ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তীব্র তাপপ্রবাহে ভারতে আরও ৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:২৫ পিএম, ১১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয়রা বর্তমানে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম তাপপ্রবাহের মুখোমুখি। সোমবার (১০ জুন) পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় তাপপ্রবাহে ৭২ ঘন্টার মধ্যে আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর আগে ৩১ মে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ওড়িশায় সন্দেহভাজন হিটস্ট্রোকে নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ অন্তত ৩৩ জন মারা যান।

মে মাসে প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, তাপজনিত অসুস্থতার কারণে ভারত জুড়ে মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে  ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন যে,ভারত এখন পর্যন্ত দীর্ঘতম তাপপ্রবাহের মাঝখানে রয়েছে কারণ সম্প্রতি কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে।

ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের (আইএমডি) আবহাওয়াবিদ মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে বলেছেন, "এটি দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ ছিল কারণ এটি প্রায় ২৪ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অংশে অনুভূত হয়েছে।"

উত্তর ভারতে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে চরম তাপ অনুভূত হয়েছে, বেশ কয়েকটি শহরে ৪৫-৫০ ডিগ্রির মতো তাপমাত্রা ছিল। তাপপ্রবাহের কারণে ভারতের কিছু অঞ্চলে জলের সংকট দেখা দিয়েছে।

এদিকে ৩০ মে কেরালা রাজ্যে ভারতের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানা বর্ষাটি আগামী দিনে দেশের উত্তরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় কিছুটা স্বস্তি আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইএমডি এই বছর দেশের জন্য একটি গড় বর্ষা মৌসুমের পূর্বাভাস দিয়েছে।

তবে মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন যে "সতর্কতামূলক বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাপপ্রবাহ আরও ঘন ঘন বা তীব্র হতে হবে। মানুষের ক্রিয়াকলাপ, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, শিল্পায়ন এবং পরিবহন ব্যবস্থা কার্বন মনোক্সাইড, মিথেন এবং ক্লোরোকার্বনের ঘনত্ব বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করছে। ফলে আমরা শুধু নিজেদেরই নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও বিপন্ন করছি।

ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী দেশ, তার অর্থনৈতিক প্রয়োজনে শক্তি উৎপাদনের জন্য কয়লার উপর প্রচুর নির্ভর করে। যা পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে বলে অনেকের ধারণা।


তাপপ্রবাহ   ভারত   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিয়ানমারে বাংলাদেশসহ ছয় দেশের নিরাপত্তা বৈঠক

প্রকাশ: ০৪:০২ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দেশগুলোর বাণিজ্যবিষয়ক জোট বিমসটেকের বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানরা বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে গেছেন। মিয়ানমার জান্তার এ আমলে এটি একটি বিরল ঘটনা। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার আলোচনা শুরুর আগে বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্রের দেশগুলোর নিরাপত্তা প্রধানরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা, মাদক নির্মূল, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মানব পাচার রোধে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।

২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন শুরু হয়। সম্প্রতি তারা রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বিরোধের মুখে পড়ে। এই মুহূর্তে মিয়ানমারের ন্যাশনাল ইউনিটি সরকারের পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে।

এদিকে বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ মিয়ানমারে সামরিক সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার অংশ হিসেবে জান্তার আমলে নতুন করে কোনো দূত পাঠায়নি।

জাতিসংঘও জান্তার দূতকে মেনে নেয়নি। বরং অং সান সু চির সরকারের দূতকেই দেশটির প্রতিনিধি মনে করে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ানের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকগুলোতেও জান্তা সরকারকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না।


মিয়ানমার   বাংলাদেশ   নিরাপত্তা বৈঠক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রোববার এর আগে স্বাভাবিক হচ্ছে না ফ্রান্সের রেল যোগাযোগ

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিক উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্রান্সের রেল নেটয়ার্ককে লক্ষ্য করে যে ভয়াবহ হামলা ঘটেছে, তার জের থাকবে অন্তত রোবববার পর্যন্ত। মেরামতের কাজ ইতোমধ্যে অনেকটা এগিয়ে গেলেও শিগগিরই রেল যোগাযোগ পুরোপুরি স্বাভাবিক হচ্ছে না বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি রেল চলাচল কর্তৃপক্ষ এসএনসিএফ।

গতকাল শুক্রবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অলিম্পিক আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। এই অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে, বৃহস্পতিবার রাতে নজিরবিহীন হামলা ঘটে ফ্রান্সের বিভিন্ন উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে। দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি স্টেশন ও রেলগাড়িতে আগুন দেয় দুষ্কৃতিকারীরা, বিভিন্ন স্থানে উপড়ে ফেলা হয় রেল লাইন।

আকস্মিক এই হামলার কারণে রাজধানীর সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের রেল যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েন সাধারণ লোকজন; কারণ ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্সও যাতায়াতের জন্য রেলের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।

দুষ্কিৃতিকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আটলান্টিক (দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল), পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চল থেকে প্যারিসগামী লাইন ও রেলগাড়িগুলো। নজিরবিহীন এ ঘটনায় ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েন সাধারণ লোকজন। কারণ ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্সের যাতায়াতও রেলনির্ভর।

শনিবার এক বিবৃতিতে এসএনসিএফ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৬ টা থেকে পূর্বাঞ্চল থেকে প্যারিসগামী ট্রেনগুলো স্বাভাবিকভাবে চলা শুরু করেছে, উত্তরাঞ্চল থেকে প্যারিসের উদ্দেশে আসা-যাওয়া ট্রেনগুলোর ৮০ শতাংশ চলতে শুরু করেছে, তবে এক থেকে দুই ঘণ্টা বিলম্ব হচ্ছে। আর আটলান্টিক বা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে প্যারিসগামী আপ-ডাউন ট্রেনের চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে রোববার পেরিয়ে যাবে।

ফ্রান্সের বৃহত্তম রেল কোম্পানি ইউরোস্টার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রেল নেটওয়ার্কে হামলার কারণে আগামী রোববার পর্যন্ত রেল চলাচল স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে এক পঞ্চমাংশ হ্রাস পাবে। এদিকে, দেশজুড়ে রেল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক করতে ১ হাজারেরও বেশি কর্মী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। ফ্রান্সের পরিবহন বিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী প্যাট্রিস ভারগ্রিয়েটে এক বার্তায় জানিয়েছেন, রেল নেটওয়ার্কের বিপর্যয়ের কারণে শুক্রবার অন্তত আড়াই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

পরিবহনমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল রেল যোগাযোগব্যবস্থায় হামলার ঘটনাকে ‘নাশকতা’ উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, অলিম্পিকের আসরে বিঘ্ন সৃষ্টির উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটিয়েছে দুষ্কিৃতিকারীরা।

ফ্রান্সের রেল দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে বিভিন্ন স্টেশনে আগুন দেওয়া ও লাইন উপড়ানোর পাশাপাশি নাশকতাকারীরা রেলের স্পেশালাইজড ফাইবার অপটিক ক্যাবলস জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই ক্যাবলস ব্যাতীত উচ্চগতির ট্রেন চলাচল সম্ভব নয় এবং এটি মেরামতেই সময় লাগছে।


ফ্রান্স   রেল যোগাযোগ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শকুন কমে যাওয়ায় ব্যাকটেরিয়া বেড়ে ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে শকুনের সংখ্যা কমার ফলে মানুষের মৃত্যুর হারও বেড়েছে বলে দাবি গবেষকদের। পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে বিবেচিত এই পাখি না থাকায় মারাত্মক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ২০০০-২০০৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেছেন। তাই উপকারী এ পাখিগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা।

আমেরিকান ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, এসব পাখি কমে যাওয়ায় খুব সহজেই মারাত্মক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটছে। ফলে এ সময় অতিরিক্ত পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতে একসময় ৫০ মিলিয়ন শকুন ছিল। কিন্তু ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি এ সংখ্যা প্রায় শূন্যে নেমে আসে। এর কারণ গবাদিপশুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ডাইক্লোফেনাক নামে ব্যথানাশক একটি ওষুধ। সস্তা এই ওষুধ শকুনের জন্য প্রাণনাশক ছিল। এ ওষুধ খাওয়ানো গবাদিপশুর মৃতদেহ খেয়ে কিডনি নষ্ট হয়ে বহু শকুন মারা যায়। স্টেট অব ইন্ডিয়াস-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালে পশুর চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ফলে কিছু এলাকায় শকুনের মৃত্যু কমতে থাকে। তবে শকুনের তিনটি প্রজাতি (সাদা শকুন, ভারতীয় শকুন, লাল মাথার শকুন) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের জনসংখ্যা ৯১ থেকে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। আর শকুন কমে যাওয়ায় দেশটিতে মানুষের মৃত্যুর হারও বেড়েছে বলে জানান গবেষকরা।

গবেষণায় দেখা যায়, ভারতের যেসব জেলায় শকুনের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমেছে, সেসব জেলায় মানুষের মৃত্যুর হারও আগের তুলনায় চার শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া যেসব শহরে মৃত গবাদিপশু ভাগাড়ে ফেলা হতো, সেখানে মানুষের মৃত্যুর হারও বেশি।

গবেষকদের ধারণা, শকুন কমে যাওয়ায় পাঁচ বছরে (২০০০-২০০৫ সাল) রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ায় প্রতি বছর অতিরিক্ত এক লাখ মানুষ মারা গেছেন।

গবেষণার সহলেখক ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোস হ্যারিস স্কুল অব পাবলিক পলিসির সহকারী অধ্যাপক আইয়াল ফ্র্যাঙ্ক। তিনি বলেন, পরিবেশ থেকে ব্যাকটেরিয়া ও রোগ-জীবাণুযুক্ত মৃত প্রাণীগুলো অপসারণে শকুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এসব পাখিকে প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলা হয়। তারা না থাকলে অসুখ ছড়াতে পারে।


শকুন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেন্দ্রীয় সরকারকে পাল্টা জবাব মমতার

প্রকাশ: ০২:৫৮ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। ঢাকার আপত্তির পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে মমতাকে সতর্ক করেছিল। তবে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাল্টা জবাবে মমতা বলেছেন, পররাষ্ট্রনীতি আমি অনেকের চেয়ে ভালো জানি।

ধর্মতলায় গত ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন অশান্ত পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মমতা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। বিষয়ে জাতিসংঘের একটি সনদের কথাও উল্লেখ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকারই বলবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আমরা একটি কূটনৈতিক নোট পেয়েছি। আপনারা রিপোর্টে যেমনটা দেখেছেন, খানিকটা সে রকমই।

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সংবিধানের সপ্তম তফসিলের প্রথম তালিকার ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, বিদেশ সংক্রান্ত সব বিষয় এবং অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিষয়ের এখতিয়ার একমাত্র ভারত সরকারের। বিষয়টি যৌথ তালিকায় নেই। আর অবশ্যই রাজ্যের তালিকায় নেই। আমাদের অবস্থানটা স্পষ্ট, সাংবিধানিক এখতিয়ারের বাইরের কোনো বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।

এবার সেই বিতর্কের জবাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দিল্লিতে দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আমি খুব ভালো জানি। আমি সাতবারের সাংসদ, দুবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। পররাষ্ট্রনীতি অন্য কারও চেয়ে আমি ভালো জানি। তাদের আমাকে শেখানো উচিত নয়। বরং সঠিক নিয়মগুলো তাদেরই শেখা উচিত।


ভারত   বাংলাদেশ   পাল্টা   জবাব   মমতা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিয়ানমারে বাংলাদেশসহ ছয় দেশের নিরাপত্তা বৈঠক!

প্রকাশ: ০২:৪২ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানরা আলোচনার জন্য মিয়ানমারে গেছেন বলে শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। মিয়ানমার জান্তার আমলে এটি একটি বিরল ঘটনা।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দেশগুলোর বাণিজ্য বিষয়ক জোট বিমসটেকের সম্মেলন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানী ইয়াঙ্গুনে গিয়েছেন বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড শ্রীলঙ্কার জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানরা।

শুক্রবার আলোচনা শুরুর আগে বিমসটেকের সদস্যরাষ্ট্রের দেশগুলোর নিরাপত্তা প্রধানরা মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শান্তি স্থিতিশীলতা, মাদক নির্মূল, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মানব পাচার রোধে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছে বলে জানিয়েছে দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট।

২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন শুরু হয়। সম্প্রতি তারা রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বিরোধের মুখে পড়েছে। এই মুহূর্তে সামরিক সরকারকে মিয়ানমারের ন্যাশনাল ইউনিটি সরকারের পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো জান্তার দমন-পীড়নের সমালোচনা করে আসছে গত বছরে। তবে সেসব সমালোচনাকে দৃশ্যত গুরুত্ব দিচ্ছে না সামরিক সরকার।

জাতিসংঘও সামরিক সরকারকে মেনে নেয়নি; বরং অং সান সু চির সরকারের দূতকেই দেশটির প্রতিনিধি মনে করে জাতিসংঘ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ানের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকগুলোতেও জান্তা সরকারকে অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে না।


মিয়ানমার   বাংলাদেশ   নিরাপত্তা   বৈঠক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন