ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনার তাণ্ডব থামবে কবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২০


Thumbnail

শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এটি এখন কোটি টাকার প্রশ্ন করোনার তাণ্ডব থামবে কবে? করোনার কারণে প্রায় তিন মাস হলো সারাবিশ্বের অর্ধেক মানুষ ঘরবন্দি হয়ে আছে। নিশ্চল হয়ে পড়েছে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। মানুষ অজানা আতঙ্কে এবং অচেনা আশংকায় এক উদ্বিগ্ন দিন কাটাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়, মুক্তি চায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো বিশেষজ্ঞ, কোনো বিজ্ঞানী অথবা কোনো সংস্থা বলতে পারছে না, কবে এ পরিস্থিতি ঠিক হবে। কবে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে বিশ্ব।

বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক,গত ২৬ মার্চ থেকে ছুটি শুরু হয়েছে, যা পরবর্তীতে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ মানুষ একটা দমবন্ধ করা অবস্থার মধ্যে আছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের মতো দেশে যারা নিম্ন আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্ত তারা পড়েছে ভয়াবহ বিপদে। জনস্বাস্থ্যের হুমকির চেয়েও খাদ্যের নিশ্চয়তা, বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত এবং হতাশাগ্রস্ত।

১৭ মার্চ ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ হওয়ার কথা ছিল গোটা দেশজুড়ে। কিন্তু সেই উৎসবের লাগাম টেনে ধরেছে করোনা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের উৎসবেও বাঙালী শামিল হতে পারেনি। সামনে পয়লা বৈশাখ। বাঙালী জাতির সবচেয়ে বড় উদযাপনের উপলক্ষ্য। সেই পয়লা বৈশাখ মূল অনুষ্ঠান ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এরপরই শুরু হচ্ছে রোজা। করোনার তাণ্ডব কি রোজার মধ্যেও থাকবে? তাহলে মানুষের কি হবে? এই রোজার পরপরই মে মাসে রয়েছে ঈদ। কাজেই মানুষ জানতে চায়, কবে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে। শুধু স্বাভাবিক জীবনে ফেরার বিষয় নয়, বরং মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে অনেক রকম প্রশ্ন উৎকণ্ঠা এবং অস্থিরতা কাজ করছে। যে প্রশ্নগুলো মানুষ করতে চায় তা হলো-

১. কেন করোনার কোনো চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারছে না বিশ্ব? যে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা ক্লোনের গবেষণা করে সফল হচ্ছে, তারা একটি ভাইরাসের কাছে কেন এত অসহায়?

২. করোনার যে প্রকোপ এদেশ থেকে ওদেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং কোনো দেশেই তা থামছে না, থামানো যাচ্ছে না কেন?

৩. করোনার ফলে যে অর্থনৈতিক দুরবস্থা হবে এই অর্থনৈতিক দুরবস্থা শুধুমাত্র আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা রাষ্ট্রের দুবেলা খাবারের মধ্যে দিয়ে কি সমাধান করা সম্ভব হবে?

৪. বিশ্বের যে কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হচ্ছে, তারা কখন কর্মচাঞ্চল্যে ফিরবে?

৫. সারা বিশ্বজুড়ে করোনার কারণে যে বিচ্ছিন্নতা শুরু হয়েছে, তা থেকে মানুষ কবে মুক্তি পাবে?

এই প্রশ্নগুলো নিয়েই মানুষের মূল প্রশ্ন হচ্ছে, কবে থামবে করোনার তাণ্ডব?

করোনার তাণ্ডব থামার ক্ষেত্রে আমরা উদাহরণ দিতে পারি চীনকে। চীনে গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে করোনার প্রকোপ শুরু হয়েছিল। এখন বলা যেতে পারে করোনা সেখানে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও করোনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্তের উদ্বেগজনক খবর পাওয়া যাচ্ছে। চীনের কোনো কোনো যদিও এখনও স্বাভাবিক জীবন ফিরে এসেছে, তারপরও চীন সরকার বলছে, তাদের পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও একমাস লাগবে। অর্থাৎ যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে চীনের করোনা মোকবেলা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সময় লাগবে মোট চার মাস। সে বিবেচিনা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্যরাজ্য কিংবা ইতালি , স্পেন- এই দেশগুলোতে করোনার তাণ্ডব থামতে আরও দুমাস বেশি সময় লাগবে। অর্থাৎ মে মাসের শেষ পর্যন্ত এই দেশগুলোতে করোনার তাণ্ডব থাকতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি কী?

বাংলাদেশের পরিস্থিতিটা একটু নাজুক এ কারণে যে-

প্রথমত; এখন পর্যন্ত আমরা করোনার প্রকৃত অবস্থা কী সেটা জানতে পারিনি।

দ্বিতীয়ত, আমরা সামাজিক সংক্রমণ কীভাবে হয়েছে, কতদূর পর্যন্ত হয়েছে সেটাও জানতে পারিনি।

করোনার তাণ্ডম একটা দেশে থামা নির্ভর করে সে দেশের সামাজিক সংক্রমণ কত ব্যাপাওক বিস্তৃত হয়েছে , তার উপর। আমরা যদি জানতে পারতাম করোনার সামাজিক সংক্রমণ বাংলাদেশে কতটুকু বিস্তৃত, তাহলে আমরা কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারতাম। তবে বিভিন্ন দেশগুলোর করোনার বিস্তৃতি এবং করোনার গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে বোঝা যায় যে, বাংলাদেশে হয়তো বাংলাদেশে হয়তো আগামী মে মাস জুড়েই এই অবস্থা থাকবে। আবার কেউ কেউ মনে করছে, জুন পর্যন্ত তা গড়াতে পারে। এর বিপরীতে বাংলাদেশে কিছু আশার কথাও আছে। যেমন-

প্রথমত; এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক বিস্তৃত হয়নি। যদিও সীমিত সংখ্যক পরীক্ষা হয়েছে, তারপরও যে হার, তা থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশে হয়তো করোনা ভয়াবহ আকারটা ধারণ করবে না।

দ্বিতীয়ত; বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত না হলেও ধারণার দিক দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা হলো- উষ্ণ আবহাওয়ায় করোনা বেশি বিস্তৃত হতে পারে না।

তৃতীয়ত; আমাদের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

আর সবকিছু মিলিয়ে আমরা খুব আশাবাদী হলে মনে করতে পারি যে, আমাদের দেশে ৮ মার্চ করোনার প্রকোপ ধরা পড়েছিল। এপ্রিল মাসটা আমাদের জন্য খুবই সংবেদনশীল মাস এই করোনার প্রকোপ কোন দিকে যায়, তা বোঝার জন্য। এরপর মে মাসে হয়তো আমরা পরিস্থিতিকে একটা একটা দিক নির্দেশনামূলক পথে নিয়ে আসতে পারবো এবং তখন হয়তো আমরা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো। তবে এরকম অনুমান করে আশাবাদী হওয়া যায়, কিন্তু এখন পর্যন্ত করোনার শেষ কোথায়, তার কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক উত্তর কেউ খুঁজে পাননি।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সারা দেশে হিট স্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিট স্ট্রোকে নতুন মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজনেরই মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। তবে গত একদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

সবমিলিয়ে বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন