ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ৭

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেইন্ট পিটার্সবার্গে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে বাসডুবির ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন । শনিবার সকালের দিকে ঘটেছে এই ঘটনা।

রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা দপ্তরের সেইন্ট পিটার্সবার্গ শাখা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসটিতে চালকসহ যাত্রী ছিলেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার এই ৯ জনের মধ্যে জীবিত ছিলেন মাত্র ২ জন।

পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, নদীতে পড়ার আগে অন্তত  কয়েক জন যাত্রীর বাসের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষার সুযোগ ছিল, কিন্তু সম্ভবত পরিস্থিতির আকস্মিকতায় তারা সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রাস্তায় মোড় ঘোরার সময় বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন চালক। ওই অবস্থাতে বাসটি এলোমেলোভাবে কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে ব্রিজের দিকে যেতে থাকে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে পুরোপুরি ডুবে যায়।

বাসটি ডুবে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের ১৮টি বিশেষায়িত ইউনিটের ৬৯ জন কর্মী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। 


রাশিয়া   বাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কারা আছে এনডিএতে? সরকার গড়ার অঙ্ক কী?

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ০৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে টানা এক দশক ধরে দাপটের সঙ্গে একদলীয় শাসন চর্চা করে গেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। মূলত ধর্মীয় মেরুকরণকে পুঁজি করে গত দুইবার ক্ষমতায় এসেছিল দলটি, যা তথাকথিত মোদি ম্যাজিক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ১৮তম লোকসভায় অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে মোদি ম্যাজিক। চারশ আসন পাওয়ার ঘোষণা করলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পায়নি মোদির দল বিজেপি। ফলে সরকার গঠনে এখন শরিকদের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে মোদিকে।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গড়তে এরই মধ্যে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।

বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দুই ‘এন ফ্যাক্টর’ চন্দ্রবাবু নাইডু ও নিতীশ কুমারকে পাশে বসিয়ে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকেই কার্যত অবসান হলো সব জল্পনার। 

এবার আসুন জেনে নিই কারা কারা আছেন এই এনডিএ জোটে এবং কীভাবে হতে পারে এবার মোদির মন্ত্রিসভা।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালে তৈরি হয় এনডিএ। কংগ্রেস এবং তার সহযোগী দলগুলো বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৎকালীন বিজেপি নেতৃত্ব ঠিক করেন জোটবদ্ধ হয়ে লড়বেন। কেন্দ্রের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারকে গদিচ্যুত করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয় এনডিএ।

অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্ব জোটের সূচনা। এই জোটে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকলেও অন্য ছোট-বড় রাজনৈতিক দলগুলোর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। বিশেষত, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো এনডিএতে বড় ভূমিকা নেয়।

এনডিএ-র প্রথম সভাপতি বাজপেয়ীই। তার নেতৃত্বে ১৯৯৯ সালে সরকারে আসে এনডিএ। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনিই এনডিএ-র চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব সামলেছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী।

২০১৪ থেকে এনডিএ-র সভাপতি অমিত শাহ। তবে জোটের নেতা মোদী। তাকে সামনে রেখেই ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে জিতে আবারও ক্ষমতায় আসে এনডিএ। এই জোট সে বার ৩৮.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।

২০১৯ সালে এনডিএ-র ভোট শতাংশের হার বৃদ্ধি পায়। ৩৮.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫.৪৩ শতাংশে। সে বার ৩৫৩ আসন পেয়েছিল এনডিএ। বিজেপি একাই ৩০০ আসনের গণ্ডি পার করে ফেলেছিল। তবে ২০২৪ সালে আসনসংখ্যা অনেকটাই কমেছে বিজেপি এবং এনডিএ-র। যে কারণে সরকার গড়ার ব্যাপারে জোটের অন্দরেই শুরু হয়েছে পাটিগণিতের হিসাব।

এনডিএ-র মধ্যে ভাঙা-গড়ার খেলা লেগেই আছে সেই ১৯৯৮ থেকে। কখনও শরিক দলের সংখ্যা বেড়েছে, আবার কখনও জোটের হাত ছেড়েছে অনেকে। এমনও দল আছে, যারা জোটে এসেছে, আবার জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে, ফের ফিরে এসেছে।

তাই নতুন সরকার গড়ার জন্য বিজেপির এখন একটাই কাজ। তা হল, এনডিএর শরিকদের জোটবদ্ধ রাখা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকার গড়ার ‘ম্যাজিক ফিগার’ থেকে ২০-২২টি আসন বেশি পেয়েছে এনডিএ।

এনডিএ শরিক দল হিসাবে বিজেপি এ বারের নির্বাচনে ২৪০টি আসন পেয়েছে। তার পরই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। তাদের ঝুলিতে রয়েছে ১৩টি আসন। বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ জিতেছে ১২টি আসন।

এ ছাড়াও লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) পেয়েছে পাঁচটি আসন। একনাথ শিন্ডের শিবসেনা পেয়েছে ৭টি আসন। জোটের বাকি ছোট ছোট আঞ্চলিক দলগুলি একটা-দুটো করে আসন পেয়েছে। সব মিলিয়ে ২৯২ আসন পেয়েছে এনডিএ।

এনডিএ-র বাকি ১০টি দল বাকি ১৬টা আসন পেয়েছে। তাদের মধ্যে জেডিএস, আরএলডি, জেএনপি পেয়েছে ২টি করে আসন। বাকিরা একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।

এনডিএ-র অন্যতম প্রধান দুই দল টিডিপি এবং জেডিইউ এখন আলোচনার কেন্দ্রে। এ বারে বিহারে নীতীশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবুকে পাশে না পেলে টানা তৃতীয় বার মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখার বিজেপির স্বপ্ন কঠিন হয়ে যাবে।

কেন স্বপ্নের পথে কাঁটা টিডিপি এবং জেডিইউ? কারণ অতীতে এই দুই দলের প্রধানদেরই ‘পাল্টি’ খাওয়ার উদাহরণ রয়েছে। মোদী ২০১৪ সালে যখন প্রথম দফায় সরকার গড়েছিলেন, এনডিএ-র শরিক ছিলেন চন্দ্রবাবু।

কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ প্যাকেজ না পাওয়ায় ২০১৮ সালে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যান। এ বারে ভোটের আগে চন্দ্রবাবুর সঙ্গে হাত মেলায় বিজেপি। আবার জেডিইউ-এর জোটে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ নীতীশের জোটবদলের ইতিহাস রয়েছে। কখনও বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, আবার কখনও হাত ছেড়েছেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় এনডিএতে থাকলেও ২০১৯-এর লোকসভায় এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন নীতীশ।

বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ তৈরির ব্যাপারে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন নীতীশ। কিন্তু এ বারের লোকসভা ভোট শুরুর আগেই জোটবদল করেন তিনি। ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়ে ‘এনডিএ’তে চলে যান। বলা চলে, টিডিপি এবং জেডিইউ-এর সমর্থন না পেলে এনডিএ ‘জাদুসংখ্যা’ ছোঁয়ার আগেই থেমে যাবে। তাই এখন জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন চন্দ্রবাবু এবং নীতীশ।

অন্ধ্রের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবুর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে মোদী-শাহের। কেন্দ্রে সরকার গড়ার প্রশ্নেও আলোচনা হয়েছে বলেও খবর। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চন্দ্রবাবু কিছু শর্ত দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বকে। তবে এ-ও জানিয়েছেন যে তিনি এনডিএতেই থাকছেন।

সেই শর্তের মধ্যে যেমন আছে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ প্যাকেজ, তেমনই রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে তাঁর দলের গুরুত্ব বৃদ্ধির প্রশ্ন। কিছু মন্ত্রক নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। অন্য দিকে, সরকার গড়ার ব্যাপারে নীতীশের সঙ্গেও একপ্রস্ত আলোচনা সেরে রেখেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের একটি অংশের দাবি, প্রয়োজনে নীতীশকে উপপ্রধানমন্ত্রী করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে, ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরও নীতীশ-নায়ডুকে পাশে পেতে পাল্টা তৎপর। যদি তারা এনডিএ ছেড়ে চলে আসেন, তবে মোদির সরকার গড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে।

নরেন্দ্র মোদি   এনডিএ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভায় রাহুল গান্ধীর উত্থান নিয়ে প্রিয়াঙ্কার আবেগঘন স্ট্যাটাস

প্রকাশ: ০৭:১১ পিএম, ০৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট নরেন্দ্র মোদির বিজেপির নেতৃত্বের এনডিএ জোটের দারুণ পরীক্ষা নিয়েছে বলা যায়। নির্বাচনের আগে মোদি যেখানে ঘোষণা দিয়েছিলেন- এবার চারশ আসনে জিতবে তার দল; সেখানে ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে এবার আর সংসদের নিম্নকক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না বিজেপি। মোদি ম্যাজিকে ধস নামানোর কারিগর আর কেউ নন, রাহুল গান্ধী। আর তাই বুধবার ভাই রাহুলকে নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে আবেগঘন একটি পোস্ট দিলেন প্রিয়াঙ্কা। 

প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘যে কেউ যা কিছু বলুক না কেন তুমি নিজের জায়গায় স্থির ছিলে। সকলে সন্দেহ প্রকাশ করলেও নিজের প্রতি আস্থা হারাওনি। মিথ্যার অপ্রতিরোধ্য প্রচার সত্ত্বেও সত্যের জন্য লড়াই থামাওনি। রাগ এবং ঘৃণাকে নিজের মধ্যে স্থান দাওনি। ভালোবাসা, সত্য এবং দয়ায় সকলের মন জয় করেছ। যারা তোমাকে দেখতে পারেনি, তারা এখন দেখছে। কেউ কেউ সবসময় লক্ষ্য রাখছে এবং জানে তুমি সাহসী। তোমার বোন হতে পেরে আমি গর্বিত।’

এবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধীর যৌথ লড়াইয়ের ফলেই ৯৯টি আসনে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। ২০১৯ লোকসভা ভোটে যেখানে ৫২টি আসন পেয়েছিল সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। এতে চাঙ্গা হয়েছে কর্মীদের মনোভাব। এক্সিট পোলকে কলা দেখিয়ে কংগ্রেসের জোট ইন্ডিয়া জিতে নিয়েছে ২৩২টি আসন, যা বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনে অনেকেই আশা করেছিলেন যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কিন্তু যখন তিনি তা করেননি তখন নানারকম প্রশ্ন উঠেছিল। তার প্রতিক্রিয়ায় প্রিয়াঙ্কা বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এটি তার একটি সচেতন সিদ্ধান্ত। যদি তিনি এবং রাহুল উভয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তবে তারা একটি নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণার সাথে আবদ্ধ হবেন। কিন্তু তারা দুই ভাইবোনই একসঙ্গে প্রচারণায় আবদ্ধ হতে চাননি। তাই নিজেকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতেই তিনি নিজেকে মুক্ত রাখেন। 

এবারের নির্বাচনে একজন প্রতিবাদী বক্তা হিসেবে প্রিয়াঙ্কার আবির্ভাব ঘটে। কথা দিয়ে তিনি দর্শকদের মোহিত করেন এবং তাদের সাথে মনের ভাব আদান প্রদান করেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিযোগের পাল্টা উত্তরও দেন।

এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩২৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, যা ছিল সর্বকালের সর্বনিম্ন, বাকি ২১৫টি আসন মিত্রদের জন্য ছেড়ে দেয়। মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের এমন বড় সিদ্ধান্তের পেছনেও বড় ভূমিকা রাখেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। এই সিদ্ধান্তেও উপকার পেয়েছে কংগ্রেস।

লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এখনও বিজেপির তুলনায় অর্ধেক আসন নিয়ে শেষ করতে পারে, কিন্তু গান্ধী ভাই-বোনরা তাদের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে বেশ উজ্জ্বল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের সংবাদ সম্মেলনে মিস্টার গান্ধী দলের পারফরম্যান্সে বোন প্রিয়াঙ্কার অবদানের কথা তুলেও ধরেন।

লোকসভা নির্বাচন   রাহুল গান্ধী   প্রিয়াঙ্কা গান্ধী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু’র সমর্থন, সরকার গঠন করছে এনডিএ

প্রকাশ: ০৭:০৯ পিএম, ০৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। এমন পরিস্থিতিতে সরকার গঠনের জন্য জোটসঙ্গীদের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদিকে। বিশেষ করে নিতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো নেতাদের কদর বেড়েছে মোদির কাছে। আর তারাও মোদিকে নিরাশ করেননি। বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গড়তে তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ও জেডইউ সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেছে। 

বুধবার (৫ জুন) হিন্দুস্তান টাইমসসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের ফলাফলে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি আসন। সংবিধান অনুযায়ী ভারতে সরকার গঠনের জন্য কোন দলকে ২৭২টি আসনে জিততে হয়। তাই সরকার গঠনের জন্য জোট গড়তে তোড়জোড় শুরু করে দলগুলো।

এ অবস্থায় ভারতের রাজনীতিতে হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেন মোদির জোটের বিহারভিত্তিক জনতা দল ইউনাইটেডের প্রধান নেতা নীতিশ কুমার ও তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু।
  
এই দুই নেতাকে নিজেদের জোটে টানতে তাদের নিয়ে একরকম টানাটানি শুরু হয়। একদিকে ইন্ডিয়া জোট অন্যদিকে এনডিএ। দুই পক্ষই তাদের জোটে ভেড়াতে চাইছে।
 
নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, চন্দ্রবাবু নাইডুর দল পেয়েছে ১৬টি আসন। অন্যদিকে নীতিশের দল পেয়েছে ১২ টি আসন। দুই দল মিলিয়ে ২৮টি আসন। অতীতেই তাদের দল বদলের ইতিহাস রয়েছে।
 
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) সিনিয়র নেতারা বুধবার নয়াদিল্লিতে একটি বৈঠকে মিলিত হন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার একদিন পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্র বলেছে, নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে টিডিপি ও জেডিইউ নেতারা। ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ।
  
এরই মধ্যে তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শনিবার (৮ জুন) শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যদিয়ে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর পর টানা তৃতীয়বার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মোদি।

নিতীশ কুমার   চন্দ্রবাবু নাইডু   বিজেপি   লোকসভা নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিজেপির সঙ্গে নিতীশের দর কষাকষি শুরু, তাকিয়ে পুরো ভারত

প্রকাশ: ০৬:৫৫ পিএম, ০৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। এমন পরিস্থিতিতে সরকার গঠনের জন্য জোটসঙ্গীদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির। আর এতেই দর বেড়ে গেছে নিতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো নেতাদের। এমন পরিস্থিতে বিহারে এবার খেলা দেখাবেন নীতিশ কুমার। বলতে গেলে পুরো ভারতই তার দিকে তাকিয়ে। সেই সুযোগ নিয়ে ইতোমধ্যেই বিজেপির সঙ্গে ‘দর কষাকষি’ শুরু করেছেন নিতীশ কুমার। 

রাজনৈতিক সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ বাড়ানোর জন্য দাবি জানাবেন তিনি। এমনকি চারটি মন্ত্রণালয়ও দাবি করবেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি বিহারে দ্রুত নির্বাচনেরও দাবি জানাতে চলেছেন নিতীশ কুমার।

তবে নীতীশ কুমার বরাবরই রাজনীতিতে নিজের এবং দলের স্বার্থ ছাড়া কোনো কিছুই করেন না। আর বিজেপি ব্যাকফুটে যেতেই পাল্টা তাদের সঙ্গে এবার দর কষাকষি শুরু করে দিলেন নিতীশ কুমার। নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে আনতে, পাল্টা নিতীশ দাবি করতে চলেছেন ৪ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ।

নিতীশ কুমারের দলের এক শীর্ষনেতা জানিয়েছেন, রেল মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, গ্রামোন্নয়নের মতো মন্ত্রণালয় চান তারা। যাতে রাজ্যের জন্য উন্নতি করতে পারেন।

জেডিইউ-এর হাতে রয়েছে ১২ জন সাংসদ। অন্ধ্র প্রদেশের টিডিপিও সমর্থন দিতে চলেছে বিজেপিকে। কিন্তু সমস্যা তৈরি করতে চলেছেন নিতীশ কুমার। 

এক নিতীশ কুমার যদি ১২টি আসনের জন্য এতো কিছু চান, সেক্ষেত্রে চন্দ্রবাবু নাইডুও যে বসে থাকবেন না, তা বলাই বাহুল্য। নির্বাচনের আগেই অবশ্য জেডিইউকে জানানো হয়েছিল, তাদের তিনটি ক্যাবিনেট মন্ত্রণালয় এবং একটি রাষ্ট্রমন্ত্রী দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আরও একটি রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ জেডিইউ বাড়াতে চাইছে, পাশাপাশি চাইছে চারটি ক্যাবিনেট মন্ত্রণালয়।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে আরও একটা দাবি করতে চলেছেন- আর সেটা হল রাজ্যের জন্য আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। বিহারে ৯৪ লাখ গরিব পরিবারকে ২ লাখ করে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জেডিইউ, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করতে চলেছেন তারা। 

বিহার সরকার আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পরিবারের জন্য আড়াই লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সেই অর্থের জোগানে যাতে টান না পড়ে এবং রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মানুষ যাতে পর্যাপ্ত সাহায্য পান, সেই লক্ষ্যেই অনড় জেডিইউ। 

উন্নয়নের জন্য বিহারকে যাতে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়, সেই আবেদনও করতে চলেছে নিতীশ কুমারের দল। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দর কষাকষিতে এগিয়ে থাকতে পারলে অনেকটাই স্বস্তিতে থাকবে জেডিইউ।

বিজেপি   ভারত   নরেন্দ্র মোদি   নীতিশ কুমার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পদত্যাগ করলেন নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশ: ০৪:৫০ পিএম, ০৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পদত্যাগপত্র দেওয়ার সময় মোদিকে নতুন সরকার গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ করেছেন প্রেসিডেন্ট মুর্মু। এদিকে, এনডিএ জোট সরকার গঠন করলে আগামী শনিবার ৮ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন নরেন্দ্র মোদি। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে আজ সকাল সাড়ে এগারটার দিকে মোদির সরকারি বাস ভবনে ইউনিয়ন ক্যাবিনেটের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে লোকসভার ফলাফল এবং নতুন সরকার গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এদিকে, এনডিএ জোটের বৈঠকে যোগ দিতে জোটের শীর্ষ নেতারা দিল্লিতে আসতে শুরু করেছে। বিকেল চারটায় বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী সরকার গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে। এনডিএ জোটের তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) চন্দ্রবাবু নাইডু ও জনতা দল ইউনাইটেডে বা জেডির (ইউ) নীতীশ কুমারের ওই বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিহারের নীতীশ কুমার ইতিমধ্যে জোটের কাছে নতুন সরকারে তিনটি মন্ত্রণালয় দাবি করেছে।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, নীতীশ কুমার ভোটের আগেই শরিক বদলে যোগ দিয়েছিলেন এনডিএতে। এবার রহস্যজনক গতিবিধি দেখা গেল নীতীশ কুমারের। ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর ইন্ডিয়া জোটের আরজেডির শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে এক বিমানে দিল্লি সফর করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, জনতা দল ইউনাইটেডে বা জেডির (ইউ) নীতীশ কুমার বিজেপির এনডিএ জোটে এসেছেন বেশিদিন হয়নি। তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) চন্দ্রবাবু নাইডুও এই জোটে আছেন। জোটের মধ্যে থাকলে এ দুজনে মিলে মোদিকে দিতে চলেছেন ৩০টি আসন। এর মাধ্যমে সরকার গঠন সহজ হবে তাদের। এই সংখ্যা যদি বড় রকমের হেরফের না হয় মোদিই ক্ষমতায় যেতে পারেন। এ কারণে এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নেতা হয়ে উঠেছেন এ দুজন।

তবে এর মধ্যে নীতীশকে নিয়ে একটু ভয়ে থাকতে পারেন মোদি। কেননা গিরগিটির রঙ বদল করার মতোই জোট বদল করেই যাচ্ছেন তিনি। ২০১৪ সালে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে একা নির্বাচন করেন তিনি। এরপর ২০১৫ সালে লালু যাদবের সঙ্গে মিলে জোট করেন।

দুই বছর না যেতেই এনডিএ জোটে যুক্ত হন নীতীশ। এরপর ২০২২ সালে আবারও জোট থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এ বছর আবার যুক্ত হলেন। এবার তিনি কি জোটে থাকবেন? এটি এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।

নরেন্দ্র মোদি   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন