ইনসাইড বাংলাদেশ

কোথায় কখন ঈদের জামাত?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৪৮ পিএম, ২১ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আগামীকাল বুধবার উদযাপন হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা। প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নামাজে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ এহসানুল হক।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ প্রদত্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত সকাল ৭টায়

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে এবারও পাঁচটি জামাত হবে। প্রথম জামাতটি হবে সকাল ৭টায়। পর্যায়ক্রমে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে জামাতগুলো হবে। তবে আবহাওয়ার প্রতিকূল হলে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বুধবার সকালে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন।

শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত সকাল ৯টায়

প্রতি বছরের মতো এবারও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ হজে যাওয়ায় এবার সকাল ৯টায় এ জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা হিফজুর রহমান খান।

ঢাকা

ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে রাজধানীতে ৪০৯টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টায় দুটি জামাত হবে। সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মেইন গেইট সংলগ্ন মাঠে সাড়ে ৭টায় এবং ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল লনে সকাল ৮টায় হবে ঈদের জামাত। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় হবে একটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও রাজধানীর আরামবাগের দেওয়ানবাগে সকাল ৮টা, সাড়ে ৯টা এবং ১০টায় তিনটি জামাত হবে। পুরান ঢাকার ইসলামবাগ ঈদগাহ ময়দানে ঈদ জামাত হবে সকাল ৭টা, ৮টা এবং পৌনে ৯টায়। মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের এ-ব্লকের হারুন মোল্লাহ ঈদগাহ, পার্ক ও খেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায়, ধানমাণ্ডি ঈদগাহ ময়দান এবং বকশীবাজার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত হবে।

রাজশাহী

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, রাজশাহীরশাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে  নগরীর প্রথম দুটি ঈদ জামাত আমচত্ত্বর আহলে হাদীস মাদ্রসা মাঠ এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে সকাল ৭টায় হবে। এছাড়া টিকাপাড়ায় মহানগর ঈদগাহ, হাজী লাল মুহাম্মদ ঈদগাহ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, লোকনাথ স্কুল মাঠ, পাঁচানী ঈদগাহ, ডাঁশমারি পূর্বপাড়া ঈদগাহ, মির্জাপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ, বুলনপুর ঈদগাহসহ রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত হবে।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত হবে সকাল পৌনে ৮টায় । ইমামতি করবেন এ মসজিদের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে এবার বন্দরনগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ১৬৫টি স্থানে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া লালদীঘি সিটি করপোরেশন শাহী জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, জালালাবাদ আরেফিন নগর সিটি করপোরেশন কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং বাকলিয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন স্টেডিয়ামে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত হবে।

বরিশাল

বরিশালের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এবার কোরবানির ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। স্টিমার ঘাট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সিহাব উদ্দিন ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন। বিভাগের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত হবে সকাল ৯টায় চরমোনাই দরবার শরীফ ময়দানে। বরিশালে প্রথম ঈদের জামাত হবে সকাল ৭টায় আমানতগঞ্জ ঈদগাহ মাঠে। এছাড়া নূরিয়া স্কুল ঈদগাহ ময়দান, কালিজিরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ওয়াপদা জামে মসজিদ, আঞ্জুমান হেমায়তে ইসলাম গোরস্থান ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেট

সিলেটে নগরীর শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হবে। ইমামতি করবেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা কামাল উদ্দিন। হযরত শাহজালাল (রহ.) এর দরগাহ জামে মসজিদ এবং সিলেট কালেক্টরেট জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল ৮ টায়। এছাড়া সিলেট নগরীর অন্তত ৫০টি স্থানে জামাতের আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ।

খুলনা

খুলনায় ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত হবে সকাল ৮টায় নগরীর সার্কিট হাউজ ময়দানে। সকাল ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে টাউন জামে মসজিদে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে সকাল ৮টায় এবং ৯টায় টাউন জামে মসজিদে দুটি জামাত হবে।

বাংলা ইনসাইডার/বিপি

 

 

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্ধারিত দামে অসন্তোষ ব্যবসায়ীদের , গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সরকার নির্ধারিত দামের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে গরুর মাংস বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস বিক্রেতারা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বেশ কয়েকটি বাজারে মাংস বিক্রির দোকান বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

জানা যায়, সোমবার থেকে শহরের মাংস বিক্রেতারা বিক্রি বন্ধ রেখে সরকার নির্ধারিত দামের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানান। 

দাম পুনঃবিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন তারা। তবে, কেউ যদি সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করতে চাইলে তাতে বাঁধা দেওয়া হবেনা বলেও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  

শহরের প্রধান বাজার আনন্দ বাজার, ফারুকি বাজার, মেড্ডা বাজার, মৌড়াইলের বৌ বাজার, কাউতলী বাজারসহ জেলা শহরের অন্তত ৩ শতাধিক দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার সকালে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাংসের দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। অথচ খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ ক্রয় করতে হচ্ছে ৭২০ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মাংস ব্যবসায়ী বিক্রয় করে ৭৫০ টাকা দরে।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, তাদের দাবির বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরা হবে।

এ দিকে বাজারে ক্রেতারা এসে মাংস কিনতে না পেরে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে, অন্য শহরের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা যদি সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করে লাভ করতে পারেন তাহলে এখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারবেন না কেন। 


গরুর মাংস   ব্রাহ্মণবাড়িয়া   দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টেকনাফে অপহরণের ৯ দিনেও উদ্ধার হয়নি মাদ্রাসা শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলার ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনা ঘটে। অপহরণের ৯ দিন পরও উদ্ধার করা যায়নি অপহৃত শিক্ষার্থীকে। এরই মধ্যে অপহৃত শিশুর পরিবারে ফোন করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এনিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে শিশুর স্বজনরা। এ ঘটনায় চক্রের ১ নারী সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি অপহৃত শিশুকে।  

গত ৯ মার্চ দুপুরে ক্লাস শেষে বাড়ী ফিরছিল আবু হুরাইরা (রাঃ) মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ। মাদ্রাসার কিছুটা দূরে পৌঁছলে পথিমধ্যে তাকে থামিয়ে বোরকা পরিহিত এক নারী দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফেটে যাওয়ার কথা জানায়। দুপুরে হাসপাতালে মাকে দেখতে যাওয়ার কথা বলে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ’কে ওই নারী অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শিশুর মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের পর ১০ মার্চ মামলাটি নথিভুক্ত করেন।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)ওসমান গনি বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অপহৃত শিশু ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ এর মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপহরণের ঘটনার কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশাটি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। পরে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশাসহ চালক নাছির উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।’

পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজ ও গ্রেপ্তার অটোরিকশা চালকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) টেকনাফ উপজেলার মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আরও ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বলেও তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে উম্মে সালমা ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে বুধবার (১৩ মার্চ) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে জড়িত অন্যদেরও ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

এদিকে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান ওসি ওসমান গনি।

বিভিন্ন সূত্র হতে জানা যায়, এনিয়ে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ শুধু মাত্র টেকনাফে কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১০১ টি। যার মধ্যে ৫১ জন স্থানীয় এবং ৫০ জন রোহিঙ্গা। যেখানে ৪৬ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।


কক্সবাজার   টেকনাফ   অপহরণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করছে পুলিশ

প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি রমজান মাসে খেটে খাওয়া মানুষের কাছে সরকারের বেঁধে দেওয়া ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আরএমপির পুলিশ লাইন্সে ৯ মণ ওজনের একটি গরু জবাই করে বিক্রি করা হয়েছে।

পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা এই মাংস কেনেন। একজন সর্বোচ্চ দুই কেজি করে মাংস কিনতে পারেন। ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তারা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৫ মার্চ ২৯টি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করলেও রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস সরকার নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নজরে আসলে তিনি খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভেবে রমজান মাসে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এর ফলে খেটে খাওয়া মানুষ একদিকে যেমন সরকার মূল্যে গরুর মাংস কিনতে পারছেন, তেমনি ব্যবসায়ীরাও নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে উদ্যোগী হবেন বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘রমজানে খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৬০০ টাকায় মাংস বিক্রির কথা মানুষের মুখে মুখে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন এসে মাংস কিনে নিয়ে যান।’

তিনি আরও জানান, এ কার্যক্রমের ব্যাপ্তি আরও বৃদ্ধি করা হবে। মাংসের পাশাপাশি কৃষকের কাছ থেকে শাক-সবজি কিনে এনে কেনা দামেই সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির পরিকল্পনাও তারা করছে।


রাজশাহী   গরুর মাংস   সরকার নির্ধারিত মূল্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে কাজ শেষ না হতেই ব্রিজের পিলারে ফাটল

প্রকাশ: ০১:২৯ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের চর জোকনালা গ্রামে হুড়াসাগর নদীর উপর ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ার আগেই একটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। রবিবার (১৭ মার্চ) ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান রাতের আধারে ব্রিজে দেখা দেওয়া ফাটল মেরামত করতে গেলে গ্রামবাসী তাতে বাধা দেয়। এবং ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

চর জোকনালা গ্রামের রহমান আলী জানায়, ‘রবিবার (১৭ মার্চ) রাত ১ টার দিকে ব্রিজের নিচে মোবাইলের আলো দেখে আমরা চোর মনে করে কয়েক জনকে সাথে নিয়ে সেখানে যাই। ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধরে ফেলি। এরপর তারা জানায় তারা ব্রিজের পিলারের ফাটল মেরামত করতে এসেছে।’

এ বিষয়ে রাতের বেলায় কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রি শফিকুল ও স্বাধীন বলে, ‘ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে রাতের বেলায় বালু ও সিমেন্ট দিয়ে পিলারের ফাটলের স্থান মেরামত করতে গিয়েছিলাম।'

স্থানীয় ভাঙ্গাবাড়ী ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলাম তুহিন জানান, ব্রিজটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ব্রিজের ৪টি পিলারের মধ্যে একটির নিচের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঠিকাদার ও দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তিনি।

এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রোকনুজ্জামান জানান, ‘২০২১ সালে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় ২০২৩ সাল থেকে আমি ব্রিজের নির্মাণ কাজ দেখভাল করছি। ব্রিজের ওই পিলার আমি দায়িত্ব পাওয়ার অনেক আগেই নির্মাণ হয়েছে।’ যখন পিলার নির্মাণ হয়েছে, তখন সেখানে অনেক পানি ছিল। বর্তমানে কাজের সুবিধার্থে সেচ দেওয়ার পর ফাটলের স্থানটি নজরে আসে বলেও তিনি জানান।


সিরাজগঞ্জ   ব্রিজের পিলারে ফাটল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এনএসআই ও পুলিশের যৌথ অভিযান: ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার চক্রের ৯ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০১:১০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রংপুর বিভাগের আট জেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরির নামে ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফাঁদ পাতানো একটি এনজিওতে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েঠে প্রতারণারে কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে বিকেলে নগরীর গোমস্তাপাড়ায় অগ্রসরমান আদর্শ যুব কর্ম সংস্থায় অভিযান চালায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি (ডিবি) শাহ নুর আলম পাটোয়ারী জানান, এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সোমবার সোমবার রংপুর মহানগরীর গোমস্তাপাড়া এলাকায় আদর্শ যুব কর্ম সংস্থার অফিসে অভিযান চালাই। সেখান থেকে আমরা নয়জনকে গ্রেফতার করি। এ সময় ওই অফিস থেকে প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত এ ডেস্কটপ কম্পিউটার, একটি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, বিভিন্ন দলিলপত্র/ডকুমেন্টস, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাজিরা খাতা ও বিভিন্ন রেজিস্টার জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জেলা কো অর্ডিনেটর মো: রিয়াদ হোসেন, সুপারভাইজার প্রদীপ কুমার আচার্য, উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মো: ফজলে রাব্বি, হিসাবরক্ষণ অফিসার প্রদীপ রায়, সহকারী উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মো: সাজ্জাদ হোসেন ও মো: গোলজার হোসেন, কম্পিউটার অপারেটর মো: নজরুল ইসলাম ও মো: আলমগীর হোসেন মালি মো: মাহবুব হাসান লিমন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এনএসআইয়ের সূত্র জানায়, সংস্থাটি ইনট্রিগ্রেটেড রুর্যাল ডেভলোপমেন্ট প্রোগ্রাম (আইআরিডিপি) কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৫৩৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরির প্রকল্প নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া শুরু করে। প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাস্তবায়নে ৮৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হিসাবে ৫৩৫টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৪৫৮ কোটি ২২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এজন্য সংস্থাটি ২০২২ সালে তারা দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্রের শিডিউলের মূল্য ধরা হয় ৪০ হাজার টাকা। দরপত্রে বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রথম ধাপে ২৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ছাদ নির্মাণের পরে ২৫ শতাংশ ও তৃতীয় ধাপে কাজ শেষ হওয়ার পরে ৫০ শতাংশ মূল্য পরিশোধ করা হবে। প্রথম ৫০ শতাংশ মূল্য পরিশোধ করবে তুরস্ক ও ফ্রান্সের দাতা সংস্থা, অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ মূল্য কাজ শেষ হওয়ার পরে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পরিশোধ করা হবে মর্মে সংস্থাটি প্রচারণা চালায়। এরই মধ্যে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা এভাবে তহবলি সংগ্রহ করে তারা।

এনএসআই সূত্র জানিয়েছে, সংস্থাটির স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনো অনুমোদন নাই, অনুমোদিত এলাকার বাইরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সংস্থাটি তাদেরসকল প্রচার প্রচারণায় সরকারী মনোগ্রাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল। প্রকল্প বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রজেক্ট প্রোপোজাল ছিল না। সংস্থাটি দরপত্র আহ্বানের যথাযথ নিয়ম অনুসরন করেনি। এছাড়াও তারা জমি ক্রয়ে অনিয়ম করেছে। সংস্থাটির কোনো বৈধ কাগজপত্রও ছিল না।


এনএসআই   পুলিশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন