যুক্তরাষ্ট্রের পর ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনকি, গ্রিসে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে দেশটির পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ মে) নেদারল্যান্ডসের আমস্টারড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪০ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের রাস্তায় নেমে আসেন শত শত মানুষ। এদিন দেশটির পার্লামেন্টের সামনে ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান দেন তারা। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। আন্দোলনকারীরাও পুলিশের ওপর চড়াও হন। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।
এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে নতুন করে হামলা ও মানবিক সহায়তা বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে প্যারিসের সাইন্স পো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করে এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানান তারা।
একইদিন নেদারল্যান্ডসের আমস্টারড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ক্যাম্প ভেঙে দেয় ডাচ পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় প্রায় অর্ধশত বিক্ষোভকারীকে। এছাড়া অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসে প্রায় ২০টি তাঁবু গেড়ে বসেন বিক্ষোভকারীরা। ফিলিস্তিনদের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেন তারা।
বিক্ষোভে উত্তাল স্পেনও। গাজায় হামলা বন্ধের পাশাপাশি তেল আবিবের সঙ্গে মাদ্রিদের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানান কম্পুলটেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন হয়েছে ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক এমনকি অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজসহ যুক্তরাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও।
গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে। এই সময়ে ইসরায়েলকে সহায়তা বন্ধের দাবি জানাতে গিয়ে আটক হয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে। তবুও দমে যাননি শিক্ষার্থীরা। পুলিশের দমন-পীড়ন, ধরপাকড় উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
ইসরায়েল বিক্ষোভ ইউরোপ নেদারল্যান্ডস শিক্ষার্থী আটক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন
সৌদি আরব বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আল-জাজিরার
মন্তব্য করুন