ইনসাইড এডুকেশন

‘ক্লাসে যা পড়ায় তাতে হয় না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:২০ এএম, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

রাবেয়া বসরি। তেঁজগাও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলের শিক্ষকের কাছেই গণিত এবং ইংরেজি বিষয়ে কোচিং করে সে। ক্লাসের বাইরে তাকে কোচিং করতে হচ্ছে। বাধ্য করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে বসরি বলে, ‘ক্লাসে যা পড়ায় তাতে হয় না। কোচিং তো করতেই হয়’। তার কথায় স্পষ্ট, সে নিজেই কোচিংকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ক্লাস যেনো ঐচ্ছিক বিষয়। কোচিংই একমাত্র ভরসা। বসরির অভিভাবকের মুখেও একই কথা। অভিভাবক জানান, ‘ভাল রেজাল্টের জন্য কোচিং করতেই হবে। ক্লাসে যে পড়া হয় তাতে ভাল রেজাল্ট করা যায় না।’ কোচিংয়ের পক্ষে এভাবেই সাফাই গাইলেন অভিভাবক। কোচিংয়ের আর্কষণীয় ব্যানার, পোস্টারে মুখরোচক প্রচারণা অভিভাবকদের মনমস্তিষ্কে গেঁথে গেছে গভীরভাবে।

নিজ স্কুলের শিক্ষকের কাছে শিক্ষার্থীদের কোচিং করা নিষেধ জানালে ওই অভিভাবক এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সরকার নিয়ম করতে পারবে। আমার সন্তানকে কি ভাল রেজাল্ট দিতে পারবে? ক্লাসে ছেলেমেয়েরা পড়া ভাল করে বোঝে না। তাই কোচিং করাতে হয়। এটা বন্ধ করলেও লাভ নেই। ছেলেমেয়ে আমাদের। চিন্তা আমাদের। সরকারের তো কোনো মাথাব্যথা নেই’।

শিক্ষকরাও কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন ওতোপ্রতোভাবে। তাদের ভাষ্য, তারা পড়াতে না চাইলেও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চাপ দেন। তাই অনেক সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও পড়াতে বাধ্যই হন।

তেঁজগাও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, ‘কোচিং নিয়ে সরকার যে নীতিমালা প্রকাশ করেছে, সেটা মানা কঠিন। নীতিমালায় বলা হয়েছে, নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়ানো যাবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদের না পড়িয়ে পারছি না। অনেক সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাপে বাধ্য হতে হয়। অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীরা পড়তে চায় না’।

তিনি আরো বলেন, এক সময় শিক্ষক আর অভিভাবকদের মধ্যে অনেকটা দূরত্ব ছিল। দেখা-সাক্ষাৎ হতো না বললেই চলে। মাঝে-মধ্যে রাস্তাঘাটে দেখা হলে অভিভাবক বলতেন, আমার সন্তানের দিকে একটু খেয়াল রাখবেন। এখন সেটা হয় না। শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকরা স্কুলে আসেন। ফলে তাদের সঙ্গে পড়ার বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের কথা হয়। আর এর মধ্যেই কোচিংয়ের সূচনা ঘটে। ক্লাসে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীটি কোন শিক্ষকের কাছে কোচিং বা প্রাইভেট পড়ে, তা তার সহপাঠীরা না জানলেও অভিভাবকরা ঠিকই জানেন।



স্কুল, কোচিং তো রয়েছেই, অনেকে বাসায়ও গৃহশিক্ষক রাখেন। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। সকালে কোচিং শেষে স্কুলে যাওয়া, ছুটির পর বাসায় ফিরে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে রাতে স্কুলের হোম ওয়ার্ক। বিশ্রাম বা খেলাধুলা, কোনটারই সময় নেই। কখনো-সখনো সময় মিললে তা তারা কাটায় মোবাইলে গেমস খেলে। সার্বিক পরিস্থিতি রাশ টেনে ধরছে শিশুদের মানসিক বিকাশে।

২০১২ সালের ২০ জুন কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ওই বছরের ২৫ জুন নীতিমালায় একটি সংশোধনী আনা হয়। এতে সব বিষয়ের জন্য স্কুলভিত্তিক কোচিং ফি সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

নীতিমালায় বলা আছে, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। তবে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের অনুমতিসাপেক্ষে অন্য স্কুল, কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ শিক্ষার্থীকে নিজ উদ্যোগে পড়াতে পারবেন। বাসা ভাড়া নিয়ে কোচিং বাণিজ্য পরিচালনা করা যাবে না।

এই নীতিমালা বাস্তবায়ন নিয়ে শিক্ষা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগও রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়নে যে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল, তা নিতে পারেনি প্রশাসন।

ফার্মগেট এলাকায় রয়েছে অনেক কোচিং সেন্টার। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি কোচিং সেন্টারে চতুর্থ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হচ্ছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তারা নিচ্ছে ভর্তি ফি ৫০০, মাসিক ফি আড়াই হাজার, নোট ফি ২ হাজার টাকা বাবদ প্রথম কিস্তিতেই ৫ হাজার টাকা।

ইহক কোচিংয়ের পরিচালক মাজহারুল জানান, ‘আমরা জোর করে কাউকে নিয়ে আসছি না। শিক্ষার্থীরা নিজ থেকেই আমাদের কাছে আসছে’।

কোচিংয়ের কারণে অভিভাবকদের আর্থিক ব্যয় বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগে খোদ শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কোচিং খাতে বার্ষিক লেনদেন প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা।

তবে বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তাঁদের মতে, লেনদেনের এ অংক ৫০ হাজার কোটি টাকার কম নয়। বস্তুত গোটা কোচিং ব্যবস্থাটিই অনৈতিক। এটি মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রতিবন্ধী করে ফেলেছে।

‘এ ব্যাপারে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন?’ প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। নীতিমালা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে পাঁচ ধরনের শাস্তির কথা বলা ছিলো। তবে নীতিমালায় বাণিজ্যিক কোচিং বন্ধের কোন উল্লেখ নেই। এর সুযোগ নিয়ে অবাধে চালানো হচ্ছে কোচিং বাণিজ্য।

শিক্ষাবিদরা বলেন, কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিন্তাধারায় আনতে হবে পরিবর্তন। আর শিক্ষকদের হতে হবে দায়িত্বশীল। তাঁরা যদি শ্রেণিকক্ষে দায়িত্ব নিয়ে পড়ান, তাহলে শিক্ষার্থীদের আর কোচিংয়ের অপেক্ষায় থাকতে হয় না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক আ.ক.ম রহুল আমিন বলেন, কোচিং বাণিজ্য রোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সব মহলকে সচেতন হতে হবে। আইন প্রণয়ন করে এটা রোধ করা সম্ভব নয়। কোচিংয়ের নেতিবাচক দিকগুলো জনসম্মুখে তুলে ধরতে হবে। তাহলে অনেকেই সচেতন হবে বলে ধারণা তাঁর।


বাংলা ইনসাইডার/এসএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি আজ

প্রকাশ: ০৮:৫৫ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৪৬তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। 

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এরপর কাউকে পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হবে। এছাড়া সকাল ১০টায় বিতরণ করা হবে প্রশ্নপত্র। দুপুর ১২টার আগে কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে বের হতে পারবেন না।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা

পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রী নিয়ে কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।

পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে এসব নিষিদ্ধসামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হবেন।

পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

পিএসসি সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্যাডারে ৩ হাজার ১৪০ জন নিয়োগ দিতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ হাজার ১৪০ পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে বিসিএস সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে ৯২০ জন।

এ ছাড়া বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪ জনকে, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেয়া হবে।


বিসিএস   পরীক্ষা   ক্যাডার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

অবশেষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৪:১৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খুলেছিল না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষের বাইরের সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত  আগামী  শনিবারেও (৪ মে) শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে।

এদিকে নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিনদিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।


এইচএসসি পরীক্ষা   ফরম পূরণ   সোনালী সেবা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে ক্লাস বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।

মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।


তীব্র তাপদাহ   গরম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা। তিন ইউনিটে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ মে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার 'সি’ ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার আসন রয়েছে। এই আসনের বিপরীতে এবার আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন