ইনসাইড বাংলাদেশ

আবদুল হামিদ কততম রাষ্ট্রপতি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ১৬ জুলাই, ২০১৭


Thumbnail

বঙ্গভবনের ওয়েবসাইটে সাবেক রাষ্ট্রপতিদের বিষয়ে হযবরল তথ্য দেওয়া আছে। এতে সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে দায়িত্ব পালন করা রাষ্ট্রপতিদের ‘অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি’, ‘ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি’ ও ‘রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার পরপর একাধিক মেয়াদে থাকা রাষ্ট্রপতিদের কাউকে একই ক্রমিকে আবার কাউকে ভিন্ন ভিন্ন ক্রমিকে দেখানো হয়েছে।

সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ক্ষেত্রমত রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কিংবা রাষ্ট্রপতি পুনরায় স্বীয় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্পিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করিবেন।’

এই অনুচ্ছেদ অনুসারে দায়িত্ব পালন করা তিন সাবেক রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার ও সাহাবুদ্দিন আহমদের নামের পাশে ব্র্যাকেটে লেখা আছে ‘অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি’। মুহম্মদুল্লাহ্ ও মুহম্মদ জমির উদ্দিন সরকারের নামের পাশে একইভাবে লেখা আছে ‘রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত’। আবার বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের জীবনীতে লেখা আছে, ‘প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ১৪ মার্চ ২০১৩ থেকে জনাব মো. আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০ মার্চ ২০১৩ তারিখে রাষ্ট্রপতি জনাব জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে তিনি সেদিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।’ অর্থ্যাৎ তাঁকে দুই মেয়াদে দুইভাবে (‘ভারপ্রাপ্ত’ ও ‘অস্থায়ী‘ ) উল্লেখ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবনের ওয়েবসাইটে দেওয়া এই জীবনীতে আরও বলা হয়েছে, তিনি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। অথচ নির্বাচিত হয়ে শপথ নেওয়ার আগে তিনি ‘ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি’ ও ‘অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি‘র দায়িত্ব (জীবনী অনুসারে) পালন করায় ওই দুইটির আলাদা ক্রমিক ২২ ও ২৩ নম্বার হওয়ার কথা। আর বর্তমান ক্রমিক হওয়ার কথা ২৪। কারণ তালিকায় পরপর ৪ ও ৫ নম্বর ক্রমিকে থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতি মুহম্মদুল্লাহ্ এবং ১০ ও ১১ নম্বর তালিকায় থাকা আবদুস সাত্তারকে প্রথম বার ‘অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। যদিও তাঁরাও বর্তমান রাষ্ট্রপতির মতো সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ অনুসারে শপথ নিয়ে পরপর একাধিক মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ছিলেন।

এমনকি একই তারিখ ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ মেয়াদ শুরু করে প্রথম ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে আছেন ভিন্ন ভিন্ন ক্রমিক নম্বরে।

তাছাড়া পরপর বিভিন্ন মেয়াদে থাকা একাধিক সাবেক রাষ্ট্রপতিকে একই ক্রমিক নম্বরে না দেখিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ক্রমিক নম্বরে দেখালে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের ক্রমিন নম্বর যাবে আরও পরে।

এদিকে ওয়েবসাইটে ঢুকলেই প্রথম পাতায় ডান পাশে রাষ্ট্রপতির ছবির সঙ্গে লেখা আছে, ‘মো: আব্দুল হামিদ বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি’। এখানে রাষ্ট্রপতির নামে ‘আব্দুল’ শব্দটি যুক্তাক্ষরে লেখা আছে। তবে বিস্তারিততে ক্লিক করলে জীবন বৃত্তান্তে দেয়া নামের বানানে আছে ‘আবদুল’। একই ভাবে প্রথম পাতায় ‘১৯তম‘ রাষ্ট্রপতি লেখা হলেও বিস্তারিততে লেখা আছে ’২২-তম’। তালিকার উৎস হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নাম দেয়া আছে। সর্বশেষ গত ৫ জুলাই তা হালনাগাদ করা হয়েছে বলে তথ্য দেওয়া হয়েছে এতে।

তালিকায় পরপর একাধিক মেয়াদে থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতিদের ক্রমিকেও আছে ভিন্নতা। যেমন আবু সাঈদ চৌধুরী পরপর তিন মেয়াদের রাষ্ট্রপতি। মেয়াদগুলো হচ্ছে ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ থেকে ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭২, ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে ১০ এপ্রিল ১৯৭৩ এবং ১০ এপ্রিল ১৯৭৩ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩। তবে তাঁকে একই ক্রমিকে (৩ নম্বর) রাখা হয়েছে। একইভাবে জিয়াউর রহমান পরপর দুই মেয়াদের রাষ্ট্রপতি। মেয়াদ দুটি হচ্ছে ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ থেকে ১২ জুন ১৯৭৮ এবং ১২ জুন ১৯৭৮ থেকে ৩০ মে ১৯৮১। তাঁকেও একই ক্রমিকে (৯ নম্বর) দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি দেখানো হয়েছে। তবে ভিন্নতা আছে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্য। তিনিও পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তবে তাঁকে আলাদা ক্রমিকেই (১৩ ও ১৪ নম্বর) রাষ্ট্রপতি দেখানো হয়েছে। তাঁর দুইটি মেয়াদ হচ্ছে ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ থেকে ২৩ নভেম্বর ১৯৮৬ এবং ২৩ নভেম্বর ১৯৮৬ থেকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সাল।

তাছাড়া তালিকায় সাবেক রাষ্ট্রপতিদের নামও লেখা আছে ভুল বা ভিন্ন বানানে। যেমন আবু সাঈদ চৌধুরীর নামের বানানে ‘চৈধুরী’ লেখা হয়েছে। দুই ক্রমিকে এরশাদের নামের বানানে ‘হোসেন’ ও ‘হুসেইন’ এবং ‘মোহাম্মদ’ ও ‘মুহম্মদ’ লেখা হয়েছে। আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের নামের প্রথম শব্দ দুটি একশব্দে লেখা হয়েছে ‘আবুসাদাত’।

১৮তম রাষ্ট্রপতির নাম লেখা আছে ‘এ, কিউ, এম, বদরুদ্দোজা চৌধুরী’। তবে জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে সপ্তম সংসদের সদস্য হিসেবে তাঁর নাম লেখা আছে ‘এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী’। আর ১৯তম রাষ্ট্রপতির নাম লেখা আছে ‘মুহম্মদ জমির উদ্দিন সরকার’। তবে সংসদের ওয়েবসাইটে সাবেক স্পিকার হিসেবে তাঁর নাম ইংরেজিতে লেখা আছে ‘মুহম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার‘। অর্থ্যাৎ এখানে ‘জমিরউদ্দিন’ একশব্দে লেখা আছে।

এছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতিদের নামের আগে-পরে রয়েছে মূল নামের অতিরিক্ত নানা শব্দ। যেমন: জমিরউদ্দিন সরকারের মূল নামের আগে যথাক্রমে ‘স্পিকার’ ও ‘ব্যারিস্টার’, জিয়াউর রহমানের নামের আগে ‘মেজর জেনারেল’ ও পরে ‘বীর উত্তম, পিএসসি’, এরশাদের নামের আগে ‘লে: জেনারেল’ ও পরে ‘এন ডি সি, পি এস সি’ লেখা আছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাষ্ট্রের প্রথম ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি। তাঁদের মূল নামের আগে-পরে এসব কিছু থাকা একদমই ঠিক নয়, তাতে বিষয়টির গুরুত্ব হালকা হওয়ার ঝুঁকি আছে। বিশিষ্টজনরা বলছেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি থাকা একটি সংবিধান স্বীকৃত বিষয়। তাই তাঁর নামের শুরুতে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি রেখে অন্যান্য সাবেক রাষ্ট্রপতিদের ক্ষেত্রে বাড়তি শব্দগুলো বাদ দেয়া উচিত। তাছাড়া রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে সাবেক রাষ্ট্রপতিদের বিষয়ে এত ভুল-ভ্রান্তি থাকা কোনভাবেই সমীচীন নয়।

১৫তম ক্রমিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের মেয়াদেও ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে। এতে তাঁর এই মেয়াদ লেখা আছে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ থেকে ৯ অক্টোবর ১৯৮১। মূলত যা ১৯৮১ এর স্থলে ১৯৯১ সাল হবে।

রাষ্ট্রপতিদের তালিকার দেখতে ক্লিক করুন। http://bit.ly/2uuAf2E


বাংলা ইনসাইডার/এমএএম




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকার সংসদ ভবন এলাকায় এক শিক্ষার্থী খুন

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাস্তা পার হওয়া নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের  জেরে ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত মেহেদী হাসান (১৮) সদ্য এসএসসি পাশ করেছেন।

জানা যায়, মামার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শোভাযাত্রায় এসেছিলেন। যাত্রা শেষ করে ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ হারায় মেহেদী।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবনের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন। এদিকে নিহতের মামা চয়ন  ভাগ্নে হত্যার বিচার চেয়েছেন।

শেরে বাংলা নগর থানার ওসি আব্দুল আহাদ বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


স্বেচ্ছাসেবক   লীগ   শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না: ফরিদপুর জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ১০:৪৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ‘একটি ব্যালটের বিপরীতে একটি বুলেট ব্যবহার করা হবে। বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘কেউ ভোট কাটতে একটা ব্যালটে হাত দিতে চাইলে তার জন্য একটি বুলেট খরচ করা হবে। তাই যারা এই পরিকল্পনায় আছে তারা ভুলে যান, এবার অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সদরপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ উপলক্ষে প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মো. সৈয়দ মোরাদ আলীর সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোর্শেদ আলম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহম্মদ, সদরপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।


জেলা প্রশাসক   কামরুল আহসান তালুকদার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের এই সময়ে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকে। ফলে আমদানি করে মরিচের প্রয়োজন মেটাতে হয়। তবে এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

এবার কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে ঈদুল আজহার মাসখানেক আগে থেকেই। গত বছর কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল।

গত পাঁচ বছরের বাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বছরের এই সময়ে উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বাড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে বৃষ্টিসহিষ্ণু মরিচের জাত কম। ফলে বৃষ্টি বেশি হলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যায়। তখন আমদানি করে কাঁচা মরিচের চাহিদা মেটানো হয়। সাধারণত ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। তবে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকেও কিছু কাঁচা মরিচ আসে। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে কাঁচা মরিচ আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।


কাঁচা   মরিচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জুজুৎসুর নিউটন ভয়ংকর যৌন নিপীড়ক: র‍্যাব

প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারী ক্রীড়াবিদদের ধর্ষণ ও শারীরিক নিপীড়ন। অপ্রাপ্তবয়স্ক ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজও করেছেন তিনি। নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জেনেছে র‍্যাব।

তার অনৈতিক এ কাজে আরেক নারী সহযোগী ক্রীড়াবিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় দ্বিতীয় আসামি ওই নারী ক্রীড়াবিদকে ইতোমধ্যে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

র‍্যাব কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, ১৮ মে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুজুৎসু এসোসিয়েশনের একজন নারী ক্রীড়াবিদদের করা নারী শিশু নির্যাতন দমন ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে  র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। রফিকুল ইসলাম নিউটন জুজুৎসু (জাপানি মার্শাল আর্ট) খেলার প্রশিক্ষক। অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। যেখানে অভিভাবক হিসেবে কোমলমতি মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোমলমতি মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার হীন চরিত্র চরিতার্থ করার প্রয়াস চালান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে কেউ গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করাতেন। এছাড়া অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও নগ্ন ছবি তুলে রাখতেন তিনি। পরে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করে বারবার ধর্ষণ করতেন।


জুজুৎসু   নিউটন   র‍্যাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ


Thumbnail

আগামী ২১ মে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২ জন। এর মধ্যে জনগণের ও সরকার দলীয় কর্মীদের পছন্দের প্রার্থী তালিকায় অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ অন্যতম। অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা।

অপর প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে চরের জমি নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আইন অমান্য করে মাছ শিকারসহ জেলেদেরকে দিয়ে নদী দখল ও বাস্তুচ্যুতদের মহিষ দিয়ে চর দখলে রেখেছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে নানা কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য দিতেও সংকোচ বোধ করছেন না অনেকে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি  মেনে চলার  আহ্বান জানিয়েছে।


বিজয়   অধ্যক্ষ   মামুনুর রশীদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন