নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ এএম, ১৩ অগাস্ট, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আরও ২৭১টি কলেজ সরকারি করা হয়েছে। গতকাল রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত ৮ আগস্ট থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে। এখন এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনার দায়িত্বভার সরবকারের পক্ষে জেলা প্রশাসন বা তার দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার অধীনে ন্যস্ত হবে। সেখানে একজন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে তিনি বেতন ভাতা প্রদানসহ আয় ব্যয়ের হিসাব রাখবেন। এসব কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের আত্তীকরণ করতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।এর আগে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪৬টি কলেজ সরকারিকরণ করা হয়। এরমধ্যে ২৪টি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকৃত করা হয়। বাকি ২২টির শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণও দ্রুত শেষ হবে বলে শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। (ইত্তেফাক)
অন্যান্য সংবাদ
মাঠে নামছে আ’লীগের লক্ষাধিক কমিটি
জাতীয় নির্বাচনের আগে-পরের সম্ভাব্য নাশকতা প্রতিরোধ ও ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তার জন্য মাঠে নামছে ক্ষমতাসীনদের লক্ষাধিক কমিটি। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগসহ দলটির সবগুলো সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন আলাদাভাবে দেশের প্রায় ৪৩ হাজার ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতে একটি করে কমিটি গঠনের কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৪২ হাজার কমিটি গঠন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। বাকি সংগঠনগুলোর কমিটি গঠনের কাজ চলতি মাসেই শেষ হবে। (যুগান্তর)
চাহিদাও বেশি মজুদও পর্যাপ্ত
আর মাত্র ৮ দিন বাকি ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের। সরকারি হিসাবে গবাদি পশুর পর্যাপ্ত জোগান থাকলেও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রভাব গরুর হাটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে কর্তৃপক্ষের মধ্যেই। এ ছাড়া দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। এবারও আশঙ্কা করা হচ্ছে কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা পশু হাটে ওঠার। মেয়াদোত্তীর্ণ টিটেনাস ইনজেকশন বিক্রিয়া ঘটিয়ে গরুকে মোটাতাজাকরণে ব্যবহারের ঘটনা ধরা পড়ার পর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় এক কোটি ১৬ লাখ গবাদি পশু (গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ)। গত বছর কোরবানির ঈদে ব্যবহৃত হয়েছিল এক লাখ চার হাজার পশু। সেই তুলনায় এবার উদ্বৃত্ত রয়েছে ১২ লাখ পশু। এ ছাড়া বরাবরের মতো এবারও বৈধ প্রক্রিয়ায় বাইরে থেকে কিছুসংখ্যক গবাদি পশু আমদানির বিষয়টিও হিসাবে রয়েছে কর্তৃপক্ষের। এর পরও এবার বাড়তি একটি চাপ পড়তে পারে কোরবানির পশুর হাটে। কারণ সামনে নির্বাচন। সারা দেশের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে বাড়তি সংখ্যায় গবাদি পশু কোরবানি দিতে পারে। (কালের কণ্ঠ)
পবিত্র ঈদুল আজহা ২২ আগস্ট
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে হজের মাস। এ হিসাবে আগামী ১০ জিলহজ ১৪৩৯ হিজরি অনুযায়ী ২২ আগস্ট বুধবার ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়। (সমকাল)
সিইসির বেফাঁস মন্তব্যে সমালোচনার মুখে ইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার অসতর্ক ও বেফাঁস কথাবার্তায় সমালোচনার মুখে পড়েছে (নির্বাচন কমিশন) ইসি। বিভিন্ন জনের বিরূপ মন্তব্যে বিব্রত সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলও সিইসির বক্তব্যকে সামনে রেখে গোটা প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। সিইসির এসব বিতর্কিত বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করতে পারছেন না অন্য ৪ কমিশনারও। এ নিয়ে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে ইসির ভেতরেই- যা ক্রমশ প্রকাশ্যে এসে পড়ছে। কে এম নুরুল হুদার বেফাঁস বক্তব্য ভালো চোখে দেখছেন না নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনরাও। (ভোরের কাগজ)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।