয়াদে এই ট্রেন্ডটা বজায় থাকে”, বলেন তিনি।

এদিকে মন্টেরেতে, ম্যান ওয়াহ ফার্নিচার স্টোরের প্রতিভাবান মেক্সিকান কর্মীরা আরেকটি সোফা যেটা উত্তরে পরিবহনের জন্য তৈরি হচ্ছে, সেটা শেষ বারের মতো পরীক্ষা করে দেখছিল।

আর যখন বাড়ির পাশে ওয়ালমার্ট থেকে কোনও আমেরিকান পরিবার এটা কিনছে তাদের তখন এটা তৈরি হওয়া নিয়ে যে জটিল ভূরাজনৈতিক খেলা চলছে, সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই থাকছে না।

কিন্তু দুই সুপারপাওয়ারের লড়াইয়ে নিয়ারশোরিং যতই চীনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার একটা চতুর পেছনের দরজা হোক না কেন, মেক্সিকোর জন্য এটা আসলে এই অস্থির বাণিজ্যিক সময়ে সুবিধা নেওয়ার একটা সুযোগ।


মেক্সিকো   আমেরিকায়   পণ্য   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সৌদি যুবরাজ সালমানের সঙ্গে সুলিভানের বৈঠক

প্রকাশ: ০১:২০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। সৌদি শহর ধহরানে দুজনের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এবারর বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে খসড়া কৌশলগত চুক্তির সেমিফাইনাল সংস্করণ পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই চুক্তিটি এখন প্রায় চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

বড় ধরনের একটি চুক্তির অংশ হিসেবে মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি বেসামরিক পারমাণবিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করছে ওয়াশিংটন রিয়াদ। এই চুত্তির আওতায় সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চলতি মাসের গোড়ার দিকে রয়টার্স জানায়, ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ অধরা থাকলেও পরমাণু চুক্তি চূড়ান্ত করতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন সৌদি সরকার।


সৌদি যুবরাজ   সালমান   সুলিভান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত

প্রকাশ: ১২:৫৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী শিশুও রয়েছেন এবং তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

ব্রেক ফেল করে গাড়ি খাদে পড়ে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। রোববার (১৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের নওশেরায় শনিবার ব্রেক ফেল করে একটি মিনি-ট্রাক গভীর খাদে পড়ে গেলে পুরুষ, নারী শিশুসহ একই পরিবারের ১৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও আটজন আহত হয়েছেন।


পাকিস্তান   সড়ক   দুর্ঘটনা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোট করার চেষ্টা করছেন মোদি: কেজরিওয়াল

প্রকাশ: ১২:২৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচন চলছে। সাত দফার নির্বাচনের মধ্যে ইতোমধ্যেই চার দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে টানা তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেমেছেন নরেন্দ্র মোদি।

নির্বাচনের মধ্যেই মোদির ব্যাপক সমালোচনা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, মোদি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতের ভোটেও একই কাজ করার চেষ্টা করছেন। 

এমনকি রাশিয়ার সঙ্গেও ভারতের তুলনা করেছেন কেজরিওয়াল। শনিবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত শুক্রবার ভারতের পরিস্থিতিকে রাশিয়ার সাথে তুলনা করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পরোক্ষভাবে উপহাস করেছেন। একইসঙ্গে ভারত 'খুব বিপজ্জনক' পর্যায়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। 

মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে (বিকেসি) বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকের এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে কেজরিওয়াল বলেন, 'বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট... পুতিন হয় তার সব প্রতিদ্বন্দ্বী নেতাদের জেলে পাঠিয়েছেন, আর না হয় তাদের হত্যা করেছেন। তারপর (পুতিন) নির্বাচন পরিচালনা করেন এবং ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন'।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল আরও বলেন, 'বাংলাদেশে, সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে। (নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে) সব বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়ী হয়েছেন। পাকিস্তানের নির্বাচনে দেশটির প্রবীণ নেতা ইমরান খানকে জেলে পাঠানো হয়েছিল, তার দলকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, তার দলীয় প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এরপরই নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে...,'।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মোদিজি, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে শেখার পরে এখানে, ভারতে একই জিনিস প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'তারা আমাকে জেলে রেখেছিল, (দিল্লির সাবেক ডেপুটি সিএম) মণীশ সিসোদিয়াকে জেলে রাখা হয়েছিল... কংগ্রেস পার্টির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আটকে দেওয়া হয়েছিল... এভাবেই আপনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং জিতবেন। এটি কাপুরুষতার চিহ্ন।'


দিল্লি   অরবিন্দ কেজরিওয়াল   বাংলাদেশ   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভিসা ছাড়াই রাশিয়ায় যেতে পারবে ভারতীয়রা

প্রকাশ: ১২:২৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারত রাশিয়ার মধ্যে ভিসামুক্ত ভ্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে পর্যটনের প্রসার ঘটাতে চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে চলতি বছরই। আর সেটি হলে ভিসা ছাড়াই রাশিয়ায় যেতে পারবেন ভারতীয়রা। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত রাশিয়ার মধ্যে পর্যটন বাড়ানোর লক্ষ্যে ভিসামুক্ত ভ্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে চলতি বছরই। বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে জুন মাসে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন রাশিয়ার একজন মন্ত্রী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারত রাশিয়ার বন্ধুত্ব সারা বিশ্বে খ্যাত। যখনই কোনও সংকট এসেছে, দুই দেশ একযোগে কাজ করেছে। এবার এই বন্ধুত্বে যোগ হতে চলেছে এক নতুন অধ্যায়। উভয় দেশ একে অপরের নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত এন্ট্রি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে, ভিসা ছাড়াই রাশিয়ায় যেতে পারবেন ভারতীয়রা। রাশিয়ানরাও ভিসা ছাড়াই ভারতে আসতে পারবেন। চলতি বছরেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।


ভিসা   রাশিয়া   ভারতীয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফিৎসোর অবস্থা এখনো গুরুতর

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

এখনো গুরুতর শারীরিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী বরার্ট ফিৎসোর। তার এখনো বড় জটিলতায় পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে তার শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা স্থিতিশীল। শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গত বুধবার স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে রবার্ট ফিৎসোকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাকে খুব কাছ থেকে পাঁচটি গুলি করা হয়। এ ঘটনায় পুরো ইউরোপ স্তম্ভিত। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার এই ঘটনাকে দেশটিতে রাজনৈতিক বিভক্তি বাড়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রবার্ট ফিৎসো বানস্কা বিসত্রিচা শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফিৎসোর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে শনিবার সেই হাসপাতালের সামনে স্লোভাকিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী রবার্ট কালিনাক বলেন, 'এটা বলা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা এখনো জয়ী হইনি।' 

শুক্রবার দুই ঘণ্টার একটি অস্ত্রোপচারের পর রবার্ট ফিৎসোর শারীরিক অবস্থার উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয়। রবার্ট কালিনাক বলেন, আমরা ধীরে ধীরে একটা ইতিবাচক অবস্থার দিকে যাচ্ছি। তবে প্রথমদিকে তাঁর অবস্থা ছিল খু্বই খারাপ। পেটে গুলে লাগলে তা প্রাণঘাতী। চিকিৎসকেরা সেই আশঙ্কা কাটিয়ে ওঠা ও শারীরিক অবস্থা আরও স্থিতিশীল করে তুলতে পেরেছেন। তবে ফিৎসো এখনো বড় ধরনের জটিলতায় পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। গুলি লাগার ক্ষত সবসময় গুরুতর। এতে অনেক ঝুঁকি তৈরি হয় যা ৪ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য ফিৎসোকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিস্লাভায় নেওয়ার দরকার নেই বলেও জানান কালিনাক। উপপ্রধানমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিছুটা যোগাযোগ করা যাচ্ছে। আপাতত তার দায়িত্ব হস্তান্তর করার প্রয়োজন নেই।


স্লোভাকিয়া   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন