ইনসাইড এডুকেশন

মানবসম্পদ গঠনে প্রযুক্তিমুখী শিক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০৮ এএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানব সম্পদের যথার্থ উন্নয়ন প্রয়োজন। সেজন্য প্রযুক্তিমুখী শিক্ষা অপরিহার্য। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায়, তাঁরা তাঁদের মানব সম্পদ গঠনে প্রযুক্তিমুখী শিক্ষাকে কাজে লাগিয়েছে। জনসংখ্যার মৌলিক চাহিদার ভিত্তিতেই মূলত অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি নির্ধারিত হয়। অবশ্য সক্ষমতা থাকলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতেও প্রতিনিধিত্ব করা যায়। যেসব দেশ আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে যত বেশি অংশগ্রহণ দেখিয়েছে, তাদের জাতীয় অর্থনীতি তত বেশি শক্তিশালী হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও জনসংখ্যার আধিক্য বিশ্বের অন্য যে কোন বড় দেশের তুলনায় বেশি। অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের এ যুগে সারা পৃথিবী যখন দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে বিশ্ব অর্থবাজারকে করায়ত্ত করার কাজে ব্যস্ত, তখন আমরা মধ্যপ্রাচ্যসহ কিছু রাষ্ট্রে অদক্ষ জনশক্তি প্রেরণের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছি। তাও অনেক রাষ্ট্রে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশে এখন সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠছে, আমরা আমাদের দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কতটুকু পারদর্শী ?

প্রশ্ন আরও জোরালো হচ্ছে যখন বিভিন্ন সংস্থার জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে কয়েক লাখ বিদেশি প্রফেশনাল উচ্চ বেতনে কাজ করছে। এক্ষেত্রে ভারত ও শ্রীলংকা এগিয়ে। তবে আমাদের দেশ দক্ষ জনশক্তি গঠনে এখনো অনেকটা পিছিয়ে আছে। এর পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। মূল কারণ হলো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা আজও প্রযুক্তিমুখী হয়ে ওঠেনি। ফলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, উচ্চশিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন এসে যায়। ২০১৫ সালের ইউজিসির হিসাব অনুযায়ী, দেশে ৩৮টি পাবলিক আর ৮২টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ থেকে ৫টি ছাড়া বাকিগুলোর শিক্ষার মান ও ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ৮২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭ থেকে ৮টি বাদে অধিকাংশের মধ্যে ১০টির বেশি শিক্ষা বিভাগ নেই।

যেগুলো আছে তাতে গবেষণা বা শিক্ষার মান নির্ণয়ের কোন মাপকাঠিই নেই। বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় বেড়েছে সত্য, কিন্তু শিক্ষার মান সে পর্যায়ে আসলেই কি বেড়েছে? বাড়েনি। এ কারণেই আমরা দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ভারতের কথা বাদই দিলাম, শ্রীলংকা বা আশপাশের আরও ছোট ছোট দেশের চেয়েও পিছিয়ে আছি। এখনও বুয়েট ছাড়া অন্যান্য সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম পুরোটাই সনাতনি। প্রথাগত শিক্ষককেন্দ্রিক লেকচারে ছাত্রদের তেমন আকৃষ্ট করা যায় না। বর্তমানে ছাত্র-শিক্ষক সংযুক্তি (পার্টিসিপেটরি) ও ডিজিটালাইজেশনের কথা বারবার উচ্চারিত হলেও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে এর তেমন প্রভাব পড়ছে বলে মনে হয় না। তাই, ইউজিসির কঠোর নিয়মের মধ্যে যদি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা না হয় আর গবেষণা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ব্যাপক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা না হয়, তাহলে দক্ষ জনশক্তি তৈরির সক্ষমতা অর্জন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। সমাজ ও যুগের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা বিভাগ খোলার একটি সামাজিক চাপ বা চাহিদা আমাদের উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকেও আসা উচিত।

মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এমনকি ভারতের কথাও যদি আমরা বলি, তাহলে দেখা যাবে শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে দেশের শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের অবদান অপরিসীম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের চাহিদার আলোকে দেশি-বিদেশি গবেষকদের স্কলারশিপ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে গেছে। তাঁরা নিজেদের প্রয়োজনের চাহিদা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিয়েছেন এবং সে অনুযায়ী ফান্ড সরবরাহ করেছেন। এসব স্কলার উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেছেন এবং ব্যবসায়ীদের চাহিদামাফিক গবেষণাও সম্পন্ন করেছেন। এ সমন্বয় থেকে দেশ ও জাতি তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি পেয়েছে এবং অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। সারাবিশ্বজুড়ে চলছে আজ প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার দাপট। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষা থেকে আমরা বঞ্চিত হতে চাই না। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার দিকে আমাদের ভালোভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। তাই আমাদের দেশের মেইন স্ট্রিমের শিক্ষায় প্রযুক্তিমুখী শিক্ষাকে যুক্ত করতে হবে। এজন্য প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের কোন বিকল্প নেই। এ প্রক্রিয়ায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা গেলে আমাদের দেশের দক্ষ জনশক্তি বিদেশের মাটিতে কাজের মাধ্যমে সুনাম কুঁড়াবে আর দেশ অর্জন করবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।


বাংলা ইনসাইডার/টিবি



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি আজ

প্রকাশ: ০৮:৫৫ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৪৬তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। 

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এরপর কাউকে পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হবে। এছাড়া সকাল ১০টায় বিতরণ করা হবে প্রশ্নপত্র। দুপুর ১২টার আগে কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে বের হতে পারবেন না।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা

পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রী নিয়ে কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।

পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে এসব নিষিদ্ধসামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হবেন।

পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

পিএসসি সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্যাডারে ৩ হাজার ১৪০ জন নিয়োগ দিতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ হাজার ১৪০ পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে বিসিএস সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে ৯২০ জন।

এ ছাড়া বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪ জনকে, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেয়া হবে।


বিসিএস   পরীক্ষা   ক্যাডার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

অবশেষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৪:১৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খুলেছিল না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষের বাইরের সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত  আগামী  শনিবারেও (৪ মে) শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে।

এদিকে নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিনদিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।


এইচএসসি পরীক্ষা   ফরম পূরণ   সোনালী সেবা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে ক্লাস বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।

মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।


তীব্র তাপদাহ   গরম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা। তিন ইউনিটে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ মে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার 'সি’ ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার আসন রয়েছে। এই আসনের বিপরীতে এবার আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন