ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কুরকুরে চিপস আনতে ভুলে যাওয়ায় ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বারবার বলে দেওয়া সত্ত্বেও কুরকুরে চিপস আনতে ভুলে গেলেন স্বামী। আর এতে রেগে গিয়ে স্ত্রী চেয়ে বসলেন ডিভোর্স। অভিযোগ জানাতে ছুটলেন পুলিশের কাছেও।

ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়। মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তর প্রদেশের আগ্রায় এক যুবতী তার স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়েছেন। তাদের ঝগড়ার কারণ, বাড়ি ফেরার পথে কুরকুরে আনেননি স্বামী। আর সেটি নিয়েই তুমুল ঝগড়া বাঁধে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। একপর্যায়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই যুবতী। তিনি বলেন, তিনি স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান।

এদিকে স্বামীর অভিযোগ, স্ত্রী কুরকুরে-তে অস্বাভাবিক রকমের আসক্ত। রোজ তার ৫ রুপির এক প্যাকেট কুরকুরে চাই-ই চাই। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিন মনোমালিন্য লেগেই থাকত। সম্প্রতিই চিপসের প্যাকেট নিয়ে ফের ঝগড়া হয়।

আর এরপরই রেগে বাপের বাড়ি চলে যান ওই যুবতী। পরে পুলিশের কাছে গিয়ে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান। যদিও যুবতীর দাবি, স্বামী তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, গত বছরই বিয়ে হয়েছে ওই দম্পতির। তবে যুবতীর ডিভোর্সের দাবির বিপরীতে তাদের মতভেদ মেটানোর এবং সংসার রক্ষা করার প্রচেষ্টায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ফ্যামিলি কাউন্সেলিংয়ে পাঠানো হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের শাহগঞ্জ থানা এলাকার ওই তরুণীর বিয়ে হয় সদর থানা এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে। ২০২৩ সালে হিন্দু রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর বেশ সুখেই সংসার করছিলেন তারা। কিন্তু স্ত্রীর অতিরিক্ত কুরকুরে খাওয়ার অভ্যাসই দুজনের মধ্যে বিবাদ তৈরি করে বলে অভিযোগ স্বামীর। 

এদিকে ৫ রুপির কুরকুরের জন্য স্ত্রী যে বিবাহবিচ্ছেদের পথে যেতে পারেন এমনটা ভাবতেও পারেননি ওই যুবক। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বাপের বাড়িতেই রয়েছেন স্ত্রী। যুবকের অভিযোগ, 'আমার স্ত্রী প্রতিদিন কুরকুরে খেতে চায়। প্রতিদিন কুরকুরে আনতে আনতে আমি ক্লান্ত।'

সংবাদমাধ্যম বলছে, স্বামী-স্ত্রী ইতোমধ্যেই মনোরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু এখনও কোনও সমাধান আসেনি। চিকিৎসক তাদের নিজেদের মধ্যে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 


কুরকুরে চিপস   ডিভোর্স   স্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ায় পশ্চিমা অস্ত্র আঘাত হানলে পরিণতি হবে গুরুতর : পুতিন

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান চলছে টানা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে। এ যুদ্ধে শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক আর্থিক সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।

ইউক্রেনীয় বাহিনী পশ্চিমাদের দেওয়া বিভিন্ন অস্ত্র রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। ইউক্রেন অবশ্য এসব অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরেও হামলা চালাতে চায়। এমন অবস্থায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

তিনি বলেছেন, পশ্চিমা অস্ত্র রাশিয়ায় আঘাত হানলে তার পরিণতি হবে গুরুতর। বুধবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়েভের চাওয়া অনুযায়ী পশ্চিমা দেশগুলো যদি ইউক্রেনকে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে হামলার করতে তাদের অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেয় তাহলে তারগুরুতর পরিণতিভোগ করতে হবে বলে মঙ্গলবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, রাশিয়ান সামরিক ঘাঁটিগুলোকেঅকার্যকরকরতে ইউক্রেনকে অনুমতি দেওয়া উচিত। মূলত এসব ঘাঁটি থেকেই রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। এদিকে বিশ্বকে যুদ্ধে ক্লান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

এএফপি বলছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন সামরিক জোট ন্যাটোর কিছু সদস্য দেশের পাশাপাশি জোটের প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালানোর জন্য পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

উজবেকিস্তান সফরকালে পুতিন বলেন, ‘সংঘাতের এই ক্রমাগত বৃদ্ধি গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ইউরোপে, বিশেষত ছোট দেশগুলোতে, তারা কী নিয়ে খেলছে সে সম্পর্কে তাদের সচেতন হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, এমন অনেক ইউরোপীয় দেশ রয়েছে যারাআয়তনে ছোটএবং সেসব দেশেরঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যারয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে আঘাত করার কথা বলার আগে এই বাস্তবতাটি তাদের মনে রাখা উচিত, এটি গুরুতর বিষয়।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের বাহিনী হামলা চালালেও তার দায়ভার পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহকারীদের ওপরই বর্তাবে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন পশ্চিমা সামরিক প্রশিক্ষকরা ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে ভাড়াটে হিসাবে গোপনে কাজ করছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সেনাদের ইউক্রেনে পাঠানোর কোনও পদক্ষেপ নিলে তা সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে এবং ইউরোপকে গুরুতর সংঘাতের দিকে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেটি হবে বৈশ্বিক সংঘাতের দিকেও আরেকটি পদক্ষেপ। পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডে যারাই থাকুক না কেন আমরা যা প্রয়োজন মনে করব সেটিই করব

এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল ব্রাসেলসে ইইউ প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকের পর বলেন, ইউক্রেনে সামরিক প্রশিক্ষক পাঠানোর বিষয়ে ইউরোপীয় দেশগুলো বিভক্ত। এছাড়া জার্মানিসহ অন্য দেশগুলোও এমন পদক্ষেপ নেওয়ার বিরোধিতা করছে। যার ফলে তাদেরকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাশিয়ার সাথে সরাসরি সংঘর্ষের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।


রাশিয়া   পশ্চিমা   পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদিকে ছাড় দিচ্ছেন পশ্চিমারা?

প্রকাশ: ১০:৫৬ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের অ্যাক্টিভিস্ট অধিকার আন্দোলনের কর্মীরা বহুদিন ধরেই তা বলে আসছেন ভারতে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবণতি ঘটেছে।। বিশেষ করে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু তথা মুসলিমদের ওপর আক্রমণের ঘটনা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা মোদির অধীনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবনতি হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের নরেন্দ্র মোদিকে কাছে টেনে নেবার বিষয়টি বিশ্লেষকদের নজর এড়ায়নি।

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনে সাত দফা ভোটের মধ্যে ছয় দফা ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শেষ দফা ভোট হবে জুন। এরপর জুন ভোটের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হবে। নির্বাচনের ফল বের হওয়ার আগে নির্দিষ্টভাবে আন্দাজ করা কঠিন হলেও অনেকে মনে করছেন টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।

এবারের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। বিশেষ করে ভোট শুরুর কয়েকদিন আগে বিরোধী নেতা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে মোদির সরকার। এছাড়া ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম এবং মোদির মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্যও ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। পশ্চিমা অনেক কূনীতিকের মতে, নরেন্দ্র মোদি ভিন্নমতকে দমন এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন।

কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের পর পশ্চিমা সরকারগুলো বেশ সতর্কভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল জার্মানি যুক্তরাষ্ট্র। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার এক দিন পর উদ্বেগ প্রকাশ করেন দিল্লিতে নিযুক্ত জার্মান দূত। সেই সঙ্গেন্যায্য নিরপেক্ষ বিচারেরআহ্বান জানায় দেশটি। জার্মানির বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। এর কয়েকদিন পর কেজরিওয়ালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে, ‘সুষ্ঠু আইনি প্রক্রিয়ায়বিচারকাজ সম্পন্ন করতে নয়াদিল্লিকে আহ্বান জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। কিন্তু বিষয়টিকে মোটেও ভালো চোখে দেখেনি ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারত। এমনকি দিল্লিতে মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া কেজরিওয়াল ইস্যুতে বিশ্বের অন্য কোনো দেশ প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দেয়নি।

প্রকৃতপক্ষে, পশ্চিমা নেতারা মানবাধিকার ইস্যুতে মোদির নেতিবাচক কর্মকাণ্ড প্রায়ই এড়িয়ে যান। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে অনেকেই প্রথমে চীনকে উদ্ধৃত করবে। যুক্তরাষ্ট্র তার ঘনিষ্ঠ মিত্ররা চীনকে ঠেকাতে ভারসাম্য রক্ষার অংশীদার হিসেবে ভারতকে গড়ে তোলার দিকে নজর দেয়ার কথা বলে। বিশেষ করে ২০২০ সালে দুই দেশের (ভারত চীনের) মধ্যে বিতর্কিত সীমান্তে সংঘর্ষের পর মনোভাব আরও দৃঢ় হয়েছে।

পশ্চিমা কর্মকর্তারা প্রায়ই তাদের সরকার এবং ব্যবসায়িকদের চাপের কথা উল্লেখ করে ভারতের সঙ্গে যেকোনো মূল্যে সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বলে থাকেন। আরেকটি বিষয় হলো, ভারত নিয়মিতভাবে যেকোনো পশ্চিমা সমালোচনাকে সাম্রাজ্যবাদীদের ভণ্ডামি বলে নিন্দা জানায়।

ত্রুটিপূর্ণ হলেও ভারতের গণতন্ত্র সবসময় স্থিতিশীল। ১৯৭০-এর দশকে কংগ্রেস দলের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সময়কালে ভারতে মৌলিক নাগরিক স্বাধীনতা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছিল। তবে দেশটিতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে বলে মনে করেন অনেকে।

অবস্থায় পশ্চিমা কর্মকর্তারা ভারত সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও প্রকাশ্যে তাদের তেমন উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায় না, যেমনটি তারা চীন রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে করে থাকে। গত বছর কানাডায় খালিস্তানপন্থি নেতা হারদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড, যুক্তরাষ্ট্রে অন্য একজনকে হত্যাচেষ্টা এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় গুপ্তচরবৃত্তির বিষয় প্রকাশ্যে আসার পর ধরনের সন্দেহ তীব্র হয়েছে। যদিও ভারত কানাডায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে মোদির নিন্দা না জানানো কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তার মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে যে, ভারতে তাদের বড় জুয়া হয়তো ফলপ্রসূ হবে না। তা সত্ত্বেও ভারত নিয়ে পশ্চিমাদের বর্তমান নীতি পরিবর্তন শিগগিরই ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কারণে। ভারতের মানবাধিকারসহ নানা নেতিবাচক ইস্যুতে স্টেট ডিপার্টমেন্টে প্রায়ই বিবৃতি দেখা যায়। কিন্তু ভারতের নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, বাণিজ্য বিভাগ এবং পেন্টাগনের প্রাধান্য রয়েছে।

গত বছর মার্কিন ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের অধীনে ভারতকেবিশেষ উদ্বেগের দেশঘোষণার জন্য বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হলেও দ্বিদলীয় ফেডারেল কমিশন সেটিকে আমলে নেয়নি। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠতা কারো অজানা নয়। জুনের তারিখ যদি মোদির দল ক্ষমতায় আসে এবং আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সম্পর্ক যে এখনকার চেয়ে আরও শক্তিশালী হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


লোকসভা   নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ইইউ

প্রকাশ: ১০:২০ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজ) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু আইসিজের নির্দেশনা অমান্য করে ইসরায়েল রাফায় হামলা অব্যাহত রেখেছে।  ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) হামলা চলতে থাকলে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা-ভাবনা করছে।

আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাও করেছেন ইউরোপের ২৭ দেশের জোটটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এক সাময়িক আদেশে রাফায় ইসরায়েলকে সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেন। আদালত বলেন, ইসরায়েল সেখানে হামলা করলে আশ্রয়রত বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের ঝুঁকি তৈরি হবে। আইসিজের এই রায়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েই তাদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ব্রাসেলসে ইইউ-এর পররাষ্ট্র বিষয়ক কাউন্সিলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মার্টিন বলেন, প্রথমবারের মতো ইইউ-এর বৈঠকে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে দেখেছি।


ইসরায়েল   নিষেধাজ্ঞা   ইইউ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের ৪ রাজ্যে ভূমিধসে নিহত অন্তত ৩৬

প্রকাশ: ০৯:৪৬ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে দাপট দেখানোর পর উত্তরের দিকে সরে গেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তবে রেমালের প্রভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হয়েছে।

আর এর মধ্যেই ভারী বর্ষণ ভূমিধসের ঘটনায় উত্তর-পূর্ব ভারতের চারটি রাজ্যে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৬ জন। এর মধ্যে কেবল মিজোরামেই মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। বুধবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মঙ্গলবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চারটি রাজ্যে ভারী বর্ষণ ভূমিধসে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে এই অঞ্চলের আটটি রাজ্যে সড়ক রেল যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও স্থবির হয়ে পড়েছে।

এনডিটিভি বলছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে কেবল মিজোরামেই ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রাজ্যটির আইজল জেলায় একটি খনি ধসে ২১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া নাগাল্যান্ডে চারজন, আসামে তিনজন এবং মেঘালয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে বৃষ্টি, দমকা বাতাসের সাথে, ভূমিধস, গাছ বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ ইন্টারনেট পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে।


ভারত   রাজ্য   ভূমিধস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফার প্রাণকেন্দ্রে ইসরায়েলি ট্যাংক

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনিরে গাজা উপত্যকার রাফায় হামলার পর প্রথমবারের মতো এর কেন্দ্রস্থলে পৌঁছেছে ইসরায়েলি ট্যাংক। আন্তর্জাাতিক বিচার আদালতের আদেশ উপেক্ষা করেই এ হামলা জোরদার করেছে তারা। এছাড়াও রাফার পশ্চিমাঞ্চলেও ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

এর আগেও আইসিজে’র আদেশ উপক্ষা করে গত রোববার (২৬ মে) রাফায় নিরাপদ ঘোষিত অঞ্চলে শরণার্থী তাঁবুতে হামলা চালায় ইসরায়েল। তাল আস-সুলতান এলাকায় বিমান হামলায় ২৩ নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধসহ কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হন। নিহতদের অধিকাংশই ছিলো শিশু ও বৃদ্ধ।

এঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠলে রাফার অভিযান বন্ধের আহ্বান জানায় জাতিসংঘও। আলজেরিয়ার আবেদনে এ নিয়ে গতকাল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকও আহ্বান করা হয়।

রাফায় তাঁবুতে এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেন, ‘বহু বেসামরিক নাগরিক নিহতের এ ঘটনায় আমি ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছি। এসব মানুষ প্রাণঘাতী এ সংঘাত থেকে বাঁচতে শুধু সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।’ জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘গাজায় কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। এ ভয়াবহতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’

কিন্তু এই সব আদেশ ও আহ্বানের পরও রাফায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মধ্য রাফার আল-আওদা মসজিদের কাছে ইসরায়েলি ট্যাংকের উপস্থিতি দেখা গেছে। এবং ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো পশ্চিম রাফার আরও ভেতরে ঢুকে পড়েছে। 

তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, এর আগে রাফাজুড়ে রাতভর বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করে  ইসরায়েলি বাহিনী। এতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ ছাড়া গতকাল সেখানে তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের ওপর আবারও হামলার খবর পাওয়া গেছে। এতে কমপক্ষে সাতজন নিহত হন।

প্রসঙ্গত, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৪৬ জন। এবং এনিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। 


রাফা   ইসরাইল   ফিলিস্তিন   হামলা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন