নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০১৮
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (২০১৮-১৯) নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত-পন্থীরা জয় পেয়েছেন। ১০টি পদে জয় পেয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিতরা। গত দুই দিনই সকাল ১০টা থেকে দুপুরে এক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ভোটের ফলাফল দেওয়া হয় শুক্রবার সকালে।
এই নির্বাচনে দেশের জনমতের প্রতিফলন দেখছে বিএনপি। শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাবে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলছেন, সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের মতো পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হলে বিএনপি জোট ও আওয়ামী লীগ জোটের আসন তফাৎ হবে ৭৫ শতাংশ।
অবশ্য বিএনপির ধারণার সঙ্গে একমত নন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে দেশের জনমতের প্রতিফলন বিএনপি দেখলেও তা মানতে নারাজ তারা। আইনজীবী সমিতির নির্বাচন জনমতের প্রতিফলন নয়। কোনো সমিতির নির্বাচন কি দেশের জনমতের প্রতিফলন হতে পারে। ওই নির্বাচনে মাত্র ৪ হাজার ৮৬৫ ভোট পড়েছে, যেখানে ভোটার সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ১৫২।
আর বিএনপির যে আইনজীবীরা আজ হাস্যোজ্বল সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যম ভরিয়ে তুলল, যাঁদের জন্যই কিন্তু বিএনপির চেয়ারপারসন এখনো কারাগারে। আদালতে যারা রাজনীতিতেই মহাব্যস্ত তাঁদের ওপর বিএনপি চেয়ারপারসন কীভাবে নিজের আইনি লড়াইয়ে ভরসা করলেন তাও এক বিস্ময়ের। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এখন কারাগারে তিনি যথেষ্ট অনুতাপের সময় পাচ্ছেন।
শুক্রবার একই সমাবেশে ব্যারিস্টার মওদুদ দাবি করেছেন, গণতন্ত্র ছাড়া সত্যিকারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশকে উন্নয়নশীল দেশের তকমা দেওয়া অর্থহীন। মওদুদের দাবি, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে আরও সাত–আট বছর আগেই দেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃত পেত।
ব্যারিস্টার মওদুদ হয়তো ভুলে গেছেন তাদের আমলেই দেশ দুর্নীতিতে হ্যাটট্রিক করেছিল। ক্ষমতার পালাবদল না হলে তাদের দুর্নীতি স্বর্গরাজ্য আরও কতদিন বিরাজ করত তা চিন্তাও আতঙ্কের বিষয়।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়শীলের জন্য বিবেচিত হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবতই ভালোভাবে নিতে পারেননি বিএনপির নেতারা। গতকাল রিজভী একে দেশের উন্নয়নের উৎসবকে বলেছিলেন বিকৃত তামাশা। আর আজ মওদুদ বললেন একে অর্থহীন। তবে এই নেতৃবৃন্দের কাছে কী অর্থপূর্ণ? দুর্নীতিতে দেশকে আরও কয়েকবার শীর্ষ করা? আর দেশের বাইরে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা?- প্রশ্নটা সচেতন জনগণের।
বাংলা ইনসাইডার/
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।