বাংলাদেশে এখনো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়নি। এরপরও দেশটিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ভ্রমণে অতিরিক্ত কড়াকড়ি আরোপ করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি পূর্ণডোজ টিকা নেওয়া ভ্রমণকারীদের জন্য যে ছাড় দেওয়া হচ্ছিল, সেটিও বাতিল করা হয়েছে। গত রোববার (২৮ নভেম্বর) নতুন এসব নির্দেশনা জারি করেছে ভারত সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুসারে, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন প্রতিরোধে এসব পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। দীর্ঘ ২০ মাসেরও বেশি সময় পর গত ২৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইট ফের শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল ভারতীয় প্রশাসন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এসব ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সীমিত সংখ্যক ফ্লাইট চালু রয়েছে ভারতের।
‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ কারা?
চলতি মাসের শুরুর দিকে ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়েছে আরও কয়েকটি দেশে। ওমিক্রন ধরা পড়া দেশগুলোর পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারত।
ভারত সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকায় রয়েছে, যুক্তরাজ্য, গোটা ইউরোপ এবং আরও ১১টি দেশ বা অঞ্চল; সেগুলো হলো- বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইসরায়েল।
‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের ভ্রমণকারীদের জন্য নিয়ম
ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে, ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশগুলো থেকে ভ্রমণকারী অথবা ট্রানজিটগ্রহীতাদের ভারতে পৌঁছানোর পরপরই আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে এবং এর ফলাফল আসা পর্যন্ত বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করতে হবে।
ভ্রমণকারীদের কেউ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলে ভারত সরকার নির্ধারিত জায়গায় আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হবে এবং নেগেটিভ শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের সেখানেই থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারী ওমিক্রন বা করোনার অন্য যেকোনো ধরনেই আক্রান্ত হোন না কেন, সবারই আইসোলেশনে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই কেবল তারা ছাড়া পাবেন।
‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশগুলো থেকে যাওয়া ভ্রমণকারীরা করোনা নেগেটিভ শনাক্ত হলেও তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা এবং অষ্টম দিনে করোনা টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক। ওই পরীক্ষায় তারা করোনা নেগেটিভ শনাক্ত হলে ভারত সরকারের কোভিড-১৯ হেল্পলাইনে তা জানাতে হবে। এছাড়া, ভ্রমণকারীদের সবশেষ ১৪ দিনের ভ্রমণ বৃত্তান্তও জমা দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
কলম্বিয়া কারাগার অগ্নিকাণ্ড দাঙ্গা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইউক্রেন শপিংমল রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র
মন্তব্য করুন
১০০ বছরের বেশি সময় পর ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ঋণ খেলাপি হয়েছে রাশিয়া। তবে সোমবার রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী এই পরিস্থিতিকে ‘একটি প্রহসন’ হিসাবে উল্লেখ করে বিষয়টি প্রত্যাখান করেছেন। অন্যদিকে এই ঘটনায় স্বস্তি পেয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, রাশিয়ার কাছে সুদের অর্থ প্রদানের পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে, তা দিতেও ইচ্ছুক তারা। তবে, নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিকভাবে লেনদেন জটিল হয়ে পড়েছে দেশটির জন্য।
ক্রেমলিন ঋণ খেলাপি এড়াতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকলেও তা ঠেকাতে পারেনি। এটি রাশিয়ার মর্যাদার ওপর একটি বড় আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস সোমবার বলেছে, বিশ শতকের শুরুর দিকে বলশেভিক বিপ্লবের পর থেকে রাশিয়া প্রথমবারের মতো তার আন্তর্জাতিক বন্ডে খেলাপি হয়েছে।
দেশটি বিনিয়োগকারীদের নগদ অর্থের জন্য পশ্চিমা আর্থিক এজেন্টদের কাছে যেতে বলছে। মস্কোর দাবি, ওই এজেন্টদের নগদ অর্থ দেওয়া হলেও বন্ডহোল্ডাররা তা পায়নি।
গত ২৭ মে, ১০ কোটি ডলার সুদের অর্থ প্রদানের কথা ছিল রাশিয়ার। তারা বলছে, এসব অর্থ ইউরোতে পাঠানো হয়েছিল ইউরোক্লিয়ারের একটি ব্যাংকে। তবে সেটি সেখানে আটকে গেছে।
রাশিয়া বিনিয়োগকারীদের নগদ অর্থের জন্য পশ্চিমা আর্থিক এজেন্টদের কাছে যেতে বলছে। মস্কোর দাবি, ওই এজেন্টদের নগদ অর্থ দেওয়া হলেও বন্ডহোল্ডাররা তা পায়নি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, খেলাপি হওয়ার কথাটি একেবারেই অযৌক্তিক।
তিনি বলেন, বলেন, ইউরোক্লিয়ার এই অর্থ আটকে রেখেছে বলে তা প্রাপকদের কাছে যায়নি। এটা আমাদের সমস্যা নয়। এই ধরনের পরিস্থিতিকে খেলাপি হওয়া বলার কোন ভিত্তি নেই।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত রাশিয়া তার ইউরোবন্ডে বৈদেশিক মুদ্রায় অর্থ প্রদান করে আসছে। তবে মে মাসের ডলার এবং ইউরো কুপনের চালান বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌঁছায়নি।
রাশিয়া পুতিন ঋণ খেলাপি অর্থনীতি ইউরোপ আমেরিকা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন