শৈশব-কৈশোরের
আমাদের সকলের প্রিয় বালিশ খেলা এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপের মঞ্চে আবির্ভূত। সাধারণ বালিশ
খেলা থেকে এখন তা বালিশ যুদ্ধে রুপ নিয়েছে। আর এই খেলা এখন দেখা যাবে বিশ্বের বিভিন্ন
দেশের টেলিভিশনের পর্দায়।
২০২২
সালের ২৯ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম
বালিশ যুদ্ধের চ্যাম্পিয়নশিপ। শুধু তাই নয়, পিএফসি বা পিল ফাইট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলো
দেখা যাবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন টেলিভিশনেও।
বালিশ
খেলাকে পেশাদার খেলার মর্যাদা দেবার স্বপ্ন দেখেছিলেন স্টিভ উইলিয়ামস। উইলিয়ামসের ভাবনায়
চালু হতে চলা এই চ্যাম্পিয়নশিপে বালিশ যুদ্ধের কেরামতির সাথে মেশানো হবে বিভিন্ন মার্শাল
আর্টসের কায়দা।
পিএফসি'র
প্রধান উইলিয়ামস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘এই প্রতিযোগিতা কিন্তু তেমন নয় যে
আপনি হাসতে হাসতে বালিশের লড়াইয়ে নামবেন আর চারদিকে পাখির পালক উড়বে। এটা খুবই সিরিয়াস
একটা খেলা। বিশেষ কায়দায় তৈরি করা বালিশ নিয়ে লড়ার বিশেষ কৌশলের লড়াই।’’
জানুয়ারি
মাসের আসন্ন প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন যেসব নারী ও পুরুষ, তারা সকলেই অ্যামেরিকার
বক্সিং ও মার্শাল আর্টসের জগতের পোড় খাওয়া খেলোয়াড়। কিন্তু এই খেলায় কারো আঘাত পাওয়ার
সুযোগ নেই, নিশ্চিত করেন স্টিভ উইলিয়ামস।
তিনি
আরও যোগ করেন, ‘‘খেলোয়াড়রা কেউ চোট পেতে চায় না কিন্তু দর্শকরা চায় জোরদার লড়াই হোক,
প্রয়োজনে রক্তপাতও। মূলত দর্শকরা একটা ভালো লড়াই দেখতে চায়। শুধু মারামারি কারো ভালো
লাগে না।’’
খেলা
আরও বেশি করে জনগণকে আকর্ষণ করবে কারণ সবাই এই খেলা শৈশবে নিজেদের ভাইবোন অথবা বন্ধুদের
সাথে খেলেছে, জানান উইলিয়ামস। তিনি বলেন, ‘‘ধরে নিন এটা মূলধারার খেলাধুলার চেয়ে একটু
বাইরে। কিন্তু তাতে মূলধারার দর্শককেও টানা যাবে। ঠিক যেভাবে দেশের লোকগানের সাথে আজকাল
অন্যান্য র্যাপ গান মিশিয়ে গাইলেও জনগণের তা ভালো লাগে। ঠিক সেরকমই।’’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খেলার জন্য পরিচিত বিশেষ টেলিভিশন চ্যানেল এফআইটিই-তে দেখা যাবে এই বালিশ যুদ্ধের চ্যাম্পিয়নশিপ। সূত্র: ডয়চে ভেলে
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিক উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্রান্সের রেল নেটয়ার্ককে লক্ষ্য করে যে ভয়াবহ হামলা ঘটেছে, তার জের থাকবে অন্তত রোবববার পর্যন্ত। মেরামতের কাজ ইতোমধ্যে অনেকটা এগিয়ে গেলেও শিগগিরই রেল যোগাযোগ পুরোপুরি স্বাভাবিক হচ্ছে না বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি রেল চলাচল কর্তৃপক্ষ এসএনসিএফ।
গতকাল শুক্রবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অলিম্পিক আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। এই অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে, বৃহস্পতিবার রাতে নজিরবিহীন হামলা ঘটে ফ্রান্সের বিভিন্ন উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে। দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি স্টেশন ও রেলগাড়িতে আগুন দেয় দুষ্কৃতিকারীরা, বিভিন্ন স্থানে উপড়ে ফেলা হয় রেল লাইন।
আকস্মিক এই হামলার কারণে রাজধানীর সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের রেল যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েন সাধারণ লোকজন; কারণ ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্সও যাতায়াতের জন্য রেলের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
দুষ্কিৃতিকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আটলান্টিক (দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল), পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চল থেকে প্যারিসগামী লাইন ও রেলগাড়িগুলো। নজিরবিহীন এ ঘটনায় ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েন সাধারণ লোকজন। কারণ ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্সের যাতায়াতও রেলনির্ভর।
শনিবার এক বিবৃতিতে এসএনসিএফ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৬ টা থেকে পূর্বাঞ্চল থেকে প্যারিসগামী ট্রেনগুলো স্বাভাবিকভাবে চলা শুরু করেছে, উত্তরাঞ্চল থেকে প্যারিসের উদ্দেশে আসা-যাওয়া ট্রেনগুলোর ৮০ শতাংশ চলতে শুরু করেছে, তবে এক থেকে দুই ঘণ্টা বিলম্ব হচ্ছে। আর আটলান্টিক বা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে প্যারিসগামী আপ-ডাউন ট্রেনের চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে রোববার পেরিয়ে যাবে।
ফ্রান্সের বৃহত্তম রেল কোম্পানি ইউরোস্টার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রেল নেটওয়ার্কে হামলার কারণে আগামী রোববার পর্যন্ত রেল চলাচল স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে এক পঞ্চমাংশ হ্রাস পাবে। এদিকে, দেশজুড়ে রেল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক করতে ১ হাজারেরও বেশি কর্মী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। ফ্রান্সের পরিবহন বিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী প্যাট্রিস ভারগ্রিয়েটে এক বার্তায় জানিয়েছেন, রেল নেটওয়ার্কের বিপর্যয়ের কারণে শুক্রবার অন্তত আড়াই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
পরিবহনমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল রেল যোগাযোগব্যবস্থায় হামলার ঘটনাকে ‘নাশকতা’ উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, অলিম্পিকের আসরে বিঘ্ন সৃষ্টির উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটিয়েছে দুষ্কিৃতিকারীরা।
ফ্রান্সের রেল দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে বিভিন্ন স্টেশনে আগুন দেওয়া ও লাইন উপড়ানোর পাশাপাশি নাশকতাকারীরা রেলের স্পেশালাইজড ফাইবার অপটিক ক্যাবলস জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই ক্যাবলস ব্যাতীত উচ্চগতির ট্রেন চলাচল সম্ভব নয় এবং এটি মেরামতেই সময় লাগছে।
মন্তব্য করুন
ভারতে শকুনের সংখ্যা কমার ফলে মানুষের মৃত্যুর হারও বেড়েছে বলে দাবি গবেষকদের। পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে বিবেচিত এই পাখি না থাকায় মারাত্মক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ২০০০-২০০৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেছেন। তাই উপকারী এ পাখিগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা।
আমেরিকান ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, এসব পাখি কমে যাওয়ায় খুব সহজেই মারাত্মক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটছে। ফলে এ সময় অতিরিক্ত পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতে একসময় ৫০ মিলিয়ন শকুন ছিল। কিন্তু ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি এ সংখ্যা প্রায় শূন্যে নেমে আসে। এর কারণ গবাদিপশুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ডাইক্লোফেনাক নামে ব্যথানাশক একটি ওষুধ। সস্তা এই ওষুধ শকুনের জন্য প্রাণনাশক ছিল। এ ওষুধ খাওয়ানো গবাদিপশুর মৃতদেহ খেয়ে কিডনি নষ্ট হয়ে বহু শকুন মারা যায়। স্টেট অব ইন্ডিয়াস-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালে পশুর চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ফলে কিছু এলাকায় শকুনের মৃত্যু কমতে থাকে। তবে শকুনের তিনটি প্রজাতি (সাদা শকুন, ভারতীয় শকুন, লাল মাথার শকুন) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের জনসংখ্যা ৯১ থেকে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। আর শকুন কমে যাওয়ায় দেশটিতে মানুষের মৃত্যুর হারও বেড়েছে বলে জানান গবেষকরা।
গবেষণায় দেখা যায়, ভারতের যেসব জেলায় শকুনের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমেছে, সেসব জেলায় মানুষের মৃত্যুর হারও আগের তুলনায় চার শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া যেসব শহরে মৃত গবাদিপশু ভাগাড়ে ফেলা হতো, সেখানে মানুষের মৃত্যুর হারও বেশি।
গবেষকদের ধারণা, শকুন কমে যাওয়ায় পাঁচ বছরে (২০০০-২০০৫ সাল) রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ায় প্রতি বছর অতিরিক্ত এক লাখ মানুষ মারা গেছেন।
গবেষণার সহলেখক ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোস হ্যারিস স্কুল অব পাবলিক পলিসির সহকারী অধ্যাপক আইয়াল ফ্র্যাঙ্ক। তিনি বলেন, পরিবেশ থেকে ব্যাকটেরিয়া ও রোগ-জীবাণুযুক্ত মৃত প্রাণীগুলো অপসারণে শকুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এসব পাখিকে প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলা হয়। তারা না থাকলে অসুখ ছড়াতে পারে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। ঢাকার আপত্তির পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে মমতাকে সতর্ক করেছিল। তবে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাল্টা জবাবে মমতা বলেছেন, পররাষ্ট্রনীতি আমি অনেকের চেয়ে ভালো জানি।
ধর্মতলায় গত ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অশান্ত পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মমতা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। এ বিষয়ে জাতিসংঘের একটি সনদের কথাও উল্লেখ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকারই বলবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আমরা একটি কূটনৈতিক নোট পেয়েছি। আপনারা রিপোর্টে যেমনটা দেখেছেন, খানিকটা সে রকমই।
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সংবিধানের সপ্তম তফসিলের প্রথম তালিকার ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, বিদেশ সংক্রান্ত সব বিষয় এবং অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিষয়ের এখতিয়ার একমাত্র ভারত সরকারের। বিষয়টি যৌথ তালিকায় নেই। আর অবশ্যই রাজ্যের তালিকায় নেই। আমাদের অবস্থানটা স্পষ্ট, সাংবিধানিক এখতিয়ারের বাইরের কোনো বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’
এবার সেই বিতর্কের জবাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দিল্লিতে দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আমি খুব ভালো জানি। আমি সাতবারের সাংসদ, দুবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। পররাষ্ট্রনীতি অন্য কারও চেয়ে আমি ভালো জানি। তাদের আমাকে শেখানো উচিত নয়। বরং সঠিক নিয়মগুলো তাদেরই শেখা উচিত।
ভারত বাংলাদেশ পাল্টা জবাব মমতা
মন্তব্য করুন
জুলাইয়ের প্রথম দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও ১৬ জুলাই এই আন্দোলন নতুন মাত্রা লাভ করে। এরপর থেকেই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে গুরুত্ব দিয়ে খবর প্রকাশ করে আসছে ভারতের গণমাধ্যমগুলো। সর্বভারতীয় ইংরেজি ও হিন্দি গণমাধ্যমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সহিংস হয়ে ওঠার খবর। আনন্দবাজারের শিরোনাম হলো, ‘আটক মৈত্রী (এক্সপ্রেস), ছাত্র সংঘর্ষে বাংলাদেশজুড়ে নিহত ৬’। সঙ্গে রয়টার্সের পাঠানো ঢাকার রাস্তায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ছবি। একই খবর ছাপা হলো ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ অন্যান্য গণমাধ্যমেও।
ভারতে শকুনের সংখ্যা কমার ফলে মানুষের মৃত্যুর হারও বেড়েছে বলে দাবি গবেষকদের। পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে বিবেচিত এই পাখি না থাকায় মারাত্মক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ২০০০-২০০৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেছেন। তাই উপকারী এ পাখিগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা।