নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২০
শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এটি এখন কোটি টাকার প্রশ্ন করোনার তাণ্ডব থামবে কবে? করোনার কারণে প্রায় তিন মাস হলো সারাবিশ্বের অর্ধেক মানুষ ঘরবন্দি হয়ে আছে। নিশ্চল হয়ে পড়েছে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। মানুষ অজানা আতঙ্কে এবং অচেনা আশংকায় এক উদ্বিগ্ন দিন কাটাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়, মুক্তি চায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো বিশেষজ্ঞ, কোনো বিজ্ঞানী অথবা কোনো সংস্থা বলতে পারছে না, কবে এ পরিস্থিতি ঠিক হবে। কবে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে বিশ্ব।
বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক,গত ২৬ মার্চ থেকে ছুটি শুরু হয়েছে, যা পরবর্তীতে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ মানুষ একটা দমবন্ধ করা অবস্থার মধ্যে আছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের মতো দেশে যারা নিম্ন আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্ত তারা পড়েছে ভয়াবহ বিপদে। জনস্বাস্থ্যের হুমকির চেয়েও খাদ্যের নিশ্চয়তা, বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত এবং হতাশাগ্রস্ত।
১৭ মার্চ ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ হওয়ার কথা ছিল গোটা দেশজুড়ে। কিন্তু সেই উৎসবের লাগাম টেনে ধরেছে করোনা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের উৎসবেও বাঙালী শামিল হতে পারেনি। সামনে পয়লা বৈশাখ। বাঙালী জাতির সবচেয়ে বড় উদযাপনের উপলক্ষ্য। সেই পয়লা বৈশাখ মূল অনুষ্ঠান ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এরপরই শুরু হচ্ছে রোজা। করোনার তাণ্ডব কি রোজার মধ্যেও থাকবে? তাহলে মানুষের কি হবে? এই রোজার পরপরই মে মাসে রয়েছে ঈদ। কাজেই মানুষ জানতে চায়, কবে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে। শুধু স্বাভাবিক জীবনে ফেরার বিষয় নয়, বরং মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে অনেক রকম প্রশ্ন উৎকণ্ঠা এবং অস্থিরতা কাজ করছে। যে প্রশ্নগুলো মানুষ করতে চায় তা হলো-
১. কেন করোনার কোনো চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারছে না বিশ্ব? যে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা ক্লোনের গবেষণা করে সফল হচ্ছে, তারা একটি ভাইরাসের কাছে কেন এত অসহায়?
২. করোনার যে প্রকোপ এদেশ থেকে ওদেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং কোনো দেশেই তা থামছে না, থামানো যাচ্ছে না কেন?
৩. করোনার ফলে যে অর্থনৈতিক দুরবস্থা হবে এই অর্থনৈতিক দুরবস্থা শুধুমাত্র আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা রাষ্ট্রের দুবেলা খাবারের মধ্যে দিয়ে কি সমাধান করা সম্ভব হবে?
৪. বিশ্বের যে কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হচ্ছে, তারা কখন কর্মচাঞ্চল্যে ফিরবে?
৫. সারা বিশ্বজুড়ে করোনার কারণে যে বিচ্ছিন্নতা শুরু হয়েছে, তা থেকে মানুষ কবে মুক্তি পাবে?
এই প্রশ্নগুলো নিয়েই মানুষের মূল প্রশ্ন হচ্ছে, কবে থামবে করোনার তাণ্ডব?
করোনার তাণ্ডব থামার ক্ষেত্রে আমরা উদাহরণ দিতে পারি চীনকে। চীনে গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে করোনার প্রকোপ শুরু হয়েছিল। এখন বলা যেতে পারে করোনা সেখানে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও করোনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্তের উদ্বেগজনক খবর পাওয়া যাচ্ছে। চীনের কোনো কোনো যদিও এখনও স্বাভাবিক জীবন ফিরে এসেছে, তারপরও চীন সরকার বলছে, তাদের পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও একমাস লাগবে। অর্থাৎ যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে চীনের করোনা মোকবেলা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সময় লাগবে মোট চার মাস। সে বিবেচিনা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্যরাজ্য কিংবা ইতালি , স্পেন- এই দেশগুলোতে করোনার তাণ্ডব থামতে আরও দুমাস বেশি সময় লাগবে। অর্থাৎ মে মাসের শেষ পর্যন্ত এই দেশগুলোতে করোনার তাণ্ডব থাকতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি কী?
বাংলাদেশের পরিস্থিতিটা একটু নাজুক এ কারণে যে-
প্রথমত; এখন পর্যন্ত আমরা করোনার প্রকৃত অবস্থা কী সেটা জানতে পারিনি।
দ্বিতীয়ত, আমরা সামাজিক সংক্রমণ কীভাবে হয়েছে, কতদূর পর্যন্ত হয়েছে সেটাও জানতে পারিনি।
করোনার তাণ্ডম একটা দেশে থামা নির্ভর করে সে দেশের সামাজিক সংক্রমণ কত ব্যাপাওক বিস্তৃত হয়েছে , তার উপর। আমরা যদি জানতে পারতাম করোনার সামাজিক সংক্রমণ বাংলাদেশে কতটুকু বিস্তৃত, তাহলে আমরা কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারতাম। তবে বিভিন্ন দেশগুলোর করোনার বিস্তৃতি এবং করোনার গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে বোঝা যায় যে, বাংলাদেশে হয়তো বাংলাদেশে হয়তো আগামী মে মাস জুড়েই এই অবস্থা থাকবে। আবার কেউ কেউ মনে করছে, জুন পর্যন্ত তা গড়াতে পারে। এর বিপরীতে বাংলাদেশে কিছু আশার কথাও আছে। যেমন-
প্রথমত; এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক বিস্তৃত হয়নি। যদিও সীমিত সংখ্যক পরীক্ষা হয়েছে, তারপরও যে হার, তা থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশে হয়তো করোনা ভয়াবহ আকারটা ধারণ করবে না।
দ্বিতীয়ত; বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত না হলেও ধারণার দিক দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা হলো- উষ্ণ আবহাওয়ায় করোনা বেশি বিস্তৃত হতে পারে না।
তৃতীয়ত; আমাদের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
আর সবকিছু মিলিয়ে আমরা খুব আশাবাদী হলে মনে করতে পারি যে, আমাদের দেশে ৮ মার্চ করোনার প্রকোপ ধরা পড়েছিল। এপ্রিল মাসটা আমাদের জন্য খুবই সংবেদনশীল মাস এই করোনার প্রকোপ কোন দিকে যায়, তা বোঝার জন্য। এরপর মে মাসে হয়তো আমরা পরিস্থিতিকে একটা একটা দিক নির্দেশনামূলক পথে নিয়ে আসতে পারবো এবং তখন হয়তো আমরা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো। তবে এরকম অনুমান করে আশাবাদী হওয়া যায়, কিন্তু এখন পর্যন্ত করোনার শেষ কোথায়, তার কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক উত্তর কেউ খুঁজে পাননি।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্লেটন মিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার ডি হাসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ডেভিড স্লেটন মিল। আর নতুন এই রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ মনোনয়নকে আমরা স্বাগত জানাই। মাস দেড়েক আগে এ বিষয়টা আমাদের জানানো হয়েছে। এখন তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। আশা করছি— নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে মানবাধিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো। বিশ্বের কোনো দেশেই মানবাধিকার আদর্শ অবস্থানে নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ যেভাবে দমন করছে, সেটি আমরা টিভির পর্দায় দেখছি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নাগরিক আন্দোলনকে কীভাবে পুলিশ দমন করছে, সেটিও আমরা দেখছি।
তিনি বলেন, সব দেশের উচিত মানবাধিকার উন্নয়নে একযোগে কাজ করা। আমরাও আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মানবাধিকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জুলাই থেকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন কূটনীতিক মিল। মিনিস্টার কাউন্সেলর হিসেবে ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটনের ফরেইন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড মিল।
ডেভিড মিল বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মন্তব্য করুন
মন্ত্রী-এমপি ফেসবুক আইডি ভেরিফায়েড আইডি
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে পিটার ডি হাসের অধ্যায়। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন এটি সিনেটের অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে আবির্ভূত হবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিচ্ছেন পিটার ডি হাস। অর্থাৎ এটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছিল সেই নীতিতে পরিবর্তন আসছে। নিশ্চয়ই ডেভিড মিল একটি নতুন মিশন নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। আর এ কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে নেওয়া হল পিটার ডি হাসকে।
প্রশ্ন উঠেছে যে, নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে মার্কিন নীতির কী পরিবর্তন করবেন, তার নীতি কী ধরনের হবে? একজন রাষ্ট্রদূতকে যখন মনোনয়ন দেওয়া হয় তখন প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশে তাদের পররাষ্ট্রনীতির কৌশলপত্র চূড়ান্ত করে। আর ওই কৌশল বাস্তবায়নের জন্য যাকে যোগ্য মনে করা হয় তাকে মনোনয়ন দেয়।
পিটার ডি হাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি, বাংলাদেশের র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট চাপ দিচ্ছিল। এই চাপকে আরও বাড়ানোর জন্যই পিটার ডি হাস বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার দায়িত্ব পালনকালে সুস্পষ্টভাবে তিনি তার অবস্থান প্রকাশ করেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব দেখানোর লক্ষ্যেই নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটার ডি হাস মিশন ব্যর্থ হয়েছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তাও দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পিটার ডি হাসের সরে যাওয়াটা ছিল অবধারিত। অবশেষে সেটাই ঘটল।
এখন ডেভিড মিল বাংলাদেশে কী করবেন? প্রথমত, ডেভিড মিলের কূটনৈতিক ক্যারিয়ার যদি আমরা পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখব যে, তার কূটনৈতিক ক্যারিয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দেয়। একই সাথে বাংলাদেশে চীনকে মোকাবেলা করার জন্য মার্কিন কৌশলেরও একটি ইঙ্গিত বহন করে। ডেভিড মিল বাংলাদেশে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসাবে বা ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কাজেই বাংলাদেশ তার পরিচিত। বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের মানুষের মন মানসিকতা এবং বাংলাদেশে কীভাবে কাজ আদায় করতে হয় ইত্যাদি কলাকৌশল সম্পর্কে তাকে নতুন করে শিখতে হবে না। এটি ডেভিড মিলের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এটি বিবেচনা করেই সম্ভবত ডেভিড মিলকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, ডেভিড মিল এখন এই মুহূর্তে চীনের বেজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মার্কিন-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, ডেভিড মিল চীনের রাজনীতি এবং চীনের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে অনেক পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ ধারণা রাখেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়গুলোতে অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ চীনের উপর অর্থনৈতিকভাবে অনেকখানি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছেন যিনি চীনের রাজনীতির অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্বের একটি বড় বিষয় হল, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশি মাখামাখির সম্পর্ক। আর এ কারণেই চীনের কূটনীতিতে অভিজ্ঞ এবং চীনের কূটনীতি অলিগলি চেনা ডেভিড মিলকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
ডেভিড মিলের নিয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি বার্তা সুস্পষ্ট হয়েছে। তা হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক, বিশেষ করে অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং বাংলাদেশে কাজ করা একজন ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে। তৃতীয়ত বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের লাগাম টেনে ধরতে পারে এজন্য চীনের কূটনীতি সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে এমন একজন কূটনৈতিককে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এখন দেখা যাক, ডেভিড মিলের বাংলাদেশ মিশন কতটুকু সফল হয়।
ডেভিড মিল বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি
মন্তব্য করুন
ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার বন্ধে মন্ত্রী-এমপিদের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার জন্য পাঠালে আমরা ফেরিফাই করে দেবো। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।
শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে পিটার ডি হাসের অধ্যায়। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন এটি সিনেটের অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে আবির্ভূত হবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিচ্ছেন পিটার ডি হাস। অর্থাৎ এটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছিল সেই নীতিতে পরিবর্তন আসছে। নিশ্চয়ই ডেভিড মিল একটি নতুন মিশন নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। আর এ কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে নেওয়া হল পিটার ডি হাসকে।