ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ত্রিপুরায় নিরঙ্কুশ জয় পেলো বিজেপি

প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail ত্রিপুরায় নিরঙ্কুশ জয় পেলো বিজেপি

ভোটের আগে যা ভাবা, যা গণনা, ফলাফলও ঠিক তাই। ত্রিপুরার পুরভোটে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখল করল বিজেপি। তবে তার মধ্যেও আগরতলা শহরে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করল, বিজেপির ‘শেষের শুরু হল এই ফল থেকেই। আর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের দাবি, রাজ্যকে ‘বদনাম করার চেষ্টার জবাব দিয়েছেন মানুষ।

ত্রিপুরার পুর নিগম, পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চায়েত মিলে মোট ৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২৯টিই রাজ্যের শাসক দলের দখলে। তার মধ্যে ১১২টি তারা আগেই জিতে নিয়েছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ওয়ার্ডের নিরিখে বিরোধীদের ঝুলিতে গিয়েছে নামমাত্র আসন। কিন্তু এই ‘গেরুয়া ঝড়ের আবহেও ভোটপ্রাপ্তির বিচারে আগরতলায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গোটা রাজ্যের পুর এলাকার ভোটের ফলের নিরিখে অবশ্য দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা।

পুরভোটে এ বার শাসক দলের বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, গা-জোয়ারি ও ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছিল ভূরি ভূরি। এমন নির্বাচনকে ‘প্রহসন আখ্যা দিয়ে পুরভোট বাতিলের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থে হয়েছে দুই বিরোধী দল সিপিএম ও তৃণমূল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোথাও কোনও পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ না দেওয়ার প্রতিবাদে রবিবার গণনা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণও করেনি বামেরা। ভোটবাক্স খোলার পরে এ দিন দেখা গিয়েছে, আগরতলা পুর নিগমের ৫১টি ওয়ার্ডের ৫১টিতেই জয়ী বিজেপি। শহরের ২৬টি ওয়ার্ডে তৃণমূল রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে, বামেরা দ্বিতীয় ২৫টিতে। পুরভোটে ত্রিপুরায় খাতাও খুলেছে তৃণমূল। আমবাসা পুর পরিষদের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুমন পাল তাঁর জয়কে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় বলেই বর্ণনা করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের পুরভোটে আগরতলা পুরসভা জিতেছিল বামফ্রন্ট।

ত্রিপুরার যে ১৩টি পুর এলাকায় ভোট ছিল, তার সবকটিই এ বার জিতেছে বিজেপি। যে ২২২টি আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে বিজেপির দখলে ২১৭টি। সিপিএম পেয়েছে ৩টি আসন। তৃণমূল এবং তিপ্রা মথা ১টি করে ওয়ার্ড জিতেছে। তিপ্রা মথার প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্যের দাবি, কোনও জনজাতি সংগঠনের শহুরে এলাকায় জয় এই প্রথম। গোটা রাজ্যে পুর এলাকা ধরে হিসেব করলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরাই। তাদের প্রাপ্ত ভোট ১৯.৬৫%। তৃণমূল পেয়েছে ১৬.৩৯%। আর বিজেপির ভোট ৫৯.০১%। শুধু আগরতলা পুর এলাকা ধরলে আবার তৃণমূল থাকছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম বার লড়তে নেমে আগরতলায় তৃণমূল পেয়েছে ২০.১৩%। বামেদের ভোট সেখানে ১৭.৯%। কংগ্রেস পেয়েছে ১.৮%। আর জয়ী বিজেপির প্রাপ্তি ৫৭.৪% ভোট। এই চিত্র সামনে রেখে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার মন্তব্য, ‘‘এই ফলে হতাশার তো কিছু নেই-ই, বরং উৎসাহিত হওয়ার কারণ আছে। বিজেপির শেষের শুরু হল। গণতন্ত্রের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ত্রিপুরার মানুষ আমাদের ভরসা দিয়েছেন।’’

তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য, আগরতলা-সহ বেশ কিছু এলাকার ওয়ার্ডে বাম ও তৃণমূল মিলে যা ভোট পেয়েছে, তা বিজেপির চেয়ে বেশি।

তৃণমূল নেতৃত্বের যুক্তি, মাত্র তিন মাসের রাজনৈতিক প্রস্তুতি নিয়ে তাঁরা ত্রিপুরায় পুরভোটের ময়দানে নেমেছিলেন। গোটা প্রচার-পর্ব এবং নির্বাচনে হামলা ও মামলার সঙ্গে লড়তে হয়েছে। ভোটে বিস্তর ‘জালিয়াতি সত্ত্বেও এই সামান্য সময়ে যে সমর্থন তাঁরা পেয়েছেন, সেই ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করা যাবে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘সবে তো শুরু। এ বার আসল খেলা হবে!’’ টুইট করে এ দিন তিনি বলেছেন, ‘নামমাত্র উপস্থিতি নিয়ে শুরু করে পুরভোটে ২০%-এর বেশি ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধী হিসেবে উঠে আসা যে কোনও দলের পক্ষেই ব্যতিক্রমী। আমরা তিন মাস আগে কাজকর্ম শুরু করেছিলাম এবং অন্য দিকে, ত্রিপুরায় গণতন্ত্রকে জবাই করতে বিজেপি কোনও চেষ্টাই বাদ রাখেনি। এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সব কর্মীকে তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক সাহসের জন্য অভিনন্দন!

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব অবশ্য পুরভোটে তাঁর দলের জয়ের পরে বলেছেন, ‘‘ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের পুণ্যভূমির যারা ক্ষতি করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন ত্রিপুরাবাসী। ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে, মানুষ উন্নয়নের পক্ষে। তাই বিজেপিকে ৯৮.৫০% আসনে জয়যুক্ত করে ত্রিপুরাবাসী উপহার দিয়েছেন।’’ তৃণমূলের প্রতি ইঙ্গিত করে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘ত্রিপুরাকে বদনাম করার চেষ্টায় যারা ছিলেন, তাঁরা দেখুন কৈলাসহর অথবা সোনামুড়ায় সংখ্যালঘু এলাকাতেও মানুষ উন্নয়নের পক্ষে আস্থা প্রদর্শন করেছেন। কিছু দিন ধরে ত্রিপুরাকে বদনাম করার চেষ্টা হয়েছে।’’ পুর নির্বাচনে সাফল্যের জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য বিজেপিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

আগরতলা পৌঁছে এ দিন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিপ্লবের সরকারকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘গত পুর নির্বাচনে বিজেপি ১৪.১% ভোট পেয়ে ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখল করেছিল। তৃণমূল ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে একই ভাবে পরিবর্তন আনবে। অনেক জায়গায় রিগিং-ছাপ্পা করে, কোথাও কোথাও গণনায় কারচুপি করেও তারা তৃণমূলের উত্থান আটকাতে পারেনি।’’ গণনা-পর্ব সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করায় রাজ্য তৃণমূলের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

সিপিএম অবশ্য এই পুরভোটের হিসেব-নিকেশ থেকে বড় কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে নারাজ। দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর কথায়, ‘‘যে নির্বাচনকে বাতিল করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়েছে, সেখান থেকে কে দ্বিতীয় বা তৃতীয়, সেই বিচার অর্থহীন! বিজেপির শাসনে গণতন্ত্র, নির্বাচন ও জনগণের ভোটের অধিকারের উপরে যে আক্রমণ চলছে, তা থেকে ত্রিপুরাকে বার করে আনতে সংগ্রামের ময়দানে আরও সক্রিয় হতে হবে।’’ ত্রিপুরা রাজ্য বামফ্রন্টের বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, ‘অভূতপূর্ব সন্ত্রাস, নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশের সচেতন ব্যর্থতার পাশাপাশি প্রশাসনিক সুযোগের ব্যবহার করে শাসক বিজেপি নগর সংস্থার নির্বাচনকে পুরোপুরিই প্রহসনে পরিণত করেছে।

তবে বাম নেতৃত্ব মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০টি পুর এলাকার মধ্যে ১৩টিতে (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফয়সালা হয়েছে ৭টির) লড়াই করেছে বামফ্রন্ট। তিনটিতে লড়াই করেছে তৃণমূল। তাই সার্বিক ভাবে তৃণমূলের ‘প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে ওঠার দাবি ঠিক নয় বলে বামেদের পাল্টা দাবি। তাঁরা আরও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, আগরতলায় বিজেপির দুজন ‘বিক্ষুব্ধ বিধায়ক পিছন থেকে তৃণমূলকে মদত করেছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী প্রতিমা ভৌমিকও মন্তব্য করেছেন, পুরভোটে তাঁদের ‘সাফল্য এসেছে বামেদের হারিয়েই। সূত্র: আনন্দবাজার



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমিকম্পে বাস্তুচ্যুত, এবার শেষ আশ্রয়টুকুও বন্যার কবলে

প্রকাশ: ০২:৫৫ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

সম্প্রতি সাত দশমিক আট মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের  সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা যায়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ওই এলাকায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তরা তাঁবু টানিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু এবার সেখানে ভারি বৃষ্টির পর বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক ডজন ক্যাম্প পানিতে তলিয়ে গেছে। খবর আল-জাজিরার।

সিরিয়ার একটি সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইদলিব প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই সম্প্রতি ভূমিকম্পের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়। সেখানের রাস্তাগুলোও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানান, হাফসারজাহ বিশমারুন শহরের ক্যাম্পের বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া আদওয়ান গ্রামে মার্কেট ধসে পড়েছে।

তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পর সেখানে বেশ কিছু ক্যাম্প তৈরি করা হয়। এক একটা ক্যাম্পে অসংখ্য তাঁবু রয়েছে। এবারের ভারি বৃষ্টিতে ৪০টির বেশি ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ফেব্রুয়ারি) সুইস সিসমোলজি সার্ভিসের পরিচালক স্টেফান উইমার জানান, তুরস্ক সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে যে ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে সেটি গত একশ বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

ভূত্বকের টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে ভূমিকম্প হয়। প্লেটগুলোর আকার পরিবর্তিত হয়। দুটি টেকটোনিক প্লেটের মাঝে আছে ফল্ট লাইন। ভূমিকম্প সাধারণত এই ফল্ট লাইনের আশপাশে হয়ে থাকে। টেকটোনিক প্লেটগুলো ধীরে ধীরে সরে যায় এবং কখনও কখনও সঙ্গে লেগে থাকে আবার কখনও ফল্ট লাইনে কম্পন তৈরি করে। যখন এটি খুব বেশি বৃদ্ধি পায়, তখনই ভয়াবহ ভূ-কম্পন্ন অনুভূত হয়। যেটি তুরস্ক-সিরিয়ায় ঘটেছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিস

প্রকাশ: ০১:১২ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

নয়া মোড় নিয়েছে বিশ্বভারতী জমি বিতর্কে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ করার নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই তাঁর বোলপুরের বাড়িতে সেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আগামী ২৯ মার্চ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছে। জমি নিয়ে শুনানির দিন অমর্ত্য সেনকে সশরীরে বা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে থাকার কথা বলা হয়েছে। বিশ্বভারতীয় সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন বিল্ডিংয়ের কনফারেন্স হলে হবে এই শুনানি।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন। শান্তিনিকেতনের শ্রীপল্লীতে বিশ্বভারতীর থেকে লিজ নেওয়া ২০১ নম্বর প্লটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী তাকে কেন উচ্ছেদ করা হবে না? সেই প্রশ্ন তুলেছে বিশ্বভারতী।

বিতর্ক মূলত বোলপুরে অর্মত্য সেনের বাড়ির প্রতীচীর জমির একাংশ নিয়ে। নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলে জমি ফেরত চেয়ে এর আগে একাধিকবার চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী। চিঠিতে বলা হয়েছে,“নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন বিশ্বভারতীয় মোট .৩৮ একর জমি ভোগ করছেন। এর মধ্যে আইনগতভাবে তাঁর জমির পরিমাণ .২৫ একর। বাকি জমি তাঁকে ফেরত দেওয়ার কথা বলে এর আগেও চিঠি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিনের নোটিশকে শো কজ বলেই ব্যাখা করা হচ্ছে। সেখানে বলা হয়েছে, ''বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের জমি ওই ১৩ ডেসিমেল। এটি একটি জাতীয় সম্পদ। তাই উদ্ধার করা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। ১৯৭১ সালের উচ্ছেদ আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি।''

সম্প্রতি শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন নোবেলজয়ী। সেসময় অমর্ত্য সেনের কাছে ১৩ ডেসিমেল জমি ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে।

চিঠি বিতর্কের পরপরই বোলপুর সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করেন। বিএলআরও অফিস থেকে স্বয়ং অমর্ত্য সেনের জমির মাপজোপ সংক্রান্ত কাগজ এনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের হাতে তুলে দেন।

জমিবির্তকে অমর্ত্য সেনের দাবি, ওই জমির অংশ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে লিজ নেওয়া বাকি জমি কেনা। নোবেলজয়ীর দাবি, তথ্য লুকিয়ে মিথ্যে কথা বলছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শান্তি ফেরানো নাকি পশ্চিমাদের চোখ রাঙানির মোক্ষম জবাব?

প্রকাশ: ১১:০৫ এএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আন্তর্জাতিক আদালতের তরফে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণার মাঝেও জিনপিংকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দীর্ঘদিন বাদে প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে চলেছে বলে কথা।  আজই  রাশিয়া যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁকে স্বাগত জানাবেন পুতিন। টানা তৃতীয়বারের মত চীনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন শি। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তরফে সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী বলে ঘোষণা করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর একদিকে যেমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন, সেখানে পুতিনের পাশেই দাঁড়াতে পারেন শি বলে জানা গিয়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এই সফরকে রাশিয়া অত্য়ন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ এই সফরের মাধ্যমেই পশ্চিমী দুনিয়ার কাছে রাশিয়া বার্তা দেবে যে তাদের পাশে শক্তিধর বন্ধু দেশ রয়েছে। আজই মস্কোয় পৌঁছবেন শি। দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব বাড়াতে পুতিন ও জিনপিং বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেন বলে জানা গেছে। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা থাকলেও, প্রধান আলোচ্য় বিষয় হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এমনটাই সূত্রের খবর।

রাশিয়া সফরের আগেই সম্প্রতি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে শান্তি স্থাপকের ভূমিকা পালন করতে পারে চিন। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও চিনের এই ইচ্ছাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা এক বছর পেরিয়ে গেছে। যদিও এখনও সেখানে যুদ্ধবিরতি হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই, তবে যুদ্ধের তীব্রতা আগের থেকে কিছুটা কমেছে। তবে ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় এখনও অতর্মকিত হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। ইউক্রেন সেনাও প্রতিরোধ করছে। আন্তর্জাতিক মহলের বিভিন্ন চেষ্টা সত্ত্বেও রুশ আগ্রাসন বন্ধ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আজ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর মস্কো সফর। সেখানে গিয়ে শান্তিস্থাপকের ভূমিকা নিতে পারে চীন। অন্তত এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাশিয়া সফর গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে জিনপিং কথা বলতে পারেন বলেও গুজব ছড়িয়েছে। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্বে শুরু থেকে রাশিয়ার পাশে রয়েছে চীন। সরাসরি রাশিয়াকে সাহায্য না করলেও পশ্চিমী দুনিয়ার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার সময়ে মস্কোর পাশে ছিল বন্ধু বেইজিং।

রাশিয়া চীনের পুরনো বন্ধু। বিশেষত আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলির জোটের বিরুদ্ধে যদি কোনও অক্ষ ঘঠিত হয়, তাতে প্রথম দুই নাম রাশিয়া ও চীন। ইউক্রেনে হামলার পর পশ্চিমী দুনিয়া এক ঘরে করার চেষ্টা করেছে রাশিয়াকে। অন্য দিকে তাইওয়ানে আমেরিকার উচ্চপদস্থ পদাধিকারদের সফর আরও কাছাকাছি এনেছে এই দুই দেশকে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জিনপিংয়ের রাশিয়া সফরের ঘোষণা করা হয়ে। সেই সফরের ব্যাপারে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের  মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছিলেন, শান্তি স্থাপনে উদ্যোগ নেবেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এই সফরের ব্যাপারে বেইজিংয়ের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াং ওয়াইয়েই বলেছেন, “যুদ্ধ বন্ধ করা সকলেরই ইচ্ছা। কারণ পশ্চিমী দুনিয়া ও আমেরিকা ইউক্রেনকে যতদিন ধরে সাহায্য করবে ভেবেছিল, তা পারবে না। কিন্তু চীন দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করার ক্ষমতা রাখে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে পারে।”

যদিও চীন রাশিয়া-ইউক্রেনের দ্বন্দ্ব মেটাতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের একাংশের বিশেষজ্ঞ মহলের। এ নিয়ে চীননের পররাষ্ট্র নীতির উপরে কাজ করা আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলেছেন, “ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে বেইজিং খুবই নগন্য উদ্যোগ নিয়েছে। রাশিয়ার উপর চাপ তৈরি বা রাশিয়াকে প্রকাশ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে কখনও বলেনি চীন।”

তবে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারির করার পর জিংপিন যাচ্ছেন সেখানে। আজ চীনা প্রেসিডেন্টের এই রাশিয়া সফরে নজর রাখছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়া।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে চীনকে ধন্যবাদ দিলেন পুতিন

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান করছে চীন। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় নাকাল রাশিয়ার জ্বালানি খাতের হালও এখন শি জিনপিংয়ের দেশের হাতে।

বর্তমানে রাশিয়ার জ্বালানি তেলের সিংহভাগ আমদানি করছে চীন। অন্যদিকে জাতিসংঘের মতো বড় বৈশ্বিক সংগঠনেও চীনের সমর্থন পেয়ে আসছে রাশিয়া। 

ইউক্রেন ইস্যুতে বেইজিংয়ের এমন অবস্থানের প্রশংসা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসায় চীনের প্রশংসাও করেছেন এই রুশ নেতা।

জিনপিংয়ের রাশিয়া সফর সামনে রেখে তাকে প্রশংসায় ভাসালেন পুতিন। তার প্রত্যাশা স্নায়ুযুদ্ধের আমলের চেয়েও আরও মজবুত হবে দুই দেশের সামরিক ও রাজনৈতিক বন্ধন।

চীন সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলেও বিশ্বাস পুতিনের। তিনি বলেছেন, ‌‘চীন স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ইউক্রেন সংকটের সমাধান করতে চায়। ’ ইউক্রেন ইস্যুতে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে থাকায় তিনি চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জ্ঞাপন করেছেন।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াবেন ম্যাক্রোঁ?

প্রকাশ: ১১:০৫ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কোনো রকম ভোটাভুটি ছাড়াই ডিক্রি জারির মাধ্যমে অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করে বিতর্কিত পেনশন সংস্কার আইন নিষ্পত্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ফরাসি জনগণের মধ্যে। টানা দুইদিন যাবত চলছে প্রতিবাদ। রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদকারীরা।

রয়টার্স টেলিভিশনের ফুটেজে শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে দেশটির জাতীয় পার্লামেন্ট ভবনের কাছে প্যারিসে প্লেইস দে লা কনকর্ডে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে কাঁদুনে গ্যাস ছুড়তে দেখা গেছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এ সময় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো দাঙ্গা পুলিশের সামনে যুদ্ধংদেহী ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে থাকা কিছু আন্দোলনকারীকে ‘ম্যাক্রোঁ, ক্ষমতা ছাড়ো’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। আরটিএল রেডিওর জন্য একটি জরিপে অংশ নেওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে আটজনেরও বেশি ভোটার পার্লামেন্টে ভোট এড়াতে সরকারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়েছেন। জরিপে অংশ নেওয়াদের ৬৫ শতাংশ বলেছেন, তারা চান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকুক।

৫২ বছর বয়সী মনোবিজ্ঞানী নাথালি আলকিয়ে বলেছেন, “ভোট ছাড়া অগ্রসর হওয়ার মানে হচ্ছে গণতন্ত্রকে অস্বীকার করা, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় রাস্তায় যা হচ্ছে, তাকে পুরোপুরি অস্বীকার করা। এটা আর নেওয়া যাচ্ছে না।”

ফ্রান্সের প্রধান শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নগুলোর একটি বিস্তৃত জোট জানিয়েছে, তারা পেনশন আইনে পরিবর্তন নিয়ে সরকারকে পিঁছু হটতে বাধ্য করার চেষ্টায় জনগণকে সংগঠিত করা অব্যাহত রাখবে। তারা আগামী শনি ও রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা করছে, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে শিল্পকারখানায় কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সরকারের পেনশন সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে চলতি বছরের মধ্য জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে ৮ দিন বিক্ষোভ দেখেছে ফ্রান্স; স্থানীয় পর্যায়ে শিল্প-কারখানাগুলোতে নানান কর্মসূচিও হয়েছে; তবে বৃহস্পতি আর শুক্রবারের অস্থিরতা লোকজনকে ২০১৮ সালে জ্বালানির দাম বৃদ্ধিকে ঘিরে হওয়া ‘ইয়োলো ভেস্ট’ বিক্ষোভের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। সেবারের আন্দোলন ম্যাক্রোঁকে কার্বন করের বিষয়ে আংশিক পিঁছু হটতে বাধ্য করেছিল।

ফ্রান্সে এমন জোরালো আন্দোলন যদি অব্যাহত থাকে তাহলে এবারও জনগণের স্বার্থবিরোধী এবং বিতর্কিত এমন সিদ্ধান্ত থেকে ম্যাক্রোঁকে সরে আসতে হবে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। 


ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট   ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ   অবসর বয়স   বিতর্কিত পেনশন সংস্কার আইন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন