ইনসাইড এডুকেশন

ভর্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

পাশের বাসার পরিবারের ছোট ছেলেটি গতবছরে শহরের নামকরা স্কুলে চান্স পেয়েছে। আবার আত্মীয়-পরিজনের অনেকের সন্তানই দেশের নামকরা সব স্কুলে পড়াশুনা করছে। তাই আপনিও চাইবেন আপনার সন্তানটিও ভালো কোনো স্কুলে পড়ুক, এবং সেটি অবশ্যই তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্যেই। কিন্তু সেই স্কুলে ভর্তি করতে একটি শিশুকে এখন যে পরিমাণ চাপ আর প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়, তাতে অভিভাবকরাই বেশি চিন্তিত থাকে। অনেকে এটাও বলে যে, দেখে মনে হয় ভর্তি পরীক্ষাগুলো যেন বাবা-মায়েরাই দিচ্ছে।

এখনকার লেখাপড়া যথেষ্ট সিরিয়াস বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এখন যেনতেনভাবে শিখলে বা পড়লে কাজ হয় না। এখন ‘উন্নত’ ও ‘আধুনিক’ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হয়। এজন্য অবশ্য আলাদা ব্যবস্থা আছে। আছে ‘ভালো’ স্কুল। তবে এসব ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়া সহজ ব্যাপার নয়। কারণ ভালো স্কুলের সংখ্যার তুলনায় এসব স্কুলে ভর্তি হতে, পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক অনেক বেশি। প্রত্যেক অভিভাবকই চায় তার সন্তান সবচাইতে ভালো স্কুলে পড়ুক, শ্রেষ্ঠ সন্তানে পরিণত হোক। এজন্য শিশুদের ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য রীতিমতো যুদ্ধে নামতে হয়। তীব্র প্রতিযোগিতায় টিকতে পারলে ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মেলে।

ভর্তিযুদ্ধটা মূলত উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানদের। এসব অভিভাবক তাদের সন্তানদের ‘সেরা’ ও ‘ক্ষমতাবান’ বানানোর স্বপ্ন দেখেন। তাই তো সবচেয়ে ভালো স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করাতে চান তারা। অর্থবিত্ত, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আর উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে যারা তাদের সন্তাদের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধায় পরিণত করতে পারেন, তারাই এই ভর্তি যুদ্ধে জয়ী হয়। ভালো স্কুলে পড়তে পারাটা বর্তমানে পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। অল্প কয়েকজন সোনার-সন্তান এই সৌভাগ্য অর্জন করে। উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তানরাই বর্তমানে সব ভালো স্কুল দখল করে আছে।

কোমলমতি শিশুদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই তাই একজন ‘যোদ্ধায়’ পরিণত হতে হয়। এজন্য এখন আর শিশুদের মধ্যে ‘শিশুত্ব’ দেখা যায় না। সহযোদ্ধাদের হারিয়ে সে যেন বিজয় নিয়ে আসতে পারে এজন্য দক্ষ যোদ্ধায় পরিণত হওয়ার সাধনা চলে। এতসব ঝক্কি-ঝামেলার পর শিশুদের মধ্যে আর ‘শিশুত্ব’ থাকেই বা কীভাবে? একালের শিশুরা পরিণত মানুষের মতো কথা বলে, আচরণ করে। বর্তমানে এই শিশুরা ব্যাপক তত্পর হয়ে উঠেছে। সামনেই বড় স্কুলগুলোর ভর্তিযুদ্ধ আসছে। এখন প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের প্রস্তুতিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আগে স্কুল নির্বাচন করুন

শিশুদের ভর্তিযুদ্ধে নামাতে হলে সবচেয়ে প্রথমে দরকার সঠিক স্কুল নির্বাচন করা। এ দায়িত্ব অবশ্যই অভিভাবকদের। কারণ তাদের মাথায় রাখতে হবে যে সবার ক্ষমতা একরকম নয়। আপনার সন্তানও কখনো পুরোপুরি পূর্ণাঙ্গ মেধাবী হবে না। সে অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করবেন। সন্তান একটু দুর্বল হলে তাকে দেশের সবচেয়ে ভালো স্কুলে ভর্তির আশা না করা বা তার সাধ্যের বাইরে চাপ না দেওয়াই ভালো। এতে করে তার ওপর মানসিক চাপ কম থাকবে, অন্যদিকে সে মনোযোগী হয়ে হয়তো ভালো করতে পারবে।

একটা কথা অভিভাবককে অবশ্যই মনে রাখতে যে, সন্তানের স্কুল আপনাদের বাড়ির গন্তব্যের মধ্যে থাকা ভালো। এবং সেটি অবশ্যই আপনার সন্তান ও আপনার নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী। খুব বেশি প্রত্যাশা করতে গিয়ে আপনার সন্তানকে আবার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবেন না। নিজের জীবনের না পারা বিষয়গুলো সন্তানকে দিয়ে পূরণ করতে যাবেন না।

এবার প্রস্তুতিতে নামুন

স্কুল নির্বাচন শেষে সন্তানকে প্রস্তুত করতে শুরু করুন। শিশুদের ভর্তিযুদ্ধে জিততে হলে বিভিন্নভাবেই সন্তানকে প্রস্তুত করা সম্ভব। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন যে তাকে যেন কোনোভাবে চাপ না দেওয়া হয়ে যায়। তাকে আগে পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে একটু আধটু বুঝাতে শুরু করুন। প্রক্রিয়াটা যে একটু জটিল এবং তাকে মোটামুটি যে একটা প্রতিযোগিতায় নামতে হবে এটা তাকে একটু বোঝান। যে যাতে কখনো ঘাবড়ে না যায় বা ভয় না পায় সে জন্য তাকে হালকা আবহে রাখতে চেষ্টা করুন।  

তাকে যে স্কুলে ভর্তি করাতে চান, সেই স্কুল বা স্কুলগুলোর ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেবেন অবশ্যই। সেই মতো সন্তানকে প্রস্তুত করে তুলুন। তাকে অল্প অল্পে করে পড়ার বিষয়গুলো বোঝাবেন। সে বুঝেছে বুঝদে পারলেই তারপর প্রশ্ন করবেন।

তাকে পড়াশুনার প্রতি অবশ্যই আগ্রহী করে তুলবেন। মনের মধ্যে পড়া নিয়ে অন্তত কোনো ভীতি তৈরি করাবেন না। তাকে ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্বন্ধে ভালোভাবে প্রস্তুত করান। প্রতিদিন নতুন কিছু শেখানোর পাশাপাশি আগের বিষয়গুলোও মাঝেমাঝে ঝালাই করিয়ে নিন। তাকে ধরে বেধে জোর করে কখনো পড়াবেন না। তার মনোযোগ বুঝে তাকে পড়াতে বোঝান। শুধু নির্দিষ্ট সময়েই নয়, মাঝেমাঝে খাওয়া, খেলা বা ঘুমের আগে পড়াগুলো বলে দেখুন তার মনে আছে কি না।

পড়াশুনা মোটামুটি আয়ত্ত্বে আনতে পারলে স্কুলের ভর্তি পরীক্ষার মতো করেই পরীক্ষা নিন। এতে দেখুন সন্তান ভর্তিযুদ্ধ পার করেত কতটা প্রস্তুত। এতে প্রস্তুতি খুব মনঃপূত না হলে অবশ্যই বাসায় প্রাইভেট টিউটর রাখতে পারেন।

ভর্তি পরীক্ষায় যে ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে, সেগুলো ঠিকঠাক করে উত্তর লেখা শেখাবেন। অবশ্যই কাঠামো মেনে। পরীক্ষার অন্তত একমাস আগে থেকে যাচাই করতে থাকুন যে সন্তান সব বিষয়ের সঠিক উত্তর সময়ের মধ্যে দিতে পারছে কি না। পারলে ভালো আর না পারলে আরেকটু চেষ্টা করুন।

পরীক্ষা ঘনিয়ে আসলে কৌশলী হন। অভিভাবকরা ভাবেন যে পরীক্ষার আগে যত পড়বে, ফলাফল হয়তো ততই ভালো হবে। প্রস্তুতি আগেই শেষ করে পরীক্ষার আগে শুধু রিভিশনের পালা। এই সময় থেকে খেয়াল করবেন যেন আপনার সন্তান বেশি চিন্তা না করে। তার নিয়মিত ঘুম এবং খাওয়াদাওয়া খেয়াল রাখুন। পরীক্ষার আগের রাতে সন্তানকে নতুন কিছু পড়াতে যাবেন না। তাকে পর্যাপ্ত ঘুমাতে দিন।

আর সন্তানকে বিশেষ কোচিং এ ভর্তি করলে আলাদা রুটিন মেনে চলবেন। কোচিং এ বেশি চাপ দিলে বাসাতে তাকে একটু কম চাপ দেবেন। কোচিং এ কি কাজ করাচ্ছে, সে ঠিকমতো সেগুলো আত্মস্থ করতে পারছে কি না খোঁজ রাখুন। আর কোচিং এ ভর্তি করেছেন বলে আপনি নিজে খেয়াল রাখবেন না, তা নয়। কোচিং চলবে কোচিং এর মতো, আর অভিভাবক গ্রুমিং করবে একদম নিজের মতো করে। কারণ সন্তানের ভিতরের অবস্থা তো একমাত্র বাবা-মায়েরাই বোঝে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেড



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পেছানোর নির্দেশ ইসির

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ মে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট। এদিনের সকল পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিকে পাঠিয়েছে ইসি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষ (নিয়মিত, অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। আগামী ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

একই দিনে ভোটগ্রহণ ও উল্লিখিত পরীক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে চালানো সম্ভব নয় বলে উক্ত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে ৮ মে এর পরিবর্তে অন্য কোনো (২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন ব্যতীত) তারিখে নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এই অবস্থায়, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়   ইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

বিদ্যালয় বন্ধ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশে নাখোশ শিক্ষামন্ত্রী, আপিলের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুরো দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। টানা ২৮ দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে ইতিহাসের ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখেছে দেশবাসী। দফায় দফায় হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতেও ঈদুল ফিতরের ছুটির পর গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

তবে খোলার একদিনের মাথায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে বা পরীক্ষা চলমান আছে সেসব স্কুলের জন্য এবং ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে বলা হয়েছে।

গরমের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা নিয়ে হাইকোর্টের এমন আদেশের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? শুধু তাই নয়, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন বলে জানান তিনি।

এ সময় সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন- সংবাদমাধ্যমে আসা এমন খবর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা অসুস্থ হয়েছেন তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাকি অন্যত্র ছিলেন তাও দেখার বিষয়।

মন্ত্রী বলেন, স্কুল গরমের জন্য বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়? যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই।

এর আগে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর ছুটি ঘোষণা নির্বাহী এখতিয়ার। কদিন ছুটি থাকবে বা থাকবে না এটা একটা বিশেষায়িত বিষয়। এটা উচ্চ আদালতের এখতিয়ার নয়।


বিদ্যালয় বন্ধ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষামন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

মঙ্গলবার ২৭ জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ

প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র দাবদাহের কারণে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ১৮ জেলা, ঢাকা বিভাগের ৬ জেলা, রংপুরের ২ জেলা এবং বরিশালের এক জেলাসহ মোট ২৭ জেলার স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান আবহাওয়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা এবং রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলায় মঙ্গলবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এদিকে আগামী ২ মে পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়।

স্কুল-কলেজ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র দাবদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

২ মে পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:৪১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের কারণে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে আদালতের নির্দেশ মেনে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।


তীব্র গরম   প্রাথমিক বিদ্যালয়   প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

স্কুল খোলার সিদ্ধান্তটা কি জরুরী ছিল?

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুরো দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। টানা ২৮ দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে ইতিহাসের ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখেছে দেশবাসী। দফায় দফায় হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তীব্র এই দাবদাহে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ছে। ঈদুল ফিতরের ছুটির পর গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুরু হয়েছে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান কার্যক্রম।

তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কমেছে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির হার। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দেশেরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের প্রথম দিনেই সারা দেশে অনেকেরই ‘হিট স্ট্রোকে’ মৃত্যু হয়েছে প্রাইমারি স্কুলের শিশুসহ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের। আর এভাবে চলমান দাবদাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কারণে সরকারের প্রতি অভিবাবকদের একটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হতে পারে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) প্রথম দিনের শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যেই তাপদাহে মৃত্যুর আসঙ্খা বেগতিক দেখে রাতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ থেকে গতকাল রাতেই বার্তা দেয়, তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে।

গতকাল শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলছেন, ‘বেশি গরম পড়ছে বলেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে এটার কোনো মানে নেই। কোন জেলার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে গেলে ঐদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে’। বিশ্ববিদ্যালয়ের-কলেজ শিক্ষার্থীদের বেলায় বিষয়টা কিছুটা যৌক্তিক মনে হলেও দেশে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রার মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিশুদের ক্লাস পাঠানোর বিরোধিতা করছেন অভিভাবক থেকে সচেতন মহলের অনেকেই।

তাদের মতে, আরও এক সপ্তাহ সরাসরি ক্লাস বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস করাতে পারত সরকার। স্কুলে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থী হিট স্ট্রোকে মারা গেলে এর দায় কে নেবে? এছাড়াও শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হওয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলাকালীন স্কুল বন্ধ রাখা বা অনলাইনে ক্লাস নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে শিশুরা। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। হিট স্ট্রোক ও পানি শূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

যেখানে ২০২১ সালে করোনা মহামারির কারণে ৫৪৩ দিন বন্ধ থাকার পরে খুলেছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তখন জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর জানিয়েছিল, বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী মহামারির এ সময় শ্রেণীকক্ষের বাইরে ছিল। সেখানে বর্তমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে শিশুদের স্বাস্থ ও নিরাপদের কথা বিবেচনা করে সরকার তাপপ্রবাহ চলাকালিন শিক্ষাপ্রতিষ্টান বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য বিবেচনয়া শিখাক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারে।

ডিজিটাল বাংলাদেশে মহামারি করোনার সময়ও করোনা মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন উদ্যেগ নিয়ে সফলতা দিয়ে তা মোকাবিলা করেছে। তখন যদি প্রায় দুই বছর স্কুলগুলো বন্ধ রেখে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে তাহলে এই তীব্র দাবদাহে স্কুলগুলো কি বন্ধ রাখে মৃত্যুর মিছিল কি বন্ধ রাখা যায় না।

এছাড়াও, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। বর্তমানে দাবদাহে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে চালু করলে হয়ত ‘হিট স্ট্রোক’ কিংবা গরমে শিশু শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক মারা যাওয়া বন্ধ হতে পারে। কেননা, গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময়টাতে দেশের জলবায়ুর ফলে বৃষ্টি থাকে, আবহাওয়া অনেকটাই স্বাবাবিক থাকে। যার ফলে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেত সহজেই।


দাবদাহ   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   হিট স্ট্রোক   সরকার   তীব্রতাপ প্রবাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন