ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কে হচ্ছেন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট?

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থীকে অনুমতি দিয়েছে ইরানের শক্তিশালীগার্ডিয়ান কাউন্সিল নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী হবেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হলেন-মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী, সাঈদ জালিলি, মোহাম্মদ বাকের কলিবফ, আলী রেজা যাকানি, সাইয়্যেদ আমির হোসেন কাজীজাদেহ হাশেমি মাসুদ পেজেশকিয়ান।

মাসুদ পেজেশকিয়ান

তার জন্ম পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশে ১৯৫৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। ১৯৭৩ সালে প্রথম ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেওয়ার পর তিনি ১৯৭৫ সালে বিজ্ঞান বিষয়ে দ্বিতীয় ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেন। এরপর তাব্রিজ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ১৯৭৬ সালে।

মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রেসিডেন্ট খাতামির দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং তাব্রিজ অঞ্চলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইরানের জাতীয় সংসদ মজলিশের সদস্য তথা সংসদ ছিলেন পর পর বার।

দশম সংসদে তিনি ছিলেন প্রথম ডেপুটি স্পিকার। এবারের নির্বাচনে একমাত্র তিনিই সংস্কারকামী ধারার প্রার্থী।

মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী

তার জন্ম কোম প্রদেশে ১৯৬০ সালে মার্চ। ইসলামী আইন বিচার এবং দর্শন বিষয়ে তিনি মাধ্যমিক উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনা কোমে শেষ করার পর বিচার ইসলামী আইন বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের পড়াশোনা করেছেন মাশহাদ কোম এবং তেহরান শহরে।

১৯৭৯ সালে মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী ইসলামী বিপ্লবী আদালতের প্রসিকিউটর বা কৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন এবং ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি ইরানের কয়েকটি প্রদেশে এই পদে দায়িত্বপালন করেন। ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন গোয়েন্দা বিষয়ক উপমন্ত্রী।

২০০৫-২০০৮ মেয়াদে মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০০৮-২০১৩ মেয়াদে তিনি ছিলেন জাতীয় তদন্ত দপ্তরের প্রধান। ২০১৩-১৭ মেয়াদে তিনি ছিলেন বিচারিক বিষয়ক মন্ত্রী। বর্তমানে তিনি সংগ্রামী আলেম সমাজ নামক দলের মহাসচিব এবং ইসলামী বিপ্লবের দলিল-পত্র বিষয়ক কেন্দ্রের প্রধান।

সাঈদ জালিলি

তার জন্ম মাশহাদ শহরে ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে কয়েকবার তিনি প্রতিরক্ষার যুদ্ধে (ইরাক-ইরান) অংশ নেন।

১৯৮৬ সালে তিনি একুশতম খোরাসান ইমাম রেজা ব্রিগেডের একজন সেনা হিসেবে সক্রিয় থাকার সময় কারবালা- নামক অভিযান চলাকালে পায়ে মারাত্মক আঘাত পান এবং জরুরি চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা না থাকায় তার ডান পা হারান। এরপরও সাঈদ জালিলি রসদপত্র বিভাগে সেনা হিসেবে সক্রিয় থাকেন।

সাঈদ জালিলি ১৯৮৯ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত বিষয়ক দপ্তরের প্রধান হন। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকান বিভাগ বিষয়ে তিনি প্রধান ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাঈদ জালিলি ২০০৭ সাল থেকে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত জাতীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পশ্চিমা সরকারগুলোর সঙ্গে পরমাণু বিষয়ক আলোচনায় নেতৃত্ব দেন।

২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত ১১ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হন এবং ৪০ লাখেরও বেশি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। এরপর থেকে সাঈদ জালিলি জাতীয় নীতি নির্ধারণী পরিষদের অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১৭ সালের নির্বাচনে ইব্রাহিম রায়িসির পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের দুই দিন আগে রায়িসির প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

আলী রেজা যাকানি

তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬৬ সালের মার্চ। ১৯৮৯ সালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯৮ সালে তিনি জেনারেল ফিজিশিয়ান হিসেবে ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৪ সালে তিনি পারমাণবিক চিকিৎসা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

আলী রেজা যাকানি ইরানের সপ্তম, অষ্টম নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তেহরান অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন। ১১ তম সংসদ নির্বাচনে তিনি কোমের প্রতিনিধি হিসেবে বিজয়ী হন।

আলী রেজা যাকানি সংসদের গবেষণা বিভাগের প্রধান, তেহরান চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমিতির সভাপতি তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বাসিজের প্রধান, তেহরান প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাসিজ শাখার প্রধান এবং রেড ক্রিসেন্ট সংস্থার সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ২০২১ সাল থেকে তেহরানের মেয়র হিসেবে এবং ২০২৩ সালে প্রেসিডেন্টের সহকারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

কাজীজাদেহ হাশেমি

তার জন্ম হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল খোরাসান প্রদেশের ফারামিন শহরে। তিনি ছিলেন ১১ তম জাতীয় সংসদে মাশহাদ অঞ্চলের অন্যতম প্রতিনিধি এবং সংসদের প্রথম ডেপুটি স্পিকার।

সংসদের অষ্টম, নবম দশম নির্বাচনেও তিনি একই অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে বিজয়ী হন। স্পিকার পরিষদের সদস্যও ছিলেন তিনি।

কাজীজাদেহ হাশেমী একাধারে সার্জন, মেডিসিন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ। কিছুকালের জন্য তিনি সেমনান চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরও ছিলেন। পেইদারি ফ্রন্ট নামক দলের কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য দলটির মুখপাত্রও ছিলেন তিনি।

ইসলামী ইরানের ১৩ তম সরকারের তিনি অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং শহীদ ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৩ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিলেন।

মোহাম্মদ বাকের কলিবফ

তার জন্ম হয়েছিল ১৯৬১ সালের ২৩ আগস্ট মাশহাদের কাছে তোরক্বাবেহ অঞ্চলে। ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর প্রতিবিপ্লবী গ্রুপগুলোর তৎপরতার প্রেক্ষাপটে ইমাম খোমেনীর নির্দেশে ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী গঠন করা হলে তিনি এই বাহিনীতে যোগ দেন ১৮ বছর বয়সে এবং ১৯৮২ সালে এই বাহিনীর ইমাম রেজা () ব্রিগেডের কমান্ডার হন। 

এক বছর পর তিনি খোরাসানের নাসর- ডিভিশনের কমান্ডার হন। মোহাম্মদ বাকের কলিবফ ১৯৯৭ সালে ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিমান-সেনা শাখার প্রধান হন ইরানের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশে। ২০০১ সালে তিনি রাজনৈতিক ভূগোল বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

এর আগে ২০০০ সালে তিনি ইরানের পুলিশ বাহিনীর প্রধান হন। ২০০৫ সালে তেহরানের মেয়র হন এবং এই পদে ১২ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি তেহরান অঞ্চলের আসনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে একটি আসনে বিজয়ী হন। সেসময় কলিবফ ভোট পেয়েছিলেন দশ লাখেরও বেশি।

তিনি ২০০৫, ২০১৩ ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রার্থী হন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে তিনি ৬০ লাখ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। ২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি ইব্রাহিম রায়িসির প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রার্থিতা ত্যাগ করেছিলেন।


ইরান   প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেন-হ্যারিসের যেসব অর্জন তুলে ধরলেন ট্রাম্প!

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।  যেখানে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়বেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  অন্যদিকে, জো বাইডেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন।  

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ব্যঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড পোষ্ট করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।  সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ট্রাম্পের ওই ফটোকার্ডে লেখা ছিল- বাইডেন হ্যারিসের যত অর্জন।  

এতে, তিনি পয়েন্ট আকারে যেসব বিষয় তুলে ধরেছেন তা হলো:

১. দেড় কোটি অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া

২. ইতিহাসের নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি 

৩. ৫০টি অঙ্গরাজ্যে গ্যাসের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি

৪. ভোক্তা ঋণের রেকর্ড 

৫. কারাগারে আটক বহু সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেয়া 

৬. ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ

৭. ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ

৮. বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার

৯. আকাশচুম্বী সহিংস অপরাধ

১০. গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জেলে পাঠানোর চেষ্টা 

১১. বাইডেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে চেপে যাওয়া 

১২. মার্কিন জ্বালানি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা 

১৩. K-12 শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় সর্বনিম্ন নম্বর প্রাপ্তি

১৪. বাইডেন-হ্যারিস ইতিহাসের সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট

এদিকে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে কথার লড়াইয়ে ব্যস্ত ট্রাম্প-হ্যারিস।  আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন দুই রাজনীতিক।  যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বুধবার এক নির্বাচনী সমাবেশে কমলা হ্যারিসকে পাগল বলে সম্বোধন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।


ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন   ভাইস প্রেসিডেন্ট   কমলা হ্যারিস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কমলা হ্যারিসকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন বারাক ওবামার

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে আনুুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন বারাক ওবামা। কমলা হ্যারিসকে তিনি সমর্থন করবেন কিনা তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলে নানা জল্পনা কল্পনা। শেষ পর্যন্ত কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়েছে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটালেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসি 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সাবেক ফাস্ট লেডি মিশেল ওবামা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবি রাখেন। তার সেই দক্ষতা রয়েছে।’

গত রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর ডেমোক্রেটিক পার্টির শতাধিক শক্তিশালী নেতা কমলা হ্যারিসের সঙ্গে কথা বলেন। 

বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এক বিবৃতিতে তার প্রশংসা করেন ওবামা। কিন্তু সেখানে তিনি কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের বিষয়ে কিছু বলেননি। 

এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে ডেমোক্রেটিক দলের অধিকাংশ নেতার সমর্থন পেয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে কমলাকে আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আগামী মাসে দলের সম্মেলন রয়েছে। এই সম্মেলনে কে প্রেসিডেন্ট পদে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাচ্ছে তা ঘোষণা করা হবে। 

শুক্রবারের ওই বিবৃতিতে ওবামা বলেন, কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের ক্ষেত্রে তারা অধিক উত্তেজিত নয়। তবে কমলার নির্বাচনে জয় লাভের জন্য তারা (বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা) সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। 


বারাক ওবামা   কমলা হ্যারিস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তাপপ্রবাহ মহামারির চেহারা নিতে চলেছে: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৫:১১ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

তাপপ্রবাহ এখন বন্যা অথবা ঝড়ের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। তাপমাত্রার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ কার্যত মহামারির চেহারা নিয়েছে। তার বক্তব্য, গত সোমবার ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম দিন। তার আগের দিনও ছিল ভয়াবহ গরম।

সোমবার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের প্রধান।

গুতেরেসের বক্তব্য, বন্যা কিংবা ঝড় দেখতে পাওয়া যায়। তাপপ্রবাহ দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এই তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বিপজ্জনক। মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে তাপপ্রবাহ। ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ এর মধ্যে প্রতি বছর শুধুমাত্র তাপপ্রবাহের জন্য মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৮৯ হাজার মানুষের। সেখানে প্রতি বছর সাইক্লোনের জন্য় মৃত্যু হয়েছে গড়ে ১৬ হাজার মানুষের।

গুতেরেস এদিন বলেছেন, এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ এড়িয়ে চলার জন্য সকলের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে নজর দেওয়া দরকার ছোটদের দিকে, বৃদ্ধদের দিকে এবং অসুস্থ মানুষদের দিকে।

এই তাপপ্রবাহের জন্য় খাদ্য-সুরক্ষা ব্য়বস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খরা হচ্ছে। খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা বার্তা যেন আরও ভালোভাবে যাতে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হলে কৃত্রিমভাবে ঠান্ডার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং সর্বোপরি, তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য় শহরের পরিকাঠামোগত বদল করতে হবে। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে হবে।

২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনশূন্য পরিবেশের কথা বলেছে জাতিসংঘ। গুতেরেস জানিয়েছেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়তো সম্ভব হবে।

পৃথিবীর ৫৭টি দেশে যদি তাপপ্রবাহের সতর্কতা ব্য়বস্থার উন্নতি ঘটানো যায়, তাহলে বছরে অন্তত ৯৮ হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব বলে এদিন জানিয়েছেন গুতেরেস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য নিয়েই এই হিসেবে পৌঁছানো গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


তাপপ্রবাহ   জাতিসংঘ   আন্তোনিও গুতেরেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জামায়াতে ইসলামি পাকিস্তান, জামিয়াত উলেমা ই ইসলাম-ফজলসহ (জেইউআই-এফ) বিভিন্ন ইসলামি দল এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভ ও আন্দোলন কর্মসূচির জেরে ফের অস্থিরতা শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানী ইসলামাবাদ এবং পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশজুড়ে বিদ্যুতের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে পাকিস্তানের সরকার। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কোরআন অবমাননার দায়ে বন্দি জনৈক পাকিস্তানি নাগরিক মোবারক সানি মামলার রায় পুনর্বিবেচনা করার হবে বলে ঘোষণা করেছেন।

এই দুই ইস্যুকে ঘিরে কয়েক দিন ধরে থেকেই বিক্ষোভ করছিল জামায়াতে ইসলামি, জেইউআইএফ এবং অন্যান্য ইসলামি দলগুলো। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই কর্মসূচি ঘোষণা করার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশ।

এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার।

এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বলা হয়েছে, ‘শুক্রবার থেকে রাজধানীতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ১৪৪ জারি করা হলো। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। জনসাধারণকে কোনো অবস্থাতেই ১৪৪ ধারা লঙ্ঘণ না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জননিরাপত্তার স্বার্থে পাঞ্জাব প্রদেশের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করা করা হয়েছে। জনগণকে সরকারের এই আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়- এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে প্রাদেশিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।”

এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি সংযোগ সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ, সেই সঙ্গে শহরজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল চলছে।

পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামি, জেইউআইএফ এবং পিটিআইয়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে এসব দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করতে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১শ’ ছাড়িয়ে গেছে।


বিক্ষোভ   পাকিস্তান   ইসলামাবাদ   পাঞ্জাব   ১৪৪ ধারাl জারি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধাপরাধী হিসেবে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা উচিত: হামাস

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।

এমনকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উঠেছে গণহত্যার অভিযোগও। এমন অবস্থায় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা উচিত বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

একইসঙ্গে নেতানিয়াহুকে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণের সুযোগ দেওয়ারও সমালোচনা করেছে গোষ্ঠীটি। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আমেরিকান কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার সুযোগের নিন্দা করে হামাস বৃহস্পতিবার বলেছে, তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।

মূলত নেতানিয়াহু গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে একটি বক্তৃতা দিয়েছেন। তার সেই ভাষণের সময় হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সিনেটের প্রায় অর্ধেক ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন এবং অপরাধের প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেছিলেন।

পরে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিশ্বের সামনে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার সুযোগ দেওয়ার পরিবর্তে এবং গাজায় গণহত্যা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ ঢেকে দেওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার পরিবর্তে নেতানিয়াহুকে একজন যুদ্ধাপরাধী হিসাবে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল এবং তাকে আইসিসি (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) এর কাছে হস্তান্তর করা উচিত ছিল।’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, ‘নেতানিয়াহুর বক্তৃতা তার সামরিক, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সংকটের গভীরতাই প্রতিফলিত করেছে।’

হামাস নেতানিয়াহুকে রাফাহ এবং নুসেইরাতের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ উপেক্ষা করার পাশাপাশি অনেক বন্দিকে মুক্ত করার মতো মিথ্যা বিজয়ের দাবি করার বিষয়েও অভিযুক্ত করেছে।

প্রসঙ্গত, নেতানিয়াহু গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সাথে দেখা করেন। এছাড়া ইসরায়েলে ফেরার আগে শুক্রবার ফ্লোরিডায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করার কথাও রয়েছে তার।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় চলমান আগ্রাসনে প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আরও ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই বর্বর আগ্রাসনে আহত হয়েছেন।


যুদ্ধাপরাধী   গ্রেপ্তার   হামাস   ইসরায়েল. প্রধানমন্ত্রী   বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন