ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোভিশন সং কনটেস্টে ইসরায়েলি গায়িকা, বিক্ষোভে উত্তাল সুইডেন

প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলি এক গায়িকাকে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়ায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সুইডেন। বৃহস্পতিবার হাজার হাজার মানুষ এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে। ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট’ শীর্ষক ওই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে বৃহস্পতিবার ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ দেশটির মালমো শহরের রাস্তায় নামে। এ প্রতিবাদে অংশ নেন বিশ্বব্যাপী পরিচিত পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গণহত্যায় অভিযুক্ত কোনো দেশের প্রতিযোগী এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে না। খবর বিবিসির।

পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতা। ইউরোভিশন সং কনটেস্ট চলাকালে যদি হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানায়, তাহলে তা আয়োজকদের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে ও পরিবর্তন আনতে বাধ্য করবে। এক বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, তিনি চান ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলকে অযোগ্য ঘোষণা করা হোক। যেমনটি রাশিয়াকে করা হয়েছিল ইউক্রেনে পুরোদস্তুর রুশ আগ্রাসন শুরুর পর।

সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রতিবাদকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা ও কেফিয়াহ নিয়ে রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন। সে সময় তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে ও ফিলিস্তিনি পতাকার রঙের স্মোক ফ্লেম জ্বালায়। প্রতিবাদকারীরা জানিয়েছেন, তারা শনিবার (১১ মে) ফাইনালের আগে আবারও মিছিল করবেন।

জানা গেছে, বুধবার রিহার্সাল করার সময় থেকেই দুয়োধ্বনি শুনে আসছিলেন গোলান। তবে তার বক্তব্য ছিল, তিনি তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত ও কোনো কিছুই তাকে থামাতে পারবে না। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের পর ‘হারিকেন’ নামক একটি গান গেয়ে প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছেন গোলান। জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গোলানকে তার গানের নামও বদল করতে হয়েছে। প্রথমে তার গানের নাম ছিল ‘অক্টোবর রেইন’।

গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে হামাসের চালানো হামলার সঙ্গে মিল থাকায় গোলানকে তার গানের নাম বদল করতে বলা হয়। গানের এ প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা হলো ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)। ইবিইউ জানিয়েছে, ইউরোভিশন হলো অরাজনৈতিক সংগঠন।

কিন্তু সমালোচকরা বলেছেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া ও বেলারুশের প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এ বছরের প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনি পতাকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের প্রশ্ন, রাশিয়া ও বেলারুশ যদি নিষিদ্ধ হতে পারে, তাহলে ইসরায়েল কেন নিষিদ্ধ হতে পারবে না।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় গোলানকে শুভকামনা জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সুইডেনে সফলভাবে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলিদের মন জয় করে নিয়েছেন এ গায়িকা।


সুইডেন   বিক্ষোভ   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

খোদ অযোধ্যাতেই পিছিয়ে বিজেপি প্রার্থী

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ০৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

খোদ অযোধ্যাতেই পিছিয়ে পড়ল বিজেপি। রামমন্দিরের শহর সেটাই দেখলো আজ। যে রামমন্দিরের প্রশ্নে বিজেপির এত উত্থান সেই রামমন্দিরের শহরেই বিজেপির শোচনীয় অবস্থা।

সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীর থেকে অনেকটা পিছনে বিজেপির প্রার্থী। সপা প্রার্থী অবধেশ প্রসাদ এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী লাল্লু সিংহের থেকে। ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে পিছনে ফেলেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী।

চলতি বছরেরই জানুয়ারি মাসে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন করেছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। সেই অযোধ্যা ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেখানেই বিজেপি পিছিয়ে থাকার ঘটনা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০১৯ সালে রাম মন্দির ইস্যু ছিল বিজেপির। অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির আশ্বাস দিয়েছিল পদ্মশিবির। সেই আশ্বাস রেখেই ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে রাম মন্দির উদ্বোধন হয়। বিজেপি সারা ভারতেই এই ইস্যু নিয়ে প্রবল প্রচার করেছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বারবার রাম মন্দির প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু সেই অযোধ্যার ঘাঁটিতেই পিছিয়ে পড়ল বিজেপি। এখনও বেশ কিছু রাউন্ড গণনা বাকি।

এই লোকসভা নির্বাচনে হিন্দু-ভাবাবেগ শান দিয়ে বরাবর প্রচার চালিয়েছে বিজেপি। হিন্দু-ভাবাবেগে নির্ভর করেই বরাবর রাজনীতি করেছেন পদ্মশিবির। কিন্তু অযোধ্যা- যা হিন্দুত্বের একেবারে প্রাণকেন্দ্র। সেই লোকসভা আসনে বিজেপি পিছিয়ে পড়ার বিষয় নিয়ে হতবাক করছে সবাইকে।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   মল্লিকার্জুন খাড়গে   নরেন্দ্র মোদি   বিজেপি   কংগ্রেস   আম আদমি পার্টি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে বিজেপি, প্রত্যাশার চেয়েও ভাল ফল কংগ্রেসের

প্রকাশ: ০৪:২৭ পিএম, ০৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মেঘ দেখে করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে বিজেপি বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও, যতই সময় গড়িয়েছে ফিকে হয়ে এসেছে গেরুয়া শিবিরের হাসি। যদিও, সবশেষ পাওয়া ফলাফলে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পথে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। তবে, এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে হচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে। এখন পর্যন্ত ২৯০টির মতো আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ জোট।

অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত যে ফল, তাতে প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। বুথফেরত জরিপের সব ধরনের পূর্বাভাসকে মিথ্যা প্রমাণ করে গেল এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভাল ফল করেছে তারা। এগিয়ে রয়েছে ২৩০টির মতো আসনে। তবে এটুকু প্রায় নিশ্চিত যে, দুদিন আগে বুথ ফেরত জরিপ সংস্থাগুলো এনডিএ জোটের জয় নিয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলো ফলাফল মোটেও সে পথে এগোয়নি।
 
বুথফেরত জরিপ সংস্থাগুলো জানিয়েছিলেন, বিজেপি ও এনডিএ গতবারের চেয়েও ভাল ফল করে ৪০০ আসনের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। বুথফেরত জরিপের কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেনি বিজেপি। বরং বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া' চমক দেখিয়েছে। যদিও, শেষ পর্যন্ত এবারও দিল্লির মসনদে বসা হচ্ছেনা কংগ্রেসের।  

তবে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও এনডিও জোট ৩০০ আসনে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ৩৫২টি আসন। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনে পেয়েছিল ২৮২ আসন।

তবে ফলাফল থেকে একটি বিষয় নিশ্চিত, আর তা হলো টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ৭৩ বছর বয়সী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর পর, ভারতে যে নজির গড়তে পারেননি আর কেউ। ফলে মোদির জন্য অপেক্ষা করছে বিরল এক ইতিহাস।

তারপরও একটা অতৃপ্তি থেকেই গেছে বিজেপির।  কারণ তারা ভেবেছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই আবারও ক্ষমতায় আসবেন তারা। কিন্তু বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারের কল্যাণমূলক কর্মসূচি, হিন্দু জাতীয়তাবাদ, জাতীয় নিরাপত্তাসহ মোদীর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হলেও মোদি তার প্রচারণার দিক পরিবর্তন করে বিভাজনমূলক বা ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেন যার ফলে মোদি নিজেই নিজেকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন। যার পরিণতি আজকের নির্বাচনের ফলাফল।

অন্যদিকে, মোদিকে টেক্কা দেয়ার ক্ষমতায় কংগ্রেস যেভাবে এগিয়ে গেছে তা হয়তো অনেকেই আশা করেনি। শাসন ক্ষমতায় না গেলেও, এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস যেভাবে অস্তিত্বের জানান দিয়েছে তা অবাক করেছে গোটা ভারতবাসীকে। আর কংগ্রেসের এই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা, আগামী দিনে মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকারের জন্য যে খুব একটা সুখকর হবেনা, তা একপ্রকার নিশ্চিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ভারত   লোকসভা নির্বাচন   মল্লিকার্জুন খাড়গে   নরেন্দ্র মোদি   বিজেপি   কংগ্রেস   আম আদমি পার্টি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রায়বেরেলিতে বাজিমাত রাহুলের, আমেথিতে ধরাশায়ী স্মৃতি ইরানি

প্রকাশ: ০৩:৫৩ পিএম, ০৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি আসনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কাছে হার স্বীকার করেছেন বিজেপির প্রার্থী দীনেশ প্রতাশ সিং।

মঙ্গলবার (৬ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়। এদিন দুপুর ১ টা ৪২ মিনিটের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, রাহুল গান্ধীর কাছে পরাজয় স্বীকার করেন দীনেশ।

আরও পড়ুন: নির্বাচনী উত্তাপে ভারতের শেয়ার বাজারে ধস

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে রায়বেরেলির জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে দীনেশ বলেন, তিনি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে, কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে রায়বেরেলির জনগণের সেবা করেছেন। এই সেবাকালে যদি তাঁর চিন্তা, কথা বা কাজে কোনো ভুল হয়ে থাকে কিংবা তিনি কাউকে আহত করে থাকেন, তাহলে তিনি ক্ষমা চান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই পোস্টে তিনি আরও বলেন, তাঁর দলের সদস্যরা কংগ্রেসের এই ঘাঁটিতে (রায়বেরেলি) বিজেপির জয় নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু জনগণের রায় দেওয়ার বিষয়টি তাঁর দলের সদস্যদের হাতে ছিল না।

রায়বেরেলি কংগ্রেসের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই আসনে গত ২০ মে ভোট হয়।


আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচন: ভোট পড়ার বিশ্বরেকর্ড


এদিকে উত্তর প্রদেশের কংগ্রেসের আরেকটি শক্ত ঘাটি বা পারিবারিক আসন খ্যাত আমেথিতে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির চেয়ে ৫০ হাজার ভোটে এগিয়ে আছে কংগ্রেসের পুরোনো সৈনিক কিশোরী লাল শর্মা। ইন্ডিয়া টুডের সর্বশেষ লাইভ আপডেট অনুযায়ী, স্মৃতি ইরানি পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯ ভোট। কিশোরী লাল শর্মা পেয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮২৭ ভোট।

উল্লেখ্য, আমেথি আসনে রাহুল গান্ধী প্রার্থী না হওয়া নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। কিশোরী লাল এগিয়ে থাকায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল নির্বাচন শুরু হয়। এবং এ নির্বাচন শেষ হয় ১ জুন। গত ১ জুন (শনিবার) ভোট শেষ হওয়ার পরই শুরু হয় বুথ ফেরত জরিপের ফলাফল প্রকাশ। আর এ জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে আবার জিতছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির এনডিএ জোট। তবে এসব বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাস নাকচ করে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট।


লোকসভা নির্বাচন   রাহুল গান্ধী   স্মৃতি ইরানি   দীনেশ   ফলাফল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনী উত্তাপে ভারতের শেয়ার বাজারে ধস

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ০৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে টক্কর দিচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট। আর এতেই ধস নেমেছে ভারতের শেয়ারবাজারে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় নিফটি সূচকের পতন হয় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ; সূচক নেমে আসে ২২ হাজার ৫৫৭ পয়েন্টে। এস অ্যান্ড পি বিএসই সূচকের পতন হয়েছে ৩ শতাংশ। সকাল সাড়ে ৯টায় এই সূচক নেমে দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ১০৭-পয়েন্টে।

আজ ট্রেডিং শুরু হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের মূল্য কমেছে প্রায় ২০ লাখ কোটি রুপি। এরপর বেলা ১১টা ১০ মিনিটে নিফটির পতন হয় ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

এনডিটিভি বলছে, করোনা মহামারি শুরুর পর এটি ভারতীয় বাজারে একদিনের সবচেয়ে বড় পতন।

গতকাল সোমবার ভারতের শেয়ারবাজারের নজিরবিহীন উত্থান হয়েছিল। বাজারের সূচক আবারও ৭৬ হাজারের ঘরে উঠে যায়। নিফটিও নজির গড়ে ২৩ হাজারের ঘরে উঠে যায়; উত্থান হয় ৭৩৩ পয়েন্ট।

গত তিন বছরের মধ্যে এই দুই সূচকের সবচেয়ে বেশি উত্থান হয়েছিল গতকাল। শেয়ারমূল্য বাড়ে ১৪ লাখ কোটি রুপি।

শেয়ার বাজার   ভারতের নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পশ্চিমবঙ্গে তারকা প্রার্থীদের কে এগিয়ে কে পিছিয়ে?

প্রকাশ: ০২:২৪ পিএম, ০৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়। প্রথমে পোষ্টাল ব্যালট গণনা শেষে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এরপর ভোট গণনা শুরু হয় সকাল ৯টায়। ৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগণনা শুরু হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস এখন পর্যন্ত ৩১টি আসনে এগিয়ে আছে। এছাড়া বিজেপি ১০টি  এবং জাতীয় কংগ্রেস এক আসনে এগিয়ে আছে। তবে বামফ্রন্ট এখনো পর্যন্ত কোনো আসনে জয় পায়নি।

এদিকে বরাহনগর বিধানসভা উপ-নির্বাচনে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জী বিজেপির প্রার্থী সজল ঘোষের চেয়ে ৯ হাজার ভোটে পিছিয়ে আছে। মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জুন মালিয়া এগিয়ে আছেন।

হুগলি কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রচনা ব্যানার্জী বিজেপি জোটের প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের চেয়ে ১২ হাজার ভোটে এগিয়ে আছে। তৃণমূলের অন্য দুই প্রার্থী শতাব্দী রায় ও সায়নী ঘোষও এগিয়ে আছেন। বীরভূম আসনে এগিয়ে আছেন শতাব্দী রায়। এ আসনে তিনি এর আগেও সংসদ সদস্য ছিলেন। অপরদিকে যাদবপুর আসনে এগিয়ে আছেন সায়নী ঘোষ। তিনি ২০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।

পশ্চিমবঙ্গের ঘাটাল আসনে প্রথম রাউন্ডে ভোট গণনা শেষে জনপ্রিয় অভিনেতা দীপক অধিকার দেবের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তৃতীয় রাউন্ড শেষে ফের ১৯ হাজার ভোটে এগিয়ে যান দেব।
কৃষ্ণনগরে সকালের দিকে মহুয়া মৈত্র পিছিয়ে থাকলেও তৃতীয় রাউন্ড শেষে ৭ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।

ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতা ব্যানার্জীর ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জী ৯০ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন। এই কেন্দ্রে সকাল থেকেই এগিয়ে আছেন এই প্রার্থী।

তবে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে আলোচিত ব্যারাকপুর কেন্দ্র। সেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও বিজেপির বাহুবলী নেতা অর্জুন সিং। কখনো পার্থ ভৌমিক এগিয়ে থাকলে কখনো আবার অর্জুন সিং এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে তৃতীয় রাউন্ড শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক ৬ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।

বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র যেখানে সাবেক স্বামী-স্ত্রীর লড়াইয়ের সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী সেখানে সুজাতা মন্ডলকে পেছনে ফেলে সৌমিত্র খাঁ ৯ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।

রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝড়ে কাবু বিজেপি। তবে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে তা এখনই বলা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের শাসন তৃণমূলের হাতেই থাকছে নাকি তাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে তা জানতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা।


পশ্চিমবঙ্গ   তারকা   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন