ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অস্ত্র হাতে ভারতীয় তরুণীর নাচের ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ০৭:১৪ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবার অস্ত্র হাতে মাঝ রাস্তায় নাচলেন এক তরুণী। সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তার এ নাচের ভিডিও। এ ঘটনার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই তরুণী। তাকে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনারও দাবি উঠছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়-কমলা রঙের একটি শর্ট কামিজ পরে মহাসড়কের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে নাচছেন ওই তরুণী। এসময় তার ডানহাতে একটি অস্ত্র ছিল। নাচের একপর্যায়ে অস্ত্রটি তিনি সড়কে ছুড়ে ফেলেন। তখনও চলছিল তার নাচ। এনডিটিভি জানিয়েছে, ভিডিওটি ঠিক কবে ধারণ করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে, সম্প্রতি এটি ভাইরাল হয়।

পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে। আর এই ঘটনার পরই সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্য পুলিশ। দেওয়া হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে এ ধরনের ভিডিও বানানোয় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বহু মানুষ। এমন সস্তা উপায়ে জনপ্রিয়তা চাওয়ারও সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, যে তরুণীকে পিস্তল হাতে ভিডিও বানাতে দেখা গেছে তার নাম সিমরন যাদব। তিনি উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামে সিমরনের ২২ লাখেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। আর ইউটিউবে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১৮ লাখের বেশি।

 


ভারতীয়   ভাইরাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেন না মোদি

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ০৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

কথায় আছে 'যত গর্জে তত বর্ষে না'। সবার নজর ছিল মোদির 'হ্যাটট্রিক' জয় এর দিকে। কিন্তু নির্বাচনে জয় পেলেও, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। অন্যদিকে 'মোদি ম্যাজিক' অকার্যকর করে দিয়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছে ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচন নিয়ে সবার কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দিয়ে বিশ্বে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে দলটি। কিন্তু কেন এমন বেহাল দশা মোদির? কেনই বা এত কম ভোট পেলো গেরুয়া শিবির? 

দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলা সাত দফার ম্যারাথন ভোট শেষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই যখন নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু হয় তখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও, বেলা গড়ানোর সাথে সাথে বিজেপি-কংগ্রেস হাড্ডাহাড্ডি বেড়েই চলছিল। তারপরও আশা ছাড়েননি মোদি। ৪০০ আসন না পেলেও এককভাবে সরকার গঠনের জন্য নির্ধারিত ২৭২ আসনের জয়ের স্বপ্নে তখনও বিভোর ছিলেন তিনি। 

কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জয়ী হয়েছে ২৪০টি আসনে। ফলে, শেষ পর্যন্ত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় তারা। অপরদিকে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৯টি আসন পেয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস। 

যদিও, শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ‘এনডিএ’ ২৯৩টি আসনে বিজয়ী হওয়ায় মঙ্গলবার রাতেই নির্বাচনে জয়ের দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  অপরদিকে, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট ‘ইন্ডিয়া’ জোট পেয়েছে ২৩২টি আসন। অন্যান্য দলগুলো পেয়েছে বাকি ১৭টি আসন।

যেখানে বিজেপির লক্ষ্য ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন, সেখানে দলটি এককভাবে পেয়েছে মাত্র ২৪০টি আসন! নির্বাচনী ফলাফলে কেন এমন বিপর্যয়, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করেছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বছর পাঁচেক আগেও অর্থাৎ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩০৩টি আসন পেয়েছিলো বিজেপি। সেসময় বিজেপির পক্ষে কাজ করেছিলো 'মোদি ম্যাজিক' এবং কট্টর জাতীয়তাবাদ ইস্যু। বিশেষ করে, উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিকাশ ঘটিয়ে পুরোপুরি ফয়দা লুটেছিলেন বিজেপি নেতারা। 

কিন্তু পাঁচ বছর পরে এখন মোদির সেই ম্যাজিক মুখ থুবড়ে পড়ায়, এক ধাক্কাতেই বিজেপির আসন সংখ্যা নেমে এলো ২৪০ এ। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, উগ্র হিন্দুত্ববাদী নীতিকে টোটকা হিসেবে কাজে লাগিয়ে মোদি জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও সেই টোটকাই এবার মোদির বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে। কেননা রাজনীতিতে ধর্ম নিয়ে আসার ব্যাপারটি তৃণমূলের জনগণ খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি। 

নরেন্দ্র মোদি তার শাসনামলে ভারতীয়দের জনজীবনে বিভিন্ন বিষয়ের রূপান্তর ঘটিয়েছেন। যা সহজ ভাবে গ্রহন করতে পারেনি অনেকেই। এছাড়াও, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অবনতি, বেকারত্ব সমস্যা, ফ্যাসিবাদ, সিএএ আইন পাশসহ এমন আরও অনেক কিছুই মোদির বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষিপ্ত করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। 

আর এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছে কংগ্রেস। আর তাই ২৪০টি আসন আগামী দিনে মোদির জন্য জনগণের এক ধরনের কড়া বার্তা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি   কংগ্রেস   বিজেপি   রাহুল গান্ধী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাঞ্জাবে স্বঘোষিত খালিস্তানি নেতা কারগারে থেকেও জয়ী

প্রকাশ: ০১:০৭ পিএম, ০৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বৃহত্তর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। বিজেপি  ও কংগ্রেস কোন দলকেই সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয় নি ভারতের ভোটাররা।

এই নির্বাচনে কারাগারে থেকেই জয়ী হয়েছেন দেশটির পাঞ্জাব রাজ্যের স্বঘোষিত খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং। প্রায় দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে তিনি জিতেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অমৃতপাল পেয়েছেন লাখ হাজার ৪৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল কংগ্রেসের কুলবির সিং জিরা পেয়েছেন লাখ হাজার ৩১০ ভোট। ভোটের ব্যবধান লাখ ৯৭ হাজার ১২০। ভারতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

৩১ বছর বয়সী অমৃতপাল গত বছর গ্রেফতার হন। তিনি পাঞ্জাবের খাদুর সাহিব আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি আসামের ডিব্রুগড় কারাগারে আছেন।

২০২৩ সালের এপ্রিলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় গ্রেফতার হন অমৃতপাল। এর আগে এক সহযোগীর মুক্তির দাবিতে তিনি তার সমর্থকেরা একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালান।

ওয়ারিশ পাঞ্জাব দে (ডব্লিউপিডি) দলের প্রধান অমৃতপাল লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থিতার আবেদন করার পর সমর্থকেরা আশঙ্কা  করে বলেছিলেন, তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত অমৃতপালের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।


পাঞ্জাব   খালিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতার বদলে শরিক নির্ভর মোদি

প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ০৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail


টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এবারের নির্বাচনে ৪০০ আসন জেতার স্বপ্নে বিভোর ছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। তবে মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, ৪০০ আসন তো অনেক পরের কথা, এই নির্বাচনে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতেই পারলেন না বিজেপি। 

যদিও স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পাশে নিজের নামটি তিনি খোদাই করতে চলেছেন। কিন্তু নেহরুর মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে তিনি ব্যর্থ হলেন। পেরোতে  পারলেন না ‘চার শ পার’ স্লোগান সার্থক করে রাজীব গান্ধীর রেকর্ড টপকে যেতে।

এতে কংগ্রেস স্বভাবতই উৎফুল্ল। গতকাল বিকেলে দলীয় দফতরে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে পাশে নিয়ে সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই ফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়। গোটা নির্বাচনটাই বিজেপি লড়েছিল মোদির নামে। যাবতীয় গ্যারান্টিও দিয়েছিলেন মোদি। এটা ছিল তাঁর পক্ষে অথবা বিপক্ষের গণভোট। জনতা তার বিরুদ্ধেই মত দিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল মোদির দল বিজেপি এককভাবে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পেলেও তাদের এনডিএ তিন শ আসনও ছুঁতে পারল না। প্রবলভাবে উঠে এল কংগ্রেসের উদ্যোগে গড়া ‘ইন্ডিয়া’ জোট। টানা এক দশক পর তারা মোদির বিজেপির একদলীয় শাসনের অবসান ঘটাল। সরকার গড়লেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদিকে এখন থেকে হতে হবে পরমুখাপেক্ষী। তাঁর ঘাড়ে প্রতিনিয়ত শ্বাস ফেলবে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া।

ফলে সরকার গঠন করার জন্য এবার মোদিকে এনডিএ-র দুই মিত্র নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমারের ওপর নির্ভর করতে হবে। তবে ঘটনাচক্রে অতীতে ওই দুই নেতারই একাধিকবার এনডিএ জোট ছেড়ে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য ওঠে এসেছে।

ভারতের নির্বাচন কমিশন ও গণমাধ্যমের তথ্যমতে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৩ আসন পেয়েছে। ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩২টি আসন। বিজেপি একা সরকার গঠনের জন্য ২৭২ ম্যাজিক ফিগারের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ। দলটি পেয়েছে ২৪০ আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি। এর অর্থ, বিজেপিকে সরকার গড়তে হলে নির্ভর করতে হবে প্রধানত দুই শরিক নীতীশ কুমারের জেডি–ইউ ও অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) ওপর। এই দুই দলের সম্মিলিত আসন ২৮টি। 

এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, আগামী দিনগুলোয় প্রশাসক নরেন্দ্র মোদিকে নতুনভাবে আবির্ভূত হতে হবে। সেই ভূমিকা তিনি  কোন দিন পালন করেন নি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তার সরকার ছিল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ। কারো ওপর নির্ভর করতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও তার নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে কখনো অন্য কারও মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়নি। ২০১৪ সালে সরকার গড়েছিলেন ২৮২ আসন পেয়ে। পাঁচ বছর পর পান ৩০৩ আসন। এবার এক ঝটকায় তা ২৪০ এ নেমেছে। সরকার গড়ার এই যে ৩২টি আসন ঘাটতি, তা মেটাতে হবে জেডি–ইউ, টিডিপি, শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠী, চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি ও উত্তর প্রদেশের জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডির মতো দলগুলোর সমর্থন নিয়ে। এদের কাউকেই উপেক্ষা বা অবজ্ঞা করার মতো অবস্থায় মোদির বিজেপি থাকবে না; বরং সারাক্ষণ তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। দাবি মানতে হবে। পছন্দের মন্ত্রিত্বও দিতে হবে। না হলে জোট ছাড়ার প্রচ্ছন্ন শঙ্কার মধ্যে থাকতে হবে। 

জোট সরকার চালানোর কোনো অভিজ্ঞতাই মোদির নেই। জোটের ধর্ম কেমন, তা–ও তার জানা নেই । টানা ১০ বছর দাপিয়ে তিনি শাসন করেছেন। কারো তোয়াক্কা না করে সরকার চালিয়েছেন। পুরোপুরি নিজের ইচ্ছেমতো। সেই উঁচু মাথা হেঁট করে অনমনীয় চরিত্র নমনীয় করে শরিকদের যাবতীয় আবদার মেনে শাসন করার কায়দা তাঁকে শিখতে হবে। আত্মমগ্ন ও কর্তৃত্ববাদী কোনো শাসকের পক্ষে রাতারাতি এই রূপান্তর কঠিন। সেই কঠিন কাজই মোদিকে রপ্ত করতে হবে। এমন মোদিকে কেউ কখনো দেখেনি। সে দিক দিয়ে তিনি নিজেই চমকপ্রদ দ্রষ্টব্য হয়ে উঠবেন।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অবশেষে বিজেপির উপহাসের জবাব দিলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

প্রকাশ: ১১:৪৩ এএম, ০৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বছরের পর বছর ধরে বিজেপির উপহাসের প্রধান লক্ষ্য ছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। নির্বাচন থেকে শুরু করে যে কোনো জনসভা বা বৈঠক সব জায়গাতেই বিজেপির প্রধান আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু থাকে কংগ্রেসকে ঘিরে। কিন্তু উপহাসের শিকার সেই কংগ্রেস এবার একাই সেঞ্চুরি করেছে। আর এর জন্য  রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। 

সারাদেশে  রাহুল গান্ধী তার প্রচারণা শুরু করেছিলেন ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে। তার যাত্রার মাধ্যমে রাহুল দেশের জনগণের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলেন যার প্রতিফলন দেখা গেছে ভোটের মাঠে। এর আগে দেশের জনগণ রাহুলকে শুধু টিভির পর্দাতেই দেখত, কিন্তু তার এই ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে তিনি পুরোপুরিভাবে দেশের সকল প্রান্তের মানুষের মন দখল করে নিয়েছিলেন যা বিজেপির ধারণাকে ভেঙে দিতে অবদান রাখে। 

ভারত জোড়ো যাত্রাকালের আগে রাহুল গান্ধীর কুকুরছানাকে আদর করার দৃশ্য, মানুষকে আলিঙ্গন করা এবং সমাজের প্রতিটি স্তরের জনগণের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়া, ছাত্র থেকে ট্রাকচালক সকল স্তরের মানুষের সঙ্গে তার যোগাযোগ এসব দেশের জনগণ আগে দেখেনি। এটি তার ভোটব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে।

তবে লোকসভা নির্বাচনে অনেকেই আশা করেছিলেন যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কিন্তু যখন তিনি তা করেননি তখন নানারকম প্রশ্ন উঠেছিল। তার প্রতিক্রিয়ায় প্রিয়াঙ্কা বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এটি তার একটি সচেতন সিদ্ধান্ত। যদি তিনি এবং রাহুল উভয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তবে তারা একটি নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণার সাথে আবদ্ধ হবেন। কিন্তু তারা দুই ভাইবোনই একসঙ্গে প্রচারণায় আবদ্ধ হতে চাননি। তাই নিজেকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতেই তিনি নিজেকে মুক্ত রাখেন। 

এবারের নির্বাচনে একজন প্রতিবাদী বক্তা হিসেবে প্রিয়াঙ্কার আবির্ভাব ঘটে। কথা দিয়ে তিনি দর্শকদের মোহিত করেন এবং তাদের সাথে মনের ভাব আদান প্রদান করেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিযোগের পাল্টা উত্তরও দেন তিনি।  

কংগ্রেস জনগণের স্বর্ণ, মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেবে- মোদির এমন বক্তব্যের জেরে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ভারত স্বাধীন হয়েছে ৭০ বছর। এর মধ্যে ৫৫ বছরই দেশ শাসন করেছে কংগ্রেস। এই ৫৫ বছরে কংগ্রেস কি জনগণের স্বর্ণ-মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিয়েছে। বরঞ্চ যখন যুদ্ধ চলছিল, তখন ইন্দিরা গান্ধী দেশের জন্য তার স্বর্ণ দান করেছিলেন। আমার মা দেশের জন্য তার মঙ্গলসূত্র উৎসর্গ করেছিলেন।

তাদের ভাইবোনের এমন জনসংযোগ দেশের জনগণের কাছে বিজেপি যে ভাবমূর্তি তৈরি করেছিল তা ভেঙে গিয়েছে এবং এর প্রেক্ষিতে শাসক দল তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।

এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩২৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, যা ছিল সর্বকালের সর্বনিম্ন, বাকি ২১৫টি আসন মিত্রদের জন্য ছেড়ে দেয়। মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের এমন বড় সিদ্ধান্তের পেছনেও বড় ভূমিকা রাখেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। এই সিদ্ধান্তেও উপকার পেয়েছে কংগ্রেস।

লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এখনও বিজেপির তুলনায় অর্ধেক আসন নিয়ে শেষ করতে পারে, কিন্তু গান্ধী ভাই-বোনরা তাদের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে বেশ উজ্জ্বল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের সংবাদ সম্মেলনে মিস্টার গান্ধী দলের পারফরম্যান্সে বোন প্রিয়াঙ্কার অবদানের কথা তুলেও ধরেন।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে ভোটের লড়াইয়ে হারলেন যেসব প্রভাবশালী মন্ত্রী

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ৫৪৩টি আসনের চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে সরকার গঠনের জন্য কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে জয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করি, পর্যটনমন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি, ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়াসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী।

তবে সামনের সারির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বেশ কয়েকজন হেরে গেছেন। উত্তর প্রদেশের আমেথিতে সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি লাখ ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন কংগ্রেসের কিশোরীলাল শর্মার কাছে।

ইলেকট্রনিক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী রাজিব চন্দ্রশেখর কংগ্রেসের শশী থারুরের কাছে ১৬ হাজার ভোটে হেরেছেন কেরালার থিরুভানানথাপুরমে।

আবাসন নগর বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কৌশল কিশোর মোহনলালগঞ্জ হেরেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী আর.কে. চৌধুরীর কাছে।

ভারী শিল্প বিষয়কমন্ত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেন্দ্র নাথ পান্ডে ২১ হাজারের বেশি ভোটের ব্যধানে চান্দৌলি লোকসভা আসনে হেরেছেন সমাজবাদী পার্টির বীরেন্দ্র সিংয়ের কাছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি, যার ছেলে ২০২১ সালের অক্টোবরে লখিমপুর খেরিতে সহিংসতার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন, তিনি লখিমপুর খেরি আসনে সমাজবাদী পার্টির উৎকর্ষ ভার্মার কাছে ৩৪ হাজার ভোটে হেরেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ায় হেরে গেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর কাছে প্রায় ৩৩ হাজার ভোটে হারেন তিনি।

কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী এবং বর্তমান সাংসদ অর্জুন মুণ্ডা ঝাড়খণ্ডের খুন্তি লোকসভা আসনে কংগ্রেস প্রার্থী কালীচরণ মুণ্ডার কাছে প্রায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন।

সার নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভগবন্ত খুবা বিদরে কর্ণাটকের মন্ত্রী ঈশ্বর খন্ড্রের ছেলে সাগর খন্ড্রের কাছে হেরেছেন।

কৃষি কৃষক কল্যাণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরী রাজস্থানের বারমেরে হেরেছেন। ভোটের ব্যবধান প্রায় সাড়ে চার লাখ।

মৎস্য, পশুপালন দুগ্ধ পালনের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান পরাজিত হয়েছেন তামিলনাড়ুর নীলগিরিস আসনে। ডিএমকে বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে তার ব্যবধান লাখ ৪০ হাজার ভোটের।

কোচবিহার লোকসভা আসনে বিজেপির নেতা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিসিথ প্রামাণিক টিএমসির জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়ার কাছে ৩৯ হাজার ভোটে হেরেছেন।

পশুপালন, মৎস্য ডেইরি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বলিয়ান মুজাফফরনগর লোকসভা আসনে সমাজবাদী পার্টির হরেন্দ্র সিং মালিকের কাছে ২৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন।

গত ১৯ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সাত ধাপে চলা এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৭ কোটি। আর লোকসভার ৫৪৩ আসনের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন হাজার ৩৬০ জন। ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ২৯৩ টি, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ২৩২ টি ও অন্যান্য দল ১৮ টি আসনে বিজয়ী হয়েছে।


ভারত   ভোট   প্রভাবশালী   মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন