ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বালিশ যুদ্ধও এখন দেখানো হবে টেলিভিশনে

প্রকাশ: ০৯:০৩ এএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail বালিশ যুদ্ধও এখন দেখানো হবে টেলিভিশনে

শৈশব-কৈশোরের আমাদের সকলের প্রিয় বালিশ খেলা এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপের মঞ্চে আবির্ভূত। সাধারণ বালিশ খেলা থেকে এখন তা বালিশ যুদ্ধে রুপ নিয়েছে। আর এই খেলা এখন দেখা যাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টেলিভিশনের পর্দায়।

২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম বালিশ যুদ্ধের চ্যাম্পিয়নশিপ। শুধু তাই নয়, পিএফসি বা পিল ফাইট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলো দেখা যাবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন টেলিভিশনেও।

বালিশ খেলাকে পেশাদার খেলার মর্যাদা দেবার স্বপ্ন দেখেছিলেন স্টিভ উইলিয়ামস। উইলিয়ামসের ভাবনায় চালু হতে চলা এই চ্যাম্পিয়নশিপে বালিশ যুদ্ধের কেরামতির সাথে মেশানো হবে বিভিন্ন মার্শাল আর্টসের কায়দা।

পিএফসি'র প্রধান উইলিয়ামস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘এই প্রতিযোগিতা কিন্তু তেমন নয় যে আপনি হাসতে হাসতে বালিশের লড়াইয়ে নামবেন আর চারদিকে পাখির পালক উড়বে। এটা খুবই সিরিয়াস একটা খেলা। বিশেষ কায়দায় তৈরি করা বালিশ নিয়ে লড়ার বিশেষ কৌশলের লড়াই।’’

জানুয়ারি মাসের আসন্ন প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন যেসব নারী ও পুরুষ, তারা সকলেই অ্যামেরিকার বক্সিং ও মার্শাল আর্টসের জগতের পোড় খাওয়া খেলোয়াড়। কিন্তু এই খেলায় কারো আঘাত পাওয়ার সুযোগ নেই, নিশ্চিত করেন স্টিভ উইলিয়ামস।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘খেলোয়াড়রা কেউ চোট পেতে চায় না কিন্তু দর্শকরা চায় জোরদার লড়াই হোক, প্রয়োজনে রক্তপাতও। মূলত দর্শকরা একটা ভালো লড়াই দেখতে চায়। শুধু মারামারি কারো ভালো লাগে না।’’

খেলা আরও বেশি করে জনগণকে আকর্ষণ করবে কারণ সবাই এই খেলা শৈশবে নিজেদের ভাইবোন অথবা বন্ধুদের সাথে খেলেছে, জানান উইলিয়ামস। তিনি বলেন, ‘‘ধরে নিন এটা মূলধারার খেলাধুলার চেয়ে একটু বাইরে। কিন্তু তাতে মূলধারার দর্শককেও টানা যাবে। ঠিক যেভাবে দেশের লোকগানের সাথে আজকাল অন্যান্য র‍্যাপ গান মিশিয়ে গাইলেও জনগণের তা ভালো লাগে। ঠিক সেরকমই।’’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খেলার জন্য পরিচিত বিশেষ টেলিভিশন চ্যানেল এফআইটিই-তে দেখা যাবে এই বালিশ যুদ্ধের চ্যাম্পিয়নশিপ। সূত্র: ডয়চে ভেলে



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ইস্যুতে বিভক্ত ইইউ

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

চীনকে নিয়ে চিন্তা বেড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। বিশেষ করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের রাশিয়ার রাজধানী মস্কো সফরের পর। ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য চীন রাশিয়াকে অস্ত্র দিতে পারে, এমনটিও মনে করছে ইইউ।

লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যান্ডসবার্গিস বলেছেন, ‘শি জিনপিং যদি একজন ঘোষিত যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ান, তাহলে আমাদেরও চীনকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।’

গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট। এরপর মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন শি জিনপিং।

লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মনে করছেন,  চীনের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি এটা করা হয়, ততই ভালো।

তবে ইইউয়ের সব সদস্য দেশ এরকম চরম পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে নয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইইউয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত কয়েকবছরে শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন অন্তত ৪০ বার বৈঠক করেছেন। ফলে এখন শি জিনপিং রাশিয়া গিয়ে পুতিনের পাশে থাকার বার্তা দেবেন সেটাই স্বাভাবিক।

ইইউয়ের দেশগুলোর সাধারণ মনোভাব হলো, চীন এখন রাশিয়ার দুর্বলতার সুযোগ নিতে চাইছে। চীন-সহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ এখনও ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে আগ্রাসন বলেনি। জাতিসংঘে চীন রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবে ভোট দেয়নি। তারা রাশিয়ার প্রচারমূলক কথারই পুনরাবৃত্তি করেছে।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্কে কোনও সীমারেখা থাকবে না। এমনিতেই ইইউয়ের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আগের তুলনায় খারাপ। রাশিয়ার কারণে তা আরও খারাপ হয়েছে।

বেশ কয়েকটি ইইউ দেশ মনে করছে, চীন এবার রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রি করতে পারে। ইইউয়ের সেক্রেটারি জেনারেল স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, চীন যে রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রি করতে চায়, এমন কোনও প্রমাণ তার কাছে নেই।

চীন বিশেষজ্ঞ স্টেক বলেছেন, ‘চীন এখন রাশিয়ার সঙ্গে আর্থিক কার্যকলাপ পুরোপুরি বজায় রেখেছে। রাশিয়া যে ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে, তাকেও সমর্থন করেছে চীন। তারা রাশিয়াকে যে টায়ার, পোশাক ও অন্য জিনিস দিচ্ছে, তা রাশিয়ার সেনা ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু এখনও তারা কোনও অস্ত্র রাশিয়াকে দেয়নি।’

স্টেকের মতে, ‘তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। উইঘুর নিয়ে ইইউয়ের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। ফলে চীনও চাপে আছে। ইইউ চীনের ওপর কিছু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে। তবে ইইউ আরও ব্যবস্থা নিলে তাদের অর্থনীতিতে চাপ বাড়বে।’

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ডাকে ইইউ এখনও সাড়া দেয়নি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন চাইছেন, চীনকে কোণঠাসা করতে ইইউ এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মেলাক। কিন্তু ইইউ এখনও সেটি থেকে বিরত রয়েছে। ইইউয়ের দেশগুলোর মধ্য়ে চীনের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য করে জার্মানি। তারা ও ইইউয়ের অন্য বেশ কয়েকটি দেশ চীনের লাভজনক বাজার থেকে চলে আসতে রাজি নয়।

তবে দুই পক্ষের মধ্যে সন্দেহ আছে, চীন ও ইইউ একে অন্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।  ইইউ-চীন কম্প্রিহেনসিভ ইনভেস্টমেন্ট এগ্রিমেন্টও ঠান্ডা ঘরে চলে গেছে। স্টেক বলেছেন, ‘চীন এখন চাইছে, তারা ইইউয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। ইইউও একইভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলবে। তারপর চুক্তিতে সই হবে।’

ইইউ সূত্র জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো চীন ইস্যুতে বিভক্ত। কিছু দেশ চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায়, আবার কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদিকে নিয়ে কটূক্তি, রাহুল গান্ধীর দুই বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০১:৫৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন গুজরাটের একটি আদালত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘নাম’ নিয়ে কটূক্তি করায় তাকে এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামের শেষ অংশ নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন রাহুল। এরপর তার বিরুদ্ধে গুজরাটের সুরাটে মানহানির মামলা করেন বিজেপি নেতা ও গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পুনেশ মোদি।

২০১৯ সালে কর্ণাটকে লোকসভা নির্বাচনের একটি র‌্যালিতে মোদিকে নিয়ে ওই কটূক্তি করেছিলেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, ‘কীভাবে সব চোরের নাম মোদি হয়?’

মূলত ভারতের পলাতক আসামী নিরব মোদি এবং ললিত মোদির কথার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইঙ্গিত করেছিলেন তিনি।

তবে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দেওয়া এ কারাদণ্ড আবার ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। জেলে যাওয়ার আগে যেন দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন তাই রায় সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করেন আদালত।

বৃহস্পতিবার রায় দেওয়ার আগে গুজরাটের সুরাট আদালতে উপস্থিত হন রাহুল। সেখানে তাকে বরণ করে নেন কংগ্রেসের নেতারা। এছাড়া রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।

এদিকে জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান বিচারপতি এইচএইচ ভার্মা গত সপ্তাহে বলেছিলেন, দুই পক্ষের কাছ থেকেই তিনি সবকিছু শুনেছেন এবং একটি সিদ্ধান্তে উপনীতি হয়েছেন। এরপর তিনি জানান আগামী সপ্তাহে চার বছর পুরোনো মামলার রায় দেবেন।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পবিত্র রমজানে মুসলিমদেরকে বাইডেনের শুভেচ্ছা

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

পবিত্র রমজান উপলক্ষে বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে শুভেচ্ছা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তার এই শুভেচ্ছাবার্তায় পৃথকভাবে চিনের ইউঘুর ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বাইডেনের বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, চীনে বসবাসকারী উইঘুর, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাসহ বিশ্বজুড়ে যে সব জায়গায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীরা তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছে।

তাছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক-সিরিয়ার নাগরিক এবং পাকিস্তানের বন্যাদুর্গতদেরও কথাও এসেছে প্রেসিডেন্টের বিবৃতিতে।

উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনা সেনাদের অত্যাচার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের জান্তা সরকারের নিপীড়ন নিয়ে বরাবরই ‘সংযত’ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এই পরিস্থিতিতে বাইডেনের বিবৃতি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

এদিকে পবিত্র রমজান উপলক্ষে এক টুইট বার্তায়ও মুসলিমদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

বাইডেন লেখেন, দেশ-বিদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি আমি ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সুদহার বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে ডলার

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ব্যাংকিং খাতে প্রচণ্ড অস্থিরতার মাঝেই নতুন করে আবারো সুদের হার বাড়ালো যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে পরপর দুইটি বড় ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর ব্যাংকিং খাত নিয়ে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। ব্যাংকগুলোর এই অসহায় অবস্থার জন্য সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে সুদের হার বৃদ্ধিকে। ধারণা করা হচ্ছিল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার কমিয়ে আনতে পারে মার্কিন সরকার। কিন্তু হলো তার উল্টো। অস্থিরতা আরও তীব্র হতে পারে এমন শঙ্কা সত্ত্বেও আবারও সুদহার বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ।

বুধবার (২২ মার্চ) ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ০.২৫ পয়েন্ট বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক দাবি করেছে, ব্যাংকিং খাত শক্ত অবস্থানে আছে। তবে তারা সঙ্গে সতর্কতা দিয়েছে, যেসব ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে আগামী কয়েক মাসে সেগুলোর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্বব্যাপী জীবন ব্যয় ও দ্রব্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে গত বছর থেকেই সুদহার বাড়িয়ে চলছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক। তবে সুদহার বৃদ্ধির বিষয়টি ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা তৈরি করেছে।

এ মাসেই সিলিকন ভ্যালি এবং সিগনেচার নামে দুটি ব্যাংকে ধস নেমেছে শুধুমাত্র এ কারণে। ব্যাংকগুলো যেসব বন্ড কিনে রেখেছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সুদহার বৃদ্ধির কারণে সেসব বন্ডের দাম কমে যাবে।

বিশ্বের দেশগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সঙ্কটের কারণে ২০০৮ সালের মত বড় অর্থনৈতিক ধস নামবে বলে মনে করেন না তারা। গত সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তাদের সুদের হার ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। বৃহস্পতিবার নিজেদের সুদের হার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। কয়েক দিন পূর্বেই দেখা গেছে, দেশটিতে মূল্যস্ফীতি নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ১০.৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি দেখে দেশটি।

ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল বলেন, ফেড এখনও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে। আর এ জন্য সুদের হার বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ। তবে এতে করে ব্যাংকিং খাতকে পুরোপুরি অবহেলা করা হচ্ছে। যদিও পাওয়েলের দাবি, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে ‘আলাদা বৈশিষ্ট্যের’ ছিল। তবে সুদের হার বৃদ্ধি যে এই সংকটকে আরও প্রকট করতে পারে সেটিও স্বীকার করে নেন তিনি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। তাদের হিসেবে, ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ০.৪ শতাংশ। আর ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ১.২ শতাংশ। যা সাধারণের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস তারা দিয়েছিল সেটি থেকেও এটি কম। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত টানা ৯ দফা সুদহার বাড়িয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ। গত বছর যেখানে ঋণের ক্ষেত্রে নামেমাত্র সুদ দেওয়া লাগত, এখন সেটি বেড়ে ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

মার্কিন নিয়ন্ত্রক ব্যাংক আরও জানিয়েছিল, সুদহার বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে গতকাল নিজেদের সুর নরম করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা বলেছে, সুদহার বৃদ্ধির বদলে ‘নীতিতে পরিবর্তন আনলে সবচেয়ে ভালো হবে।’ প্যান্থিয়ন ম্যাক্রোইকোনোমিকস নামের একটি সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়ান শেপার্ডসন বলেছেন, ‘ফেডারেল রিজার্ভের এ সিদ্ধান্ত সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, তারা ভীত।’ সুদহার বাড়া মানে হলো বাড়ি কেনার খরচ বেড়ে যাওয়া, ব্যবসার পরিধি বাড়ানোসহ বিভিন্ন খরচ বেড়ে যাওয়া। সুদহার বাড়িয়ে মূলত এসব বিলাসী পণ্যের চাহিদা কমানোর চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরমাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল থাকবে সেই আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মানুষ অর্থ খরচ কমিয়ে ব্যাংকে জমা রাখতে পছন্দ করবে। এটিও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করবে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আলেপ্পো বিমানবন্দরে আবারও ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশ: ০৯:১৮ এএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল হামলায় বিমানবন্দরটি স্থাপনার ক্ষতি হয়ে এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার বিমানবন্দরটি হামলা চালাল তেল আবিব।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিরীয় সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, বুধবার ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে ভূমধ্যসাগর থেকে আলেপ্পো বিমানবন্দর লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি সেনারা।

তবে হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। সিরিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার পর আলেপ্পোগামী সকল ফ্লাইটকে রাজধানী দামেস্ক অথবা আলেপ্পোর নিকটবর্তী লাতাকিয়া বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়েছে।

সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আলেপ্পো বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে ইহুদিবাদী ইসরায়েল দুটি অপরাধ করেছে। প্রথমত, এটি একটি বেসামরিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে এবং দ্বিতীয়ত গতমাসের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য ত্রাণতৎপরতা বিঘ্নিত করেছে। চলতি মাসের গোড়ার দিকেও আলেপ্পো বিমানবন্দরে একবার ইসরায়েলি হামলায় বিমানবন্দরটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন