ইনসাইড বাংলাদেশ

আবদুল হামিদ কততম রাষ্ট্রপতি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ১৬ জুলাই, ২০১৭


Thumbnail

বঙ্গভবনের ওয়েবসাইটে সাবেক রাষ্ট্রপতিদের বিষয়ে হযবরল তথ্য দেওয়া আছে। এতে সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে দায়িত্ব পালন করা রাষ্ট্রপতিদের ‘অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি’, ‘ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি’ ও ‘রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার পরপর একাধিক মেয়াদে থাকা রাষ্ট্রপতিদের কাউকে একই ক্রমিকে আবার কাউকে ভিন্ন ভিন্ন ক্রমিকে দেখানো হয়েছে।

সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ক্ষেত্রমত রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কিংবা রাষ্ট্রপতি পুনরায় স্বীয় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্পিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করিবেন।’

এই অনুচ্ছেদ অনুসারে দায়িত্ব পালন করা তিন সাবেক রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার ও সাহাবুদ্দিন আহমদের নামের পাশে ব্র্যাকেটে লেখা আছে ‘অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি’। মুহম্মদুল্লাহ্ ও মুহম্মদ জমির উদ্দিন সরকারের নামের পাশে একইভাবে লেখা আছে ‘রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত’। আবার বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের জীবনীতে লেখা আছে, ‘প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ১৪ মার্চ ২০১৩ থেকে জনাব মো. আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০ মার্চ ২০১৩ তারিখে রাষ্ট্রপতি জনাব জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে তিনি সেদিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।’ অর্থ্যাৎ তাঁকে দুই মেয়াদে দুইভাবে (‘ভারপ্রাপ্ত’ ও ‘অস্থায়ী‘ ) উল্লেখ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবনের ওয়েবসাইটে দেওয়া এই জীবনীতে আরও বলা হয়েছে, তিনি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। অথচ নির্বাচিত হয়ে শপথ নেওয়ার আগে তিনি ‘ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি’ ও ‘অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি‘র দায়িত্ব (জীবনী অনুসারে) পালন করায় ওই দুইটির আলাদা ক্রমিক ২২ ও ২৩ নম্বার হওয়ার কথা। আর বর্তমান ক্রমিক হওয়ার কথা ২৪। কারণ তালিকায় পরপর ৪ ও ৫ নম্বর ক্রমিকে থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতি মুহম্মদুল্লাহ্ এবং ১০ ও ১১ নম্বর তালিকায় থাকা আবদুস সাত্তারকে প্রথম বার ‘অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। যদিও তাঁরাও বর্তমান রাষ্ট্রপতির মতো সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ অনুসারে শপথ নিয়ে পরপর একাধিক মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ছিলেন।

এমনকি একই তারিখ ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ মেয়াদ শুরু করে প্রথম ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে আছেন ভিন্ন ভিন্ন ক্রমিক নম্বরে।

তাছাড়া পরপর বিভিন্ন মেয়াদে থাকা একাধিক সাবেক রাষ্ট্রপতিকে একই ক্রমিক নম্বরে না দেখিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ক্রমিক নম্বরে দেখালে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের ক্রমিন নম্বর যাবে আরও পরে।

এদিকে ওয়েবসাইটে ঢুকলেই প্রথম পাতায় ডান পাশে রাষ্ট্রপতির ছবির সঙ্গে লেখা আছে, ‘মো: আব্দুল হামিদ বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি’। এখানে রাষ্ট্রপতির নামে ‘আব্দুল’ শব্দটি যুক্তাক্ষরে লেখা আছে। তবে বিস্তারিততে ক্লিক করলে জীবন বৃত্তান্তে দেয়া নামের বানানে আছে ‘আবদুল’। একই ভাবে প্রথম পাতায় ‘১৯তম‘ রাষ্ট্রপতি লেখা হলেও বিস্তারিততে লেখা আছে ’২২-তম’। তালিকার উৎস হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নাম দেয়া আছে। সর্বশেষ গত ৫ জুলাই তা হালনাগাদ করা হয়েছে বলে তথ্য দেওয়া হয়েছে এতে।

তালিকায় পরপর একাধিক মেয়াদে থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতিদের ক্রমিকেও আছে ভিন্নতা। যেমন আবু সাঈদ চৌধুরী পরপর তিন মেয়াদের রাষ্ট্রপতি। মেয়াদগুলো হচ্ছে ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ থেকে ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭২, ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে ১০ এপ্রিল ১৯৭৩ এবং ১০ এপ্রিল ১৯৭৩ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩। তবে তাঁকে একই ক্রমিকে (৩ নম্বর) রাখা হয়েছে। একইভাবে জিয়াউর রহমান পরপর দুই মেয়াদের রাষ্ট্রপতি। মেয়াদ দুটি হচ্ছে ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ থেকে ১২ জুন ১৯৭৮ এবং ১২ জুন ১৯৭৮ থেকে ৩০ মে ১৯৮১। তাঁকেও একই ক্রমিকে (৯ নম্বর) দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি দেখানো হয়েছে। তবে ভিন্নতা আছে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্য। তিনিও পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তবে তাঁকে আলাদা ক্রমিকেই (১৩ ও ১৪ নম্বর) রাষ্ট্রপতি দেখানো হয়েছে। তাঁর দুইটি মেয়াদ হচ্ছে ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ থেকে ২৩ নভেম্বর ১৯৮৬ এবং ২৩ নভেম্বর ১৯৮৬ থেকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সাল।

তাছাড়া তালিকায় সাবেক রাষ্ট্রপতিদের নামও লেখা আছে ভুল বা ভিন্ন বানানে। যেমন আবু সাঈদ চৌধুরীর নামের বানানে ‘চৈধুরী’ লেখা হয়েছে। দুই ক্রমিকে এরশাদের নামের বানানে ‘হোসেন’ ও ‘হুসেইন’ এবং ‘মোহাম্মদ’ ও ‘মুহম্মদ’ লেখা হয়েছে। আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের নামের প্রথম শব্দ দুটি একশব্দে লেখা হয়েছে ‘আবুসাদাত’।

১৮তম রাষ্ট্রপতির নাম লেখা আছে ‘এ, কিউ, এম, বদরুদ্দোজা চৌধুরী’। তবে জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে সপ্তম সংসদের সদস্য হিসেবে তাঁর নাম লেখা আছে ‘এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী’। আর ১৯তম রাষ্ট্রপতির নাম লেখা আছে ‘মুহম্মদ জমির উদ্দিন সরকার’। তবে সংসদের ওয়েবসাইটে সাবেক স্পিকার হিসেবে তাঁর নাম ইংরেজিতে লেখা আছে ‘মুহম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার‘। অর্থ্যাৎ এখানে ‘জমিরউদ্দিন’ একশব্দে লেখা আছে।

এছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতিদের নামের আগে-পরে রয়েছে মূল নামের অতিরিক্ত নানা শব্দ। যেমন: জমিরউদ্দিন সরকারের মূল নামের আগে যথাক্রমে ‘স্পিকার’ ও ‘ব্যারিস্টার’, জিয়াউর রহমানের নামের আগে ‘মেজর জেনারেল’ ও পরে ‘বীর উত্তম, পিএসসি’, এরশাদের নামের আগে ‘লে: জেনারেল’ ও পরে ‘এন ডি সি, পি এস সি’ লেখা আছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাষ্ট্রের প্রথম ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি। তাঁদের মূল নামের আগে-পরে এসব কিছু থাকা একদমই ঠিক নয়, তাতে বিষয়টির গুরুত্ব হালকা হওয়ার ঝুঁকি আছে। বিশিষ্টজনরা বলছেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি থাকা একটি সংবিধান স্বীকৃত বিষয়। তাই তাঁর নামের শুরুতে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি রেখে অন্যান্য সাবেক রাষ্ট্রপতিদের ক্ষেত্রে বাড়তি শব্দগুলো বাদ দেয়া উচিত। তাছাড়া রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে সাবেক রাষ্ট্রপতিদের বিষয়ে এত ভুল-ভ্রান্তি থাকা কোনভাবেই সমীচীন নয়।

১৫তম ক্রমিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের মেয়াদেও ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে। এতে তাঁর এই মেয়াদ লেখা আছে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ থেকে ৯ অক্টোবর ১৯৮১। মূলত যা ১৯৮১ এর স্থলে ১৯৯১ সাল হবে।

রাষ্ট্রপতিদের তালিকার দেখতে ক্লিক করুন। http://bit.ly/2uuAf2E


বাংলা ইনসাইডার/এমএএম




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সচিবালয় ক্লিনিকে বদলি আতঙ্কে কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ১০:৩৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সচিবালয় ক্লিনিক থেকে দুই দিনে সাত চিকিৎসককে বদলি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের নির্দেশে হঠাৎ এই বদলির ফলে অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বদলির আতঙ্কে রয়েছেন। 

জানা গেছে, মঙ্গলবার সচিবালয়ের এক চিকিৎসককে কিশোরগঞ্জে বদলি করা হয়। গতকাল বুধবার আরও ছয়জনকে চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও রংপুরের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বদলি করা হয়। নার্স, ফার্মাসিস্ট ও পিয়নসহ অন্য সবাইকে বদলি করার প্রক্রিয়া চলছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি করিয়েছেন।

সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সচিবালয় ক্লিনিকে অনেকে ১০ থেকে ১২ বছর ধরে রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলেছি, দীর্ঘদিন যারা কাজ করছেন তাদের পর্যায়ক্রমে বদলি করতে। কিন্তু তারা (সচিবালয় ক্লিনিকের কর্মকর্তারা) বিষয়টির ভিন্নভাবে বলছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিকে চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট, পিয়নসহ প্রায় ৫০ জন রয়েছেন। 

সচিবালয় ক্লিনিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যশোর ডিওএইচএসে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন

প্রকাশ: ১০:২৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যশোর প্রতিরক্ষা অফিসার হাউজিং সোসাইটি- ডিওএইচএস এলাকায় মাসব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা-২০২৪ শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মাসব্যাপী এ শিল্প মেলার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেজর মোঃ গোলাম হায়দার (অবঃ)। যশোর সেনানিবাসের ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এ. ডাব্লিউ. এম রায়হান শাহ এর সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট শ্যামল কুমার রায় (অবঃ)।

মাসব্যাপী শুরু হওয়া এই মেলায় সার্কাস এবং চ্যানেল আইয়ের শিল্পীদের দ্বারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন রাইডস এর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও মেলায় কুটির শিল্পের পণ্য সামগ্রীর বিভিন্ন ধরনের স্টল রয়েছে।

যশোর   ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যাদের কোন ধর্ম নেই তারাই শ্রমিক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের মধুখালী পঞ্চপল্লিতে নির্মাণ শ্রমিক দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা খুবই দুঃখজনক ও হৃদয় বিদারক উল্লেখ্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘যাদের কোন জাত নেই, যাদের কোন ধর্ম নেই’ তারাই দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা খুনি। এই ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। 

তিনি বলেন, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা মুসলিমও না, হিন্দুও না। তাদের কোনো ধর্ম নেই।
 
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগের দিন বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।
 
মন্ত্রী বলেন, অপরাধীরা মনে করেছে, এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে পার পেয়ে যাবে! তার কোন সুযোগ নাই। হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে আইনের ধারানুযায়ী হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিন্ত করা হবে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় ১৫ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের সমাজে কে হিন্দু, কে মুসলমান কে কোন জাতি এটা বড় বিষয় নয়, আমরা সকলেই মানুষ। কোন মানুষই এ ঘটনাটিকে মেনে নিতে পারছে না। সকলেই শোকাহত পরিবারটির পাশে দাড়িয়েছেন।
 
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দ্যেশে এসময় মন্ত্রী বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করছেন হত্যাকান্ডের তথ্য উদঘাটন করার জন্য। কেউ কেউ ঘটনাটিকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য হয়তো চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেদিকে আপনারা সতর্ক অবস্থানে থাকুন। কোন ভাবেই শান্তি প্রিয় এ এলাকাকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে। যে ঘটনাটি ঘটেছে তার সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। যা নিহত দুই ভাইয়ের মা-বাবা দেখে যেতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
 
এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দ্যেশে এ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও মৎস্য মন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে যার যার এলাকায় নেতৃত্বস্থানীয় লোকজন নিয়ে সভা করেন। লোকজনকে বুঝিয়ে বলুন যে, দুই শ্রমিক হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। ঘটনাটি নিয়ে আবেগী হয়ে আপনারা কোন বিষয়ে উস্কানি দিবেন না। এলাকায় পাহারার মত অবস্থানে থাকুন। প্রয়োজনে আপনারা প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। তিনি বলেন, কোন দল বা কোন সংগঠন যারাই এই পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে আসবেন, তাদেরকে আমি ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিবো। তবে এ ঘটনাকে ইস্যু করে কোন ধরণের অশান্তি সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামনুন আহমেদ অনীকের সভাপতিত্বে সম্প্রীতি কমিটির সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিহত দুই শ্রমিকের বাবা শাহাজাহান শেখ, মধুখালী সার্কেলের এএসপি মিজানুর রহমান, ফরিদপুর ইসলামীক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু, পৌর মেয়র মোর্শেদ রহমান লিমন, উজানদিয়া মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ আলম হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুবাস রায় প্রমুখ। সভায় বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর বদরুল হুদা আকরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
 
উল্লেখ্য, ১৮ এপ্রিল ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীর মন্দিরে আগুনের অভিযোগে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার একদিন পর থানায় মামলা তিনটি নথিভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় মোট ১৫জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   আব্দুর রহমান   ফরিদপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আইপিএস নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।’
 
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি। এই অঞ্চলের সব দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারে। গঠনমূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে থেকেই  দিক থেকে বলছি। কেন এটা বলছি? স্বাধীনতার পর থেকে দ্রুততার সঙ্গে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সামর্থ্য ও অবদানের সক্ষমতা দেখেছি। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সামর্থ্যের পাশাপাশি অন্যের সহায়তাও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে আমরা গর্বিত। উদাহরণ হিসেবে মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা এক বিরাট দৃষ্টান্ত।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে।’


ভারত   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   মার্কিন দূতাবাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মধ্যপ্রাচ্যে ঝুঁকছে বাংলাদেশ?

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। 

আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে। 

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷ 

দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে। 

তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের  দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।


মধ্যপ্রাচ্য   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন