নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৫ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতেই জোঁট বেঁধেছে দুর্নীতিবাজরা। এসব চক্রান্ত সম্পর্কে প্রবাসীদের সজাগ থাকতে হবে।’
স্থানীয় সময় রোববার নিউইয়র্কে প্রবাসীদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার পতন ঘটাতে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজরা সব এক হয়েছে। জনগণ ভোট দিলেই তাঁরা ক্ষমতায় আসবে। ড. কামাল হোসেন- ড. ইউনূসরা ষড়যন্ত্র করছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। এতে সাংবাদিকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
এর আগে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পৌঁছালে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন। বিমানবন্দরের বাইরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবাসী নেতা-কর্মীরা। এই সফরে ছোট বোন শেখ রেহানাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গী হয়েছেন।
এর আগে জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে লন্ডন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার দুপুরে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি নিউইয়র্ক সিটির অদূরে নিউ জার্সির নিউইয়র্ক লিবার্টি বিমানবন্দরে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে উঠেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ছাড়াও একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। অধিবেশনে আসা বিশ্ব নেতাদের সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিনয় মোহন কোয়াত্রা
মন্তব্য করুন
গ্রেপ্তার কাচ্চি ভাই বেইলি রোড
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’