ইনসাইড এডুকেশন

ভর্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

পাশের বাসার পরিবারের ছোট ছেলেটি গতবছরে শহরের নামকরা স্কুলে চান্স পেয়েছে। আবার আত্মীয়-পরিজনের অনেকের সন্তানই দেশের নামকরা সব স্কুলে পড়াশুনা করছে। তাই আপনিও চাইবেন আপনার সন্তানটিও ভালো কোনো স্কুলে পড়ুক, এবং সেটি অবশ্যই তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্যেই। কিন্তু সেই স্কুলে ভর্তি করতে একটি শিশুকে এখন যে পরিমাণ চাপ আর প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়, তাতে অভিভাবকরাই বেশি চিন্তিত থাকে। অনেকে এটাও বলে যে, দেখে মনে হয় ভর্তি পরীক্ষাগুলো যেন বাবা-মায়েরাই দিচ্ছে।

এখনকার লেখাপড়া যথেষ্ট সিরিয়াস বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এখন যেনতেনভাবে শিখলে বা পড়লে কাজ হয় না। এখন ‘উন্নত’ ও ‘আধুনিক’ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হয়। এজন্য অবশ্য আলাদা ব্যবস্থা আছে। আছে ‘ভালো’ স্কুল। তবে এসব ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়া সহজ ব্যাপার নয়। কারণ ভালো স্কুলের সংখ্যার তুলনায় এসব স্কুলে ভর্তি হতে, পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক অনেক বেশি। প্রত্যেক অভিভাবকই চায় তার সন্তান সবচাইতে ভালো স্কুলে পড়ুক, শ্রেষ্ঠ সন্তানে পরিণত হোক। এজন্য শিশুদের ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য রীতিমতো যুদ্ধে নামতে হয়। তীব্র প্রতিযোগিতায় টিকতে পারলে ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মেলে।

ভর্তিযুদ্ধটা মূলত উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানদের। এসব অভিভাবক তাদের সন্তানদের ‘সেরা’ ও ‘ক্ষমতাবান’ বানানোর স্বপ্ন দেখেন। তাই তো সবচেয়ে ভালো স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করাতে চান তারা। অর্থবিত্ত, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আর উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে যারা তাদের সন্তাদের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধায় পরিণত করতে পারেন, তারাই এই ভর্তি যুদ্ধে জয়ী হয়। ভালো স্কুলে পড়তে পারাটা বর্তমানে পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। অল্প কয়েকজন সোনার-সন্তান এই সৌভাগ্য অর্জন করে। উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তানরাই বর্তমানে সব ভালো স্কুল দখল করে আছে।

কোমলমতি শিশুদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই তাই একজন ‘যোদ্ধায়’ পরিণত হতে হয়। এজন্য এখন আর শিশুদের মধ্যে ‘শিশুত্ব’ দেখা যায় না। সহযোদ্ধাদের হারিয়ে সে যেন বিজয় নিয়ে আসতে পারে এজন্য দক্ষ যোদ্ধায় পরিণত হওয়ার সাধনা চলে। এতসব ঝক্কি-ঝামেলার পর শিশুদের মধ্যে আর ‘শিশুত্ব’ থাকেই বা কীভাবে? একালের শিশুরা পরিণত মানুষের মতো কথা বলে, আচরণ করে। বর্তমানে এই শিশুরা ব্যাপক তত্পর হয়ে উঠেছে। সামনেই বড় স্কুলগুলোর ভর্তিযুদ্ধ আসছে। এখন প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের প্রস্তুতিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আগে স্কুল নির্বাচন করুন

শিশুদের ভর্তিযুদ্ধে নামাতে হলে সবচেয়ে প্রথমে দরকার সঠিক স্কুল নির্বাচন করা। এ দায়িত্ব অবশ্যই অভিভাবকদের। কারণ তাদের মাথায় রাখতে হবে যে সবার ক্ষমতা একরকম নয়। আপনার সন্তানও কখনো পুরোপুরি পূর্ণাঙ্গ মেধাবী হবে না। সে অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করবেন। সন্তান একটু দুর্বল হলে তাকে দেশের সবচেয়ে ভালো স্কুলে ভর্তির আশা না করা বা তার সাধ্যের বাইরে চাপ না দেওয়াই ভালো। এতে করে তার ওপর মানসিক চাপ কম থাকবে, অন্যদিকে সে মনোযোগী হয়ে হয়তো ভালো করতে পারবে।

একটা কথা অভিভাবককে অবশ্যই মনে রাখতে যে, সন্তানের স্কুল আপনাদের বাড়ির গন্তব্যের মধ্যে থাকা ভালো। এবং সেটি অবশ্যই আপনার সন্তান ও আপনার নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী। খুব বেশি প্রত্যাশা করতে গিয়ে আপনার সন্তানকে আবার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবেন না। নিজের জীবনের না পারা বিষয়গুলো সন্তানকে দিয়ে পূরণ করতে যাবেন না।

এবার প্রস্তুতিতে নামুন

স্কুল নির্বাচন শেষে সন্তানকে প্রস্তুত করতে শুরু করুন। শিশুদের ভর্তিযুদ্ধে জিততে হলে বিভিন্নভাবেই সন্তানকে প্রস্তুত করা সম্ভব। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন যে তাকে যেন কোনোভাবে চাপ না দেওয়া হয়ে যায়। তাকে আগে পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে একটু আধটু বুঝাতে শুরু করুন। প্রক্রিয়াটা যে একটু জটিল এবং তাকে মোটামুটি যে একটা প্রতিযোগিতায় নামতে হবে এটা তাকে একটু বোঝান। যে যাতে কখনো ঘাবড়ে না যায় বা ভয় না পায় সে জন্য তাকে হালকা আবহে রাখতে চেষ্টা করুন।  

তাকে যে স্কুলে ভর্তি করাতে চান, সেই স্কুল বা স্কুলগুলোর ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেবেন অবশ্যই। সেই মতো সন্তানকে প্রস্তুত করে তুলুন। তাকে অল্প অল্পে করে পড়ার বিষয়গুলো বোঝাবেন। সে বুঝেছে বুঝদে পারলেই তারপর প্রশ্ন করবেন।

তাকে পড়াশুনার প্রতি অবশ্যই আগ্রহী করে তুলবেন। মনের মধ্যে পড়া নিয়ে অন্তত কোনো ভীতি তৈরি করাবেন না। তাকে ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্বন্ধে ভালোভাবে প্রস্তুত করান। প্রতিদিন নতুন কিছু শেখানোর পাশাপাশি আগের বিষয়গুলোও মাঝেমাঝে ঝালাই করিয়ে নিন। তাকে ধরে বেধে জোর করে কখনো পড়াবেন না। তার মনোযোগ বুঝে তাকে পড়াতে বোঝান। শুধু নির্দিষ্ট সময়েই নয়, মাঝেমাঝে খাওয়া, খেলা বা ঘুমের আগে পড়াগুলো বলে দেখুন তার মনে আছে কি না।

পড়াশুনা মোটামুটি আয়ত্ত্বে আনতে পারলে স্কুলের ভর্তি পরীক্ষার মতো করেই পরীক্ষা নিন। এতে দেখুন সন্তান ভর্তিযুদ্ধ পার করেত কতটা প্রস্তুত। এতে প্রস্তুতি খুব মনঃপূত না হলে অবশ্যই বাসায় প্রাইভেট টিউটর রাখতে পারেন।

ভর্তি পরীক্ষায় যে ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে, সেগুলো ঠিকঠাক করে উত্তর লেখা শেখাবেন। অবশ্যই কাঠামো মেনে। পরীক্ষার অন্তত একমাস আগে থেকে যাচাই করতে থাকুন যে সন্তান সব বিষয়ের সঠিক উত্তর সময়ের মধ্যে দিতে পারছে কি না। পারলে ভালো আর না পারলে আরেকটু চেষ্টা করুন।

পরীক্ষা ঘনিয়ে আসলে কৌশলী হন। অভিভাবকরা ভাবেন যে পরীক্ষার আগে যত পড়বে, ফলাফল হয়তো ততই ভালো হবে। প্রস্তুতি আগেই শেষ করে পরীক্ষার আগে শুধু রিভিশনের পালা। এই সময় থেকে খেয়াল করবেন যেন আপনার সন্তান বেশি চিন্তা না করে। তার নিয়মিত ঘুম এবং খাওয়াদাওয়া খেয়াল রাখুন। পরীক্ষার আগের রাতে সন্তানকে নতুন কিছু পড়াতে যাবেন না। তাকে পর্যাপ্ত ঘুমাতে দিন।

আর সন্তানকে বিশেষ কোচিং এ ভর্তি করলে আলাদা রুটিন মেনে চলবেন। কোচিং এ বেশি চাপ দিলে বাসাতে তাকে একটু কম চাপ দেবেন। কোচিং এ কি কাজ করাচ্ছে, সে ঠিকমতো সেগুলো আত্মস্থ করতে পারছে কি না খোঁজ রাখুন। আর কোচিং এ ভর্তি করেছেন বলে আপনি নিজে খেয়াল রাখবেন না, তা নয়। কোচিং চলবে কোচিং এর মতো, আর অভিভাবক গ্রুমিং করবে একদম নিজের মতো করে। কারণ সন্তানের ভিতরের অবস্থা তো একমাত্র বাবা-মায়েরাই বোঝে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেড



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি আজ

প্রকাশ: ০৮:৫৫ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৪৬তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। 

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এরপর কাউকে পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হবে। এছাড়া সকাল ১০টায় বিতরণ করা হবে প্রশ্নপত্র। দুপুর ১২টার আগে কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে বের হতে পারবেন না।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা

পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রী নিয়ে কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।

পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে এসব নিষিদ্ধসামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হবেন।

পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

পিএসসি সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্যাডারে ৩ হাজার ১৪০ জন নিয়োগ দিতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ হাজার ১৪০ পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে বিসিএস সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে ৯২০ জন।

এ ছাড়া বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪ জনকে, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেয়া হবে।


বিসিএস   পরীক্ষা   ক্যাডার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

অবশেষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৪:১৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খুলেছিল না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষের বাইরের সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত  আগামী  শনিবারেও (৪ মে) শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে।

এদিকে নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিনদিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।


এইচএসসি পরীক্ষা   ফরম পূরণ   সোনালী সেবা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে ক্লাস বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।

মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।


তীব্র তাপদাহ   গরম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা। তিন ইউনিটে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ মে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার 'সি’ ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার আসন রয়েছে। এই আসনের বিপরীতে এবার আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন