ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২.৩৫ কোটি রুপির স্বর্ণ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ২.৩৫ কোটি রুপির বেশি মূল্যের স্বর্ণ বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ জওয়ানরা। 

শনিবার দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হালদারপাড়া বর্ডার পোস্টে কর্মরত ৩২ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সীমান্তে চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে।

চোরাকারবারীরা যখন এই স্বর্ণের বারগুলো বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করার চেষ্টা করছিল, সেসময় ২৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করে বিএসএফ। জব্দকৃত স্বর্ণের ওজন ৩.২০৮  কেজি এবং আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৩৫ লাখ ৪৬ হাজার ৭২০ রুপি।

সোমবার ভারতে লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট নেওয়া হবে। এই পর্বে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি লোকসভার নির্বাচন কেন্দ্র রয়েছে। স্বাভাবিক কারণে আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিএসএফ। তারই সফলতা পেয়েছে তারা।

বিএসএফের পক্ষে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী, শনিবার হালদারপাড়া বর্ডার পোস্টের বিএসএফ জওয়ানরা স্বর্ণ পাচারের সম্ভাবনার খবর পান। খবর পেয়ে জওয়ানরা সন্দেহভাজন এলাকায় অতর্কিত অভিযান চালায়। জওয়ানদের একটি দল সীমান্তবর্তী একটি কলাবাগানে আত্মগোপন করে, অন্য দলটি স্থানীয় বাঁশবাগানে ওত পেতে নজরদারি চালাতে থাকে। এসময় সন্দেহভাজন দুই চোরাকারবারীকে ধারালো ছুরি এবং হাতে কিছু প্যাকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে এবং কলা বাগান থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরত্বে আরও তিন চোরাকারবারীকে দেখতে পান, যারা স্বর্ণ সংগ্রহ করতে এসেছিলেন। যখন চোরাকারবারীরা প্যাকেটটি বেড়ার উপর ফেলে দিতে যাচ্ছিল, তখন জওয়ানরা তাদের চ্যালেঞ্জ জানায়। কিন্তু হঠাৎ করে চোরাকারবারীরা ধারালো ছুরি নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে জওয়ানরাও এক রাউন্ড রাবার গুলি চালায়।

এতে পাচারকারীরা ভয় পেয়ে প্যাকেটটি মাটিতে ফেলে আবার বাংলাদেশের দিকে ছুটে যায়। পরে জওয়ানরা ওই জায়গায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি চালিয়ে দুটি ধারালো ছুরি এবং তিনটি ছোট প্যাকেট উদ্ধার করে। প্যাকেটের ভেতর থেকে ২৬টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। সেই স্বর্ণ জব্দ করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তা নিয়ে আসা হয় সীমান্ত চৌকিতে। জব্দকৃত স্বর্ণ পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য বনপুর কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়।


ভারত   বাংলাদেশ   আন্তর্জাতিক সীমান্ত   স্বর্ণ   উদ্ধার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কে হচ্ছেন ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছিল। তখন ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে দলটির সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধী। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর বড় কৃতিত্ব রাহুলের বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তাই কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে চান দলটির অনেক নেতা।  

দলীয় সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বুধবার (০৫ জুন) কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বৈঠকে বিরোধীদলের নেতা নির্বাচনের বিষয়ে সরাসরি কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ঘরোয়া আলোচনায় দলের নেতারা অনেকে রাহুল গান্ধীকে বিরোধীদলীয় নেতা বানানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।

বৈঠকের আগে উদ্ধব ঠাকুরের শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, আগামীবার ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করতে পারলে সেই সরকার ব্যবস্থায় রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হতে রাজি থাকলে এ নিয়ে তাদের আপত্তি থাকবে না।

দলীয় নেতারা বলেন, বিরোধীদলের প্রধানকে সিবিআই প্রধান, লোকপাল এবং মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগের বাছাই কমিটির বৈঠকে যেতে হয়। এসব জায়গায় প্রধান বিচারপতি এবং প্রধানমন্ত্রীও থাকেন। ফলে রাহুল গান্ধী বিরোধীদলের নেতা হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখোমুখি হয়ে নিজের মত বা আপত্তির বিষয়টি তুলে ধরতে পারবেন।

কংগ্রেসের আরেক অংশের মতে, রাহুল গান্ধী সারা দিন সংসদে থাকার লোক নন। ফলে তার জন্য বিরোধীদলের প্রধানের ভূমিকা পালন করা কঠিন। তিনি সংসদে বসে থাকার বদলে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার বিষয়ে আগ্রহী। এবারের নির্বাচনে গতবারের চেয়ে ৪৭টি আসন বেশি পেয়েছে কংগ্রেস। তবে বেশকিছু জায়গায় সাংগঠনিক দুর্বলতা স্পষ্ট। ফলে মাঠে সংগঠন মজবুত করার কাজে নিয়োজিত হওয়া তার জন্য বেশি বাস্তবিক।

২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে লোকসভায় কোনো বিরোধীদলের নেতা ছিলেন না। ওই সময়ে কংগ্রেস বৃহত্তম বিরোধীদল হলেও বিরোধীদলনেতা হওয়ার মতো আসন পায়নি তারা। কেননা বিরোধীদলের নেতা হিসেবে পার্লামেন্টে জায়গা পেতে হলে লোকসভার মোট আসনের ১০ শতাংশ জিততে হবে। ফলে প্রথম মেয়াদে মল্লিকার্জুন এবং দ্বিতীয় মেয়াদে অধীর চৌধুরী বিরোধীদলনেতা ছিলেন।

এবারের নির্বাচনে অধীর হেরে গেছেন। কেবল তিনি নয়, মধ্যপ্রদেশে দিগ্বিজয় সিংহ, ছত্তিশগড়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল, রাজস্থানের সি পি জোশি এবং হিমাচলে আনন্দ শর্মার মতো প্রবীণ নেতারাও হেরে গেছেন। ফলে রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেসের জোট ইন্ডিয়ার নেতা কে হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ভারতের ৫৪৩ আসনের এবারের লোকসভার নির্বাচনে কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ পেয়েছে ২৯৩ আসন। অপরদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৩ আসন।


রাহুল গান্ধী   কংগ্রেস   ইন্ডিয়া জোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার নাইডুর শপথ গ্রহণ স্থগিত

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ০৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ওই রাজ্যের তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর শপথ গ্রহণ স্থগিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। তার শপথ নেওয়ার কথা ছিল আগামী ৯ জুন। তা পিছিয়ে ১২ জুন করার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।  

জানা গেছে, মোদির শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তাই তাদের ভারতে পৌঁছানোর সময়সূচির কথা মাথায় রেখে শপথ অনুষ্ঠান একদিন পিছিয়ে ৯ জুন সন্ধ্যায় করা হয়েছে।

টিডিপির মুখপাত্র কে পাত্তবি রাম বলেছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের রাজধানী অমরাবতীতে শপথ নেবেন নাইডু। মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর নিজে শপথ নিতে তাড়াহুড়া করে অমরাবতীতে যেতে চান না তিনি। এই শপথ অনুষ্ঠানে বিজেপির অনেক নেতাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নাইডু।

কে পাত্তবি রাম বলেন, খুব সম্ভবত নাইডু ১২ জুন শপথ নেবেন। ৭ জুন দিল্লিতে এনডিএ জোটের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। আর এরপর ৯ জুন মোদির শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এরপর অমরাবতীতে ফিরবেন এবং ১২ জুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।


তেলেগু   দেশম পার্টি   চন্দ্রবাবু নাইডু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭:২০ পিএম, ০৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

হুঁইসেল দিতে দিতে আসে পুরোনো দিনের একটি ট্রেন। সেই ট্রেনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে রেললাইনের পাশে জড়ো হন অনেক মানুষ। ট্রেনটি যখন কাছে চলে আসে তখন উপস্থিত সবাই মোবাইল দিয়ে ছবি তুলতে থাকেন। তাদের মধ্যে ছিলেন এক নারী। যিনি ট্রেনের সঙ্গে একটি সেলফি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। 

আর সেলফি তোলার নেশায় তিনি যে ট্রেনের কত কাছে চলে গিয়েছিলেন সেটি বুঝতেও পারেননি। এতে কোনো কিছু বোঝার আগেই ট্রেনের ইঞ্জিন এসে সরাসরি আঘাত হানে তার মাথায়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই নারীর মৃত্যু হয়।

গত সোমবার (৫ জুন) মেক্সিকোর হিদালগোতে ঘটেছে এ ঘটনা। ওইদিন কয়লা চালিত পুরোনো আমলের একটি ট্রেন দেখার জন্য সাধারণ মানুষ রেললাইনের পাশে গিয়েছিলেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নিহত ওই নারী ২০ বছর বয়সী ছিলেন। তিনি তার ছেলে এবং একটি স্কুলের কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন। ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

'ইমপ্রেস' নামের জনপ্রিয় এ ট্রেনটি কানাডা থেকে মেক্সিকো সিটিতে আসছিল। কয়লাচালিত ট্রেনটি তৈরি করা হয় ১৯৩০ সালে।


মৃত্যু   মেক্সিকো   ট্রেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদির শপথ গ্রহণের তারিখ পেছাল

প্রকাশ: ০৫:৫৭ পিএম, ০৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে তার শপথ অনুষ্ঠান একদিন পিছিয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবারের (৮ জুন) পরিবর্তেপরেরদিন রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মোদি।

এর আগে, বুধবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) অন্যান্য শরিক দলের সমর্থনে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। আগামী রবিবার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে এক অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করবেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি জওহরলাল নেহরুর পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অন্যান্য কীর্তি গড়বেন।

নরেন্দ্র মোদির এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে মোদির বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৩ আসন। রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩২ আসন।


নরেন্দ্র মোদি   শপথ   প্রধানমন্ত্রী   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আট মাসে হামাসের অর্ধেক যোদ্ধা নিহত

প্রকাশ: ০৫:৪৭ পিএম, ০৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে নিজেদের যোদ্ধাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যকে হারিয়েছে হামাস। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

কর্মকর্তারা বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর আগে হামাসের সামরিক শাখায় ছিল ২০ থেকে ২৫ হাজার যোদ্ধা। আট মাস পর বর্তমানে গোষ্ঠীটির যোদ্ধা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা নেমে এসেছে ৯ থেকে ১২ হাজারে। এই সময়সীমায় অবশ্য ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিহত হয়েছেন, তবে তাদের সংখ্যা মাত্র ৩০০ বা তার কিছু বেশি। 

জনবল কমে যাওয়ায় এখন রণকৌশলে পরিবর্তন এনেছে গোষ্ঠীটি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন আর সরাসরি সম্মুখ সমরে আসছেন না হামাস যোদ্ধারা। তার পরিবর্তে তারা অ্যামবুশ এবং ইম্প্রোভাইজড বোমার ওপর নির্ভর করছেন বেশি।

গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদেরও অনেকে বলেছেন, হামাসের এই কৌশল পরিবর্তনের ব্যাপারটি নজরে পড়েছে তাদেরও। গাজার বাসিন্দা ওয়াসিম ইব্রাহিম এ প্রসঙ্গে বলেন, 'যুদ্ধের প্রথম দিকের মাসগুলোতে হামাসের যোদ্ধারা মুখোমুখী যুদ্ধে নামতেন, ইসরায়েলি হামলাকে প্রতিহত করার পাশাপাশি অনেক সময় ইসরায়েলি বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্যও করতেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইসরায়েলি বাহিনী আসছে- এমন খবর পাওয়া মাত্র তারা তৎপর হতেন। কিন্তু গত বেশ কিছুদিন ধরে হামাস যোদ্ধাদের রণকৌশলে পরিবর্তন এসেছে। এখন তারা ইসরায়েলি বাহিনীকে রণক্ষেত্রে প্রবেশ করতে দেন এবং মুখোমুখী সংঘাতের পরিবর্তে অ্যামবুশ ধরনের হামলা চালান।' 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, 'আমদের ধারণা, মুখে যা ই বলুক- হামাস এই যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করতে চায়। এ কারণে তারা এই কৌশল নিয়েছে।'

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'যোদ্ধাদের সংখ্যা কমলেও আপাতত অস্ত্র-গোলাবারুদের অভাবে ভুগছে না হামাস। গোপন সুড়ঙ্গ ও অন্যান্য চোরাপথে তাদের কাছে অস্ত্র আসছে।'

এ ইস্যুতে আরও তথ্য জানতে হামাসের মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, কিন্তু তাদের কেউই কথা বলতে রাজি হননি।

তবে মার্কিন ওই কর্মকর্তার অনুমান যদি সত্যি হয়, সেক্ষেত্রে যে ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে তা হলো- গাজায় দীর্ঘ দিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায় ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই। কারণ গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জাশি হানেগবি বলেছিলেন, ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আপাতত নেই। 

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, হামাস যে কৌশল নিয়েছে, তাতে সীমিত জনবল নিয়ে আরও কয়েক মাস যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে গোষ্ঠীটি।

গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরয়েলের সীমান্তে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলা এবং সেখানকার ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত ১ হাজার ২০০ সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এই যুদ্ধ। হত্যার পাশাপাশি অন্তত ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা।


হামাস   যোদ্ধা   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন