ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ত্রিপুরায় নিরঙ্কুশ জয় পেলো বিজেপি

প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail ত্রিপুরায় নিরঙ্কুশ জয় পেলো বিজেপি

ভোটের আগে যা ভাবা, যা গণনা, ফলাফলও ঠিক তাই। ত্রিপুরার পুরভোটে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখল করল বিজেপি। তবে তার মধ্যেও আগরতলা শহরে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করল, বিজেপির ‘শেষের শুরু হল এই ফল থেকেই। আর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের দাবি, রাজ্যকে ‘বদনাম করার চেষ্টার জবাব দিয়েছেন মানুষ।

ত্রিপুরার পুর নিগম, পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চায়েত মিলে মোট ৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২৯টিই রাজ্যের শাসক দলের দখলে। তার মধ্যে ১১২টি তারা আগেই জিতে নিয়েছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ওয়ার্ডের নিরিখে বিরোধীদের ঝুলিতে গিয়েছে নামমাত্র আসন। কিন্তু এই ‘গেরুয়া ঝড়ের আবহেও ভোটপ্রাপ্তির বিচারে আগরতলায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গোটা রাজ্যের পুর এলাকার ভোটের ফলের নিরিখে অবশ্য দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা।

পুরভোটে এ বার শাসক দলের বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, গা-জোয়ারি ও ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছিল ভূরি ভূরি। এমন নির্বাচনকে ‘প্রহসন আখ্যা দিয়ে পুরভোট বাতিলের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থে হয়েছে দুই বিরোধী দল সিপিএম ও তৃণমূল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোথাও কোনও পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ না দেওয়ার প্রতিবাদে রবিবার গণনা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণও করেনি বামেরা। ভোটবাক্স খোলার পরে এ দিন দেখা গিয়েছে, আগরতলা পুর নিগমের ৫১টি ওয়ার্ডের ৫১টিতেই জয়ী বিজেপি। শহরের ২৬টি ওয়ার্ডে তৃণমূল রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে, বামেরা দ্বিতীয় ২৫টিতে। পুরভোটে ত্রিপুরায় খাতাও খুলেছে তৃণমূল। আমবাসা পুর পরিষদের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুমন পাল তাঁর জয়কে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় বলেই বর্ণনা করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের পুরভোটে আগরতলা পুরসভা জিতেছিল বামফ্রন্ট।

ত্রিপুরার যে ১৩টি পুর এলাকায় ভোট ছিল, তার সবকটিই এ বার জিতেছে বিজেপি। যে ২২২টি আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে বিজেপির দখলে ২১৭টি। সিপিএম পেয়েছে ৩টি আসন। তৃণমূল এবং তিপ্রা মথা ১টি করে ওয়ার্ড জিতেছে। তিপ্রা মথার প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্যের দাবি, কোনও জনজাতি সংগঠনের শহুরে এলাকায় জয় এই প্রথম। গোটা রাজ্যে পুর এলাকা ধরে হিসেব করলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরাই। তাদের প্রাপ্ত ভোট ১৯.৬৫%। তৃণমূল পেয়েছে ১৬.৩৯%। আর বিজেপির ভোট ৫৯.০১%। শুধু আগরতলা পুর এলাকা ধরলে আবার তৃণমূল থাকছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম বার লড়তে নেমে আগরতলায় তৃণমূল পেয়েছে ২০.১৩%। বামেদের ভোট সেখানে ১৭.৯%। কংগ্রেস পেয়েছে ১.৮%। আর জয়ী বিজেপির প্রাপ্তি ৫৭.৪% ভোট। এই চিত্র সামনে রেখে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার মন্তব্য, ‘‘এই ফলে হতাশার তো কিছু নেই-ই, বরং উৎসাহিত হওয়ার কারণ আছে। বিজেপির শেষের শুরু হল। গণতন্ত্রের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ত্রিপুরার মানুষ আমাদের ভরসা দিয়েছেন।’’

তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য, আগরতলা-সহ বেশ কিছু এলাকার ওয়ার্ডে বাম ও তৃণমূল মিলে যা ভোট পেয়েছে, তা বিজেপির চেয়ে বেশি।

তৃণমূল নেতৃত্বের যুক্তি, মাত্র তিন মাসের রাজনৈতিক প্রস্তুতি নিয়ে তাঁরা ত্রিপুরায় পুরভোটের ময়দানে নেমেছিলেন। গোটা প্রচার-পর্ব এবং নির্বাচনে হামলা ও মামলার সঙ্গে লড়তে হয়েছে। ভোটে বিস্তর ‘জালিয়াতি সত্ত্বেও এই সামান্য সময়ে যে সমর্থন তাঁরা পেয়েছেন, সেই ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করা যাবে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘সবে তো শুরু। এ বার আসল খেলা হবে!’’ টুইট করে এ দিন তিনি বলেছেন, ‘নামমাত্র উপস্থিতি নিয়ে শুরু করে পুরভোটে ২০%-এর বেশি ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধী হিসেবে উঠে আসা যে কোনও দলের পক্ষেই ব্যতিক্রমী। আমরা তিন মাস আগে কাজকর্ম শুরু করেছিলাম এবং অন্য দিকে, ত্রিপুরায় গণতন্ত্রকে জবাই করতে বিজেপি কোনও চেষ্টাই বাদ রাখেনি। এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সব কর্মীকে তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক সাহসের জন্য অভিনন্দন!

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব অবশ্য পুরভোটে তাঁর দলের জয়ের পরে বলেছেন, ‘‘ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের পুণ্যভূমির যারা ক্ষতি করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন ত্রিপুরাবাসী। ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে, মানুষ উন্নয়নের পক্ষে। তাই বিজেপিকে ৯৮.৫০% আসনে জয়যুক্ত করে ত্রিপুরাবাসী উপহার দিয়েছেন।’’ তৃণমূলের প্রতি ইঙ্গিত করে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘ত্রিপুরাকে বদনাম করার চেষ্টায় যারা ছিলেন, তাঁরা দেখুন কৈলাসহর অথবা সোনামুড়ায় সংখ্যালঘু এলাকাতেও মানুষ উন্নয়নের পক্ষে আস্থা প্রদর্শন করেছেন। কিছু দিন ধরে ত্রিপুরাকে বদনাম করার চেষ্টা হয়েছে।’’ পুর নির্বাচনে সাফল্যের জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য বিজেপিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

আগরতলা পৌঁছে এ দিন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিপ্লবের সরকারকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘গত পুর নির্বাচনে বিজেপি ১৪.১% ভোট পেয়ে ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখল করেছিল। তৃণমূল ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে একই ভাবে পরিবর্তন আনবে। অনেক জায়গায় রিগিং-ছাপ্পা করে, কোথাও কোথাও গণনায় কারচুপি করেও তারা তৃণমূলের উত্থান আটকাতে পারেনি।’’ গণনা-পর্ব সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করায় রাজ্য তৃণমূলের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

সিপিএম অবশ্য এই পুরভোটের হিসেব-নিকেশ থেকে বড় কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে নারাজ। দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর কথায়, ‘‘যে নির্বাচনকে বাতিল করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়েছে, সেখান থেকে কে দ্বিতীয় বা তৃতীয়, সেই বিচার অর্থহীন! বিজেপির শাসনে গণতন্ত্র, নির্বাচন ও জনগণের ভোটের অধিকারের উপরে যে আক্রমণ চলছে, তা থেকে ত্রিপুরাকে বার করে আনতে সংগ্রামের ময়দানে আরও সক্রিয় হতে হবে।’’ ত্রিপুরা রাজ্য বামফ্রন্টের বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, ‘অভূতপূর্ব সন্ত্রাস, নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশের সচেতন ব্যর্থতার পাশাপাশি প্রশাসনিক সুযোগের ব্যবহার করে শাসক বিজেপি নগর সংস্থার নির্বাচনকে পুরোপুরিই প্রহসনে পরিণত করেছে।

তবে বাম নেতৃত্ব মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০টি পুর এলাকার মধ্যে ১৩টিতে (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফয়সালা হয়েছে ৭টির) লড়াই করেছে বামফ্রন্ট। তিনটিতে লড়াই করেছে তৃণমূল। তাই সার্বিক ভাবে তৃণমূলের ‘প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে ওঠার দাবি ঠিক নয় বলে বামেদের পাল্টা দাবি। তাঁরা আরও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, আগরতলায় বিজেপির দুজন ‘বিক্ষুব্ধ বিধায়ক পিছন থেকে তৃণমূলকে মদত করেছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী প্রতিমা ভৌমিকও মন্তব্য করেছেন, পুরভোটে তাঁদের ‘সাফল্য এসেছে বামেদের হারিয়েই। সূত্র: আনন্দবাজার



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেন-হ্যারিসের যেসব অর্জন তুলে ধরলেন ট্রাম্প!

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।  যেখানে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়বেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  অন্যদিকে, জো বাইডেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন।  

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ব্যঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড পোষ্ট করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।  সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ট্রাম্পের ওই ফটোকার্ডে লেখা ছিল- বাইডেন হ্যারিসের যত অর্জন।  

এতে, তিনি পয়েন্ট আকারে যেসব বিষয় তুলে ধরেছেন তা হলো:

১. দেড় কোটি অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া

২. ইতিহাসের নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি 

৩. ৫০টি অঙ্গরাজ্যে গ্যাসের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি

৪. ভোক্তা ঋণের রেকর্ড 

৫. কারাগারে আটক বহু সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেয়া 

৬. ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ

৭. ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ

৮. বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার

৯. আকাশচুম্বী সহিংস অপরাধ

১০. গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জেলে পাঠানোর চেষ্টা 

১১. বাইডেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে চেপে যাওয়া 

১২. মার্কিন জ্বালানি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা 

১৩. K-12 শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় সর্বনিম্ন নম্বর প্রাপ্তি

১৪. বাইডেন-হ্যারিস ইতিহাসের সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট

এদিকে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে কথার লড়াইয়ে ব্যস্ত ট্রাম্প-হ্যারিস।  আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন দুই রাজনীতিক।  যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বুধবার এক নির্বাচনী সমাবেশে কমলা হ্যারিসকে পাগল বলে সম্বোধন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।


ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন   ভাইস প্রেসিডেন্ট   কমলা হ্যারিস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কমলা হ্যারিসকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন বারাক ওবামার

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে আনুুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন বারাক ওবামা। কমলা হ্যারিসকে তিনি সমর্থন করবেন কিনা তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলে নানা জল্পনা কল্পনা। শেষ পর্যন্ত কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়েছে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটালেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসি 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সাবেক ফাস্ট লেডি মিশেল ওবামা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবি রাখেন। তার সেই দক্ষতা রয়েছে।’

গত রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর ডেমোক্রেটিক পার্টির শতাধিক শক্তিশালী নেতা কমলা হ্যারিসের সঙ্গে কথা বলেন। 

বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এক বিবৃতিতে তার প্রশংসা করেন ওবামা। কিন্তু সেখানে তিনি কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের বিষয়ে কিছু বলেননি। 

এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে ডেমোক্রেটিক দলের অধিকাংশ নেতার সমর্থন পেয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে কমলাকে আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আগামী মাসে দলের সম্মেলন রয়েছে। এই সম্মেলনে কে প্রেসিডেন্ট পদে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাচ্ছে তা ঘোষণা করা হবে। 

শুক্রবারের ওই বিবৃতিতে ওবামা বলেন, কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের ক্ষেত্রে তারা অধিক উত্তেজিত নয়। তবে কমলার নির্বাচনে জয় লাভের জন্য তারা (বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা) সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। 


বারাক ওবামা   কমলা হ্যারিস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তাপপ্রবাহ মহামারির চেহারা নিতে চলেছে: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৫:১১ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

তাপপ্রবাহ এখন বন্যা অথবা ঝড়ের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। তাপমাত্রার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ কার্যত মহামারির চেহারা নিয়েছে। তার বক্তব্য, গত সোমবার ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম দিন। তার আগের দিনও ছিল ভয়াবহ গরম।

সোমবার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের প্রধান।

গুতেরেসের বক্তব্য, বন্যা কিংবা ঝড় দেখতে পাওয়া যায়। তাপপ্রবাহ দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এই তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বিপজ্জনক। মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে তাপপ্রবাহ। ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ এর মধ্যে প্রতি বছর শুধুমাত্র তাপপ্রবাহের জন্য মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৮৯ হাজার মানুষের। সেখানে প্রতি বছর সাইক্লোনের জন্য় মৃত্যু হয়েছে গড়ে ১৬ হাজার মানুষের।

গুতেরেস এদিন বলেছেন, এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ এড়িয়ে চলার জন্য সকলের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে নজর দেওয়া দরকার ছোটদের দিকে, বৃদ্ধদের দিকে এবং অসুস্থ মানুষদের দিকে।

এই তাপপ্রবাহের জন্য় খাদ্য-সুরক্ষা ব্য়বস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খরা হচ্ছে। খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা বার্তা যেন আরও ভালোভাবে যাতে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হলে কৃত্রিমভাবে ঠান্ডার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং সর্বোপরি, তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য় শহরের পরিকাঠামোগত বদল করতে হবে। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে হবে।

২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনশূন্য পরিবেশের কথা বলেছে জাতিসংঘ। গুতেরেস জানিয়েছেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়তো সম্ভব হবে।

পৃথিবীর ৫৭টি দেশে যদি তাপপ্রবাহের সতর্কতা ব্য়বস্থার উন্নতি ঘটানো যায়, তাহলে বছরে অন্তত ৯৮ হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব বলে এদিন জানিয়েছেন গুতেরেস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য নিয়েই এই হিসেবে পৌঁছানো গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


তাপপ্রবাহ   জাতিসংঘ   আন্তোনিও গুতেরেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জামায়াতে ইসলামি পাকিস্তান, জামিয়াত উলেমা ই ইসলাম-ফজলসহ (জেইউআই-এফ) বিভিন্ন ইসলামি দল এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভ ও আন্দোলন কর্মসূচির জেরে ফের অস্থিরতা শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানী ইসলামাবাদ এবং পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশজুড়ে বিদ্যুতের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে পাকিস্তানের সরকার। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কোরআন অবমাননার দায়ে বন্দি জনৈক পাকিস্তানি নাগরিক মোবারক সানি মামলার রায় পুনর্বিবেচনা করার হবে বলে ঘোষণা করেছেন।

এই দুই ইস্যুকে ঘিরে কয়েক দিন ধরে থেকেই বিক্ষোভ করছিল জামায়াতে ইসলামি, জেইউআইএফ এবং অন্যান্য ইসলামি দলগুলো। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই কর্মসূচি ঘোষণা করার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশ।

এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার।

এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বলা হয়েছে, ‘শুক্রবার থেকে রাজধানীতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ১৪৪ জারি করা হলো। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। জনসাধারণকে কোনো অবস্থাতেই ১৪৪ ধারা লঙ্ঘণ না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জননিরাপত্তার স্বার্থে পাঞ্জাব প্রদেশের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করা করা হয়েছে। জনগণকে সরকারের এই আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়- এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে প্রাদেশিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।”

এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি সংযোগ সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ, সেই সঙ্গে শহরজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল চলছে।

পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামি, জেইউআইএফ এবং পিটিআইয়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে এসব দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করতে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১শ’ ছাড়িয়ে গেছে।


বিক্ষোভ   পাকিস্তান   ইসলামাবাদ   পাঞ্জাব   ১৪৪ ধারাl জারি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধাপরাধী হিসেবে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা উচিত: হামাস

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।

এমনকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উঠেছে গণহত্যার অভিযোগও। এমন অবস্থায় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা উচিত বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

একইসঙ্গে নেতানিয়াহুকে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণের সুযোগ দেওয়ারও সমালোচনা করেছে গোষ্ঠীটি। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আমেরিকান কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার সুযোগের নিন্দা করে হামাস বৃহস্পতিবার বলেছে, তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।

মূলত নেতানিয়াহু গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে একটি বক্তৃতা দিয়েছেন। তার সেই ভাষণের সময় হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সিনেটের প্রায় অর্ধেক ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন এবং অপরাধের প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেছিলেন।

পরে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিশ্বের সামনে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার সুযোগ দেওয়ার পরিবর্তে এবং গাজায় গণহত্যা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ ঢেকে দেওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার পরিবর্তে নেতানিয়াহুকে একজন যুদ্ধাপরাধী হিসাবে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল এবং তাকে আইসিসি (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) এর কাছে হস্তান্তর করা উচিত ছিল।’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, ‘নেতানিয়াহুর বক্তৃতা তার সামরিক, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সংকটের গভীরতাই প্রতিফলিত করেছে।’

হামাস নেতানিয়াহুকে রাফাহ এবং নুসেইরাতের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ উপেক্ষা করার পাশাপাশি অনেক বন্দিকে মুক্ত করার মতো মিথ্যা বিজয়ের দাবি করার বিষয়েও অভিযুক্ত করেছে।

প্রসঙ্গত, নেতানিয়াহু গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সাথে দেখা করেন। এছাড়া ইসরায়েলে ফেরার আগে শুক্রবার ফ্লোরিডায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করার কথাও রয়েছে তার।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় চলমান আগ্রাসনে প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আরও ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই বর্বর আগ্রাসনে আহত হয়েছেন।


যুদ্ধাপরাধী   গ্রেপ্তার   হামাস   ইসরায়েল. প্রধানমন্ত্রী   বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন